চিন্তা পাঠচক্র- ৮ জানুয়ারি

৮ জানুয়ারি ২০১৫। বিকাল সাড়ে পাঁচটায় ‘চিন্তা’ পাঠচক্রের নিয়মিত আলোচনা শুরু হয়। মুল আলোচনা শুরুর আগে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি,অস্থিরতা এবং ভবিষ্যৎ গন্তব্য নিয়ে এক প্রাণবন্ত আলাপ শুরু হয় উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে।

বেশিরভাগের আলোচনায় বর্তমান উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিরোধীদলের ভূমিকা এবং আন্দোলনে ব্যর্থতার কথা উঠে আসে। বর্তমানে বিএনপির যে সাংগঠনিক অবস্থা এবং সরকারের যে কঠোর নীতি এতে করে আন্দোলন সফলতার দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে এবং এ অস্থির পরিস্থিতি আরো দীর্ঘায়ত হওয়ার আশঙ্কাও ব্যক্ত করেন অনেকে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক শিবির ক্রমশ দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এ দেশে মিসরের মত একটা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলেন কেউ কেউ।

মুসতাইন জহির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, ‘বিরোধী শিবিরের সংকট শুধু সাংগঠনিক না, তার সাথে আদর্শিক সংকটও আছে। দুই দলের স্বার্থের জায়গা বা অন্যান্য বিষয়গুলোতে খুব বেশি ফারাক নাই। যদিও আওয়ামী লীগের একটা রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক প্রকল্প আছে, কিন্তু বিপক্ষ শিবির এই দিক থেকে প্রায় দেউলিয়া। তারা কি চায়, কি করবে, এটা কাউকে বুঝাতে পারছে না। তারা নির্বাচন চাচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাচ্ছে, এর পরে আর কি চাচ্ছে? -এ বক্তব্য তাদের কাছে নাই। ফলে আমরা মনে করি বর্তমান বিরোধী শিবিরের যে ব্যর্থতা, এটা যতটা না সাংগঠনিক তার চাইতেও বেশি রাজনৈতিক।’

 ‘কেমন সরকার চান?’ এই প্রশ্নটা এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য মুখ্য বিষয় উল্লেখ করে মুসতাইন জহির বলেন, ‘কেমন সরকার আপনি চান তার দ্বারা নির্ধারিত হয় আপনি কি কি অধিকারের বঞ্চনা বোধ করছেন এবং কি কি অধিকার আপনি নিশ্চিত করতে চাচ্ছেন। সেটা কি রূপের মধ্য দিয়ে করবেন তার সাথে সরকারের রূপটা নির্ভর করে। মধ্যযুগে -যেখান থেকে আমরা আধুনিক রাজনীতির বিকাশ বা উদ্ভব বলি- কেন্দ্রীয় বিবেচ্য বিষয় ছিল সরকার। যার প্রথম অভিব্যক্তি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে পরিষ্কার ঘোষণা আছে যে, মানুষের একটি শাশ্বত প্রাকৃতিক অধিকার আছে, কেমন সরকার সে চায় তা নির্ধারণ করার। ফলে কেমন সরকার তারা চান তার দাবির মধ্যে দিয়ে এ বিদ্রোহটা সংঘটিত হয়েছিল। ফলে প্রশ্নটা ছিল ফর্ম অফ গভর্নমেন্ট। কি প্রকৃতির সরকার হলে বা শাসন ব্যবস্থা থাকলে পরে এই এই অধিকারগুলো এই এই নীতিগুলোর বাস্তবায়ন সম্ভব হতে পারে। বাংলাদেশেও আমরা এখন ‘কেমন সরকার চান’ এই প্রশ্নে আছি। কিন্তু আমরা দেখছি এই কেমন সরকার চাওয়ার দাবিটার পেছনে যে নীতিগত দিক আছে, তা নিয়ে বিরোধী শিবিরের কাছে কোন বক্তব্য নাই। ‘কেমন সরকার আমরা চাই’ -এই প্রশ্নটার উত্তর বা আমরা এমন একটা সরকার করব যার ফলশ্রুতিতে এই যে একটা বৃত্তের মধ্যে আমরা আবর্তিত হচ্ছি এখান থেকে আমরা বের হতে পারব। -এটা এখন বাংলাদেশের রাজনীতির মুখ্য বিষয়। যারা এটা সামনে নিয়ে আসতে পারবেন এবং এটাকে কেন্দ্র করে যারা সংগঠিত হবেন, আমি মনে করি তাদের জন্য খুব দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার প্রয়োজন হবে না।’ 

