আতাউস সামাদ ও তারামন বিবির 'বীরপ্রতীক' পদক


সামাদ ভাই যেন হঠাৎ করেই আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন, কিন্তু তাঁর দরাজ গলার হাসি এবং কথা বলার বিশেষ ভঙ্গি আমাদের কানে বাজতেই থাকবে।সামাদ ভাইয়ের অনেক সাংবাদিক ছাত্র-ছাত্রী আছেন, আমার সে সৌভাগ্য হয় নি। কিন্তু আমি তাঁকে যেভাবে দেখেছি, এবং তাঁর কাছ থেকে যে উপকার পেয়েছি আজ সে কথা না বললে বড় অপরাধ হবে। না, সেটা ব্যাক্তিগত উপকার নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান কিভাবে দিতে হয় এবং তার জন্য কিভাবে কাজ করতে হয়, কৌশলী হতে হয়, সে শিক্ষা তিনি তাঁর অজান্তেই আমাকে দিয়েছেন। ওর মধ্য দিয়ে তিনটি বিষয়ে তাঁর নীতি ও অবস্থান তিনি আমাদের কাছে অনায়াসেই প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন। কিন্তু সেটা করেছেন মুখে কিছু না বলে শুধু কাজ করবার মধ্য দিয়ে, নীরবে, নিজেকে প্রদর্শন করবার বা গৌরব দাবি করবার চেষ্টা না করে। সেটা হোল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদানের সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বীকৃতি আদায় এবং মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষের অবদানকে বিশেষ ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া।

এই তিনটি কাজই করা হয়েছে তারামনকে কেন্দ্র করে। যখন মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান নিয়ে কেউই কথা বলছিল না তখন নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা তথ্য সংগ্রহ করে। নারীগ্রন্থ থেকে আমরা মুক্তিযুদ্ধে নারীরা কিভাবে সরাসরি অংশগ্রহন করেছে সেইসব তথ্য প্রকাশ করতে শুরু করি। এই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৫ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার হাতে বীর প্রতীক তারামন বিবির পদক নেয়ার ব্যাপারে আমরা আতাউস সামাদের সহযোগিতা চাই। বাংলাদেশের একজন প্রথম সারির সাংবাদিক হিশাবে তার প্রভাব ও গ্রহণযোগ্যতা আমরা কাজে খাটাতে চেয়েছিলাম। তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে যেভাবে এই কাজটি করেছেন নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা ও সম্মিলিত নারী সমাজের নেত্রীরা সেটা কখনোই ভুলবেন না।এই ছুতায় তাঁকে জানার সুযোগ পেয়ে আমিও নিজেকে ধন্য মনে করছি।

আমরা তাঁকে বিবিসির আতাউস সামাদ হিশেবেই জানি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তাঁর সম্মানবোধ দেখে তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধা অনেক গুণে বেড়ে গেছে। মহিলাদের মুক্তিযোদ্ধ্বা হিশেবে ইতিহাসে স্বীকৃতি দেয়া হয় না বলে আমরা ১৯৯০ সালের ১৭ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে মহিলা মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করেছিলাম। কিন্তু তখনও আমরা তারামনের খবর জানি না। আমরা কেবল জানি আর্মি কোরের ক্যাপ্টেন সেতারার কথা। তারপর ময়মনসিংহের গবেষক বিমল কান্তি দে এবং সাংবাদিক পরিমল মজুমদারের অনুসন্ধানের কারণে আমরা তারামনের খবর জানতে পেরেছিলাম। তারামন গরিব এবং নারী; বৈষম্যের শিকার হবার জন্যে এ দুটো নিয়ামকই যথেষ্ট।তার ওপর তিনি সে সময় খুব অসুস্থ ছিলেন। তিনি ছিলেন যক্ষা রোগে আক্রান্ত। তারামনকে আমাদের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মুক্তিযোদ্ধারাও খুব খোঁজার চেষ্টা করেন নি, তাই কুড়িগ্রামের বাজিতপুরে তিনি মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র যোদ্ধা হয়েও অবহেলিত অবস্থায় পড়েছিলেন স্বাধীনতার ২৫ বছর পরেও।


