- মনসান্তোর জিএমও কারসাজি
- আমাদের এখনকার সংকট
- আওয়ামি লিগের ইতিহাসও পারিবারিক ইতিহাসে পর্যবসিত হয়েছে...
- বাংলাদেশে 'নিউকনি' সিপাই
- রাষ্ট্রপ্রধান ও উচ্চ আদালত নিয়ে রাজনীতি
- রোকেয়া পাঠের স্থান কাল পাত্র
- গণতান্ত্রিক বিপ্লবের তিন লক্ষ্য
- মোদীর ভারত এবং বিশ্ব শক্তির ভারসাম্য বদল
- দেখলেই গুলি?
- আদালতের কর্তৃত্ব ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা
ভাসানী, রবুবিয়াত ও নতুন বিপ্লবী রাজনীতি
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে বাংলাদেশের উদয়, বেড়ে ওঠার ইতিহাস এবং উপমহাদেশের জনগনের লড়াই সংগ্রাম থেকে যেভাবে মুছে ফেলা হয়েছে সে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। বাংলাদেশে নতুন রাজনীতির পুনর্গঠনের প্রশ্ন মওলানা ভাসানীকে নতুন ভাবে জানা, পড়া ও চর্চায় নিয়ে যাবার ওপর নির্ভরশীল। এই পরিপ্রেক্ষিত মনে রেখে মওলানা ভাসানী সম্পর্কে লেখাগুলোর পাঠ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গঠনের গলদ, গণতন্ত্র ও এখনকার কর্তব্য
বাংলাদেশের রাষ্ট্র, রাজনীতি, আইন ও বিচারব্যবস্থার গোড়ার গলদ হচ্ছে শুরু থেকে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলা ও গঠন করা যায় নি। মুক্তিযুদ্ধ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু ও সংঘটিত হয়েছিল একাত্তরের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে -- যার ঘোষিত ও লিখিত মূল উদ্দেশ্য ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার বা ইনসাফ কায়েম ও চর্চার উপযোগী গণমানুষের রাষ্ট্র গড়ে তোলা। কিন্তু ডান কি বাম প্রতিটি রাজনৈতিক দল বা ধারা মুক্তিযুদ্ধ ও গণমানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। গণশক্তির বিকাশ ও বিজয় ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক বিপ্লবই অসমাপ্ত যুদ্ধ সম্পন্ন করতে পারে, এটাই এখনকার রাজনৈতিক কাজ। এদেশের সকল মানুষের ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি, আচার, লোকায়ত জ্ঞান ও ভাবুকতা সবই রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হিসাবে গড়ে ওঠার আন্তরিক ও ঐতিহাসিক উপাদান। কিন্তু গণ ঐক্য ও গণশক্তি বিকাশ বাধাগ্রস্ত করার জন্য যারা ধর্মের নামে, ধর্ম বিরোধিতার নামে কিম্বা বাস্তবতা বিবর্জিত নানান আসামানি মতাদর্শের দোহাই দিয়ে জনগণকে বিভক্ত ও আশু রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জন ও কর্তব্য পূরণের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে তারাই -- ডান কিম্বা বাম -- জনগণের শত্রু।
- চতুর্থ সংশোধনীতে হারানো ক্ষমতা সামরিক আইনে ফিরে পাওয়ার কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছে আদালত
- আইনের শাসনের তামাশা ও বাকশাল ‘দর্শনের’ জের
- আদালত অবমাননার বিচার ও দণ্ড প্রসঙ্গ
- ‘কমিউনিস্ট’দের রিমান্ড সমস্যা
- হাসিনার কনস্টিটিউশন সংশোধন: আসলে কি হতে যাচ্ছে?
- সংজ্ঞাহীন অবারিত এখতিয়ার বন্ধ হবে কবে?