উন্নয়ন ও অর্থনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রশ্নটা এখন এই নয় যে, আমাদের রপ্তানি বাড়ছে কিনা, আমাদের জিডিপি বাড়ে কিনা; গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল উন্নয়নটা সুষম হচ্ছে কিনা। বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত কি সত্যি মনে করে সে উন্নয়নের সুফল আসলেই ভোগ করছে? এখন বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা হল সে অর্থনীতির একটা সুষম উন্নয়ন দেখতে চায়। যারা ডেভেলপমেন্টের ক্রিটিক করেন তারা বলেন যে, উন্নয়নটা আলোচ্য বিষয় না। বিষয়টা হল ইনইকুয়ালিটি, নট পভার্টি। আপনি যখন বলেন দারিদ্র্য কমছে, একই সাথে তার বিপরীত একটা বাস্তবতা হল বৈষম্য বাড়ছে। তাই বৈষম্য বাড়াটাই রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কারণ মার্কেট লিবালিরিজম তো এটাই বলে বাজারের মধ্যে আপনাকে ছেড়ে দেয়া হবে। আপনি এ বাজার ব্যবস্থার মধ্যে প্রতিযোগিতা করে যতটুকু সুবিধা পান সেটাই আপনার ভবিতব্য। আর একদমই এটা যেখানে ভেঙ্গে পড়তে পারে সেটার জন্য আছে ‘সোশাল সেফটিনেট’; দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যরা যার অনুবাদ করছে ‘সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী’ । আপনাকে একটা ছাকনি দিয়ে ধরে রাখা হবে যাতে আপনি আবার পড়ে গিয়ে ভর্তা না হয়ে যান। এটাকে বলে ‘সাসটেইনেভল ডেভলপমেন্ট’। এই যখন সমস্যা তখন মোটাদাগে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই বিতর্কগুলো গরহাজির। রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশের মানুষের জীবনে এগুলো হল প্রধান বিবেচ্য বিষয়, এগুলো দ্বারা সে আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু এই প্রশ্নগুলোকে কেউই সামনে আনছে না। ফলে আলোচনাটা অনেক বেশি একটা সেকুলার জাতীয়তাবাদী জায়গায় চলে গেছে। এবং জাতীয়তাবাদের বিকল্প প্রস্তাবনা হাজির করার মত বাস্তবতা, রাজনৈতিক আদর্শ এখন আর তথাকথিত বিরোধী শিবিরে নাই।’

