১৫. করোনাভাইরাস, জীবানু মারণাস্ত্র এবং বৈশ্বিক নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ


চিনের উহানে নতুন করোনা ভাইরাস (তারিখ) সংক্রমণ দেখা দেবার আগে SARS-CoV-2 নামক কোন ভাইরাস আছে এটা কেউই জানত না। এই নতুন ভাইরাসটির নাম দেওয়া হয় কোভিড-১৯। এখন কোভিড-১৯ সারা দুনিয়াকে আক্রমণ করছে, প্রায় সারা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়েছে। খুব সম্ভবত দুনিয়ার খুব কম মানুষই এর সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাবে। বিল গেইটস স্বাস্থ্যকে আগামি দিনে প্রধান বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিশাবে চিহ্নিত করবার পেছনে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তি দিচ্ছিলেন, আগামি দিনে ১ কোটির মতো মানুষ আগের মতো পারমাণবিক বোমায় না, মরবে ভয়ানক সংক্রামক রোগে। কোভিড-১৯-এর মতো ভয়াবহ বৈশ্বিক মহামারীর কথা আজ নয়, অনেক আগে থেকেই বিল গেইটস সহ অনেকেই বলে আসছিলেন। দুনিয়াব্যাপী স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিপর্যয় এবং বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য খাতে পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষেত্র নির্দেশ করবার জন্যই 'মেলিন্দা এন্ড বিল গিটস ফাউন্ডেশান' গড়ে উঠেছে বললে অত্যুক্তি হবে না।

এখন আমরা কোভিড-১৯ মহামারীর তোড়ে চাক্ষুষ দেখছি কিভাবে ধনি গরিব বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে, অর্থনীতি তছনছ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ, বিশেষত নিম্ন আয়ের গরিব ও সর্বহারা মানুষ অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে পড়েছেন। এই দুর্দশা এক বিশাল গহ্বরের মতো, যেখান থেকে উদ্ধার পাবার পরিষ্কার কোন পথ দেখা যাচ্ছে না। কোভিড-১৯ মানুষের আচার, আচরণ, সংস্কৃতি ও সম্পর্কে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে দিচ্ছে। বিল গেইটস বিশ্বের একজন প্রবল ধনি বলে অনেকের অপছন্দ হতে পারে, কিন্তু তিনি একটি চরম সত্য কথা বলেছেন: আসলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বলে তো কিছুই নাই, তাহলে ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে বলার তো কোন মানে হয় না। তবে যে ব্যবস্থা তিনি গড়ে তোলার কথা বলেন, সেটা মূলত মহামারী নজরদারি এবং মানুষ সহ জীবাণু, ভাইরাস ইত্যাদির চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার অধিক কিছু নয়। এই নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা তৈরি ও সচল রাখার জন্য তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ, গবেষণা, নিয়ন্ত্রণ ও পুঁজির নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈয়ার।

প্রশ্ন হচ্ছে কোভিড-১৯ কি হঠাৎ আকাশ থেকে নাজিল হোল? হুজুরদের অনেকে ইউটিউবে ওয়াজ করেছেন যে করোনা ভাইরাস আল্লার সৈনিক, মুসলমানদের রক্ষা করবার জন্য আল্লা পাঠিয়েছেন। তারা স্মার্ট ফোনসহ আধুনিক গেজেট -- এমনকি ইউটিউবের মজা বুঝতে পারলেও বিল গেইটসদের বুঝতে পারার কথা নয়। এদের করোনাভাইরাস ওয়াজে অনেকেই মহা আমোদ বোধ করেছেন। ঠিক, ইউটিউবে কয়েকজন হুজুরের ওয়াজ নিয়ে তামাশা করা, বা ‘ইসলাম’ নিয়ে টিটকারি করা বাংলাদেশে সহজ। মানুষকে অশিক্ষিত, মূর্খ বলে আমরা গালি দিতেই পারি, কিন্তু শিক্ষা বা জ্ঞানের বড়াই জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চার মহিমা থেকে তৈরি হয় না। তাই কথায় কথায় ‘মুক্তচিন্তা’ ও বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে সাধারণ মানুষের ‘অজ্ঞতা’ মেপে নিজেদের ‘অজ্ঞানতা’ পরিমাপ করবার অধিক আমরা অগ্রসর হতে পারি নি। আমাদের কাজ হচ্ছে যথা সম্ভব সাধারণ মানুষকে পথ দেখানো। তাদের আত্মঘাতী ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়া। অপমান করা নয়।