তিনটি বিষয়ে আতাউস সামাদ তাঁর নীতি ও অবস্থান বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের কাছে অনায়াসেই প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছেন। কিন্তু সেটা করেছেন মুখে কিছু না বলে শুধু কাজ করবার মধ্য দিয়ে, নীরবে, নিজেকে প্রদর্শন করবার বা গৌরব দাবি করবার চেষ্টা না করে। সেটা হোল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদানের সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বীকৃতি আদায় এবং মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষের অবদানকে বিশেষ ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া।


মহিলা মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারটি ১৯৯০ সালের পর নারীগ্রন্থ প্রবর্তনার আয়োজনে প্রতি বছর পালিত হতে থাকে। এরই মধ্যে তারামনের আবিষ্কার যেন সবাইকে খুব উজ্জীবিত করে। তিনি অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন এবং বীর প্রতীক খেতাব পেয়েছেন এই কথা সেই ১৯৭৩ সালের গেজেট নোটিফিকেশানে লিপিবদ্ধ করা আছে। কিন্তু এই খেতাব তিনি এখনও হাতেই পান নি, কারণ তিনি পড়ে আছেন সকলের অগোচরে।এর আগে ১৯৯২ সালে মুক্তিযুদ্ধ্বে বীরত্বপূর্ণ অংশগ্রহণের জন্যে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ অনুষ্ঠান করে প্রধানমন্ত্রী নিজে পদক দিয়েছেন। কিন্তু সে সময় তারামনের খোঁজ কেউ জানতো না। তারামনকে যখন আমরা খুঁজে বের করলাম তখন আমাদের প্রশ্ন ছিল তাঁর অবদানের স্বীকৃতি নিশ্চিত করা যাবে কি? তাঁকে যখন পাওয়া গিয়েছে তখন একইভাবে প্রধানমন্ত্রীর খেতাব তুলে দেয়া হবে না কেন?

তারামন বিবিকে ঢাকা আনার উদ্যোগ নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা গ্রহণ করে এবং সম্মিলিত নারী সমাজের নেত্রীরা একজোট হয়ে তাঁর পদক পাওয়ার বিষয়টি জোরালোভাবে দাবী তোলেন। আমরা অবশ্য বুঝতে পারি নি এটা করতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। কিন্তু আমাদের ভাগ্য ভাল যে এরই মধ্যে আমাদের সাথে যোগাযোগ হয় আতাউস সামাদ ভাইয়ের সাথে। পরে বুঝেছিলাম তিনি যদি আমাদের সাথে না থাকতেন তাহলে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তারামনের খেতাব নেয়া হোত না। তারামনকে ঢাকা আনার পর থেকে দেখেছি সাংবাদিকরা তাঁর ব্যাপারে খুব আগ্রহী এবং অনেকেই তাঁর সাক্ষাতকার নিয়েছেন। সে সময় তারামনের কন্টাক্ট পার্সন হয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের সময় দেবার বিষয় সহকর্মীদের সাথে ঠিক করার দায়িত্ব আমার ওপর পড়ে গিয়েছিল।

এই সুবাদেই হয়তো আতাউস সামাদ ভাই একদিন আমাকে নিজেই ফোন করলেন এটা জানাবার জন্যে যে বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে তারামনের সাক্ষাৎকার নেবার জন্যে আমাকে ফোন করতে পারেন। অর্থাৎ তিনি নিজেই সে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সে সময় তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলামের সাথে তিনি নিজে কথা বলে রেখেছেন। যথারীতি ফোন এলো এবং সাক্ষাৎকারটি গ্রহন করা হোল। এই কাজটি এক কথায় বলা যায় সামাদ ভাইয়ের অবদান। এ সব কথা পাক্ষিক চিন্তা (বছর ৫, সংখ্যা ৯, ১৫ জানুয়ারি, ১৯৯৬) সংখ্যায় পাওয়া যাবে।

মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্ট –এর কাছে তারামন বিবির পদকটি রাখা আছে। ১৩ ডিসেম্বর তারিখে আমার কাছে ফোন করলেন জনাব শাফায়াত আলী। তিনি আমাকে বললেন, তারামনের পদক ট্রাষ্টের কাছে আছে, আমরা তারামনকে নিয়ে আসলে এটা তাঁকে দিয়ে দেওয়া যাবে। তারামন তাঁর পদকটি চেয়েছেন, এটা তিনি এর আগে সব সভায় বলেছেন। পদকটি পেলে তার ‘বীর প্রতীক’ খেতাবটি তাৎপর্যপুর্ণ হবে। তাই বলে কোন অনুষ্ঠান ছাড়া এমনিতেই নিয়ে আসাটা আমরা কেউ সমর্থন করতে পারলাম না। তাই আমরা কেউ রাজী হলাম না। তারামনকে যখন বললাম, তিনিও আমাদের সাথে একমত হলেন। সে বছর ডিসেম্বর মাসের ১৭ তারিখ মহিলা মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করে ফিরে এসে আমরা দেখলাম, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্টের পক্ষ থেকে তারামনের নামে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে, আমাদের ঠিকানায়। সেখানেও ঐ একই কথা। পদকটি এসে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সঙ্গে সত্যায়িত করা পাসপোর্ট সাইজের ছবি লাগবে।

চিঠিটি পেয়ে তারামনকে পড়ে শোনালাম। অন্যদের সঙ্গেও আলাপ করলাম। সবারই এক কথা, যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে এ পদক দিতে হবে। এতো বড় সুযোগ ছিলো বিজয় দিবস উপলক্ষে কোন একটি অনুষ্ঠানে পদকটি দেয়ার ব্যবস্থা করা। কিন্তু সরকার তারামনকে হাতের কাছে পেয়েও সে কাজটি করছেন না। সম্মিলিত নারী সমাজ থেকে আমরা লিখিত পত্রে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্টের কাছে দাবি জানালাম, তারামন বেগমকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদকটি দেয়া হোক।

এদিকে তারামনের বাড়ী ফিরে যাবার সময় হয়ে গেছে। ছোট দুটি ছেলে-মেয়েকে ফেলে এসেছেন বলে বেশ উৎকণ্ঠায় থাকেন সব সময় তারামন এবং তাঁর স্বামী আব্দুল মজিদ। কাজেই বেশীদিন তাঁকে ধরে রাখা যাবে না। ডাক্তার পরীক্ষা করতে দিয়েছেন, সেগুলো হয়ে গেলেই তিনি চলে যাবেন ঠিক করলেন।

ঠিক এই সময় তারামন বেগমকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদক দেয়ার জন্যে যার সক্রিয় প্রচেষ্টা আমাদের উদ্দেশ্য সফল করতে সাহায্য করেছিল তিনি ছিলেন আতাউস সামাদ ভাই। তিনি সকাল বিকাল আমাকে ফোন করতেন এ ব্যাপারে তাঁর কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে। আমরা সবাই আন্তরিকভাবে চাইছিলাম তারামন যেন সম্মানের সঙ্গে পদকটি নিয়ে যেতে পারেন। তিনি এই পদকটি চেয়েছেন। শত দুঃখের মধ্যে দিন যাপন করছেন, মরণব্যাধি যক্ষায় কষ্ট পাচ্ছেন, ছেলেমেয়েদের পড়াতে না পারার দুঃখ মনে লেগেই আছে, অথচ যখনই বলা হয়, আপনার দাবি কি ? তখন তারামন বলেন, আমি তো খেতাব চাইয়া বইসা আছি। এই বীর প্রতীকে কি আছে আমি দেখতে চাই।

বীর প্রতীক খেতাব পদকটি তার প্রাপ্য। সেই কারণেই সম্মিলিত নারী সমাজ দাবী করেছিল দেশের সরকার প্রধান যিনি, তিনিই দেবেন। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদকটি নেয়া ছিল তারামনের যোগ্য মর্যাদা পাবার একটি নিদের্শন স্বরূপ। শেষ পর্যন্ত ১৮ ডিসেম্বর তারিখে প্রধানমন্ত্রীর সচিবলায় থেকে প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব সবিউদ্দিন আহমেদ আমাকে জানালেন ১৯ তারিখ দুপুর ১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তারামন বেগমকে প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে পদকটি দেবেন। ইতিমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্ট আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারামনের সঙ্গে প্রাথমিক কাজগুলো সেরে নেবেন।

