- মনসান্তোর জিএমও কারসাজি
- আমাদের এখনকার সংকট
- আওয়ামি লিগের ইতিহাসও পারিবারিক ইতিহাসে পর্যবসিত হয়েছে...
- বাংলাদেশে 'নিউকনি' সিপাই
- রাষ্ট্রপ্রধান ও উচ্চ আদালত নিয়ে রাজনীতি
- রোকেয়া পাঠের স্থান কাল পাত্র
- গণতান্ত্রিক বিপ্লবের তিন লক্ষ্য
- মোদীর ভারত এবং বিশ্ব শক্তির ভারসাম্য বদল
- দেখলেই গুলি?
- আদালতের কর্তৃত্ব ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা
ভাসানী, রবুবিয়াত ও নতুন বিপ্লবী রাজনীতি
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে বাংলাদেশের উদয়, বেড়ে ওঠার ইতিহাস এবং উপমহাদেশের জনগনের লড়াই সংগ্রাম থেকে যেভাবে মুছে ফেলা হয়েছে সে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। বাংলাদেশে নতুন রাজনীতির পুনর্গঠনের প্রশ্ন মওলানা ভাসানীকে নতুন ভাবে জানা, পড়া ও চর্চায় নিয়ে যাবার ওপর নির্ভরশীল। এই পরিপ্রেক্ষিত মনে রেখে মওলানা ভাসানী সম্পর্কে লেখাগুলোর পাঠ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গঠনের গলদ, গণতন্ত্র ও এখনকার কর্তব্য
বাংলাদেশের রাষ্ট্র, রাজনীতি, আইন ও বিচারব্যবস্থার গোড়ার গলদ হচ্ছে শুরু থেকে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলা ও গঠন করা যায় নি। মুক্তিযুদ্ধ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু ও সংঘটিত হয়েছিল একাত্তরের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে -- যার ঘোষিত ও লিখিত মূল উদ্দেশ্য ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার বা ইনসাফ কায়েম ও চর্চার উপযোগী গণমানুষের রাষ্ট্র গড়ে তোলা। কিন্তু ডান কি বাম প্রতিটি রাজনৈতিক দল বা ধারা মুক্তিযুদ্ধ ও গণমানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। গণশক্তির বিকাশ ও বিজয় ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক বিপ্লবই অসমাপ্ত যুদ্ধ সম্পন্ন করতে পারে, এটাই এখনকার রাজনৈতিক কাজ। এদেশের সকল মানুষের ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি, আচার, লোকায়ত জ্ঞান ও ভাবুকতা সবই রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হিসাবে গড়ে ওঠার আন্তরিক ও ঐতিহাসিক উপাদান। কিন্তু গণ ঐক্য ও গণশক্তি বিকাশ বাধাগ্রস্ত করার জন্য যারা ধর্মের নামে, ধর্ম বিরোধিতার নামে কিম্বা বাস্তবতা বিবর্জিত নানান আসামানি মতাদর্শের দোহাই দিয়ে জনগণকে বিভক্ত ও আশু রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জন ও কর্তব্য পূরণের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে তারাই -- ডান কিম্বা বাম -- জনগণের শত্রু।
- চতুর্থ সংশোধনীতে হারানো ক্ষমতা সামরিক আইনে ফিরে পাওয়ার কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছে আদালত
- আইনের শাসনের তামাশা ও বাকশাল ‘দর্শনের’ জের
- আদালত অবমাননার বিচার ও দণ্ড প্রসঙ্গ
- ‘কমিউনিস্ট’দের রিমান্ড সমস্যা
- হাসিনার কনস্টিটিউশন সংশোধন: আসলে কি হতে যাচ্ছে?
- সংজ্ঞাহীন অবারিত এখতিয়ার বন্ধ হবে কবে?
