চিন্তা


চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা

মাহমুদুর রহমানের জামিন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার

মাহমুদ রহমান জামিনে ছাড়া পাবার পর প্যারিস, জেনেভা ও হংকং- থেকে দুটো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন যে সংবাদ ছেপেছে তার প্রথম লাইনটি ছিল এরকম: “অবশেষে ১৩২২ দিন পরে ‘আরবিট্রেরি ডিটেনশান’ থেকে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান জামিনে ছাড়া পেলেন’।

‘আরবিট্রেরি ডিটেনশান’ কথাটার এক শব্দে সহজ বাংলা করা কঠিন। এটি একটি আইনী পরিভাষা। এর মানে হোল খেয়ালখুশী মতো স্বেচ্ছাচারী কায়দায় একজন নাগরিককে কারাগারে বন্দী করে রাখা। একটি দেশে যখন আইন আদালত বলে কিচ্ছু থাকে না, তখন যাকে তাকে যখন খুশি তখন গ্রেফতার করা যায়, ফালতু ও মিথ্যা মামলা দেয়া যায়, র‍্যাব-পুলিশ-সেনাবাহিনী দিয়ে নির্যাতন করা যায়। এই খেয়ারখুশি স্বেচ্ছাচারের রা (আরো পড়ূন)

মা জেলে যেতে চান বিনিময়ে নিরপরাধ সন্তান মুক্ত হোক

২২ এপ্রিল ২০১৫। ঢাকা: অধ্যাপিকা মাহমুদা বেগম প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “আপনার ব্যক্তিগত জিঘাংসা যদি আমার ছেলেকে দীর্ঘদিন জেলে আটক রেখেও পরিতৃপ্ত না হয়ে থাকে তাহলে আমাকে জেলে নেয়ার বিনিময়ে আমার নিরপরাধ সন্তানকে মুক্তি দিন”।

তিনি প্রায় তিনবছর ধরে কারাবন্দী দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মা। সারাজীবন শিক্ষকতা করেছেন। যে দেশে বিচার বলে কিছু নাই সেই দেশে মায়ের আর্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে এই অনুরোধটুকু জানাতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি কারাগারে যেতে চান, কিন্তু নিরপরাধ সন্তান যেন মুক্তি পায়।

আজ আমার দেশ পরিবারের পক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এই আর্তি পেশ করেছেন। বাংলাদেশে অবিশ্বাস্য মান (আরো পড়ূন)

দৈনিক আমার দেশ-এর সম্পাদকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন

দৈনিক আমার দেশের সম্পাদকের মুক্তির দাবিতে আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে মাহমুদুর রহমানকে কারাগার থেকে মুক্তির জন্য প্রধান বিচারপতির উদ্যাগ কামনা করেছেন বিশিষ্ট লেখক ও সমাজ চিন্তাবিদ ফরহাদ মজহার। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি আরো বলেন, ‘সমস্ত মামলায় যেহেতু তার জামিন হয়েছে, তাই জনগণের পক্ষ থেকে আপনাকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমরা এমন মানুষের মুক্তির দাবিতে আজ মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি যিনি অনেক আগেই বলেছিলেন বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা আফ্রিকার জঙ্গলের চেয়ে ভয়াবহ। জঙ্গলেরও কিছু বিধ (আরো পড়ূন)

বর্ণ, নারীবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ: সুনেরা থোবানির বক্তৃতা

গত ৮ জানুয়ারি শুক্রবার ‘চিন্তা পাঠচক্র’ ও ‘নারীগ্রন্থ প্রবর্তনা’র উদ্যোগে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে “ফেমিনিজম এন্ড কনটেমপোরারি গ্লোবাল পলিটিক্স” বিষয়ক একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তৃতা করেন ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইন্সটিটিউট ফর জেন্ডার, রেইস, সেক্সুয়ালিটি এন্ড সোশ্যাল জাস্টিস’-এর সহযোগী অধ্যাপক ড. সুনেরা থোবানি। রেইস বা বর্ণবাদকে ঔপনিবেশিকতা এবং সাম্রাজ্যবাদ বা পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্থার বিশ্লেষণের কেন্দ্রীয় বিষয় হিসাবে হিসাবে হাজির করে সুনেরা থোবানি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনকে নতুন ভাবে বোঝা ও নতুন রাজনীতি পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন (আরো পড়ূন)

নোটিশের জবাব দেন নি, তাই অর্থদণ্ডসহ মাহমুদের তিন বছর

বিচারের সময় মামলার তদন্তকারী অফিসার নিজেই স্বীকার করেছেন দুদক এখনও মাহমুদুর রহমানের অবৈধ সম্পদের কোন হদিস পায় নি, কিন্তু তারপরও আজ ১৩ অগাস্ট ২০১৫ তারিখ বৃহস্পতিবার ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার পাঁচ বছর আগে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করছেন। এই হোল বাংলাদেশের বিচার। তিন বছরের কারাদণ্ডের পাশপাশি মাহমুদুর রহমানকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মাহমুদুর রহমানের কী অপরাধ! তাঁর বিরুদ্ধে দুদকের কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে কি? মোটেও না। তাহলে মামলাটা কিসের? ২০১০ সালের ১৯ এপ্রিল সম্পদের বিবরণী চেয়ে মাহমুদুর রহমানকে নোটিস পাঠায় দুদক। মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে (আরো পড়ূন)

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আবার তলব

আদালত অবমাননার অভিযোগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ফের তলব করেছে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল । আগামী ২২শে জুলাই তাকে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালত অবমাননার অভিযোগে এর আগে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে এক ঘণ্টা আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল-২। ডা. জাফরুল্লাহ রায়ের পর আদালতকে বলেছিলেন তিনি উচ্চ আদালতে  আপিল করবেন তার শাস্তি স্থগিত রাখা উচিত। কিন্তু আদালত তাঁকে সেই সুযোগ না দিয়ে দ্রুত আদালত কক্ষ ত্যাগ করেন। যদিও সংবিধান অনুযায়ী তাঁর সে অধিকার আছে বলে রায়ে বিচারপতিরা নিজেরাই উল্লেখ করেছেন। তারপরও লিখিত আদেশ পাবার পর আইনের প্রক্রিয়ার প্রতি শ্র (আরো পড়ূন)