- ছয় বছরেও চূড়ান্ত হয় নাই আদালত অবমাননা আইন
বাংলার ভাবসম্পদ
লালন ও ভাবান্দোলন
চিনিয়ে দেওয়া, ধরিয়ে দেওয়া
এই পাতায় পড়ছেন ভারত ও আঞ্চলিক রাজনীতি সংক্রান্ত লেখা
নির্বাচন কমিশন বিএনপি ও বিরোধী দলের দাবিদাওয়ার প্রতি কোন কর্ণপাত না করে একতরফা নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। এটা কার্যত বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা এবং এশিয়ায় মার্কিন ভূরাজনৈতিক স্বার্থের বিপরীতে আঞ্চলিক পরাশক্তি হিশাবে দিল্লির পেশী প্রদর্শন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, এটা তারা বারবার বলেছে; জনগণ
‘ঘরে কেবা জাগে কে বা ঘুমায়, কে কারে দেখায় স্বপন’ - ফকির লালন শাহ
ভারতে বাঙালি মুসলমানের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি পশ্চিমবঙ্গে। এখানের জনসংখ্যায় প্রায় তিরিশ শতাংশ মানুষ বাঙালি মুসলিম। আর বাঙালি নমঃশূদ্র ও বাঙালি মুসলমান মিলিয়ে যে সংখ্যা দাঁড়ায় তা বাঙালি বর্ণহিন্দুর থেকে অনেক অনেক বেশি। একই চিত্র অসমের। সেখানে অহমিয়াদের সঙ্গে পাল্লা দি
আবারও ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী দিল্লিতে বাঙালি মুসলমানের ওপর রাষ্ট্রীয় আক্রমণ চালানো হোল। এবার হামলা ঘটেছে জাহাঙ্গিরপুরি এলাকায়। এর আগে দিল্লির শাহীনবাগে এনআরসি-সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে দমন করতে ‘দাঙ্গা’র নাটক সাজিয়ে পরিকল্পিতভাবে একতরফা মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস নামিয়ে এনেছিল সংঘ পরিবারের রাজনৈতিক দল বিজেপি এবং বিজেপির কেন্দ্রীয় ক্ষমতার সুব
কাশ্মীর সমস্যা, কাশ্মীরিদের উপর নির্যাতন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার সময় আবশ্যিকভাবেই কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা ও বিতাড়নের প্রসঙ্গ উঠে আসে। ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর চলা নির্যাতন এবং কাশ্মীর থেকে তাঁদের বিতাড়ন অবশ্যই ঘৃণিত ও চরম নিন্দনীয়। কিন্তু ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে জম্মুতে সংঘটিত লক্ষ গুণ ভয়াবহ মুসলিম গণহত্যার নৃশংসতা ইতিহাসের আড়ালেই রয়ে যায়, র
মাহমুদুর রহমানকে ভালবাসেন এমন মানুষের অভাব নাই। তেমনি, তাঁকে ঘোরতর অপছন্দ করেন এমন লোকও আছেন। এর মধ্য দিয়ে একটি বিভক্ত ও বিভাজিত সমাজের ছবি আমাদের সামনে হাজির হয় যারা স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের নাগরিক হিশাবে নিজেদের সামষ্টিক স্বার্থের জায়গা থেকে কোন রাজনৈতিক প্রশ্নে বাস্তবোচিত অবস্থান নিতে অক্ষম। সমাজ ও রাজনীতিতে সক্রিয় যে কোন ব্যক্তি সম্পর্কে সমাজে নানান মূল্যায়ন থাকত
'বঙ্গাল খেদা' থেকে 'মুসলমান বিতাড়ন'
ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন অব সিটিজেন ১৯৫১ আসামে একটি আইনী হাতিয়ার; যার দ্বারা কারা আসামের নাগরিক তা নির্ণয় করা হচ্ছে। নাগরিকপঞ্জির ভিত্তিতে কে আসামে থাকত পারবে আর কে পারবে না সেটাই নির্ণয় করা হচ্ছে। যারা নিবন্ধিত হতে ব্যর্থ হবে তাদের বিতাড়ন করা হবে। এই নিবন্ধন শুধু আসামেই, অন্য কোন রাজ্যে নয়। রাষ্ট্রের আইন মানুষের জন্মগ
‘সাবমেরিন কেনা’ ব্যাপারটা আমাদের মিডিয়ায় আস্তে আস্তে যত পেছনে চলে যাচ্ছে, ‘ডিফেন্স প্যাক্ট’ ব্যাপারটা ততই ভাসুরের নাম নেয়ার মতো আকার-ইঙ্গিত হয়ে থাকছে না, ক্রমশ স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।
এই বিচারে পয়লা এপ্রিল ছিল ‘ডিফেন্স প্যাক্ট’-এর পক্ষে বড় ও প্রকাশ্য উচ্চারণের দিন। সংবাদ সংস্থা বাসস জানাচ্ছে, সেদিন ‘ইনস্টিটিউট অব কনফ্