- ছয় বছরেও চূড়ান্ত হয় নাই আদালত অবমাননা আইন
বাংলার ভাবসম্পদ
লালন ও ভাবান্দোলন
চিনিয়ে দেওয়া, ধরিয়ে দেওয়া
এই পাতায় পড়ছেন চিন্তা পুরানা সংখ্যা সংক্রান্ত লেখা
ক্ষুদ্রঋণ, পিকেএসএফ ও আমাদের উন্নয়ন দর্শন
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে আলোচনা ছিল সরগরম। সেখানে সব কিছু ছাপিয়ে, ইউনূস তহবিল তছরুপ করেছেন বা নিয়ম ভঙ্গ করে টাকা সরিয়েছেন কি না এটাই মুখ্য হয়ে ওঠে। ইউনূসের পক্ষে-বিপক্ষে সংবাদ মাধ্যম পাল্লা দিয়ে প্রচারে নামে। পুরা আলোচনাই ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক নীতিগত অবস্থানের জায়গা থেকে সরিয়ে অতিমা
সংবিধান সংশোধন ও পুনর্মুদ্রণ: নৈরাজ্যের দিকে ধাবমান বাংলাদেশ
সংবিধান, রাষ্ট্র ও আদালতের চৌহদ্দি ঘিরে সম্প্রতি এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা বাংলাদেশকে দ্রুতই একটা সংঘাতের মধ্যে নিয়ে যাবার পথ তৈরি করছে। রাজনৈতিক বিরোধ ও ভিন্নতা নিরসনের কোন উপায় আর অবশিষ্ট থাকছে না। সেই লক্ষণ বেশ স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠছে। দলবাজি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে পুরা রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং প্রতিষ্ঠান সমূহ
জনগণের ভূমি দখলকারী নয়, জনগনের সঙ্গে গণপ্রতিরক্ষার সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে সেনাবাহিনীকে। সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন আবাসন কোম্পানি আর্মি হাউজিং স্কিমের একটা প্রকল্পের জমি কেনাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত ২৩ অক্টোবর সেনাবাহিনী-র্যাব-পুলিশের সাথে স্থানীয় অধিবাসীদের প্রাণঘাতী সংঘর্ষের রেশ থাকতে থাকতেই আমাদের চিন্তার অভিমুখকে সেইদিকেই ফেরাবার সময় এসেছে। আরো প
একটা নির্বাচিত সংসদও সামরিক আইন প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমিকা নিতে পারে -- নির্বাচিত সংসদ থেকেও সামরিক ফরমান জারি হতে পারে।সম্প্রতি সেই নজির দেখল বাংলাদেশ।-- ‘বিদ্যুৎ জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ সংসদে কণ্ঠভোটে পাস করেছে ক্ষমতাসীন দল। এই সংসদীয় ফরমান চরিত্রের দিক থেকে সামরিক ফরমানের মত...। আরো পড়ুন...
- একীভূত সীমান্ত বা যোথ টহলের আত্মঘাতী বন্দোবস
দুনিয়ার অসুখবিসুখের শাস্ত্রে কিম্বা বিজ্ঞানে রোগ হিশাবেই পরিচিত ছিল এনথ্রাক্স। কিন্তু জৈবপ্রযুক্তি আর জিনগত প্রকৌশলের এই সময়ে এই এনথ্রাক্স অণুজীবকে গবেষণাগারে জৈব অস্ত্র হিশাবে গড়ে তোলা হয়েছে এবং হচ্ছে। আরো পড়ুন...
- সরেজমিন সিরাজগঞ্জ
- বাংলাদেশের এনথ্রাক্স জীবাণু অস্ত্র হতে পারে
- তামাক চাষ খাদ্য সংকট তৈরি করছে
- তামাক চাষের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে কর্মসূচি পালন
- প
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধান প্রতিষ্ঠান সমূহকে কার্যকর করে গড়ে তুলতে একটাকে আরেকটার অযাচিত হস্তক্ষেপ থেকে পৃথক রাখা হয়। ভারসাম্য রক্ষায় কাজের এইবিভাজন নীতি গড়ে উঠেছে নাগরিকের অধিকার, নিরাপত্তা ও মর্যাদার নিরঙ্কুশ সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটা হয় নাই। নাগরিকেরঅধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে ক্ষমতার বিভাজন ক