এরপর খন্দকার রাকীব তালাল আসাদের ‘ফ্রম দ্য হিস্ট্রি অফ কলোনিয়াল এনথ্রোপোলজি’ নিয়ে কথা বলেন। -‘আমরা জানি এনথ্রপোলজি বাংলাদেশের মত রাষ্ট্রগুলোতে গড়ে উঠেছে। সোশোলজি মূলত ইউরোপিয়ান সোসাইটিকে ব্যাখ্যা করার জন্য আলাদা ডিসিপ্লিন আকারে গড়ে উঠেছে, অন্যদিকে পশ্চিমারা যেসব দেশ দখল করে তাদের উপনিবেশ স্থাপন করেছে, তারা সেখানকার মানুষজনকে নিজেদের অধীনস্থ রাখার জন্য যে এনালাইসিসগুলো করেছে, সেগুলোকে আমরা মোটাদাগে বলছি এনথ্রপোলজি। মূলত তাদের স্টাডিগুলো ছিল ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার একটা উপায়। তালাল আসাদ এনথ্রপোলজির পিছনের গল্প দিয়ে খুব সুন্দর করে শুরু করেছেন। এনথ্রপোলজির যে গল্পগুলো আমরা শুনি, সেখানে একটা সূক্ষ্ম এক ধরনের প্লট আছে। তার বক্তব্য হচ্ছে যখন থেকে ইউরোপিয়ানরা অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীকে তাদের অধীনে নিয়ে আসল, তখন থেকে তারা সারা দুনিয়াতে ছড়িয়ে গেল এবং অসংখ্য মানুষের সাথে মিশল। ইউরোপে যারা মার্চেন্ট, সোলজার বা মিশনারি ছিল, তারা অধীনস্থ এলাকার মানুষজনকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি করেছে; সেখানকার কালচারগুলোকে ব্যাখ্যা করেছে; তাদের সাথে সম্পর্কগুলো ব্যাখ্যা করেছে; কিভাবে প্রতিরোধ করেছে এ জিনিসগুলোও ব্যাখ্যা করেছে। এসব বয়ান ইনডিজেনাস জনগণের কাছ থেকে নয়, বরং যারা সাম্রাজ্যবাদী ছিল তাদের কাছ থেকে পেয়েছি। এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই ব্যাখ্যাগুলোতে তারা এখানকার সমাজগুলো কিভাবে পরিবর্তন হচ্ছে তার কিছু অপরিবর্তনীয় ‘থিওরি’ দিয়ে গেছে। এ থিওরিগুলো দিয়ে তারা ব্যাখ্যা করছে, এ সমাজ এরকম আর ঐ সমাজ এরকম। যারা এ ব্যাখ্যাগুলো দিয়েছেন তারা ছিলেন সবাই ন্যাচারাল সাইন্সের লোক। নন ইউরোপিয়ান সোসাইটিকে তারা যেভাবে ব্যাখ্যা করেছে, সেখানে ইউরোপিয়ানরা অন্যদের উপর যে জয় লাভ করেছে, তাকে প্রগ্রেসিভ হিসাবে বর্ণনা করেছে। যেমন আফ্রিকানদেরকে আমরা প্রগ্রেস করতেছি, তাদের সভ্য করতেছি, তাদের মধ্যে উন্নয়ন নিয়ে আসছি। তাদেরকে একটা প্রগ্রেসিভ জায়গায় নিয়ে যাচ্ছি। এই উন্নয়নের সাথে এক ধরনের সঙ্গতি রেখে তারা ব্যাখ্যাগুলো করেছে।  যারা সেখানকার স্থানীয় জনগণ তাদের নিজেদের বিকাশের ক্ষেত্রে এই এনথ্রপোলজিকাল স্টাডিগুলো কাজে লাগে নাই। কিছু কিছু প্রফেশনাল এনথ্রপোলজিস্ট ছিল যারা সাবজুগেটেড পিপলদের নিয়ে গবেষণা করত। কিন্তু যারা সাবজুগেটেড পিপল ছিল তাদের জন্য এই বয়ান কখনো কাজে আসে নাই। যখন ফ্রেঞ্চ রেবুলেশন হচ্ছে একই সময়ে যুক্তরাজ্যে বুর্জোয়া মধ্যবিত্ত শ্রেণী আস্তে আস্তে গঠিত হচ্ছে। ‘সোশাল জাস্টিসের’ মত বিভিন্ন শব্দ তখন ফ্রান্সে উচ্চারিত হচ্ছে। এইগুলার প্রভাব যুক্তরাজ্যে পড়বে এই ভয়ে তৎকালীন সময়ের যুক্তরাজ্যের একজন বিখ্যাত তাত্ত্বিক এডমুন্ড বার্ক -যিনি ফরাসী বিপ্লবের বিরোধিতা করেছেন- ‘ট্রাডিশান’ একটা শব্দ ব্যবহার করলেন। ট্রাডিশান বলতে এমন কিছু জিনিস, যা আপনি যখন জাস্টিস বলবেন এটা দ্বারা হ্যাম্পার হতে পারে। ট্রাডিশান শুধু অতীত না, এটা বর্তমান-অতীত সবকিছুকেই অন্তর্ভুক্ত করে। এই জন্য তিনি ফ্রেঞ্চদের জাস্টিস আকারে সবকিছু ধ্বংস করে দেয়ার বিরোধিতা করলেন।’

মুসতাইন জহির- ‘মুল তর্কটা হল, ফরাসি বিপ্লবে ওরা প্রথম যখন ডিক্লারেশনটা দিল, সেই ডিক্লারেশনের মধ্যে ইকুয়ালিটির একটি প্রশ্নটা আসছে। আপনি যে কিছুই হোন না কেন, আপনার যে ঐতিহ্য, আপনার যে সম্মান বা পদবী, এই জিনিসগুলোর মধ্যে আগে বিভিন্ন মানুষের অধিকারের সীমা নির্ধারিত ছিল। ফরাসী বিপ্লবের মধ্য দিয়ে একটা সর্বজনীন অধিকারের ধারণা আসল। এবং সকলে সমানভাবে সে অধিকার ভোগ করবে। এই প্রস্তাবনার দুইটা পক্ষই একটা দর্শনের জায়গা থেকে বিতর্ক করছে, এটা খুব ইন্টারেস্টিং। তর্কটা হল ‘ন্যাচারাল রাইট’ নিয়ে। বার্ক বলছিলেন, ন্যাচারাল রাইটের একটা ট্রাডিশান আছে, যেটা আপনি কোনো একটা এবস্ট্রাক্ট হিউমান কনসেপ্ট দ্বারা হিস্টরিকালি চেঞ্জ করতে পারেন না। তিনি বলছেন হিউম্যান রাইটের কনসেপ্ট হল একটা এবস্ট্রাক্ট কনসেপ্ট এবং এটা ন্যাচারাল রাইটের বিরুদ্ধে। ট্রাডিশানিলি এস্টাব্লিস যুগের পর যুগ যে অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা হরণ করার জন্য যে এবসট্রাক্ট নোশন নিয়ে আসছে এরকম কোন হিউম্যান নাই। এটাকে সে বলছে টেরর এন্ড টিরানি অফ দ্য মেজরিটি।’

