- মনসান্তোর জিএমও কারসাজি
- আমাদের এখনকার সংকট
- আওয়ামি লিগের ইতিহাসও পারিবারিক ইতিহাসে পর্যবসিত হয়েছে...
- বাংলাদেশে 'নিউকনি' সিপাই
- রাষ্ট্রপ্রধান ও উচ্চ আদালত নিয়ে রাজনীতি
- রোকেয়া পাঠের স্থান কাল পাত্র
- গণতান্ত্রিক বিপ্লবের তিন লক্ষ্য
- মোদীর ভারত এবং বিশ্ব শক্তির ভারসাম্য বদল
- দেখলেই গুলি?
- আদালতের কর্তৃত্ব ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা
ভাসানী, রবুবিয়াত ও নতুন বিপ্লবী রাজনীতি
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে বাংলাদেশের উদয়, বেড়ে ওঠার ইতিহাস এবং উপমহাদেশের জনগনের লড়াই সংগ্রাম থেকে যেভাবে মুছে ফেলা হয়েছে সে এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। বাংলাদেশে নতুন রাজনীতির পুনর্গঠনের প্রশ্ন মওলানা ভাসানীকে নতুন ভাবে জানা, পড়া ও চর্চায় নিয়ে যাবার ওপর নির্ভরশীল। এই পরিপ্রেক্ষিত মনে রেখে মওলানা ভাসানী সম্পর্কে লেখাগুলোর পাঠ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গঠনের গলদ, গণতন্ত্র ও এখনকার কর্তব্য
বাংলাদেশের রাষ্ট্র, রাজনীতি, আইন ও বিচারব্যবস্থার গোড়ার গলদ হচ্ছে শুরু থেকে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে গড়ে তোলা ও গঠন করা যায় নি। মুক্তিযুদ্ধ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু ও সংঘটিত হয়েছিল একাত্তরের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে -- যার ঘোষিত ও লিখিত মূল উদ্দেশ্য ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার বা ইনসাফ কায়েম ও চর্চার উপযোগী গণমানুষের রাষ্ট্র গড়ে তোলা। কিন্তু ডান কি বাম প্রতিটি রাজনৈতিক দল বা ধারা মুক্তিযুদ্ধ ও গণমানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। গণশক্তির বিকাশ ও বিজয় ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক বিপ্লবই অসমাপ্ত যুদ্ধ সম্পন্ন করতে পারে, এটাই এখনকার রাজনৈতিক কাজ। এদেশের সকল মানুষের ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি, আচার, লোকায়ত জ্ঞান ও ভাবুকতা সবই রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হিসাবে গড়ে ওঠার আন্তরিক ও ঐতিহাসিক উপাদান। কিন্তু গণ ঐক্য ও গণশক্তি বিকাশ বাধাগ্রস্ত করার জন্য যারা ধর্মের নামে, ধর্ম বিরোধিতার নামে কিম্বা বাস্তবতা বিবর্জিত নানান আসামানি মতাদর্শের দোহাই দিয়ে জনগণকে বিভক্ত ও আশু রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জন ও কর্তব্য পূরণের ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে তারাই -- ডান কিম্বা বাম -- জনগণের শত্রু।
- চতুর্থ সংশোধনীতে হারানো ক্ষমতা সামরিক আইনে ফিরে পাওয়ার কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছে আদালত
- আইনের শাসনের তামাশা ও বাকশাল ‘দর্শনের’ জের
- আদালত অবমাননার বিচার ও দণ্ড প্রসঙ্গ
- ‘কমিউনিস্ট’দের রিমান্ড সমস্যা
- হাসিনার কনস্টিটিউশন সংশোধন: আসলে কি হতে যাচ্ছে?
- সংজ্ঞাহীন অবারিত এখতিয়ার বন্ধ হবে কবে?