শ্রমিকদের সংগঠন করতে না দেয়া এবং দাবিদাওয়া জানানোর নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থার অনুপস্থিতি যারা তৈরি করেছে তারাই আবার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের রাস্তায় নামতে দেখলে 'বিশৃঙ্খলা ও 'নৈরাজ্যের' জিগির তোলে। প্রচার মাধ্যমে সমস্ত কিছু ছাপিয়ে তখন 'দেশের ক্ষতি' এবং 'শিল্পখাত ধ্বংসের পাঁয়তারার চিৎকার। এর পেছনে উদ্দেশ্য ও প্রচারণা কৌশল্টাও বেশ পুরানা এবং প্রতিষ্ঠিত।
- ন্যূনতম মজুরি পাঁচ
একদিকে নিরস্ত্র নাগরিক, হোক সাধারণ কিম্বা বিশিষ্ট,, অন্যদিকে সশস্ত্র পুলিশ কিম্বা সেনাবাহিনী।সাধারণ নাগরিক বা সৈন্যরা এখানে শক্তির মূল নির্ধারক নন।উর্দিওয়ালা কিম্বা সাদাপোশাকি ক্ষমতাবান অল্প কিছু কর্তাব্যক্তিই শাসক ও শোষক – এই হচ্ছে কথিত আধুনিক রাষ্ট্রের লক্ষ্যণীও বৈশিষ্ট্য। যেন ফারাক শুধুই অস্ত্রের...।
- মামলা, রিমান্ড ও নিম্ন আদালতের ভূমিকা
- কন্ঠরোধ, নিয়ন্ত্রণ
১. কয়েকটি পদ্ধতিগত প্রশ্ন
লড়াকু আহমদ ছফা আর কাছে নেই; কিন্তু তার নাম ধারণ করে বানানো ‘আহমদ ছফা রাষ্ট্রসভা’-র প্রথম আলোচনা অনুষ্ঠান ‘ক্রুসেড, জেহাদ ও শ্রেণীসংগ্রাম’। আফগানিস্তানে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন ও হিংসা-যুদ্ধ এবং আমাদের কর্তব্য বিষয়ে এই সভা। আরও বড়ো পরিসরে বললে দুনিয়া জুড়ে পুঁজির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সম্প্রদায়, জাতি, জনগোষ্ঠি, রা
এক
সিলভেস্টার স্ট্যালোন নামে অতিশয় পেশিবান এক অভিনেতা আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। র্যাম্বো নামক এক যুদ্ধবাজ নায়কের ভূমিকায় ইনি অভিনয় করে থাকেন। খালি গায়ের মারমুখো মাস্তান। নখ থেকে চুল পর্যন্ত যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত। এই নায়ক হামেশাই অন্য দেশ আক্রমণ করে। মার্কিন স্বার্থ রক্ষা করবার তাগিদ তার ট্রিগারে, “মুক্তি” আর “গণতন্ত্র” নামক মন্ত্র তার বারুদে সদ
(দেশের বিভিন্ন এলাকার তাঁতীদের অবস্থা সম্পর্কে জানার সুযোগ সাধারণত হয় না। তবু তাঁত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তাঁতীদের সারিষ, সুতানাচার অভাব, পুঁজির টানাটানি ইত্যাদি খবর মাঝেমধ্যে পত্রিকায় আসে। যেটা আসে না সেটা হোল তাঁতখাতের হালহকিকত। আমরা কি এগুচ্ছি নাকি পিছিয়ে যাচ্ছি তার হদিস নেই। এই সব কথা ভেবে ভীত ও তাঁতীদের নিয়ে এই ক্রোড়পত্র। পাঠকদের
তাঁতী
‘মার্কসবাদ ফতোয়া ফরাজবাদ নয়’- কাসেদ আলী
কাসেদ আলীকে চোখে দেখার আগে তাঁকে নামে চিনতাম। তাঁর “উপমহাদেশে শ্রেণী ও সমাজ” পুস্তিকাটি পড়ে তাঁর সম্পর্কে একটা ধারণা গড়ে তুলেছিলাম মনে মনে। কারো লিখা পড়ে লিখক সম্পর্কে ধারণা করে নেবার কাজটা বোধহয় আমরা সকলেই কমবেশী করি। বইটি কাসেদ আলী লিখেছিলেন ১৯৬৮-৬৯ সালে। যতোদূর আমার মনে পড়ে বইটি আমার হাতে এসেছিল ১৯৭৬ সালে। দ
ব্যাক্তি বন্ধুত্ব ও সাহিত্য
ব্যাক্তি বন্ধুত্ব ও সাহিত্য প্রথম প্রকাশ। এছাড়াও আরো দুটি কবিতার বই নতুন করে সংস্করণ করা হয়েছে। (১) অসময়ের নোট বই। (২) কবিতার বোনের সঙ্গে আবার। সাহিত্য ও কবিতা পাঠক প্রেমিকদের ধন্যবাদ।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকাশক ফরহাদ মজহারের বই প্রকাশ করেছেন। আগ্রহী পাঠকদের সুবিধার জন্য এখানে কয়েকটি বইয়ের পরিচিতি দেওয়া হোল।
রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সহযোগী গণমাধ্যম নিপাত যাক
সম্প্রতি ফরহাদ মজহারের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিকৃতি ঘটিয়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ক্যাডার একটি ক্ষুদ্র সাংবাদিক গোষ্ঠি মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করে ও থানায় জিডি দায়ের করে। বাক, ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতাসহ মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য ফরহাদ মজহারের নিরাপোষ লড়াই কারোরই অজানা নয়। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে ফরহাদ মজহারকে রাষ্ট্রীয় ভাবে দমন, পীড়ন ও নির্যাতনের জন্য এই গোষ্ঠি তাদের সকল শক্তি নির্লজ্জ ভাবে নিয়োগ করেছে। এর মধ্য দিয়ে এদের সন্ত্রাস, সহিংসতা ও জিঘাংসার যে-চেহারা ফুটে উঠেছে তা বাংলাদেশের গণমাধ্যমের জন্য চিরকাল কলংক হয়ে থাকবে।
এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, আইনজীবী, রাজনৈতিক কর্মীসহ সকল স্তরের পেশার মানুষ এক্ত্রিত হয়ে 'আক্রান্ত গণমাধ্যম ও সংকটের আবর্তে দেশ' শিরোনামে একটি গোলটেবিলে একত্রিত হয়। তাঁরা সাংবাদিকতার নামে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও সহিংসতার নিন্দা জানান। এখানে সেই প্রতিবাদ সভার কিছু ছবি ও উপস্থিত নাগরিকদের বক্তব্য হাজির করা হচ্ছে। এ সভার মূল লক্ষ ছিল মত প্রকাশের অধিকার রক্ষা করা এবং চিন্তার স্বাধীনতার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
সংবাদ-এলবামে প্রবেশের জন্য ওপরের ছবির ওপর ক্লিক করুন; বক্তব্যের জন্য খোলা-এলবামে প্রত্যেক বক্তার ছবির ওপর ক্লিক করুন। ট্রান্সক্রিপশান সময় সাপেক্ষ বলে ধীরে ধীরে তোলা হচ্ছে। তবে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়তে হলে দয়া করে নীচের সংযোগচিহ্নে যান
আমার দেশ: গোলটেবিল বৈঠকে ফরহাদ মজহারের পাশে বিশিষ্টজনরা : প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগই সঙ্কট মোকাবিলায় একমাত্র সমাধান : আমার দেশসহ বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দিন
চিন্তার সাম্প্রতিক সংখ্যা
পুরানো 'সন্ত্রাস' সংখ্যা। বছর ১৪ সংখ্যা ১, নভেম্বর ২০০৫ / অগ্রহায়ন ১৪১২। সম্পাদকীয়। দেরিদা, হাবারমাস এবং সন্ত্রাসকালে দর্শন -- জিওভান্না বোরাদরির সঙ্গে আলাপ। সন্ত্রাস, আইন ও ইনসাফ। বলপ্রয়োগ বিচার। সন্ত্রাসবাদের হকিকত। আধুনিকতায় ক্ষমতা এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যের পুনর্গঠন। বিশ্ববাণিজ্য চুক্তির সন্ত্রাসঃ হংকং সভা। বীজ ও নারী বিপন্ন যমজ। মান্দিদের জীবন। নাখোজাবাদ বুলেটিন। দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। ৪র্থ সার্ক পিপলস ফোরাম। স্পেকট্রাম গার্মেণ্ট ও শ্রমিক হত্যাকাণ্ড।
চিন্তা পুরানা সংখ্যা
পাক্ষিক চিন্তার পুরানো কয়েকটি সংখ্যা। এর বেশ কয়েকটি এখনও পেতে পারেন। যোগাযোগ করুন, পাক্ষিক চিন্তা, ২২/১৩ খিলজি রোড, মহাম্মদপুর, ব্লক-২। শ্যামলী। ঢাকা-১২০৭।
