0


আবাসন ব্যবসায়ীরা কি ঢাকাকে বসবাসযোগ্য নগর থাকতে দিবে?

রাজধানীতে অধিবাসীর সংখ্যা খুব দ্রুত বাড়ছে। এই বাড়ন্ত অধিবাসী ও নগর অবকাঠামোর হিসাব মাথায় রেখেই ঢাকা বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছিল দুই হাজার চার সালে। দীর্ঘ ছয় বছর পর চূড়ান্তভাবে ড্যাপের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার, গত বাইশে জুন। পরিকল্পনাটার উদ্দেশ্য, ঢাকাকে একটা পরিকল্পিত বাসযোগ্য নগর হিশাবে গড়ে তোলা। আবাসিক এলাকা, শিল্প এলাকা, বাণিজ্য এলাকা, রাস্তাঘাট, কৃষি জমি, বন্যা প্রবাহ এলাকা, খোলা জায়গা, বিনোদন পার্ক, খেলার মাঠ, জলাধার, প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ইত্যাদি আলাদাভাবে নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে পরিকল্পনাটিতে।

নগর বন্যামুক্ত রাখা ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা সুবিধার জন্য ড্যাপে সুপারিশ করা হয়েছে একুশ শতাংশ জমি জলাধার হিশাবে রাখার। কিন্তু পরিকল্পনাটি নেয়ার পরও আবাসন ব্যবসায়ীরা এসব এলাকা ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে ও প্লট বানিয়ে বিক্রি করেছে। রাজউকের তখন এসব কাজে বাধা দেয় নাই, তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রেই রাজউকের আনুষ্ঠানিক অনুমতি ছিল। তাছাড়া রাজউক নিজেই এমন অনেক জমি বেআইনিভাবে ভরাট করে স্থাপনা তৈরি করেছে। এখন সরকার এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন করতে উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে বেআইনিভাবে ও জোর করে দখল করা জমি রক্ষা করতে আবাসন ব্যবসায়ীরা ড্যাপের বিরুদ্ধে চরম অবস্থান নিয়েছে।

সময় ক্রম

১৯৯৩-১৯৯৫: এই সময়ের মধ্যে ঢাকা মহানগর উন্নয়ন পরিকল্পনা (ডিএমডিপি) নেয়া হয়। এ পরিকল্পনায় নগরায়নের কাঠামো ও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়। পরিকল্পনাটি নেয়া হয়েছিল জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (ইউএনডিপি) এবং ইউএন-হ্যাবিট্যাটের আর্থিক সহায়তায়। ইউএন-হ্যাবিট্যাটের পুরা নাম হল জাতিসংঘ মানব আবাসন সংস্থান কর্মসূচি। জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলার বিভিন্ন নগরকে সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে মজবুত করে গড়ে তোলা। ডিএমডিপিতে তিন ধাপ পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছিল। প্রথম দুইট


ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন



৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।