- ছয় বছরেও চূড়ান্ত হয় নাই আদালত অবমাননা আইন
বাংলার ভাবসম্পদ
লালন ও ভাবান্দোলন
চিনিয়ে দেওয়া, ধরিয়ে দেওয়া
এই পাতায় পড়ছেন গণতন্ত্র ও গঠনতন্ত্র সংক্রান্ত লেখা
এক
জাতীয় ইনসাফ কমিটি গত ১৬ মার্চে তাদের প্রস্তাবনায় বাংলাদেশ নতুন ভাবে ‘গঠন’ করবার প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল। বাংলাদেশে চিন্তার দুর্ভিক্ষ এতোই প্রবল যে দৈনিক পত্রিকাগুলো গণরাজনৈতিক সত্তা হিশাবে রাষ্ট্রের ‘গঠন’-কে স্রেফ আইনী ব্যাপার ধরে নিয়েছে। তাদের রিপোর্টে সকলেই লিখেছে আমরা নাকি নতুন সংবিধান চাইছি। অথচ আমরা সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলেছি। বলেছি, রা
এক
রাজনৈতিক প্রস্তাবনা হিশাবে বিএনপির ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’- অতিশয় সংকীর্ণ ও সীমাবদ্ধ। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশের বর্তমান জাতীয় রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সেই গুরুত্বটুকু আমরা দিতে চাই। এর কারন হচ্ছে ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য এটি পেশ করা হয়েছে। জনগণ এই লড়াই থেকে বিএনপির কাছ থে
আমরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণরাজনৈতিক চেতনা বিকাশের লক্ষ্য নিয়ে বিএনপির ‘রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা’ পর্যালোচনা করছি। রাষ্ট্র ‘মেরামত’ করা জরুরি হয়ে পড়েছে এই দাবি শিশু কিশোরদের নিরাপদ সড়ক
বাংলাদেশের রাজনীতির দুর্ভাগ্য হচ্ছে জাতীয় রাজনীতিতে শ্রমিক শ্রেণীর উপস্থিতি যেমন নাই, তেমনি কৃষকও হাজির নাই। জাতীয় রাজনীতিতে হতদরিদ্র সর্বহারা এবং বিভিন্ন মেহনতজীবী জনগণকেও আমরা হাজির দেখি না। দ্বিতীয়ত তথাকথিত প্রতিনিধিত্বমূলক গমতন্ত্র (?) জনগণকে স্রেফ ভোটের সংখ্যায় পর্যবসিত করে। বিএনপি আওয়ামী লীগের মতোই জনগণকে ভোটের সংখ্যা হিশাবে বোঝে। এর অধিক কিছু বোঝার কোন বাধ্যবা
কিছুদিন আগেও আমরা প্রায়ই শুনতাম দল হিশাবে বিএনপি শেষ হয়ে গিয়েছে, একদিকে ভুল রাজনীতি এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা এবং অপরদিকে আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুমখুন হাজার হাজার কর্মীকে কারাগারে নিক্ষেপ এবং লক্ষ লক্ষ কর্মীর মাথার ওপর মামলা ঝুলিয়ে রেখে তাদের ঘরছাড়া করা ইত্যাদি নানা কারনে বিএনপির পক্ষে আর জাতীয় দল হিশাবে দাঁড়ানো সম্ভব না, ইত্যাদি। এই সময় ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলো গড়ে উ
বিএনপি ‘দেশপ্রেমের শপথে উজ্জীবিত এক সুকঠিন ‘জাতীয় ঐকমত্য’ চায়। কিন্তু ‘দেশপ্রেমের শপথে উজ্জীবিত এক সুকঠিন ‘জাতীয় ঐকমত্য’ বলতে বিএনপি কি বোঝে? কিম্বা আমরাই বা এর দ্বারা কি বুঝেছি? ‘দেশ প্রেম’, 'জাতি' ‘জাতীয় ঐক্য’ ইত্যাদি আবেগী ধারণা। রাজনীতিতে আবেগের দরকার হয়, তার ব্যবহার আছে। সাধারণ মানুষের কাছে দেশ অরধানত তার 'আবাস', তার ইতিহাস, ঐত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে বিএনপির ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ (An Outline of the Structural Reforms of the State) তুলে ধরেছেন। এই ঘোষণা উপলক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের দশই ডিসেম্বর ঢাকা সমাবেশ ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘট
১.