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার আসার খবর পেয়ে তরুণ ছাত্র ছাত্রীরা তৎক্ষণাৎ একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়। সেটা হোল শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন। সেই তাৎক্ষণিক ও স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভের একটি ভিডিও তাঁরা ইন্টারনেটে প্রচার করেন। বলাবাহুল্য, এই ভিডিওটি বিপুল ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ চলছে এই স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষ
খুব নিঃশব্দেই ষোল মে চলে গেল। তারপরও ফারাক্কা লং মার্চ উদযাপন কমিটিকে অশেষ ধন্যবাদ জানাতে হয়। তাঁরা দিনটি বিস্মৃত হতে দেন নি। ষোলই মে তারিখে তারা রাজশাহীতে এক বিশাল গণ জমায়েতের আয়োজন করেছেন। আমার সৌভাগ্য হয়েছে সেখানে আরও অনেকের সঙ্গে অংশ গ্রহণ করার। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তাঁর অসুস্থ শরীরে ছুটে এসেছিলেন। এসেছিলেন ড. এস আই খান, প্রকৌশলী এম ইনামুল হক, সৈয়দ ইরফানুল বারী, হাসনাত ক
আবার এক ঝলকে ভারতের কিছু রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ভারতের প্রাদেশিক সরকারের নির্বাচনকে রাজ্যের (রাজ্যসভা নয়) নির্বাচন বা বিধানসভা নির্বাচন বলা হয়। আগামী ৪ এপ্রিল থেকে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের চার রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এভাবে মোট পাঁচ বিধানসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নসীম জইদি
নেপালে রাজতন্ত্রের পতন ও উৎখাতের ঘটনা ২০০৬ সালের এপ্রিল মাস থেকে শুরু। প্রথম চোটে রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ও পুলিশকে রাজার অধীনস্থতা ও নির্দেশে পরিচালিত হবার আইন বাতিল করে তাদেরকে জাতীয় সংসদ, অর্থাৎ জনগণের অধীনে আনা হয়। এটা ছিল এর আগে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চলা ইউনাইটেড কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (UCPN) বা যারা পপুলারলি মাওবাদী (Maoist) বলে পরিচিত তাদের সশস্ত্র রাজনৈতিক সংগ্রামের ফসল।
নে
নেপালি জনগণের নতুন গঠতন্ত্র প্রণয়ন এবং গঠনতান্ত্রিক সভায় তা অনুমোদন ও গ্রহণ নেপালের প্রতি বাংলাদেশে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। নেপালের জনগণ সম্পর্কে জানা এবং বোঝা বাংলাদেশের জন্য জরুরী। লেখা কোথা থেকে শুরু করতে হবে সে এক জটিল বিষয়। নেপাল প্রসঙ্গের ডাইমেনশন অনেক। অনেক দিক থেকে প্রসঙ্গ তুলে কথা বলতে হবে। আবার সব মিলিয়ে এক সামগ্রিক অর্থপুর্ণ চিত্র সাজিয়ে তোলা দরকার। কোন বিষয়ের পরে ক
কিছুদিন আগে সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখে নেপালের প্রেসিডেন্ট রাম বরণ যাদব একটি ঘোষণা দিয়েছিলেন যার তাৎপর্য অসামান্য। তিনি জানিয়েছেন গণপরিষদে নেপালের দুই কোটি ৮০ লাখ মানুষের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নেপালে নতুন গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করেছেন এবং রাষ্ট্র গঠন পরিষদ (Constituting Assembly) বা গণপরিষদ ৫৯৮ গঠনতন্ত্র প্রণেতার মধ্যে ৫০৭ জনের সম্মতির মধ্য দিয়ে নতুন নেপালি গঠনতন্ত্র গ্রহণ করেছেন।
এই গঠন
মোদির সফর শেষ হয়েছে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে। মোদি নিজে আগাম অনুমান করে বলেছিলেন তাঁর ফেরত যাবার পরে এই সফর নিয়ে চর্চা শুরু হবে। তা তো অবশ্যই হবে, হচ্ছেও। এগুলোর সার কথা হচ্ছ্ দেনা পাওনার দিক থেকে। “হিসাব কিতাবে মোদির দিকেই পাল্লাই ভারি”-- এই সফর শেষে এটাই আমরা শুনছি। এটা না হবার কোন কারণ নাই। সাত তারিখ দিন শেষে রাত বারোটায় (আইনত আট তারিখের শুরুতে )সংবাদ পর্যালোচনায় চ্যানে
এক এগারো ও দিল্লী
বাংলাদেশ ভারতের কাছে কী? মুঠোয় থাকা খেলনা? বিড়াল যেমন ইঁদুর নিয়ে খেলে সেই রকম কোন তুলতুলে খেলনা ইদুর? মানে ঠিক প্রাণহীন প্লাস্টিকের খেলনা নয়। বিড়ালের সামনে ইঁদুরের প্রাণে নিয়ে দাঁড়ানো খেলা? তাই কী?
