চিন্তা


চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা



ফরহাদ মজহার ফরিদা আখতার সাংবাদিক সম্মেলন

আমরা সুবিচার চাই: গুম অপহরণ বন্ধ হোক

১. ফরিদা আখতারের বক্তব্য

 শ্রদ্ধাভাজনেষু

আজ আমি এবং ফরহাদ মজহার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি দীর্ঘদিন পর আমাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। গত ৩ জুলাই সকালে ফরহাদ মজহার যে ঘটনার শিকার হয়েছিলেন, সেদিন সারাদিন দেশের মানুষ, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সুশীল সমাজ, সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ করেছেন।

সুষ্ঠ তদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়ার স্বার্থেই আমরা এতদিন চুপ থাকা সঠিক মনে করেছি। গুমের শিকার অধিকা (আরো পড়ূন)

ভাসানী, রবুবিয়াত ও নতুন বিপ্লবী রাজনীতি

মওলানা এসেছিলেন ১২ ডিসেম্বর ১৮৮০, আর আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন ১৭ নভেম্বর ১৯৭৬।

আজ ১৭ নভেম্বর। এখন রাত। অথচ মনে হচ্ছে সকাল বেলায় কেউ বুঝি 'খামোশ' বলে হুংকার দিয়ে উঠবে আবার। কে আবার? মওলানা।

কেন এই আশা সেটা ভাসানী সপর্কে যারা জানেন না তাঁদের সহজ ভাবে বুঝিয়ে বলা মুশকিল।

মওলানাকে বোঝার কিছু সহজ উপায় আছে। প্রথম কথা, তিনি দেওবন্দী, কিন্তু কমিউনিস্ট। সেটা কোন অর্থে এবং কিভাবে সম্ভব সেটা তাহলে তাঁর জীবন ও ইতিহাস পাঠ করেই বুঝতে হবে। দ্বিতীয়ত, আধুনিক পাশ্চাত্য রাষ্ট্র কায়েম তাঁর স্বপ্ন ছিলনা, তিনি চেয়েছেন, হুকুমতে রব্বানিয়া – প্রতিপালনের গুণ সম্পন্ন এমন (আরো পড়ূন)


ভাব, রাজনীতি ও এবাদতনামা

বাসায় একটা নির্দিষ্ট জায়গায় কোরআন শরীফ রাখা হয়। সঙ্গে দুচারটি ধর্মীয় বইও থাকে। ঐ জায়গাটা হাতড়াতে হাতড়াতে নামাজ শিক্ষার একটি বইয়ের ভাঁজ থেকে অকস্মাৎ বেরিয়ে পড়ল ‘এবাদতনামা’। ফরহাদ মজহারের ‘এবাদতনামা’। অবাক হলাম। এবাদতনামা পদ্যের পুস্তিকা। এটা কিভাবে কোরআন শরীফ আর নামাজ শিক্ষার বইয়ের সহবতে এল? আমার তখন মনে পড়ল, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘দোজখের ওম’ বইটি ধর্মের বইপত্রের তাকে দেখা গেছে বলে একটা লেখা কোথাও পড়েছিলাম। বলাবাহুল্য, এজন্য বইয়ের নামটাই দায়ী। আমার বাসায় 'এবাদতনামা’র বেলায়ও ঐ ব্যাপারটাই খাটে। মানে বইয় (আরো পড়ূন)


নদিয়া ও ফকির লালন শাহ

লালন নিয়ে নানান সময়ে অনেক লেখা লিখেছি। কিছু পুরানা লেখা পরিমার্জনা করেছি। কিছুটা পরিবর্ধনও করেছি। একসঙ্গে পাবার সুবিধা হতে পারে ভাবে এখানে সে সবের লিংক দিচ্ছি।

লালনের জন্মস্থান ও বংশপরিচয় খোঁজার বাতিকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই আমি লেখালিখি করছি। নদিয়ার ভাবচর্চার পরিমণ্ডলে লালনের বিকাশ -- তাঁকে সেই ইতিহাস ও পরিপ্রেক্ষিতের মধ্যে বোঝা জরুরী। লেখাগুলো সেই দিকে বারবারই জোর দিয়েছে।