ধর্মের পর্যালোচনা ও বাংলাদেশে ইসলাম
সক্রিয় ও সজীব চিন্তার স্বভাব ও গৌরব উপলব্ধির জন্য ধর্মের পর্যালোচনা যে কোন জনগোষ্ঠির আত্মবিকাশের জন্য জরুরী। রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হিসাবে নিজেদের গাঠনিক ভিত্তির গোড়ার চিন্তার প্রতি সজাগ ও সতর্কতা ছাড়া কোন জনগোষ্ঠির পক্ষেই বিশ্বে শক্তিশালী ভাবে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। দর্শন চর্চা সে কারনে কোন আসমানি ব্যাপার নয়। একটি জনগোষ্ঠির মধ্যে চিন্তার বিকাশের মাত্রা ও গভীরতা দিয়ে সেই জনগোষ্ঠির সীমা ও সম্ভাবনা বোঝা যায়।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের এই কালে ইসলামের বিরুদ্ধে তীব্র বিদ্বেষ ও বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গীর প্রাবল্য মোকাবিলা করতে হলে দর্শনের দিগন্ত থেকে ইসলামের রাজনৈতিক-দার্শনিক প্রস্তাবনাকে নতুন করে বিচারের দরকার আছে। পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়নের এই কালে সামগ্রিক ভাবে চিন্তার যে সংকট তা মীমাংসার ক্ষেত্রে ইসলাম আদৌ কোন অবদান রাখতে সক্ষম কিনা সেটা দর্শনের নিজেরই অন্বেষণের বিষয়। সেই অনুসন্ধানের তাগিদ থেকে এই লেখা।
- ১. দর্শনের ভাষা বা বুদ্ধির ভাষায় কথা বলার গুরুত্ব
- ২. পর্যালোচনা মানে সমালোচন বা বিরোধিতা নয়
- ৩. ধর্মে কি কোন চিন্তা নাই
- ৪. উপলব্ধি, বুদ্ধি ও সংবেদনা
- ৫. নফি ও এজবাত
- ৬. ধর্মবিরোধীদের কবল থেকে মার্কসকে উদ্ধার একালে জরুরী
- ৭. হজরত সোলায়মান ও ফয়েরবাখ
- ৮. দ্বান্দ্বিক চিন্তার পর্যালোচনা
- ৯. মানুষের নিজের কাছ থেকে নিজের বিযুক্তি
- ১০. ধর্মের প্রতি তত্ত্বীয় দৃষ্টিভঙ্গীর সীমাবদ্ধতা
সক্রিয় ও সজীব চিন্তার স্বভাব ও গৌরব উপলব্ধির জন্য ধর্মের পর্যালোচনা যে কোন জনগোষ্ঠির আত্মবিকাশের জন্য জরুরী। রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হিসাবে নিজেদের গাঠনিক ভিত্তির গোড়ার চিন্তার প্রতি সজাগ ও সতর্কতা ছাড়া কোন জনগোষ্ঠির পক্ষেই বিশ্বে শক্তিশালী ভাবে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। দর্শন চর্চা সে কারনে কোন আসমানি ব্যাপার নয়। একটি জনগোষ্ঠির মধ্যে চিন্তার বিকাশের মাত্রা ও গভীরতা দিয়ে সেই জনগোষ্ঠির সীমা ও সম্ভাবনা বোঝা যায়।
দর্শনের দিক থেকে ধর্মভাবনা মানুষের চেতনা বা চিন্তারই বিশেষ রূপ। এই বিশেষ রূপের বিচার ধর্মের আর্থ-সামাজিক বা রাজনৈতিক বিচার দিয়ে নিষ্পন্ন হয় না, তার বিষয় ও পদ্ধতি আলাদা। ধর্মের আর্থ-সামাজিক বা রাজনৈতিক বিচারের গুরুত্ব আছে বটে, কিন্তু সেটা দার্শনিক বিচার নয়। সক্রিয় ও সজীব চিন্তা ধর্মভাবনায় নিজেকে যে রূপে হাজির দেখে দর্শনের স্তরে একই রূপে হাজির না দেখলেও এই দাবি জানাতে কুন্ঠিত হয় না যে “দর্শনের বিষয় সামগ্রিক ভাবে বিচার করলে ধর্মেরই বিষয় – উভয় ক্ষেত্রে সেটা হোল, সত্য। কথাটা এই চূড়ান্ত অর্থে যে আল্লাহ এবং একমাত্র আল্লাহই হচ্ছেন সত্য। তাই উভয়েই প্রকৃতি ও মানুষের এই সীমিত জগতকে পরস্পরের সম্পর্ক এবং তাদের সত্য আল্লার সত্যে বিচার করে”। কথাটি জর্মন দার্শনিক গেঅর্গ ভিলহেল্ম হেগেলের (১৭৭০-১৮৭১)। সত্য বলতে হেগেল কি বুঝতেন এই ঘোষণায় তা আমরা আন্দাজ করতে পারি। আল্লার সত্য নির্ণয়ের আকুতির মধ্য দিয়ে মানুষ প্রকৃতি ও মানুষের সীমিত জগতের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং মানুষের সম্ভাবনা বিচার করে -- আর্থ-সামাজিক সম্পর্ক, নীতি-নৈতিকতা ও রাষ্ট্র হেগেল কিভাবে বিচার করেছেন তার ইঙ্গিতও এই অল্প কথার মধ্যে আমরা টের পাই।