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিজেপির নরেন্দ্র দামোদর মোদি বাংলাদেশ সফরে আসছেন আগামি ৬-৭ জুন ২০১৫; তারিখটা এখন সরকারিভাবেও নিশ্চিত করা হয়েছে। ক
দুটো ইস্যু
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট কোনদিকে সে অভিমুখের পরের স্তর শুরু হতে যাচ্ছে আগামি দুই মার্চ। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুব্রাহ্মনিয়াম জয়শঙ্কর আগামি দুই মার্চ একদিনের বাংলাদেশ সফরে আসছেন। কুটনৈতিক পাড়ার জোর অনুমানের ওপর তৈরি খবর হল জয়শঙ্কর যা বয়ে আনছেন তা কেবল ভারতের কথা নয় বরং তা একই সাথে আমেরিকা ও ইউরোপের সাথে ভারতের অবস্থান মিলিয়ে সমন্বিত অবস্
পশ্চিম বঙ্গের মূখ্য মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বাংলাদেশে এসে ঘুরে গেছেন। তাঁর ৪০ জনের বেশি সফর সঙ্গীর মধ্যে ছিলেন কবি সুবোধ সরকার,চলচ্চিত্র নির্মাতা গৌতম ঘোষ ও ব্রাত্য বসু,অভিনেত্রী মুনমুন সেন,অভিনেতা প্রসেনজিৎ,দীপক অধিকারী (দেব)ও অরিন্দম শীল,কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা ঘোষ ও ইন্দ্রনীল সেন,কবি কাজী নজরুল ইসলামের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী। এ ছাড়া ছিলেন শিল্পপতি হর্ষ নেওটিয়া ও সঞ্জীব গোয়ে
পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ঢাকা সফরে এসেছেন। এমন সময়ে তার আসা যখন আমরা বিরাট রাজনৈতিক সংকট, অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। এই সংকটে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে জানতে আমরা আগ্রহী, বিশেষত দিল্লি আর কলকাতার অবস্থানের ঐক্য ও পার্থক্য আমরা বুঝতে চাই। বলা বাহুল্য, এখানে ভুল করার বিশেষ কোন অবকাশ নাই যে মমতা একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কোন প্রতিনিধি নন,
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র পরিচালক ফিল রেইনার (Phil Reiner) গত ৩ জানুয়ারি এক প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করেছিলেন। বিষয় ছিল সদ্য সমাপ্ত ওবামার ভারত সফর সম্পর্কে প্রেসকে অবহিত করা। ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস ২৬ জানুয়ারি। এ বছরের প্রজাতন্ত্র দিবস অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে ওবামা ২৫-২৭ জানুয়ারি ভারত সফরে এসেছিলেন। ফিল রে
পরাশক্তি হওয়ার নির্ণায়ক
কোন রাষ্ট্রের পরাশক্তি (সুপার পাওয়ার অথবা গ্লোবাল পাওয়ার) খেতাব পাবার নির্ণায়ক কি? অনেকের মনে হতে পারে পারমাণবিক বোমা বানানোর ক্ষমতা ও সে বোমা সংগ্রহে থাকলেই তাকে বোধহয় পরাশক্তি বলা যায়। এই ধারণার ভিত্তি নাই। তবু কারও কারও এমন ধারণা তৈরি হবার পিছনে কারণটা হল, কেবল পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা, যা নিঃসন্দেহে সামরিক সক্ষমতার একটা
পুঁজির গোলকায়ন দুনিয়ার অর্থব্যবস্থায় মৌলিক রূপান্তর ঘটিয়েছে ও ঘটাচ্ছে এ কথা সবসময়ই বলা হচ্ছে। কথাটা সত্যও বটে। প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের দিক থেকে এর তাৎপর্য উপলব্ধির জায়গাগুলো বুঝব কী করে? এই প্রশ্ন মনে রেখে নরেন্দ্র মোদির ভারত নিয়ে এই লেখা। দুনিয়াব্যাপী বিস্তৃত পুঁজিতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ভারকেন্দ্র এশিয়া – বারাক ওবামার ভাষায় এশিয়ার থিয়েটার বা নবোদ্ভূত এশিয়ার রঙ্গম