পাকিস্তান আমল থেকেই গণতন্ত্র কায়েমের প্রশ্ন স্রেফ নির্বাচনী প্রশ্ন, অর্থাৎ নির্বাচন করা বা না করা, কার অধীনে নির্বাচন হবে, কিভাবে হবে -- ইত্যাদি তর্কের মধ্যে ঘুরপাক খেয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরও আজ অবধি সেই তর্কের অবসান হয় নি। বাংলাদেশ পুরানা প্রত্নতাত্ত্বিক ভাঙা রেকর্ডের মতো নির্বাচনসর্বস্ব পাকিস্তানী রাজনীতিই করে যাচ্ছে। নির্বাচন আর গণতন্ত
গত ২৫ ডিসেম্বর (২০২১) প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফিউজে) আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের সংকট শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ হিশাবে লেখাটির সারসংক্ষেপ পেশ করেছি। কিছু প্রাসঙ্গিক আলোচনাও করেছি। পুরা নিবন্ধটি এখানে পেশ করা হোল।
বাংলাদেশের বাস্তব পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এবং এখনকার সুনির্দিষ্ট কর্তব্যের আলোকে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের সংকট ন
১. ক্ষোভ-বিক্ষোভ প্রকাশ, মিছিল, জনসভা
অর্থনৈতিক ভাবে বাংলাদেশে অল্প কয়েকটি কোটিপতি এবং মাফিয়া পরিবার ছাড়া অধিকাংশ মানুষই অতিশয় খারাপ অবস্থায় আছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে কোটিপতি আমানতকারী ৭৫ হাজার ৫৬৩ জন। দেশে আয়বৈষম্য বাড়ছে বিপুল ভাবে। পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্ব ব্যবস্থায় আয় বৈষম্যের যে মাত্রা সহনীয় বলে গণ্য কর
[এক]
বাংলাদেশের আগামি রাজনীতির অভিমুখ সঠিক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে দুটো ধারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি হচ্ছে রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হিশাবে নিজেদের ‘স্বাতন্ত্র্য’ সঠিক ভাবে নির্ণয়, উপলব্ধি এবং তা কার্যকর ভাবে প্রকাশ করবার সঠিক ভাষা ও রণধ্বণি আবিষ্কার। অর্থাৎ কেন জনগোষ্ঠি হিসাবে আমরা স্বতন্ত্র সেই উপলব্ধি এবং তা প্রকাশের উপযুক্ত ভাষা আমাদের থাকা চাই। এক
ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়বেন না
বাজেটের পরিসংখ্যান নিয়ে তর্কাতর্কি পরে করুন। গণিত পরে। ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেবেন না। সহজ করে ভাবুন, যাতে সহজ ভাবে ট্যাক্স ব্যাপারটা কী এবং অর্থমন্ত্রী আবুল আল আব্দুল মোহিত চাইলেই জনগণ রাষ্ট্রকে দিতে বাধ্য কিনা বুঝতে পারেন। রাষ্ট্র আপনার কাছ থেকে নানান ধরনের খাজনা নিচ্ছে। কেন নিচ্ছে? কারন রাষ্ট্রের খর্চাখরচ আছে। যেমন, পুলিশ-র&zw
'গণতন্ত্রমনস্ক অনুভূতিসম্পন্ন' উপলব্ধি মাপার ডাক্তার!
প্রথম আলোর মিজানুর রহমান খান বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া “গণতন্ত্রমনস্ক অনুভূতিপ্রসূত” ব্যক্তি কিনা সেই সন্দেহ রেখেছেন। ‘গণতন্ত্রমনস্ক অনুভূতিপ্রসূত’! কী দুর্দান্ত ভাষা! আর সেই বিশেষ ‘অনুভুতি’ মাপার ডাক্তার হয়েছেন মিজান। বাহ! বাহ! এটা কি রাজনীতি পর্যালোচনার ভাষা নাকি যাকে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা জাতীয় মা
অনেকদিন পর ঢাকা শহরে নির্বাচন হচ্ছে, সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এতে শুধু মেয়র নয়, প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচনও করা হচ্ছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে এখন যে পোস্টার, ব্যানার দেখছি তা শুধু মেয়রদের জন্য নয়, ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মধ্যেও বেশ সাড়া জাগিয়েছে। নারী প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর হওয়ার বিধান আছে, যদিও সাধারণ কাউন্সিলর হিসেবে কোনো নারীর প্রার্থী হবার ক্ষেত্রে আইন
পাঁচই জানুয়ারির নির্বাচন আদর্শ নির্বাচন ছিল না; এ বিষয়ে সমাজে কোনো বিতর্ক নাই। ক্ষমতাসীনরা শুরুতে বলতেন নির্বাচন ছিল সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা, তবে বিরোধী দল অংশগ্রহণ না করায় একে আদর্শ নির্বাচন বলা যায় না। তারা অচিরেই আরেকটি নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কিন্তু সেটা তারা আর মানেন নি। প্রতিশ্রুতি পালন করার কোন নৈতিক কিম্বা রাজনৈতিক দায়ও বোধ করেন নি। বরং আরও পাঁচ কি দশ বছর
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিত নিয়ে কমবেশী সবাই চিন্তিত, চলমান সংকটের অনিশ্চয়তা থেকে থেকে বেরুবার পথ স্পষ্ট নয়। স্পষ্ট নয় এই অর্থে যে, একেবারে প্রাথমিক উপায় হিসাবে সকলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনের সম্ভাবনা নাই, কিম্বা দেখা যাচ্ছেনা। রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠানিক চরিত্র ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব যে আকার ধারণ করেছে, তাতে করে একটি নির্বাচন মো
বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল !
