চিন্তা


চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা



ফরহাদ মজহার ফরিদা আখতার সাংবাদিক সম্মেলন

আমরা সুবিচার চাই: গুম অপহরণ বন্ধ হোক

১. ফরিদা আখতারের বক্তব্য

 শ্রদ্ধাভাজনেষু

আজ আমি এবং ফরহাদ মজহার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি দীর্ঘদিন পর আমাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। গত ৩ জুলাই সকালে ফরহাদ মজহার যে ঘটনার শিকার হয়েছিলেন, সেদিন সারাদিন দেশের মানুষ, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সুশীল সমাজ, সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ করেছেন।

সুষ্ঠ তদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়ার স্বার্থেই আমরা এতদিন চুপ থাকা সঠিক মনে করেছি। গুমের শিকার অধিকা (আরো পড়ূন)

বরফ-জনম

আমরা দু’জন আজ এক প্রাণ আমাদের এই বরফ-জনমে
আমাদের এই পরিমিত মনে জন্মায় দ্বিধা নানান প্রকার,
আমাদের এই সহবাস কেন, মিলন না কেন! কেন দাঁতে দাঁত!
এ বরফ-যুগে সুন্দর করে ঘষা-মাজা-সাজা ছেলেমেয়েগুলো,
কেন খোঁজে বলো প্রেম-মাধুর্য? এই হিমযুগে প্রেম! কেন প্রেম কেন!
হায় কী তোহফা পেলাম আমরা! বিশ্ব উষ্ণ— তাই প্রেম হিম।

আমি ছিলাম যে বিনাশী আগুন, পুড়িয়েছিলাম তোমার বরফ
তুমি গলেছিলে, কিন্তু তোমার বরফায়নের দামামায় আমি
গলিয়েছি যত, পুড়িয়েছি যত, তারচেয়ে বেশি তাপ খুইয়েছি
তারচেয়ে বেশি বরফ হয়েছি, ঝরে ঝরে গেছি মেঘজাত শিলা!
(আরো পড়ূন)


'সাধুসঙ্গ', 'সেবা', ও নদিয়ায় 'দেহ'

যাঁরা ছেঁউড়িয়া গিয়েছেন এবং সত্যিকারের সাধুসঙ্গ করেছেন তাঁরা ‘সেবা’ কথাটা শুনেছেন। আমরা ভাবি এটা বুঝি নিছকই ভাষা ব্যবহারের ব্যাপার। ‘খাওয়া’ কথাটা খুব খাদক খদক মনে হয়, বিপরীতে সাধু যখন করজোড়ে শুধায়, ‘আপনার কি সেবাশান্তি হয়েছে?’ এই মোলায়েম, বিনয়ে ভেজা সম্ভাষণ আমাদের ভাল লাগে।

‘সেবা’ ও ‘সেবা-ব্যবস্থা’ লালনের ঘরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ চর্চা। কথা আছে যে সেবার নিয়ম বা এর চর্চাবিধি প্রবর্তন করেছেন নিত্যানন্দ। গৌরাঙ্গ নদিয়া ছেড়ে চলে যাবার পর নিত্যানন্দ থেকে যান এবং তাঁর শিষ্যপরম্পরার ধারা বেয়েই নদিয়ার ভাবের বিকাশ। এই (আরো পড়ূন)


পরিবার ও সামাজিক সংকট

১.           ক্রমশ পরিবারগুলো  ভেঙ্গে যাচ্ছে। একান্নব‌র্তী পরিবারগুলো যেন ছোট ছোট পরিবারে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। সে পরিবারগুলোকে আমরা অনু পরিবার বলতে পারি। বৃদ্ধ পিতা মাতারা সন্তানদের সঙ্গে থাকছেনা কিংবা থাকতে পারছেনা । তারা অসহায় জীবন যাপন করছে। অপরদিকে তাদের সন্তানদের পরিবারগুলো পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্নতার কারণে অসহায় জীবন যাপন করছে। অনু পরিবারগুলোতে যে সব শিশু সন্তান, তরুন-তরুনী বেড়ে উঠছে তারাও প্রতিনিয়ত যান্ত্রিক, নিষ্ঠুর, নির্দয়, নিলজ্জাতার উপাদানগুলো চর্চা করছে। সেই ক্ষেত্রে অভিভাবকরা/পিতা-মাতারা খুবই অসহায়। কিছু (আরো পড়ূন)


চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী

রামপালের পক্ষ বা বিপক্ষের বিশেষজ্ঞদের কে ভাড়া খাটে কে খাটে না বাজে তর্ক। যারা করছেন তাদের অনুরোধ করব এই তর্কে ঢুকবেন না। এটা পাতিবুর্জোয়া নীতিবাগীশতা। এটা প্রাণ ও প্রকৃতি সুরক্ষার প্রশ্নে নৈতিক অবস্থান নেবার তর্কের মধ্যেও পড়ে না। তাছাড়া, চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী। অতএব পরিহার করুন। পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থায় সকলেই পুঁজির ভাড়া খাটে। জেনে, না জেনে কিম্বা বাধ্য হয়ে। এর ভেতর থেকেই প্রতিরোধ তৈরি হয়। এটা রাজনৈতিক কর্তাশক্তি নির্মাণের প্রশ্ন, নীতিবাগীশতার তর্ক নয়।

বিশেষজ্ঞতার তর্কে জেতা বা হার দিয়ে যদি রামপালের পক্ষের শক্তি পার পেয়ে যায় তাহলে কি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ (আরো পড়ূন)


বুটিক ব্যবসায় আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি

সাইফুল ইসলাম জুয়েল

সৃজনশীল কাজে আপনার আগ্রহ থাকলে আপনার বেকার বসে থাকার সুযোগ নেই। বুটিক ব্যবসায় আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেই হয়ে উঠতে পারেন স্বাবলম্বী। অনেকেই নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী এ পেশা বেছে নিচ্ছেন এবং লাভবানও হচ্ছেন। ব্যবসায়িক বুদ্ধি, রুচিবোধ, গ্রাহকের মানসিকতা, সৃজনশীলতা থাকলে আপনিও হতে পারেন একটি বুটিক হাউসের কর্ণধার।

প্রাথমিক প্রস্তুতি

যে কোন কাজ শুরুর আগে সে কাজ সম্পর্কে ভাল ধারণা নেয়া উচিত। এটা কাজের প্রাথমিক ধাপ। দোকানের অবস্থান, আপনার কাজের স্বকীয়তা এবং বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে আপনার বুটিক হাউসের ব্যবসায় নামা উচিত। সবচেয় (আরো পড়ূন)


রাজশাহীর বুটিক গুলোর বেহাল অবস্থাঃ

আমরা কমবেশী সবাই হাতে তৈরী জিনিস দেখেছি এবং ব্যবহারও করে থাকি।ঠিক বাংলাদেশে বড় একটি বাজার করে নিয়েছে বিভিন্ন ফ্যাসন হাউজ গুলো। এই সব বুটিক হাউজ  ‍গুলোতে ছেলেদের পান্জাবী, ফোতুয়া এবং মেয়েদের থ্রি-পিছ,টু-পিছ,ওয়ান-পিছ,বেড কাভার কুশনকাভার ইত্যাদি অতিব প্রয়োজনীয় জিনিস এখানে পাওয়া যায়।এ সকল বুটিক হাউজ গুলো দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাইরের দেশে তাদের পন্য রপ্তানি করছে। এবার একটু লক্ষ্য করে দেখবেন যে গত রোজার ঈদ এ বিভিন্ন বুটিক হাউজ বেশ ভাল ব্যবসা করেছে। যাদের এই ক্ষুদ্র উদ্দ্যক্তাদের সাথে পরিচয় আছে তাদের সাথে কথা বললে আপনি বুঝবেন তার পরও তার খুব একটা ভাল সময় পার করছে না। কার (আরো পড়ূন)