অজ্ঞতা কাটিয়ে উঠতে হবে, সন্দেহ নাই। কিন্তু বিজ্ঞান মাত্রই সত্য এবং মানুষের কল্যাণের জন্যই 'বিজ্ঞান' -- এই বাগাড়ম্বের চেয়ে চরম মিথ্যা আর কিছুই হতে পারে না। একালে পুঁজিতন্ত্র, নজরদারি ব্যবস্থা ও নিয়ন্ত্রণের যুগে বিজ্ঞান বা জ্ঞানচর্চাকে নির্দোষ ভাববার কোন যুক্তি নাই। বিজ্ঞানও পুঁজির দাস, ক্ষমতাবানদের হাতিয়ার। কৃৎকৌশলের বিপ্লব -- বিশেষত ডিজিটাল টেকনলজি, বিগ ডাটা, ইন্টারনেট, স্মার্ট ফোন -- সব কিছুই করপোরেশান ও গুটিকয়েক ক্ষমতাসীন ব্যক্তির দ্বারা বিশ্বের বাকিদের নিয়ন্ত্রণ করবার সহজ হাতিয়ার।

আধুনিক রাষ্ট্র এবং বহুজাতিক কর্পোরেশানের হাতে নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতাচর্চার বিপুল ও অবিশ্বাস্য হাতিয়ার এখন মজুদ রয়েছে। যারা ভাবছেন মহামারী বিপর্যয়ে নতুন দুনিয়া আপসে আপ হাজির হয়ে যাবে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। খোঁয়াড়ে পুরে রাখা জীব হওয়ার মধ্যেই মানুষের পরমার্থ নিহিত -- এটা বিশ্বাস হিশাবে না মানলে আধুনিক বিজ্ঞান এবং টেকনলজির সঙ্গে পুঁজির বিবাহের পরিণতি আমাদের জীবনের জন্য কি পরিণতি ঘটাতে পারে সে্টা আমরা আর কিছুতেই উপেক্ষা করতে পারি না। কোভিড-মহামারীর সময় স্বাস্থ্য খাতের বিপর্যয় সেটা আমাদের নতুন করেই যেন বুঝিয়ে দিচ্ছে। আমাদের ভাবতে হবে মুনাফাকারির সহায়ক এবং নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারির হাতিয়ার হয়ে ওঠা আধুনিক বিজ্ঞানকে সঠিক পর্যালোচনা ছাড়া আমরা নির্বিচারে 'বিজ্ঞান মাত্রই কল্যাণ' দাবি করতে পারি না। বিজ্ঞান যখন নিজেকে সত্যের একচ্ছত্র দাবিদার গণ্য করে তখন সেটা পৃথিবীতে অল্পকিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভবনের কথাই বলে। বিজ্ঞান যখন আত্মসমালোচনা ও প্রতি পদে পদে পর্যালোচনার কথা বলে তখনই সত্যিকারের বিজ্ঞান কর্পোরেট মুনাফাকারী বিজ্ঞান থেকে আলাদা হয়ে যায়। সত্যের দাবি এবং সত্য প্রতিষ্ঠার তর্ক একই সঙ্গে কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার তর্ক।

সে কারনে বিজ্ঞান বা জ্ঞানচর্চা আমাদের বন্ধ করতে হবে তা নয়। চোরে বাসন চুরি করেছে বলে মাটিতে ভাত খাবার কোন যুক্তি নাই্, বরং দরকার উল্টাটা করা। বেশী বেশী বিজ্ঞান চর্চা করতে হবে। অর্থাৎ বিজ্ঞান চর্চাকে শুধু বিজ্ঞানী, কোম্পানি, পুঁজি বা ক্ষমতাশালীদের হাতে ছেড়ে দিলে চলবে না। বাস্তবতাকে জানা, বিশ্লেষণ করতে শেখা, বোঝা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের ভূমিকা নির্ধারণ করার কাজ আমরা বাদ দিতে পারি না। অতএব আধুনিক বিজ্ঞান ও কৃৎকৌশল, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ভূমিকা এবং কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক রাষ্ট্রগুলোর চরিত্র আরও গভীর, তন্ন তন্ন এবং বিজ্ঞানমনস্ক পর্যালোচনার হিম্মত নিয়েই আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। তাদের সব কথা নির্বিচারে আমাদের মেনে নিলে চলবে না।