রাকীব- ‘তালাল এখন ট্রাডিশানের পক্ষে দাঁড়ালেন। তিনি বললেন, এই ট্রাডিশান নিয়ে আমাদের মত কলোনাইজড দেশগুলোকে ব্যাখ্যা করা সহজ। ট্রাডিশানের ক্ষেত্রে এখানকার যে বিভিন্ন মিথ বিভিন্ন পৌরাণিক ব্যাপারগুলো ছিল, সেগুলোকে ব্যবহার করে নিজেদের একটা বয়ান তৈরি করতে পারি। পশ্চিম আবার এ ক্ষেত্রে আগে কলোনিয়াল সময়ে আমাদেরকে যেরকম সাবজুগেট করে রাখত, বর্তমান সময়েও যখন তারা আমাদেরকে এনথ্রপোলজিকাল দৃষ্টিকোন থেকে ব্যাখ্যা করতেছে, তারা একটা ওয়েস্টার্ন হেজিমনি তৈরি করছে। আমাদের বিলিভ সিস্টেমকে, বিশেষ করে মুসলিম ও মধ্য প্রাচ্য এসব সোসাইটিকে নিজেদের জ্ঞানের ক্ষেত্রে একটা হেজিমনি তৈরি করে রাখছে। অদ্ভুতভাবে এ জিনিসগুলোকে তারা এমন ব্যাখ্যা করে, যেগুলো হিস্ট্রিকালি রাইট না। মুসলমানরা অলরেডি পশ্চিমাদের অনেক কিছু এডাপ্ট করে ফেলছে, অনেক চেঞ্জ হচ্ছে, কিন্তু এরপরেও পশ্চিম তাদের হেজিমনিকে জিয়ে রাখতে অনেকগুলো ইস্যু নিজেদের মত করে ব্যাখ্যা করতেছে। তালাল আফ্রিকার কিছু উদাহরণ দিয়েছেন যে, আফ্রিকায় এনথ্রপোলজিস্টরা বিভিন্ন ইন্সটিটিউট তৈরি করে নিজেদের মত বিভিন্ন জিনিসের নামকরণ করত। যেমন ট্রাইবালিজম। তালাল এই জিনিসটাকে ক্রিটিক করেছেন। আপনি যে একটা নতুন ব্যাখ্যা দিচ্ছেন, নতুন নাম দিচ্ছেন, আসলে তারা ঠিক এরকম না। আপনি যে ট্রাইবাল হিসেবে সেটআপ করতেছেন এটা মডার্ণাইজেশনের একটা সেটআপ। তারা এরকম ছিল না, আপনি তাদের উপর আপনার হেজিমনি আরোপ করতেছেন। সেখানকার যে প্রাচীন জিনিসগুলো ছিল, আর্কিওলজিকাল যে স্ট্রাকচারগুলো ছিল, সেগুলোকে ধ্বংস করে সেগুলোর মত করে সেখানকার ন্যাশনালিস্টরা মিলে নতুন নতুন স্থাপনা তৈরি করে নিজেদের বড় করত। এরপর দেখা গেল যে তাদের যে ব্যাখ্যা এইগুলো নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগত। তারা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে যেত। বিভিন্ন গ্রুপের বয়ানের ফলে এখানকার যে সাবজুগেট পিপল ছিল তাদের বয়ানটা চাপা পড়ে যায়। তাদের বয়ানটা আর কোন এনথ্রপোলজিকাল ডাটাতে পাওয়া যায় না। এই হচ্ছে তালাল আসাদের বক্তব্য।’

এরপর প্রশ্নোত্তরের মধ্যে দিয়ে পাঠচক্র শেষ হয়।


নিজের সম্পর্কে লেখক



ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন


৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।