আবার ইংরেজি দুই হাজার তেরো সালের ১৬ ডিসেম্বর আসছে। সামনে বিজয় দিবস। যে ‘বিজয়’ একাত্তরে আমরা অর্জন করেছি তার তাৎপর্য যদি আমরা উপলব্ধি করি তাহলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি যাই হোক এই দিনটি ঠিক ভাবে উদযাপন করা দরকার। সেটা সম্ভব হবে কিনা তার আশংকা দেখা দিয়েছে। একটি নিউজপোর্টালের খবরে দেখেছি চলতি বছরের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ বাতি
এ লেখা যখন লিখছি তখন আঠারো দলের হরতাল ও সমাবেশের প্রথম পর্যায় শেষ হয়েছে। বিরোধী দলের ওপর নতুন করে দমন পীড়ন শুরু হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গভীর রাতে খালেদা জিয়ার বাসা থেকে বেরিয়ে যাবার সময় গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শ
বাম ঘেঁষা সমাজবিজ্ঞানীরা কমবেশী সকলেই মানেন যে একটি জনগোষ্ঠির মধ্যে পুঁজিতান্ত্রিক সম্পর্কের উদ্ভব ও বিস্তার একটি মাত্রা অতিক্রম করলে পুরানা প্রাক-পুঁজিতান্ত্রিক সম্পর্কগুলো ভেঙ্গে পড়তে থাকে, সমাজের রূপান্তর ঘটা শুরু হয়। এই অবস্থাতেই গণতান্ত্রিক বিপ্লবের সূচনা ঘটে। এই ফর্মুলা মাথায় রেখেই তথাকথিত প্রগতিশীল ঘরানার রাজনীতির নিজেদের রাজনৈতিক কর্তব্য নির্ণয় করবার কথা। এ
শেখ হাসিনা বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানবেন না, সেটা তিনি পরিষ্কার বলে আসছেন। এর জন্য তিনি বিস্তর রক্তক্ষয় ঘটিয়েছেন। আরও যদি ঘটে তিনি এই অবস্থান থেকে নড়বেন না। আসন্ন আগামি জাতীয় সংসদের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকেই তিনি নির্বাচন করতে চান, সেই ইঙ্গিত রাজনীতিতে নানাভাবে তিনি দিয়ে রেখেছেন। যদি সদয় হয়ে নিজে ক্ষমতার দণ্ড হাতে না রাখেন তাহলেও তাঁকে নিশ্চিত করতে হব
ইতিহাস, সামাজিক বিতর্ক ও আদালতের এখতিয়ার
একটি রিট আবেদনের মামলায় মাননীয় বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও বিচারপতি মোঃ মমতাজ উদ্দিন আহমদ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের ডিভিশন বেঞ্চ গত ২১ জুন শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক হিশাবে স্বীকৃতি দিয়ে একটি রায় ঘোষণা করেন। সেই রায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র পুনর্মুদ্রণের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন
ব্যাক্তি বন্ধুত্ব ও সাহিত্য
ব্যাক্তি বন্ধুত্ব ও সাহিত্য প্রথম প্রকাশ। এছাড়াও আরো দুটি কবিতার বই নতুন করে সংস্করণ করা হয়েছে। (১) অসময়ের নোট বই। (২) কবিতার বোনের সঙ্গে আবার। সাহিত্য ও কবিতা পাঠক প্রেমিকদের ধন্যবাদ।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রকাশক ফরহাদ মজহারের বই প্রকাশ করেছেন। আগ্রহী পাঠকদের সুবিধার জন্য এখানে কয়েকটি বইয়ের পরিচিতি দেওয়া হোল।
রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সহযোগী গণমাধ্যম নিপাত যাক
