চিন্তা


চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা

পাঠ্যবই বিতর্কঃ সকলের কথা শুনতে হবে

শিক্ষা আইন, শিক্ষা নীতি ও পাঠ্যবই নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্ত ভাবে। পুরা শিক্ষা ব্যবস্থাকে মাথায় রেখে সেটা হচ্ছে না। সেটা আশাও করি না। কিন্তু এখন দেখছি জাতিবাদি ও ধর্ম নিরপেক্ষ ওয়ালারা চরম গোস্বা করেছে। কেন? কারন সরকার নাকি হেফাজতের দাবি মেনে নিয়েছে। শিক্ষা কোন ব্যাপার না, পাঠ্যবই সম্পর্কে হেফাজতের আপত্তি সরকার মানলো কেন এই হোল তর্ক। টুপিপরা কোর্তাপরা এইসব বর্বর অশিক্ষিত পশ্চাতপদ মানুষ বুঝি মঙ্গলগ্রহ থেকে এসেছে, তারা এই দেশের কেউ না। এদের ছেলেমেয়ে বালবাচ্চা নাই, শিক্ষা নিয়ে এদের কোন মাথাব্যথা নাই। তো এই টুপিওয়ালাদের আপত্তি শেখ হাসিনা শেষমেষ মেনে নিল? হায় হায়। জাতিবাদী ও সেকুলার হাহাকারে চতুর্দিক দীর্ণবিদীর্ণ হয়ে যাচ্ছে!

(আরো পড়ূন)

৩. গণতন্ত্র ও শিক্ষা ব্যবস্থার সম্পর্ক

নাগরিক অধিকার ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থা

শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ গণতান্ত্রিক আদর্শ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সংক্রান্ত ধারণার বিরোধী। এ দিকটি বাংলাদেশে খুবই অস্পষ্ট। যার কারণে শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ কেন চিন্তা, বিবেক ও মত প্রকাশের বিরোধী, অতএব গণবিরোধী ও ফ্যাসিস্ট, সেটা আমরা সহজে বুঝতে পারি না।  অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা নানা ভাবে শিক্ষাকে নিয়ন্ত্রণ করে বা করবার চেষ্টা করে: যেমন ‘একই পদ্ধতি’র শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন, শিক্ষার কারিকুলাম, কিম্বা শিক্ষার্থীরা কি পড়বে বা না পড়বে তা নিয়ন্ত্রণ, পাঠ্য বিষয় নির্ধারণ, ইত (আরো পড়ূন)

২. গণতন্ত্র ও শিক্ষাব্যবস্থার সম্পর্ক

কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা: প্রপাগান্ডা, অনুমান ও ধারণা

সিস্টার্স অব দ্য হোলি নেইমস অব জেসাস এন্ড মেরি। কেন নামটি মনে পড়ল তার আগে আরও কিছু কথা বলা দরকার।

শিক্ষা আইন ও শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে কওমি মাদ্রাসার আলেম-ওলেমাদের লড়াই-সংগ্রাম গুরুত্ব না পাবার পেছনে কিছু অনুমান কাজ করে থাকতে পারে। যেমন, ১. মওলানা-মৌলবিরা ‘অনাধুনিক’ ও চিন্তাচেতনায় ‘পশ্চাতপদ’, অতএব তাদের কথাবার্তা তৎপরতাকে গুরুত্ব দেবার কিছু নাই, কওমি আলেম-ওলেমাদের খবর প্রচার না করাই ঠিক কাজ; ২. মাদ্রাসা জঙ্গী তৈরির কারখানা, কওমি মাদ্রাসার খবরাখবরের গুরুত্ব দেওয়ার অর্থ জঙ্গীদের সম (আরো পড়ূন)

১.গণতন্ত্র ও শিক্ষা ব্যবস্থার সম্পর্ক

ধর্ম, ধর্ম চর্চা ও ধর্ম প্রচারের স্বাধীনতা

সিস্টার্স অব দ্য হোলি নেইমস অফ জেসাস এন্ড মেরি। শিক্ষা ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়ে লিখতে গিয়ে নামটি মনে পড়ল।

