পাক্ষিক চিন্তা ১০ আগাস্ট ২০১০ সংখ্যা


শ্রমিকদের সংগঠন করতে না দেয়া এবং দাবিদাওয়া জানানোর নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থার অনুপস্থিতি যারা তৈরি করেছে তারাই আবার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের রাস্তায় নামতে দেখলে 'বিশৃঙ্খলা ও 'নৈরাজ্যের' জিগির তোলে। প্রচার মাধ্যমে সমস্ত কিছু ছাপিয়ে তখন 'দেশের ক্ষতি' এবং 'শিল্পখাত ধ্বংসের পাঁয়তারার চিৎকার। এর পেছনে উদ্দেশ্য ও প্রচারণা কৌশল্টাও বেশ পুরানা এবং প্রতিষ্ঠিত। 

  • ন্যূনতম মজুরি পাঁচ হাজার টাকা হলে কি রফতানিমুখি পোশাকখাত বন্ধ হয়ে যাবে?
  • 'কমিউনিস্ট’দের রিমান্ড সমস্যা
  • প্রণবমূখার্জির ঝটিকা সফর অতঃপর কোন ঝড়?
  • বিদ্যুত উৎপাদন এবং জ্বালানি নিরাপত্তায় কয়লা নীতি
  • কাশ্মিরঃ দক্ষিণ এশিয়ার ফিলিস্তিন
  • নতুন মজুরি কাঠামোঃ ক্ষোভ ও প্রয়োজন মেটাতে পারে নাই
  • বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার প্রশ্ন
  • মাওবাদঃ ইনসাফ আদায়ের লড়াই ইনডিয়ার ‘নিরাপত্তার প্রত হুমকি

সেই সত্তর দশক থেকে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ফর্মুলা মাফিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অংশ নেয়ার একমাত্র দাওয়াই হয়ে পড়ে সস্তা শ্রমে পোশাক বানাবার কারখানা বসানো -- তৈরি-পোশাক খাত। সেই ফর্মুলা যতটা না বাংলাদেশের প্রয়োজনে ছিল, তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল আমেরিকা এবং ইওরোপের বাজারের নিজস্ব প্রয়োজন মেটানো। কারণ, তাদের জীবনযাত্রার মান অনুযায়ী একজন শ্রমিককে কমসে কম যে মজুরি দিতে হয়, সেই খরচে পোশাক বানালে চড়া দাম পড়ে যায়। অন্যান্য শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকের মত দক্ষতার দরকার হয় না তৈরি-পোশাক খাতে, ফলে ওইসব শিল্পের মত সমান মজুরি দিয়ে পোশাক বানানো ওসব দেশে লাভজনক না। অন্যদিকে এ খাতের শ্রমিকের ভোগ্যপণ্যের খরচের কারণে শ্রমিকের মজুরিও অনেক বাড়ে। খরচ কমানোর উপায় বের করতে সস্তায় খাটানো যাবে এ রকম বিপুল সংখ্যক মজুদ শ্রমিকের দেশগুলাকে দিয়ে রপ্তানিমুখি খাতের তত্ত্ব গেলানো হয়। বাংলাদেশে যার জন্য রীতিমত সামরিক সরকার --এরশাদের সরকারের আমদানি হয়।