আমার দেখা পদ্মা

আমি পদ্মা নদীর গরর্জন এর কথা আমার বাপ দাদার কাছে অনেক শুনেছি। তার বলত পদ্মা নদীর নাকি গর্জন দশ মাইল দুর থেকে শোনা যেত। আমি আজ পদ্মা দেখি, নেই তার কোন গর্জন যেন পরাজিত সেনাদের মত মাথা নিচু করে বয়ে যায়। আমরা যদি এই পদ্মার সাথে আমার বাপ দাদার পদ্মা কে মিলাতে যায় তা হলে কি মিল পাব? আসলে কোন মিলই খুঁজে পাব না। আমাদেরকে এখন কোন রাষ্ট্র পানি ‍দিলে তবে পানি পায়। যখন তার ডুবতে থাকে তখন পানি ছাড়ে। যার জন্য উত্তরান্চল আজকে মরুভূমিতে পরিনত হতে চলেছে। আর হয়তো বেশি দুরে আমরা অবস্থান করছি না। হয়ত একদিন দেখবো শুধুমাত্র শররের পানি নিষ্কাষন এর কাজে ব্যবহার হচ্ছে আমার বাপ দাদার এই পদ্ম (আরো পড়ূন)


আমার দেখা পদ্মা

আমি পদ্মা নদীর গরর্জন এর কথা আমার বাপ দাদার কাছে অনেক শুনেছি। তার বলত পদ্মা নদীর নাকি গর্জন দশ মাইল দুর থেকে শোনা যেত। আমি আজ পদ্মা দেখি, নেই তার কোন গর্জন যেন পরাজিত সেনাদের মত মাথা নিচু করে বয়ে যায়। আমরা যদি এই পদ্মার সাথে আমার বাপ দাদার পদ্মা কে মিলাতে যায় তা হলে কি মিল পাব? আসলে কোন মিলই খুঁজে পাব না। আমাদেরকে এখন কোন রাষ্ট্র পানি ‍দিলে তবে পানি পায়। যখন তার ডুবতে থাকে তখন পানি ছাড়ে। যার জন্য উত্তরান্চল আজকে মরুভূমিতে পরিনত হতে চলেছে। আর হয়তো বেশি দুরে আমরা অবস্থান করছি না। হয়ত একদিন দেখবো শুধুমাত্র শররের পানি নিষ্কাষন এর কাজে ব্যবহার হচ্ছে আমার বাপ দাদার এই পদ্ম (আরো পড়ূন)


আমার দেখা পদ্মা

আমি পদ্মা নদীর গরর্জন এর কথা আমার বাপ দাদার কাছে অনেক শুনেছি। তার বলত পদ্মা নদীর নাকি গর্জন দশ মাইল দুর থেকে শোনা যেত। আমি আজ পদ্মা দেখি, নেই তার কোন গর্জন যেন পরাজিত সেনাদের মত মাথা নিচু করে বয়ে যায়। আমরা যদি এই পদ্মার সাথে আমার বাপ দাদার পদ্মা কে মিলাতে যায় তা হলে কি মিল পাব? আসলে কোন মিলই খুঁজে পাব না। আমাদেরকে এখন কোন রাষ্ট্র পানি ‍দিলে তবে পানি পায়। যখন তার ডুবতে থাকে তখন পানি ছাড়ে। যার জন্য উত্তরান্চল আজকে মরুভূমিতে পরিনত হতে চলেছে। আর হয়তো বেশি দুরে আমরা অবস্থান করছি না। হয়ত একদিন দেখবো শুধুমাত্র শররের পানি নিষ্কাষন এর কাজে ব্যবহার হচ্ছে আমার বাপ দাদার এই পদ্ম (আরো পড়ূন)


বঙ্গবন্ধুর প্রথম কারাবাসঃ একজন রাজনৈতিক কর্মীর প্রতিচ্ছবি

“ আমার বয়স একটু বেশী। তাই স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী করার ভার পড়ল আমার উপর। আমি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী করলাম দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে। পরে দেখা গেল হিন্দু ছাত্ররা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী থেকে সরে পরতে লাগল। ব্যাপার কি বুঝতে পারছি না। এক বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করলাম। সেও ছাত্র, সে আমাকে বলল, কংগ্রেস থেকে নিষেধ করেছে। আমাদের যোগদান করতে। যাতে বিরুপ সম্ভর্ধনা হয় তারও চেষ্টা করা হবে। এগযিবিশনে যাতে দোকান পাট যাতে না বসে। তাও বলে দেওয়া হয়েছে। তখনকার দিনে শতকরা আশিটি দোকান হিন্দুদের ছিল। আমি এই খবর শুনে আশ্চর্য হলাম। কারণ আমার কাছে তখনও হিন্দু, মুসলমান বলে জিনিস ছিল না। একসাথে গান, বাজনা (আরো পড়ূন)