ক্ষমতাসীন সরকারের শিক্ষা আইন ও শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে কওমি মাদ্রাসার আলেমওলেমারা দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করছেন। এই সংগ্রাম কওমি মাদ্রাসার ঐতিহাসিক সত্তা ও মৌলিক বৈশিষ্ট্য বিনষ্ট করবার আইন ও নীতির বিরুদ্ধে লড়াই। এ লড়াই খুবই গুরুত্বপূর্ণ লড়াই – বাংলাদেশের জনগণের ঐতিহাসিক বিকাশ ও নিজেদের স্বাতন্ত্র্য রক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে জড়িত। ফলে একে আমি বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক (আরো পড়ূন)

শিক্ষায় ভ্যাট আরোপ ভুলঃ অবকাঠামো নির্মান ধারণার বিরোধী

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাটবিরোধী আন্দোলন সফলতা পাবার পাশাপাশি বাংলাদেশের জনপরিসরে ভাবনার জায়গায় কিছু প্রশ্ন উঠেছে। যাদের হাতে আন্দোলনের সফলতা আসলো তারা দেশের জনপরিসরে একদমই নতুন ভাগীদার। এই দিক থেকে ভবিষ্যতে জনপরিসরে এদের অবস্থান কি হবে তা দেখার জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে আন্দোলনে জনগনের সমর্থন, শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, আন্দোলনের নতুন ভাষা ও ব্যাপ্তি সব মিলিয়ে একটা ভিন্ন আমেজ তৈরি করেছে। বিগত কয়েকদিন যাবত চায়ের আড্ডা, বাসে, পত্রিকার পাতা, টেলিভিশনের স্ক্রিন জুড়ে ছিল এই আন্দোলন। যদিও, এসব আলোচনার কেন্দ্রে ছিল সরকার কর্তৃক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেতনের উপর আরোপিত ভ্যাটের বিরোধ (আরো পড়ূন)

‘গুলি কর, নো ভ্যাট’

আজ ১১ সেপ্টেম্বর বড় বড় দৈনিক পত্রিকার খবর হচ্ছে ঢাকা চট্টগ্রাম সিলেটে যানজট। কারা দায়ী? প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কেন? তারা শিক্ষার ওপর ভ্যাট আরোপের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো আটকে দিয়েছে। ফলে অসহ্য যানজট। গতকাল অধিকাংশ টেলিভিশানে এই ছিল খবর। আজ অধিকাংশ পত্রিকার কমবেশী একই হাল।

কোন কোন পত্রিকার খবর পড়ে বোঝার উপায় নাই তারা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিক্ষোভের খবর দিচ্ছে, নাকি যানজট বা সাধারন মানুষের দুর্ভোগের সংবাদ জানাতে চায়। যানজট হয়েছে সত্য, সাধারণ মানুষের ভোগান্তিরও শেষ নাই। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর বাতাসের আর্দ্রতার কারণে শেষ ভাদ্রের ভ্যাপসা গরম। সাধারণ মানুষের প্রচণ্ড কষ্ট হয়েছে। খবর হিসাব (আরো পড়ূন)

শিক্ষা ও কওমি মাদ্রাসার রাজনীতি

হেফাজতের আবির্ভাব এবং তাদের ১৩ দফা দাবিকে কেন্দ্র করে নিজ নিজ রুচি ও হিংসার মাত্রা অনুযায়ী রাজনীতির বিভিন্ন পক্ষ বিভিন্ন ভাষায় প্রতিপক্ষকে আক্রমণ এবং নিজ নিজ শ্রেণির পক্ষে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এর দ্বারা সমাজে শ্রেণি ও শক্তির চরিত্র আমরা কিছুটা শনাক্ত করতে পারছি। এর মধ্য দিয়ে সামগ্রিক ভাবে বাংলাদেশে বুদ্ধিবৃত্তিক স্তর সম্পর্কেও ধারণা করা যায়। আসলে বাংলাদেশে কী ঘটছে তা বুঝবার জন্য সঠিক তথ্যের চেয়ে প্রচার ও প্রপাগান্ডার দিকে অতি মাত্রায় ঝোঁক এবং বিশ্লেষণের চেয়েও নিজের বদ্ধমূল অনুমান ও মতের গোঁড়ামি নির্বিচারে উগরে দেবার মানসিকতাই প্রকট হয়ে আছে।

যথেষ্ট না হলেও বিভিন্ন শ্রেণিগুলোকে চেনার জন্য তাদের দাবিদাওয়াগুলো হলো প্রাথমিক উ (আরো পড়ূন)