সুশীল রাজনীতি গণতন্ত্রের দুষমন
নির্বাচন মানে গণতন্ত্র এমন একটা ধারণা বাংলাদেশের সুশীলগণ জোরেশোরে প্রচার করে থাকে। তারা ধরে নেয় বাংলাদেশে গণতন্ত্র অলরেডি কায়েম আছে, এখন কাজ শুধু নির্বাচন করা। অথচ নির্বাচনকে যদি গণতান্ত্রিক চর্চা হতে হয় তাহলে তার আগে তো একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠিত থাকা দরকার। কিন্তু সুশীলদের কোলাহল নিরন্তর এই ধারণাই কায়েম করে যে
অনেকে দাবি করছেন, বাংলাদেশের রাজনীতি সংঘাতের দিকে যাচ্ছে আবার। এই দাবির পেছনে তারা বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিকেই দায়ি করেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সংঘাত নতুন কিছু নয়। ফলে শেখ হাসিনার সরকারের মেয়াদ শেষ হবার তারিখ যতোই ঘনিয়ে আসবে ততোই সংঘাতের সম্ভাবনা বাড়বে। কিন্তু এই সংঘাত বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও রাজনীতির জন্য অতিশয় বিপজ্জনক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা খুব কমই ছিল। কিন্তু ভারতের আভ
কোন ধরনের ট্রানজিট ফি ছাড়াই ইনডিয়াকে ট্রানজিট সুবিধা দিতে গত ৩০ নভেম্বর প্রথম সমঝোতা স্মারকটিকে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ। এই সমঝোতার ফলে দেশটির প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইনডিয়া কোন ধরনের ফি ছাড়াই তার পশ্চিমের মূল ভূখ- থেকে যুদ্ধবিক্ষুদ্ধ পূর্বাঞ্চলে যাওয়ার করিডোর সুবিধা পাবে বাংলাদেশের অবকাঠামো ব্যবহার করে। উল্লেখ্য, উনিশশ একাত্তরে সাবেক পাকিস্তানের সাথে স্বাধীনতা যুদ্ধে জিতে
চার বছর ধরে জমে থাকা দায় শোধ করতে হবে দ্রুত
- সাবেক গেরিলা যোদ্ধাদের সন্তোষজনক বেসামরিক জীবনযাত্রা অনিশ্চিত
- সেনাবাহিনীর গণতন্ত্রায়ন ও নির্বাচিত মন্ত্রীসভার অধীন করার বিষয়ে অগ্রগতি হয় নাই
- রাষ্ট্রের চরিত্র ও কাঠামোর বিষয় এখনো অমীমাংসিত
সুরাহা করতে হবে চার বছর ধরে জমে থাকা সমস্যা
ফারাক্কা ব্যারেজ, স্পাই-থ্রিলার ও দক্ষিণ এশিয়ায় আশু সংঘাত
এক.
বাংলাদেশের এই জমিন তৈরি করেছে শিরা-উপশিরার মতো বয়ে যাওয়া নদ-নদী, তারা জলের সাথে বয়ে এনেছে পলি, কণা কণা পলি জমে জমে তৈরি হয়েছে আমাদের পায়ের নীচের মাটি- বদ্বীপ বাংলাদেশ। এই দেশের বিশাল সবুজে যেই প্রকৃতি ও প্রাণের সমারোহ, সেই সমস্ত আয়োজন নিশ্চিত হয় জলের বিপুল প্রবাহে। পানি ও প্রাণের এক অবিচ্ছেদ্য মানিক-জো
পানি আগ্রাসন রুখে দিন, সোচ্চার হোন
ফারাক্কা
এ বছর বাংলাদেশের সর্বাধিক তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪৩.৭ ডিগ্রী। ১৯৯৫ সালের ২৪ মার্চ বিশ্বের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো বাংলাদেশের ঈশ্বরদীতে। অর্থাৎ বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চলেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা বৃদ
বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারণ মানুষ টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে, এটা খুবই স্পষ্ট। ফারাক্কা বাঁধের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জনগণের রয়েছে। এই দেশের জনগণ ‘কারবালা’ কথাটির অর্থ শুধু আক্ষরিক বা ঐতিহাসিক অর্থে বোঝে না। কেউ কাউকে পানিতে মারবার প্রচেষ্টার মধ্যে যে বীভৎস মানসিকতা কাজ করে তাকে বাংলাদেশের মানুষ কারবালার করুণ ইতিহাসের অভিজ্ঞতা থেকে ঘৃণা করতে শিখেছে। ফারাক্কা বাংলাদ