দাজ্জাল যে রূপ নিয়েই দুনিয়ায় হাজির হোক, তাকে চিনবার সহজ পথ হচ্ছে মানুষের চিরায়ত আকুতির জায়গা থেকে, মানুষের চিরকালীন ও চিরায়ত জিজ্ঞাসাটিকেই বারবার হাজির করা। সেটা কী? সেটা হোল, কীসে মানুষের মঙ্গল, সকলের কল্যাণ -- শুধু মানুষ নয়, এমনকি দেখা বা অদেখা সকল জীব, অণুজীব, ভাইরাস, ইত্যাদি সকলের কথা ভাবা। কাউকে বাদ না দেওয়া। সকলের ভালো কীসে- সেই পুরানা, কিন্তু অতিশয় সরল ও সহজ প্রশ্ন বারবার বারবার বারবার তোলা। বারবার। এই অর্থেই মানুষকে বারবারই ধর্মে বা দ্বীনে ফিরে আসতে হয়। ধর্মের নামে তামাশা করার জন্য নয়, বিজ্ঞানকে প্রজ্ঞার অধীন করবার জন্য একালে ধর্মের প্রত্যাবর্তন জরুরী।

বলাবাহুল্য, কীসে মানুষের ভালো? কীসে সকলের কল্যাণ? -- এই জিজ্ঞাসা বিজ্ঞানের নয়, এই জিজ্ঞাসা মানুষের। মানুষ ক্ষমতাশালী প্রভুদের নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের জীব না। পুঁজির উৎপাদন ও পুনরুৎপাদনের জন্য নিজেকে জৈব পদার্থের জোগানদারে পর্যবসিত করা মানুষের কাজ না। মানুষ পৃথিবী শুধু ভোগ করবে, নাকি বিশ্বজগতকে সকল প্রাণের আবাসে পরিণত করবে, এটা স্রেফ বিজ্ঞানমূলক প্রশ্ন নয়, বরং ধর্মেরই প্রশ্ন। অর্থাৎ মানুষের নীতিনৈতিকতার প্রশ্ন।

কোভিড-১৯ না হোক, কোন না কোন ভয়াব্হ সংক্রমণ ধেয়ে আসছে বৈজ্ঞানিক মহলে সেই খবর অনেক আগে থেকেই চাউর ছিল। বিজ্ঞানের জগতে এই দুঃসংবাদ খুব একটা অজানা ছিল না। আমরাই শুধু খবর পাই নি। আমরাই বেখবর থাকি। মানুষ ভুলে যায় নবীপয়গম্বরদের কাল শেষ। আখেরি নবী এসে গিয়েছেন। এখন নতুন কোন নবী এসে তাদের আর উদ্ধার করবে না, ইসলাম সেটা বারবার বলেছে। ভাইরাসের আক্রমণে যদি হুঁশ হয়, তবেই বিশ্বের মঙ্গল।

মহামারি আসছে, সম্প্রতিকালে এ নিয়ে বিস্তর লেখালিখি হয়েছে। বিজ্ঞানী, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, অনুসন্ধানী সাংবাদিক সম্ভাব্য সংক্রমণের কথা বলে যাচ্ছিলেন। বিল গেইটস তো দীর্ঘদিন ধরেই একথা বলছেন এবং তাঁর বিনিয়োগের বৃহৎ পরিমাণ সংক্রামক রোগ সম্পর্কে প্রজেকশান ও মডেলিং-এর দ্বারা নির্ধারিত।

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম এবং মেলিন্ডা ও বিল গেইটস ফাউন্ডেশান যৌথভাবে বৈশ্বিক মহামারী সম্ভাবনা সম্পর্কে আগাম প্রক্ষেপ ও পরিকল্পনা ‘ইভেন্ট ২০১’ নিয়ে কাজ করছে অনেকদিন আগে থেকে। দুই হাজার উনিশ সালের নভেম্বরে তারা করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য আক্রমণ নিয়ে কিভাবে ভেবেছে সেটা তাদের ভিডিও দেখলেই আমরা বুঝব। কিম্বা বিল গেইটস ২০১৫ সালের মার্চে TED Talk অনুষ্ঠানে যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলো মনোযোগের সঙ্গে শুনলে আমরা বুঝব দুনিয়ার শাসক শ্রেণী করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী সম্পর্কে অনেক আগে থেকেই আগাম আন্দাজ এবং সম্ভাব্য বিপর্যয় নিয়ে ভাবছে। বিল গেইটস এই শ্রেণীরই সবচেয়ে প্রতিভাবান এবং দূরদর্শী প্রতিনিধি। তাঁকে বুঝলে আমরা বুঝব মহামারীর কালে নজরদারি, নিয়ন্ত্রণ এবং ঘটনাঘটনের ওপর প্রভাব বিস্তার বলতে আমামদের আসলে কি বোঝা উচিত।