সেই সত্তর দশক থেকে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ফর্মুলা মাফিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অংশ নেয়ার একমাত্র দাওয়াই হয়ে পড়ে সস্তা শ্রমে পোশাক বানাবার কারখানা বসানো -- তৈরি-পোশাক খাত। সেই ফর্মুলা যতটা না বাংলাদেশের প্রয়োজনে ছিল, তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল আমেরিকা এবং ইওরোপের বাজারের নিজস্ব প্রয়োজন মেটানো। কারণ, তাদের জীবনযাত্রার মান অনুযায়ী একজন শ্রমিককে কমসে কম যে মজুরি দিতে হয়, সেই খরচে পোশাক বানালে চড়া দাম পড়ে যায়। অন্যান্য শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকের মত দক্ষতার দরকার হয় না তৈরি-পোশাক খাতে, ফলে ওইসব শিল্পের মত সমান মজুরি দিয়ে পোশাক বানানো ওসব দেশে লাভজনক না। অন্যদিকে এ খাতের শ্রমিকের ভোগ্যপণ্যের খরচের কারণে শ্রমিকের মজুরিও অনেক বাড়ে। খরচ কমানোর উপায় বের করতে সস্তায় খাটানো যাবে এ রকম বিপুল সংখ্যক মজুদ শ্রমিকের দেশগুলাকে দিয়ে রপ্তানিমুখি খাতের তত্ত্ব গেলানো হয়। বাংলাদেশে যার জন্য রীতিমত সামরিক সরকার --এরশাদের সরকারের আমদানি হয়। যে কোন শিল্পেরই সাধারণ সমস্যা হল শ্রমিকের জন্য সস্তায় ভোগ্যপণ্য যোগান দেয়া। যা মূলত কৃষি এবং কৃষিজাত কাঁচামাল থেকে আসে। ফলে কৃষি ও শিল্প পরস্পর হাত ধরাধরি করে বিকশিত হয়। কিন্তু রপ্তানিমুখি খাতের নামে বাংলাদেশে এ সম্পর্ক ছিন্ন করিয়ে শিল্পের উৎপাদন আন্তর্জাতিক বাজারে যুক্ত করা হয়েছে। যার আসল অর্থ হল, বাংলাদেশ স্বল্পমূল্যে কৃষিপণ্যের সরবরাহ করতে পারার ফলে পোশাক শ্রমিকের ভোগ্যপণ্যের খরচ কম হওয়ার যে সুবিধা পেত, সেই সুবিধাটা আমেরিকা এবং ইওরোপের শিল্প শ্রমিক বা শিল্পের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা টিকিয়ে রাখার কাজে ব্যবহার হচ্ছে। আবার স্থানীয়ভাবে কারখানা শ্র্রমিকদের সাথে কৃষিখাতের সম্পর্কের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য। যতক্ষণ পর্যন্ত কৃষিপণ্য সস্তায় যোগান দেয়া যাবে ততক্ষণ যাবত কারখানা শ্রমিককে কম মজুরিতে কাজে খাটানো সম্ভব হবে। ব্যতিক্রমহীনভাবে অর্থনীতির এই নিয়মই চলে আসছে, কিন্তু একই সাথে নিয়মের অতিক্রম করে আরো কিছু হচ্ছে। সেটা কি?

শ্রমিক শোষণে রাষ্ট্র, ক্ষমতাসীন শ্রেণী ও কারখানা মালিকের ত্রিপক্ষীয় জোট

সাধারণভাবে একজন শ্রমিকের খেয়ে পরে বেঁচে থাকার প্রয়োজন মেটাতে কমসে কম যে মজুরি না হলেই না, সেটাকেই ন্যূনতম মজুরি ধরা হয়। এ মজুরি প্রতিদিন সুস্থ-সবল দেহে কর্মক্ষেত্রে শ্রমক্ষমতা প্রয়োগ করার সামর্থ্য পুনরুৎপাদন এবং ভবিষ্যৎ শ্রমশক্তি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সন্তান লালন-পালনের ব্যয় হিশাবে অন্তর্ভুক্ত থাকে। সেই হিশাবে একটা পরিবারে গড়ে চারজন সদস্য সংখ্যার জন্য বাজার মূল্য অনুযায়ী যে ন্যূনতম মজুরি শ্রমিককে দেয়ার কথা সেটা কোন সময়ই দেয়া হয় নাই। সবসময়ই সেটা ছিল অর্ধেকেরও কম। যা অর্থনীতি, বাজার এবং স্বাভাবিক দরকষাকষির মধ্যে স্থির হয় না। শুরু থেকেই রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলা মিলে, বাজার ব্যবস্থার মধ্যে শ্রমপুঁজি নিয়ে দরকষাকষির সাংগঠনিক সুযোগ কেড়ে নেয়। শ্রমিকদের পেশাগত স্বার্থরক্ষার জন্য বুর্জোয়া রাষ্ট্র ও পুঁজিতান্ত্রিক বাজার ব্যবস্থার মধ্যে শ্রমিকদের স্বীকৃত অধিকার -- ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়। অন্যদিকে মালিক পক্ষ বা পুঁজিমালিক শ্রেণী ঠিকই নিজেদের স্বার্থে একজোট হয়ে ব্যবসায়িক সুবিধা নেবার জন্য বিজিএমইএ গঠন করেছে। এই জোটবদ্ধতা শাসক অংশের সাথে মিলে শ্রমিকদের বাজার ব্যবস্থার মধ্যে দরকষাকষি এবং গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করতে না দেবার প্রয়োজনেই সীমাবদ্ধ। শ্রমিকদের পাওনা এবং দাবি দাওয়ার কথা উঠলে সম্মিলিতভাবে তাতে বাধা দেওয়া এবং রাষ্ট্রশক্তিকে দিয়ে শ্রমিক ঠেঙানোর বাইরে এর আর কোন উপযোগিতা নাই। আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতিযোগিতায় সুবিধা আদায়ে সম্মিলিতভাবে পরিকল্পিত কাজ করা বা নিজেদের মধ্যে দামের মিল বজায় রেখে বিদেশী ক্রেতাকে চাপে রাখার কাজে এই সংগঠন কোন ভূমিকাই রাখে না। অপরাপর রাষ্ট্রের বাজারে ঢোকা বা বিদ্যমান বাধা দূর করতেও তারা নিজেরা কোন কিছু করতে সক্ষম হয় নাই। এই খাতের জন্মের সময়ই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও এবং সস্তা শ্রম নির্ভর পণ্য তৈরির পরও আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ অবাধে প্রবেশ করতে পারে নাই। এক্ষেত্রে আমদানিকারক পক্ষগুলার বাজার বহির্ভূত বাধা হিশাবে কোটা আরোপ ও নানা শুল্ক-অশুল্ক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক কোন কথা তোলে নাই, বরং সেই বাজার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে পররাষ্ট্রনৈতিক উদ্যোগের মধ্যে ঠেলে দেয়। শুধু প্রতিযোগিতার সক্ষমতা এবং সস্তা শ্রম দিয়ে এ খাত বাজারে অংশ নেয় নাই। এ কথা খেয়াল রাখা দরকার।