ব্যাক্তি বন্ধুত্ব ও সাহিত্য
ব্যাক্তি বন্ধুত্ব ও সাহিত্য প্রথম প্রকাশ। এছাড়াও আরো দুটি কবিতার বই নতুন করে সংস্করণ করা হয়েছে। (১) অসময়ের নোট বই। (২) কবিতার বোনের সঙ্গে আবার। সাহিত্য ও কবিতা পাঠক প্রেমিকদের ধন্যবাদ।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকাশক ফরহাদ মজহারের বই প্রকাশ করেছেন। আগ্রহী পাঠকদের সুবিধার জন্য এখানে কয়েকটি বইয়ের পরিচিতি দেওয়া হোল।
রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সহযোগী গণমাধ্যম নিপাত যাক
সম্প্রতি ফরহাদ মজহারের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিকৃতি ঘটিয়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ক্যাডার একটি ক্ষুদ্র সাংবাদিক গোষ্ঠি মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করে ও থানায় জিডি দায়ের করে। বাক, ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতাসহ মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য ফরহাদ মজহারের নিরাপোষ লড়াই কারোরই অজানা নয়। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে ফরহাদ মজহারকে রাষ্ট্রীয় ভাবে দমন, পীড়ন ও নির্যাতনের জন্য এই গোষ্ঠি তাদের সকল শক্তি নির্লজ্জ ভাবে নিয়োগ করেছে। এর মধ্য দিয়ে এদের সন্ত্রাস, সহিংসতা ও জিঘাংসার যে-চেহারা ফুটে উঠেছে তা বাংলাদেশের গণমাধ্যমের জন্য চিরকাল কলংক হয়ে থাকবে।
এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, আইনজীবী, রাজনৈতিক কর্মীসহ সকল স্তরের পেশার মানুষ এক্ত্রিত হয়ে 'আক্রান্ত গণমাধ্যম ও সংকটের আবর্তে দেশ' শিরোনামে একটি গোলটেবিলে একত্রিত হয়। তাঁরা সাংবাদিকতার নামে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও সহিংসতার নিন্দা জানান। এখানে সেই প্রতিবাদ সভার কিছু ছবি ও উপস্থিত নাগরিকদের বক্তব্য হাজির করা হচ্ছে। এ সভার মূল লক্ষ ছিল মত প্রকাশের অধিকার রক্ষা করা এবং চিন্তার স্বাধীনতার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
সংবাদ-এলবামে প্রবেশের জন্য ওপরের ছবির ওপর ক্লিক করুন; বক্তব্যের জন্য খোলা-এলবামে প্রত্যেক বক্তার ছবির ওপর ক্লিক করুন। ট্রান্সক্রিপশান সময় সাপেক্ষ বলে ধীরে ধীরে তোলা হচ্ছে। তবে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়তে হলে দয়া করে নীচের সংযোগচিহ্নে যান
আমার দেশ: গোলটেবিল বৈঠকে ফরহাদ মজহারের পাশে বিশিষ্টজনরা : প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগই সঙ্কট মোকাবিলায় একমাত্র সমাধান : আমার দেশসহ বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দিন
চিন্তার সাম্প্রতিক সংখ্যা
পুরানো 'সন্ত্রাস' সংখ্যা। বছর ১৪ সংখ্যা ১, নভেম্বর ২০০৫ / অগ্রহায়ন ১৪১২। সম্পাদকীয়। দেরিদা, হাবারমাস এবং সন্ত্রাসকালে দর্শন -- জিওভান্না বোরাদরির সঙ্গে আলাপ। সন্ত্রাস, আইন ও ইনসাফ। বলপ্রয়োগ বিচার। সন্ত্রাসবাদের হকিকত। আধুনিকতায় ক্ষমতা এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যের পুনর্গঠন। বিশ্ববাণিজ্য চুক্তির সন্ত্রাসঃ হংকং সভা। বীজ ও নারী বিপন্ন যমজ। মান্দিদের জীবন। নাখোজাবাদ বুলেটিন। দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। ৪র্থ সার্ক পিপলস ফোরাম। স্পেকট্রাম গার্মেণ্ট ও শ্রমিক হত্যাকাণ্ড।