ভাবচর্চার দিক থেকে লালনকে কিভাবে 'বর্তমান' করে তোলা যায় -- সেই দিকেই আমার নজর। অর্থাৎ একালে তাঁকে প্রাসঙ্গিক করে তুলতে চাইলে আমাদের অভিমুখ কোনদিকে কিভাবে ঠিক করতে হবে, কোথায় নজর দি (আরো পড়ূন)


ধর্মের পর্যালোচনা ও বাংলাদেশে ইসলাম

'ধর্মের পর্যালোচনা ও বাংলাদেশে ইসলাম' শিরোনামে যে দশটি কিস্তি দৈনিক পত্রিকায় লিখেছিলাম তা অনেকেরই আগ্রহ তৈরি করেছে। লেখা শেষ হয় নি, আরও কয়েক কিস্তি লিখব। তবে অনেকে ইতোমধ্যে বই হিসাবে প্রকাশ করবার জন্য তাগিদ দিচ্ছেন। তাঁদের অনেক ধন্যবাদ। যারা নতুন প্রশ্ন তুলেছেন কিম্বা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ। তাঁদের সুবিবেচনাগুলো গ্রহণ করেছি এবং আগামি লেখায় নতুন প্রশ্নগুলো মোকাবিলার চেষ্টা করব। চিন্তা সব্সময়ই একটি সামাজিক প্রক্রিয়া। পাঠের সুবিধার জন্য দশটি লেখারই লিঙ্ক এখানে দিচ্ছি। আশা করি পড়তে সুবিধা হবে। অন্যদের শেয়ার করতেও কাজে লাগবে।

সক্ (আরো পড়ূন)


দ্যা আইডিয়া অফ রিপাবলিক

গত ১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার চিন্তা পাঠচক্রের আলোচনার বিষয় ছিল ‘দ্যা আইডিয়া অব রিপাবলিক’। আলোচনা করেন মুসতাইন জহির।  

মুসতাইন জহির-  রিপাবলিক নিয়ে আজকের আলোচনায় আমাদের তাড়িত করেছে সাম্প্রতিক কালের নেপালের ঘটনা। আপনারা জানেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর নেপাল তাদের নতুন সংবিধান প্রণয়ন করছে। নেপাল নিজেকে রিপাবলিক হিসেবে ঘোষণা করেছে। অনেক বলেত পারেন এটা খুবই সাধারণ ঘটনা, আধুনিক রাষ্ট্র তো রিপাবলিক-ই হয়। বাংলাদেশ রিপাবলিক। নর্থ কোরিয়া হল একমাত্র এখনো নিজেকে কমিউনিস্ট দাবী করা (আরো পড়ূন)


'বাউল' আরবিকরণ করে 'ফকির' করা যাবে না!

বাউলকে বাউলই বলতে হবে! উঁহুঁ, হবে না। লালন নিজেকে ফকির বললেও নয়, মূলে সংস্কৃত বাউল বলেই লালনকে ডাকতে হবে। ফকির একটি আরবি শব্দ -- এটা চলবে না। ফরহাদ মজহার এই সংস্কৃত মূল থেকে আসা 'বাউল' শব্দের জায়গায় 'ফকির' বসাতে চাইছেন। এখানে 'ষড়যন্ত্র' আছে। আরবিকরণ আছে, মুসলমানি আছে। ষড়যন্ত্র তাহলে ফকির লালন শাহই শুরু করেছেন। নিজেকে তাঁর বাউল বলে ঘোষণা দেওয়া দরকার ছিল। আরবি নয়, বাংলার সংস্কৃতির মূলে আছে সংস্কৃত। এই ভাবেই আমার লেখার একটি সমালোচনা পড়লাম ও উপভোগ করলাম।

লেখাটিতে বলেছিলাম, লালন নিজেকে ঘূণাক্ষরেও ‘বাউল’ বলেন নি। লালনকে বাউল বানাবার 'রাজনীতি'টুকু বোঝা দরকার। (আরো পড়ূন)