রাষ্ট্রকে অনেক রাজনৈতিক মূল্য দিয়ে দেনদরবার করে কোটা সংগ্রহ করে দিতে হয়েছে বিজিএমইএ’কে। আর সেকাজে চাপাচাপি করতে বিজিএমইএ সব সময় ব্যস্ত থেকেছে। অন্যদিকে শ্রমিকরা হয়ে গেছে আইনি অধিকার বঞ্চিত এমন এক অসহায় দাস যারা ন্যূনতম মজুরি নিয়েও সাংগঠনিকভাবে দরকষাকষি করার ক্ষমতা রাখে না, মালিকপক্ষ এমন এক একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী যারা রাষ্ট্রশক্তিকে ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারে।

শ্রমিক আন্দোলন ও মিডিয়া-মধ্যবিত্ত

শ্রমিকদের সংগঠন করতে না দেয়া এবং দাবি দাওয়া জানানোর নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থার অনুপস্থিতি যারা তৈরি করেছে তারাই আবার বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের রাস্তায় নামতে দেখলে ‘বিশৃঙ্খলা’ ও ‘নৈরাজ্যের’ জিগির তোলে। প্রচার মাধ্যমে সমস্ত কিছু ছাপিয়ে ওঠে তখন ‘দেশের ক্ষতি’ এবং ‘শিল্পখাত ধ্বংসের পাঁয়তারার’ চিৎকার। এর পেছনে উদ্দেশ্য এবং প্রচারণা কৌশলটাও বেশ পুরানা এবং প্রতিষ্ঠিত।

আমেরিকায় ১৯৩৫ সালে ওগেনার অ্যাক্ট বলে খ্যাত আইনে শ্রমিকরা সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ এবং প্রয়োজনে কারখানায় ধর্মঘট ডাকার অধিকার লাভ করে। ফলে দ্রুত সংগঠিত হতে থাকে শ্রমিকদের ক্ষমতা। মালিকদের বিপরীতে তাদের এই সংগঠিত শক্তি প্রয়োগকে সাধারণ মানুষের চোখে খারাপ এবং ধ্বংসাত্মক কাজ আকারে শনাক্ত করতে প্রচুর টাকা পয়সা খরচ করে একটি প্রপাগান্ডা কৌশল নির্ধারণ করা হয়। শ্রমিকদের লাঠিপেটা বা হাতপা ভেঙে ভয় দেখানোর চেয়ে যা কয়েকগুণ বেশি কার্যকর।