চিন্তা পুরানা সংখ্যা
পাক্ষিক চিন্তার পুরানো কয়েকটি সংখ্যা। এর বেশ কয়েকটি এখনও পেতে পারেন। যোগাযোগ করুন, পাক্ষিক চিন্তা, ২২/১৩ খিলজি রোড, মহাম্মদপুর, ব্লক-২। শ্যামলী। ঢাকা-১২০৭।
ধর্মের পর্যালোচনা ও বাংলাদেশে ইসলাম
সক্রিয় ও সজীব চিন্তার স্বভাব ও গৌরব উপলব্ধির জন্য ধর্মের পর্যালোচনা যে কোন জনগোষ্ঠির আত্মবিকাশের জন্য জরুরী। রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হিসাবে নিজেদের গাঠনিক ভিত্তির গোড়ার চিন্তার প্রতি সজাগ ও সতর্কতা ছাড়া কোন জনগোষ্ঠির পক্ষেই বিশ্বে শক্তিশালী ভাবে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। দর্শন চর্চা সে কারনে কোন আসমানি ব্যাপার নয়। একটি জনগোষ্ঠির মধ্যে চিন্তার বিকাশের মাত্রা ও গভীরতা দিয়ে সেই জনগোষ্ঠির সীমা ও সম্ভাবনা বোঝা যায়।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের এই কালে ইসলামের বিরুদ্ধে তীব্র বিদ্বেষ ও বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গীর প্রাবল্য মোকাবিলা করতে হলে দর্শনের দিগন্ত থেকে ইসলামের রাজনৈতিক-দার্শনিক প্রস্তাবনাকে নতুন করে বিচারের দরকার আছে। পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়নের এই কালে সামগ্রিক ভাবে চিন্তার যে সংকট তা মীমাংসার ক্ষেত্রে ইসলাম আদৌ কোন অবদান রাখতে সক্ষম কিনা সেটা দর্শনের নিজেরই অন্বেষণের বিষয়। সেই অনুসন্ধানের তাগিদ থেকে এই লেখা।
- ১. দর্শনের ভাষা বা বুদ্ধির ভাষায় কথা বলার গুরুত্ব
- ২. পর্যালোচনা মানে সমালোচন বা বিরোধিতা নয়
- ৩. ধর্মে কি কোন চিন্তা নাই
- ৪. উপলব্ধি, বুদ্ধি ও সংবেদনা
- ৫. নফি ও এজবাত
- ৬. ধর্মবিরোধীদের কবল থেকে মার্কসকে উদ্ধার একালে জরুরী
- ৭. হজরত সোলায়মান ও ফয়েরবাখ
- ৮. দ্বান্দ্বিক চিন্তার পর্যালোচনা
- ৯. মানুষের নিজের কাছ থেকে নিজের বিযুক্তি
- ১০. ধর্মের প্রতি তত্ত্বীয় দৃষ্টিভঙ্গীর সীমাবদ্ধতা
সক্রিয় ও সজীব চিন্তার স্বভাব ও গৌরব উপলব্ধির জন্য ধর্মের পর্যালোচনা যে কোন জনগোষ্ঠির আত্মবিকাশের জন্য জরুরী। রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হিসাবে নিজেদের গাঠনিক ভিত্তির গোড়ার চিন্তার প্রতি সজাগ ও সতর্কতা ছাড়া কোন জনগোষ্ঠির পক্ষেই বিশ্বে শক্তিশালী ভাবে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। দর্শন চর্চা সে কারনে কোন আসমানি ব্যাপার নয়। একটি জনগোষ্ঠির মধ্যে চিন্তার বিকাশের মাত্রা ও গভীরতা দিয়ে সেই জনগোষ্ঠির সীমা ও সম্ভাবনা বোঝা যায়।
দর্শনের দিক থেকে ধর্মভাবনা মানুষের চেতনা বা চিন্তারই বিশেষ রূপ। এই বিশেষ রূপের বিচার ধর্মের আর্থ-সামাজিক বা রাজনৈতিক বিচার দিয়ে নিষ্পন্ন হয় না, তার বিষয় ও পদ্ধতি আলাদা। ধর্মের আর্থ-সামাজিক বা রাজনৈতিক বিচারের গুরুত্ব আছে বটে, কিন্তু সেটা দার্শনিক বিচার নয়। সক্রিয় ও সজীব চিন্তা ধর্মভাবনায় নিজেকে যে রূপে হাজির দেখে দর্শনের স্তরে একই রূপে হাজির না দেখলেও এই দাবি জানাতে কুন্ঠিত হয় না যে “দর্শনের বিষয় সামগ্রিক ভাবে বিচার করলে ধর্মেরই বিষয় – উভয় ক্ষেত্রে সেটা হোল, সত্য। কথাটা এই চূড়ান্ত অর্থে যে আল্লাহ এবং একমাত্র আল্লাহই হচ্ছেন সত্য। তাই উভয়েই প্রকৃতি ও মানুষের এই সীমিত জগতকে পরস্পরের সম্পর্ক এবং তাদের সত্য আল্লার সত্যে বিচার করে”। কথাটি জর্মন দার্শনিক গেঅর্গ ভিলহেল্ম হেগেলের (১৭৭০-১৮৭১)। সত্য বলতে হেগেল কি বুঝতেন এই ঘোষণায় তা আমরা আন্দাজ করতে পারি। আল্লার সত্য নির্ণয়ের আকুতির মধ্য দিয়ে মানুষ প্রকৃতি ও মানুষের সীমিত জগতের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং মানুষের সম্ভাবনা বিচার করে -- আর্থ-সামাজিক সম্পর্ক, নীতি-নৈতিকতা ও রাষ্ট্র হেগেল কিভাবে বিচার করেছেন তার ইঙ্গিতও এই অল্প কথার মধ্যে আমরা টের পাই।