সেদিনই মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্টের জেনারেল ম্যানেজার জনাব শাহাজান আসলেন এবং তারামনের সঙ্গে প্রাথমিক পরিচিতি সেরে নিলেন। পরদিন তিনি তারামন বিবিকে প্রথমে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্ট এবং সেখান থেকে প্রধানন্ত্রীর কার্যালয়ে নিয়ে যাবেন বলে জানালেন। আমরা সম্মিলিত নারী সমাজের পক্ষ থেকে কয়েকজন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে জানালাম, তাঁরা সেটা গ্রহণ করলেন।এসব কিছু সহজে হয়ে যাচ্ছিল যার কারণে, তিনি ছিলেন আতাউস সামাদ ভাই। দুপুর ১১ টায় যথারীতি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্টের গাড়ী এসে তারামনকে নিয়ে গেলো। আমি এবং তারামনের স্বামী আব্দুল মজিদ সঙ্গে ছিলাম। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্টে যাবার পর তাঁরা অত্যন্ত আন্তরিক ব্যবহার করলেন। এবং তারামনকে ২৫ হাজার টাকার অনুদান দেয়ার জন্যে ব্যবস্থা নিলেন।

দুপুর সাড়ে ১২ টায় আমরা প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের গেটে পৌছালাম। সেখানে গেটের গার্ডরা তারামনকে দেখার জন্যে বেশ উদগ্রীব ছিলেন। তাঁরা গাড়ীর জানালার কাছে এসে তাঁরামনের সঙ্গে কথা বলেন। তারা বেশ খুশি মনে হোল তারামনকে পদক দেয়া হচ্ছে বলে।

একসময় আমরা ভেতরে ঢুকলাম। একটি রুমে আমাদের অপেক্ষা করতে বলা হোল। এই রুমেই অনুষ্ঠানটি হবে।আমাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্টের কর্মকর্তারা এসেছেন। তাঁরাও সেখানে বসে রইলেন। তাঁদের হাতেই পদকটি আছে। এই রুমে দুটি রাজকীয় চেয়ার আছে, পেছনে দুটি পতাকা, একটি বাংলাদেশের পতাকা, অন্যটিতে প্রধানমন্ত্রী লেখা। রুমটিতে সোফা দিয়ে সাজানো। এক সময় তারামনের ডাক পড়লো প্রধান মন্ত্রীর কক্ষে। প্রায় ২০ মিনিট একান্তে কথা বলার পর তারামন ফিরে আসলেন, তার কিছুক্ষণ পরেই আসলেন প্রধান মন্ত্রী খালেদা জিয়া। সঙ্গে তাঁর একান্ত সচিব এবং অন্যান্য কর্মকর্তা। বিটিভি ক্যামেরা এলো, অনুষ্ঠান শুরু হোল। প্রধানমন্ত্রী তারামনকে নিজ হাতে পদকটি গলায় পরিয়ে দিলেন। তারপর বীর মুক্তিযোদ্ধা তারামন এবং প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া পাশাপাশি চেয়ারে বসলেন। দৃশ্যটি আজো চোখে ভাসছে এবং সামাদ ভাইয়ের কথা মনে পড়ছে। প্রধান মন্ত্রীর তহবিল থেকে আরো ২৫ হাজার টাকা দিলেন।

এই ঘটনার অনেক বিস্তারিত লেখা যায়। পাক্ষিক চিন্তা পত্রিকায় সবই আছে। কিন্তু আজ আমি শুধু একটি কারণে লিখছি। অনেকেই সামাদ ভাইয়ের সাংবাদিকতা, তাঁর রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সম্পর্কে অনেক কিছুই লিখবেন। কিন্তু আমার একটি ছোট অভিজ্ঞতায় তাঁর যে বিশাল মনের পরিচয় পেয়েছি, এবং নারী আন্দোলনের প্রতি তাঁর যে শ্রদ্ধা দেখেছি, আজ একজন নারী আন্দোলন কর্মী হয়ে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাবার জন্যেই এই লেখা। তাঁর আত্মা শান্তিতে থাকুক।

৩০ সেপ্টেম্বর ২০১২। শ্যামলী।


ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন



৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।