শুরু করা হয় প্রচারণার মারফতে জনমতকে শ্রমিক বিরোধী করে তোলার প্রক্রিয়া। দেশের স্বার্থ, ব্যবসা ও অর্থনীতির ক্ষতিসাধনে তৎপর হিশাবে চিত্রিত করা হয় বিক্ষোভ বা ধর্মঘটকারীদের। ‘আমরা’ এবং ‘তারা’ এই দ্বিবিভাগের মধ্যে ফেলে দেখানো হয় বিক্ষোভকারীরা নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা আর ভাঙচুর করে -- তারা দেশের শত্রু। তারা শিল্প এবং ব্যবসার ক্ষতি করছে, তারা জাতীয় উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। শান্তি ও সমৃদ্ধির বারোটা বাজাচ্ছে। পরবর্তীতে এই প্রপাগান্ডা পদ্ধতির নামকরণ করা হয় -- ধর্মঘট ছত্রভঙ্গ করার বৈজ্ঞানিক উপায়। বাংলাদেশের একশ্রেণীর প্রচার মাধ্যম উৎসাহী হয়ে ষড়যন্ত্র খুঁজছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে সরকার একে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার ঠেকানোর অপচেষ্টা বলে আখ্যায়িত করছে। শহুরে মধ্যবিত্তের সামনে দীর্ঘ যানজটের ছবি কিম্বা ‘তাণ্ডব-ভাংচুর-নৈরাজ্যে’র শিরোনাম হাজির করে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ঠেলে দিচ্ছে তাদের। এই প্রচারণা কৌশল পুরা আন্দোলনের ন্যায্যতাকে নস্যাত করে উশৃঙ্খলতা এবং জনভোগান্তি বাড়ানোর উপদ্রব হিশাবে আন্দোলনের খবর পরিবেশন করে।

উৎপাদনশীলতা, মজুরি ও দক্ষতা

আমরা অনুসন্ধানে দেখিয়েছি বাংলাদেশ এখনো বিশ্ববাজারে তার প্রতিযোগীদের চেয়ে এগিয়ে। সেটা প্রধানত কম খরচে উৎপাদন ধরে রাখার পুরা দায়টা শ্রমিকদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার মাধ্যমে কার্যকর রয়েছে। যদি ধরে নেয়া হয় মজুরি বাড়ালে এই খাতের উৎপাদন ব্যয় বর্তমানের চেয়ে বাড়বেÑ তাহলে সেই ব্যয় কমাতে সামগ্রিকভাবে উৎপাদন ব্যবস্থাপনার উৎকর্ষ সাধনের প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে। শ্রমিক ঠকানো কোন কার্যকর উপায় না। বিভিন্ন দেশের সাথে বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরির বিস্তর ফারাকের সাথে আছে উৎপাদনশীলতায় পিছিয়ে থাকাও। কিন্তু সেই উৎপাদনশীলতা কিভাবে বাড়বে? বাংলাদেশের শ্রমিকরা আধবেলা খেয়ে, অপুষ্টিতে ভুগে তো প্রান্তিক সক্ষমতার চেয়ে বেশি দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারবে না, পারছে না। এ অদক্ষতা সামগ্রিকভাবে এ খাতের প্রবৃদ্ধি ও স্থায়িত্ব অর্জনের জন্যই বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এসব শ্রমিকের সুষম খাদ্য গ্রহণের সুযোগ ও পুষ্টিমান বাড়লে তা সরাসরি দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উৎপাদনশীলতায় গতি আনবে। সর্বোচ্চ উৎপাদন সক্ষমতা তারা কাজে লাগাতে পারবে। শ্রমঘণ্টাপ্রতি উৎপাদনশীলতা বাড়লে তাতে উৎপাদন খরচের সাশ্রয় হবে, ফলে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার সক্ষমতায় এগিয়ে যেতে পারবে। অথচ সেই পুঁজিতান্ত্রিক সূত্রের পথটাও কারখানা মালিকরা ধরতে রাজি না। তারপর আছে পুরা উৎপাদন প্রক্রিয়া ও স্তরবিন্যাসে ধারাবাহিক সৃষ্টিশীলতা আনতে গবেষণা ও ব্যবস্থাপনাগত উৎকর্ষ সাধনের দরকার। সেসবের কোন আভাসও বাংলাদেশের পোশাক খাতে দেখা যায় না। কারণ সহজে শ্রমিক শোষণের রাস্তা থাকলে ওসবে আর কে যায়! দ্বিতীয় আরেকটা সমস্যার কথা বলা হয়; হঠাৎ মজুরি বেশি বাড়লে না কি মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাবে। বেড়ে যে যাবেই তার কোন অনিবার্যতা নাই। আমরা দেখিয়েছি মেক্সিকোর বেলায় সেরকমটা ঘটে নাই। কিন্তু মজুরি বাড়ার ফলে ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে, অর্থনীতির সূত্র মোতাবেক স্থানীয় বাজারে কার্যকরভাবে অভ্যন্তরীণ চাহিদা ব্যাপক বাড়বে। যেকোন অর্থনীতির জন্য সেটা কাম্য এবং দরকারি। বিপুল সংখ্যক ভোক্তাশ্রেণীর ক্রয়ক্ষমতা বাড়লে অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিতেই প্রাণসঞ্চার হবে।

 

 


ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন



৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।