সম্প্রতি ফরহাদ মজহারের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিকৃতি ঘটিয়ে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ক্যাডার একটি ক্ষুদ্র সাংবাদিক গোষ্ঠি মিথ্যা অপপ্রচার শুরু করে ও থানায় জিডি দায়ের করে। বাক, ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতাসহ মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য ফরহাদ মজহারের নিরাপোষ লড়াই কারোরই অজানা নয়। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে ফরহাদ মজহারকে রাষ্ট্রীয় ভাবে দমন, পীড়ন ও নির্যাতনের জন্য এই গোষ্ঠি তাদের সকল শক্তি নির্লজ্জ ভাবে নিয়োগ করেছে। এর মধ্য দিয়ে এদের সন্ত্রাস, সহিংসতা ও জিঘাংসার যে-চেহারা ফুটে উঠেছে তা বাংলাদেশের গণমাধ্যমের জন্য চিরকাল কলংক হয়ে থাকবে।
এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, আইনজীবী, রাজনৈতিক কর্মীসহ সকল স্তরের পেশার মানুষ এক্ত্রিত হয়ে 'আক্রান্ত গণমাধ্যম ও সংকটের আবর্তে দেশ' শিরোনামে একটি গোলটেবিলে একত্রিত হয়। তাঁরা সাংবাদিকতার নামে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও সহিংসতার নিন্দা জানান। এখানে সেই প্রতিবাদ সভার কিছু ছবি ও উপস্থিত নাগরিকদের বক্তব্য হাজির করা হচ্ছে। এ সভার মূল লক্ষ ছিল মত প্রকাশের অধিকার রক্ষা করা এবং চিন্তার স্বাধীনতার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হওয়া।
সংবাদ-এলবামে প্রবেশের জন্য ওপরের ছবির ওপর ক্লিক করুন; বক্তব্যের জন্য খোলা-এলবামে প্রত্যেক বক্তার ছবির ওপর ক্লিক করুন। ট্রান্সক্রিপশান সময় সাপেক্ষ বলে ধীরে ধীরে তোলা হচ্ছে। তবে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন পড়তে হলে দয়া করে নীচের সংযোগচিহ্নে যান
আমার দেশ: গোলটেবিল বৈঠকে ফরহাদ মজহারের পাশে বিশিষ্টজনরা : প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগই সঙ্কট মোকাবিলায় একমাত্র সমাধান : আমার দেশসহ বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দিন
চিন্তার সাম্প্রতিক সংখ্যা
পুরানো 'সন্ত্রাস' সংখ্যা। বছর ১৪ সংখ্যা ১, নভেম্বর ২০০৫ / অগ্রহায়ন ১৪১২। সম্পাদকীয়। দেরিদা, হাবারমাস এবং সন্ত্রাসকালে দর্শন -- জিওভান্না বোরাদরির সঙ্গে আলাপ। সন্ত্রাস, আইন ও ইনসাফ। বলপ্রয়োগ বিচার। সন্ত্রাসবাদের হকিকত। আধুনিকতায় ক্ষমতা এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যের পুনর্গঠন। বিশ্ববাণিজ্য চুক্তির সন্ত্রাসঃ হংকং সভা। বীজ ও নারী বিপন্ন যমজ। মান্দিদের জীবন। নাখোজাবাদ বুলেটিন। দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। ৪র্থ সার্ক পিপলস ফোরাম। স্পেকট্রাম গার্মেণ্ট ও শ্রমিক হত্যাকাণ্ড।
চিন্তা পুরানা সংখ্যা
পাক্ষিক চিন্তার পুরানো কয়েকটি সংখ্যা। এর বেশ কয়েকটি এখনও পেতে পারেন। যোগাযোগ করুন, পাক্ষিক চিন্তা, ২২/১৩ খিলজি রোড, মহাম্মদপুর, ব্লক-২। শ্যামলী। ঢাকা-১২০৭।
ধর্মের পর্যালোচনা ও বাংলাদেশে ইসলাম