এবছর হজ্বের দুর্ঘটনায় চুপ থাকার কারন- একটি বিশ্লেষণ

আমি এই পর্যন্ত কোন বছর হজ্ব করে ফেরার পর হাজিদের এমন মলিন মুখ দেখিনি বা এমন প্রতিক্রিয়া দেখিনি। তারা জানায় সউদি সরকারের অব্যবস্থাপনার কথা। একজন মহিলা কেঁদে কেঁদে বলছিলো, “দুর্ঘটনার সময় পাশেই ছিলাম, সারা পৃথিবি থেকে লক্ষ মানুষ আল্লাহের মেহমান গেছেন সেখানে পায়ে হেঁটে আর রাজার পুত্রের গাড়ি বহরের জন্য একটি রাস্তা বন্ধ করে দিলো তখন মানুষ হুরোহুরির মধ্যে পড়ে যায়। এবং......।। প্রচণ্ড গরম পড়েছিলো কিন্তু আমাদের জন্য পর্যাপ্ত পানি ছিল না। আমাদের সাথে কথাও বলছিলো বাজে ভাষায়”। 

এর আগে ক্রেন ঘটনা। টানা কয়েকদিন বৃষ্টি হচ্ছিলো, তাদের ইঞ্জিনিয়ার-রা কি জানতো না ক (আরো পড়ূন)


ইবনে তাইমিয়া প্রসঙ্গে আলাপ

বর্তমান পৃথিবীতে যেসব প্রশ্ন আমাদের নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে এবং নতুন রাজনীতি নির্মাণে প্রধান প্রশ্ন আকারে সামনে এসেছে এর মধ্যে ‘শরিয়াহ’ অন্যতম। শরিয়া নিয়ে দুনিয়া জুড়ে নতুন আলাপ আবার শুরু হয়েছে, বিশেষ করে ৯/১১ পরবর্তী দুনিয়ায় উত্তর আধুনিক চিন্তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দুনিয়ায় ইসলাম প্রশ্ন যেভাবে হাজির হচ্ছে তা পঠন-পাঠনের তাগিদ হিসেবে। এক্ষেত্রে গত এপ্রিল মাস থেকে চিন্তা পাঠচক্রে আমরা ধারাবাহিকভাবে জাসের আওদার ‘মাকাসেদে শরিয়াহ’, ইবনে তাইমিয়ার ‘সিয়াসা শারিয়া’, হাশিম কামালির ‘শারিয়া ল’, বাবের জোহানসেনের ‘A Perf (আরো পড়ূন)


জ্ঞানের ইসলামীকরণের পর্যালোচনা

মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব মূলত জ্ঞানগতবিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত জীব মানুষ।

[1]এই সম্মান প্রথম লাভ করেন হযরত আদম (আ)। এই মহাসম্মান অর্জন করার কারণ হলো বিশ্বজগত সম্পর্কে তিনি অন্যদের চেয়ে বেশি জানতেন।[2]আল্লাহ তায়ালা আদমকে (আ) সর্বপ্রথম শিখিয়েছেন সমস্ত কিছুর নাম।[3] যেহেতু জ্ঞানের প্রথম স্তর বস্তুর নাম জানা ও পরিভাষা শেখা, তাই আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম আদমকে (আ) তা-ই শেখালেন। তিনি ইচ্ছা করলে আদমকে (আ) সর্বপ্রথম ধর্ম সম্পর্কিত জ্ঞান শেখাতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি, বরং আদমকে (আ) শিখিয়েছেন বিশ্বজগতের জ্ঞান। যার ফলে আদম (আ) ও তাঁর বংশধর হয়েছেন পৃথিবীতে সবচেয়ে সম্মানিত জীব। (আরো পড়ূন)


ইসলামের কোরবানি, 'মনের পশু' তত্ত্ব ও খ্রিস্ট ধর্ম

এক

‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’

১. প্রায় সব ধর্মেই নিজ নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী পরমের সন্তুষ্টি বিধানের জন্য ‘কোরবানি’র বিধান আছে। বলাবাহুল্য তাকে ‘কোরবানি’ বলা হয় না। বলা হয় ‘বলী’,‘ঈশ্বরের জন্য রক্তোৎসর্গ’ ইত্যাদি। আরবিতে ‘উদিয়া’ শব্দের অর্থ ‘রক্তোৎসর্গ’। সেই দিক থেকে ‘ঈদুল আজহা’ কথাটার অর্থ দাঁড়ায় ‘রক্তোৎসর্গের উৎসব&r (আরো পড়ূন)