সত্য শুধু বিশুদ্ধ বুদ্ধির নির্ণয় নয়, বরং মানুষ তার ইন্দ্রিয়পরায়ণ তৎপরতার পরিমণ্ডলে যে সত্য 'উপলব্ধি' করে সেখানেও চিন্তা বা বুদ্ধির কারবার হাজির থাকে, তবে আত্মসচেতন চিন্তা হিসাবে নয়। সে কারণেই একে আমরা কাঁচা ইন্দ্রিয়োপলব্ধি বলি, বুদ্ধি যে কাঁচামাল থেকে জ্ঞান উৎপাদন করে। ইন্দ্রিয়োপ্লব্ধির সত্য বুদ্ধি তার নিজের স্বরূপে কিম্বা নিজের পরিমণ্ডলে কিভাবে প্রকাশ করবে হেগেলের দর্শনের সেটাই ছিল প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে সকল বৃত্তির সামষ্টিক উদ্যোগ বা প্রণোদনা থেকে মানুষ যে সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, বুদ্ধি সেই সত্য নিজের স্বরূপে আদৌ ধারণ বা প্রকাশ করতে পারে কিনা সেটা দর্শনে এখনও বড়সড় তর্ক হয়ে রয়েছে। ধর্মের পর্যালোচনা সেই তর্ককে সক্রিয় ও সজীব চিন্তার নিজের সমস্যা হিসাবে বুঝতে আমাদের সাহায্য করতে পারে। যে কারণে 'ধর্মের পর্যালোচনা ও বাংলাদেশে ইসলাম' নিয়ে আমরা আলোচনা শুরু করেছি।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের এই কালে ইসলামের বিরুদ্ধে তীব্র বিদ্বেষ ও বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গীর প্রাবল্য মোকাবিলা করতে হলে দর্শনের দিগন্ত থেকে ইসলামের রাজনৈতিক-দার্শনিক প্রস্তাবনাকে নতুন করে বিচারের দরকার আছে। পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়নের এই কালে সামগ্রিক ভাবে চিন্তার যে সংকট তা মীমাংসার ক্ষেত্রে ইসলাম আদৌ কোন অবদান রাখতে সক্ষম কিনা সেটা দর্শনের নিজেরই অন্বেষণের বিষয়। সেই অনুসন্ধানের তাগিদ থেকে এই লেখা।
পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থায় বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায় হিসাবে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার প্রকট লড়াই জারি রয়েছে। বলাবাহুল্য, এই আলোচনা সেই বাস্তবতার বাইরে নয়। পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থায় বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠি, সম্প্রদায়, শ্রেণি এবং বিভিন্ন শারিরীক চিহ্নে ও শারিরীক বাসনায় বিভক্ত জগতে সম্প্রদায় হিসাবে মুসলমানদের লড়াইও নানা কারনে অনিবার্য বটে, কিন্তু ধর্মীয় সম্প্রদায় হিসাবে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার লড়াই আর বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় মানুষের চিন্তার সংকট মীমাংসার ক্ষেত্রে ইসলামের সম্ভাব্য অবদান বিচার সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। ইসলাম শুধু মুসলমানদের জন্য নাজিল হয় নি, ফলে তা মানুষের চিন্তার ইতিহাস ও দর্শনেরও বিষয়। এই অনুমান থেকে লেখাগুলো পাঠ করলে পাঠক উপকৃত হবেন আশা করি।
- See more at: http://chintaa.com/index.php/network/index/bangla#sthash.OYNrOjTu.dpuf