সক্রিয় ও সজীব চিন্তার স্বভাব ও গৌরব উপলব্ধির জন্য ধর্মের পর্যালোচনা যে কোন জনগোষ্ঠির আত্মবিকাশের জন্য জরুরী। রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হিসাবে নিজেদের গাঠনিক ভিত্তির গোড়ার চিন্তার প্রতি সজাগ ও সতর্কতা ছাড়া কোন জনগোষ্ঠির পক্ষেই বিশ্বে শক্তিশালী ভাবে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। দর্শন চর্চা সে কারনে কোন আসমানি ব্যাপার নয়। একটি জনগোষ্ঠির মধ্যে চিন্তার বিকাশের মাত্রা ও গভীরতা দিয়ে সেই জনগোষ্ঠির সীমা ও সম্ভাবনা বোঝা যায়।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের এই কালে ইসলামের বিরুদ্ধে তীব্র বিদ্বেষ ও বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গীর প্রাবল্য মোকাবিলা করতে হলে দর্শনের দিগন্ত থেকে ইসলামের রাজনৈতিক-দার্শনিক প্রস্তাবনাকে নতুন করে বিচারের দরকার আছে। পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়নের এই কালে সামগ্রিক ভাবে চিন্তার যে সংকট তা মীমাংসার ক্ষেত্রে ইসলাম আদৌ কোন অবদান রাখতে সক্ষম কিনা সেটা দর্শনের নিজেরই অন্বেষণের বিষয়। সেই অনুসন্ধানের তাগিদ থেকে এই লেখা।
- ১. দর্শনের ভাষা বা বুদ্ধির ভাষায় কথা বলার গুরুত্ব
- ২. পর্যালোচনা মানে সমালোচন বা বিরোধিতা নয়
- ৩. ধর্মে কি কোন চিন্তা নাই
- ৪. উপলব্ধি, বুদ্ধি ও সংবেদনা
- ৫. নফি ও এজবাত
- ৬. ধর্মবিরোধীদের কবল থেকে মার্কসকে উদ্ধার একালে জরুরী
- ৭. হজরত সোলায়মান ও ফয়েরবাখ
- ৮. দ্বান্দ্বিক চিন্তার পর্যালোচনা
- ৯. মানুষের নিজের কাছ থেকে নিজের বিযুক্তি
- ১০. ধর্মের প্রতি তত্ত্বীয় দৃষ্টিভঙ্গীর সীমাবদ্ধতা
সক্রিয় ও সজীব চিন্তার স্বভাব ও গৌরব উপলব্ধির জন্য ধর্মের পর্যালোচনা যে কোন জনগোষ্ঠির আত্মবিকাশের জন্য জরুরী। রাজনৈতিক জনগোষ্ঠি হিসাবে নিজেদের গাঠনিক ভিত্তির গোড়ার চিন্তার প্রতি সজাগ ও সতর্কতা ছাড়া কোন জনগোষ্ঠির পক্ষেই বিশ্বে শক্তিশালী ভাবে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। দর্শন চর্চা সে কারনে কোন আসমানি ব্যাপার নয়। একটি জনগোষ্ঠির মধ্যে চিন্তার বিকাশের মাত্রা ও গভীরতা দিয়ে সেই জনগোষ্ঠির সীমা ও সম্ভাবনা বোঝা যায়।
দর্শনের দিক থেকে ধর্মভাবনা মানুষের চেতনা বা চিন্তারই বিশেষ রূপ। এই বিশেষ রূপের বিচার ধর্মের আর্থ-সামাজিক বা রাজনৈতিক বিচার দিয়ে নিষ্পন্ন হয় না, তার বিষয় ও পদ্ধতি আলাদা। ধর্মের আর্থ-সামাজিক বা রাজনৈতিক বিচারের গুরুত্ব আছে বটে, কিন্তু সেটা দার্শনিক বিচার নয়। সক্রিয় ও সজীব চিন্তা ধর্মভাবনায় নিজেকে যে রূপে হাজির দেখে দর্শনের স্তরে একই রূপে হাজির না দেখলেও এই দাবি জানাতে কুন্ঠিত হয় না যে “দর্শনের বিষয় সামগ্রিক ভাবে বিচার করলে ধর্মেরই বিষয় – উভয় ক্ষেত্রে সেটা হোল, সত্য। কথাটা এই চূড়ান্ত অর্থে যে আল্লাহ এবং একমাত্র আল্লাহই হচ্ছেন সত্য। তাই উভয়েই প্রকৃতি ও মানুষের এই সীমিত জগতকে পরস্পরের সম্পর্ক এবং তাদের সত্য আল্লার সত্যে বিচার করে”। কথাটি জর্মন দার্শনিক গেঅর্গ ভিলহেল্ম হেগেলের (১৭৭০-১৮৭১)। সত্য বলতে হেগেল কি বুঝতেন এই ঘোষণায় তা আমরা আন্দাজ করতে পারি। আল্লার সত্য নির্ণয়ের আকুতির মধ্য দিয়ে মানুষ প্রকৃতি ও মানুষের সীমিত জগতের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং মানুষের সম্ভাবনা বিচার করে -- আর্থ-সামাজিক সম্পর্ক, নীতি-নৈতিকতা ও রাষ্ট্র হেগেল কিভাবে বিচার করেছেন তার ইঙ্গিতও এই অল্প কথার মধ্যে আমরা টের পাই।