সত্য শুধু বিশুদ্ধ বুদ্ধির নির্ণয় নয়, বরং মানুষ তার ইন্দ্রিয়পরায়ণ তৎপরতার পরিমণ্ডলে যে সত্য 'উপলব্ধি' করে সেখানেও চিন্তা বা বুদ্ধির কারবার হাজির থাকে, তবে আত্মসচেতন চিন্তা হিসাবে নয়। সে কারণেই একে আমরা কাঁচা ইন্দ্রিয়োপলব্ধি বলি, বুদ্ধি যে কাঁচামাল থেকে জ্ঞান উৎপাদন করে। ইন্দ্রিয়োপ্লব্ধির সত্য বুদ্ধি তার নিজের স্বরূপে কিম্বা নিজের পরিমণ্ডলে কিভাবে প্রকাশ করবে হেগেলের দর্শনের সেটাই ছিল প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে সকল বৃত্তির সামষ্টিক উদ্যোগ বা প্রণোদনা থেকে মানুষ যে সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, বুদ্ধি সেই সত্য নিজের স্বরূপে আদৌ ধারণ বা প্রকাশ করতে পারে কিনা সেটা দর্শনে এখনও বড়সড় তর্ক হয়ে রয়েছে। ধর্মের পর্যালোচনা সেই তর্ককে সক্রিয় ও সজীব চিন্তার নিজের সমস্যা হিসাবে বুঝতে আমাদের সাহায্য করতে পারে। যে কারণে 'ধর্মের পর্যালোচনা ও বাংলাদেশে ইসলাম' নিয়ে আমরা আলোচনা শুরু করেছি।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের এই কালে ইসলামের বিরুদ্ধে তীব্র বিদ্বেষ ও বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গীর প্রাবল্য মোকাবিলা করতে হলে দর্শনের দিগন্ত থেকে ইসলামের রাজনৈতিক-দার্শনিক প্রস্তাবনাকে নতুন করে বিচারের দরকার আছে। পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়নের এই কালে সামগ্রিক ভাবে চিন্তার যে সংকট তা মীমাংসার ক্ষেত্রে ইসলাম আদৌ কোন অবদান রাখতে সক্ষম কিনা সেটা দর্শনের নিজেরই অন্বেষণের বিষয়। সেই অনুসন্ধানের তাগিদ থেকে এই লেখা।
পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থায় বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায় হিসাবে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার প্রকট লড়াই জারি রয়েছে। বলাবাহুল্য, এই আলোচনা সেই বাস্তবতার বাইরে নয়। পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থায় বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠি, সম্প্রদায়, শ্রেণি এবং বিভিন্ন শারিরীক চিহ্নে ও শারিরীক বাসনায় বিভক্ত জগতে সম্প্রদায় হিসাবে মুসলমানদের লড়াইও নানা কারনে অনিবার্য বটে, কিন্তু ধর্মীয় সম্প্রদায় হিসাবে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার লড়াই আর বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় মানুষের চিন্তার সংকট মীমাংসার ক্ষেত্রে ইসলামের সম্ভাব্য অবদান বিচার সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। ইসলাম শুধু মুসলমানদের জন্য নাজিল হয় নি, ফলে তা মানুষের চিন্তার ইতিহাস ও দর্শনেরও বিষয়। এই অনুমান থেকে লেখাগুলো পাঠ করলে পাঠক উপকৃত হবেন আশা করি।
- See more at: http://chintaa.com/index.php/network/index/bangla#sthash.OYNrOjTu.dpuf