না। কোভিড-১৯ কোন ষড়যন্ত্র নয়। পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থার জন্য কোভিড-১৯ মহামারী ভয়ানক বিপর্যয় ঘটাবে, একে কেউ ইচ্ছা করে ঘটিয়েছে তা নয়। কিন্তু এই ধরণের মহামারী ঘটবার প্রবল সম্ভাবনার কথা বহুবার অনেকে বলবার পরেও দেখা যাচ্ছে বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা মহামারী আগাম প্রতিরোধের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। এটা ব্যবস্থার মারাত্মক ও ভয়ানক বিপজ্জনক কাঠামোগত সংকট।

কোভিড-১৯ হোক বা নাহোক, কিন্তু একটি ভয়াবহ বৈশ্বিক মহামারী ধেয়ে আসছে, বিজ্ঞানী, কর্পোরেশান এবং শাসক শ্রেণি পুরাপুরি অবগত ছিল, এই দিকটাই জোর দিয়ে এখানে বলতে চাইছি। আমাদের খুব ভাল ভাবে এই দিকটা সবার আগে বুঝতে হবে। কিন্তু এযাবতকাল আধুনিক বিজ্ঞান যে সকল অনুমান ও পদ্ধতির ওপর দাঁড়িয়ে মহামারির কারণ -- বিশেষত কোভিড-১৯ জাতীয় ভাইরাস স্ট্রেইনের উৎপত্তি ও বিস্তার নিয়ে গবেষণা করছিল, সেখানে একটা মস্তো ফাঁকি রয়ে গিয়েছে। পাখপাখালি ও জীবজন্তুর মধ্যে স্বাভাবিক ভাবে বাস করা করোনাভাইরাস কেন হঠাৎ মারমুখী হয়ে উঠল, এর পুরাপুরি ব্যাখ্যা আধুনিক বিজ্ঞানের কাছে এখনও নাই। ব্যাখ্যার জায়গাটাতেই প্রবল বিতর্ক চলছে, যা এর পরে ভিন্ন পোস্টে আলোচনা করব। কিন্তু যতোই আওয়াজ বা বকোয়াজগিরি চলুক সত্য হচ্ছে এই যে এই বৈশ্বিক মহামারী ঠেকাবার কোন পথ বা পদ্ধতি এখনও আধুনিক বিজ্ঞানে, চিকিৎসা বিদ্যা কিম্বা রোগবিস্তার বিদ্যায় নাই। খারাপ খবর সন্দেহ নাই। কিন্তু এটাই সত্য।

এই সত্য মনে রেখে মহামারীর জন্য পুঁজি ও বৈশ্বিক ক্ষমতার প্রতিনিধিদের আগাম প্রস্তুতির ওপর নজরদারি বাড়ান। ‘ইভেন্ট ২০১: বৈশ্বিক মহামারী চর্চা’ (Event 201:` Global Pandemic Exercise) যেসব কাজ করছে সেটা ঘনিষ্ঠ ভাবে আমরা দেখতে পারি ও পর্যালোচনা করতে পারি। আমরা বুঝতে পারব ভয়াবহ মহামারীর সম্ভাবনা নিয়ে দুনিয়ার শাসক শ্রেণীর প্রতিনিধিরা যথেষ্ট ভেবেছে এবং সেই মহামারী মোকাবিলার পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে। এই পরিকল্পনা কতোটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে সেটাই আমরা হয়তো এখন দেখছি। মহামারী চলাকালীন সময় একে নিরীক্ষণ, পর্যালোচনা এবং তার গতি প্রক্রিয়া নিজেদের স্বার্থে পরিচালিত করবার প্রস্তুতিও তাদের রয়েছে।

মহামারীর আগাম আন্দাজ বা অনুমান করতে পারা এবং সেই সম্ভাব্যতার ওপর ভিত্তি করে সংক্রমণের ভয়াবহতা ও বিস্তারের জন্য প্রস্তুত থাকা বৈশ্বিক নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ দিক। শুরুতেই বলেছি, এই পোস্টগুলোতে সেটাই তুলে ধরতে চাইছি।

https://www.youtube.com/watch?v=0-FQbhkWYuY&fbclid=IwAR06doBj7KKZgXomUNrzEUcX2VKiUzka9KQac4AC3oHUUWpNlYpr65G_8Vw

 


ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন



৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।