সত্য শুধু বিশুদ্ধ বুদ্ধির নির্ণয় নয়, বরং মানুষ তার ইন্দ্রিয়পরায়ণ তৎপরতার পরিমণ্ডলে যে সত্য 'উপলব্ধি' করে সেখানেও চিন্তা বা বুদ্ধির কারবার হাজির থাকে, তবে আত্মসচেতন চিন্তা হিসাবে নয়। সে কারণেই একে আমরা কাঁচা ইন্দ্রিয়োপলব্ধি বলি, বুদ্ধি যে কাঁচামাল থেকে জ্ঞান উৎপাদন করে। ইন্দ্রিয়োপ্লব্ধির সত্য বুদ্ধি তার নিজের স্বরূপে কিম্বা নিজের পরিমণ্ডলে কিভাবে প্রকাশ করবে হেগেলের দর্শনের সেটাই ছিল প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে সকল বৃত্তির সামষ্টিক উদ্যোগ বা প্রণোদনা থেকে মানুষ যে সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, বুদ্ধি সেই সত্য নিজের স্বরূপে আদৌ ধারণ বা প্রকাশ করতে পারে কিনা সেটা দর্শনে এখনও বড়সড় তর্ক হয়ে রয়েছে। ধর্মের পর্যালোচনা সেই তর্ককে সক্রিয় ও সজীব চিন্তার নিজের সমস্যা হিসাবে বুঝতে আমাদের সাহায্য করতে পারে। যে কারণে 'ধর্মের পর্যালোচনা ও বাংলাদেশে ইসলাম' নিয়ে আমরা আলোচনা শুরু করেছি।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের এই কালে ইসলামের বিরুদ্ধে তীব্র বিদ্বেষ ও বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গীর প্রাবল্য মোকাবিলা করতে হলে দর্শনের দিগন্ত থেকে ইসলামের রাজনৈতিক-দার্শনিক প্রস্তাবনাকে নতুন করে বিচারের দরকার আছে। পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়নের এই কালে সামগ্রিক ভাবে চিন্তার যে সংকট তা মীমাংসার ক্ষেত্রে ইসলাম আদৌ কোন অবদান রাখতে সক্ষম কিনা সেটা দর্শনের নিজেরই অন্বেষণের বিষয়। সেই অনুসন্ধানের তাগিদ থেকে এই লেখা।
পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থায় বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায় হিসাবে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার প্রকট লড়াই জারি রয়েছে। বলাবাহুল্য, এই আলোচনা সেই বাস্তবতার বাইরে নয়। পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থায় বিভিন্ন জাতি, গোষ্ঠি, সম্প্রদায়, শ্রেণি এবং বিভিন্ন শারিরীক চিহ্নে ও শারিরীক বাসনায় বিভক্ত জগতে সম্প্রদায় হিসাবে মুসলমানদের লড়াইও নানা কারনে অনিবার্য বটে, কিন্তু ধর্মীয় সম্প্রদায় হিসাবে মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার লড়াই আর বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় মানুষের চিন্তার সংকট মীমাংসার ক্ষেত্রে ইসলামের সম্ভাব্য অবদান বিচার সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। ইসলাম শুধু মুসলমানদের জন্য নাজিল হয় নি, ফলে তা মানুষের চিন্তার ইতিহাস ও দর্শনেরও বিষয়। এই অনুমান থেকে লেখাগুলো পাঠ করলে পাঠক উপকৃত হবেন আশা করি।
- See more at: http://chintaa.com/index.php/network/index/bangla#sthash.OYNrOjTu.dpuf