ভেদ-অভেদ
তোমার গতিটা কি ধরতে পারছো
কত অল্পে কাতর হইয়া যাইতা
অথচ কত সহজে মিলাইয়া দিলা
পদ্মা মেঘনার ভেদাভেদ।
পদ্মার মানুষেরা বলে শাড়ির রঙ কচুপাতা
গায়ের রঙ ময়লা
হাতে একটা মালা প্যাচানো ছিল।
তোমার জানা হইল না-
পরিচয় দিয়া তোমার কি হয়
তবুও তারা এলান দেয়
কাগজে খবর হয়
মেঘনা পারের মানুষেরা তোমারে দেখে কাঁদে
আহা বাপ-মায়ের বুকের ধন
এ কান্নায় হয়ত তোমার হাসি আসে।
কচুপাতা রঙে সেজেছে আকাশটা
নদীর জল তো তোর চোখ থেকে গড়িয়ে পড়া
তারপরও এ নদী তোরে পৃথক রাখবে
টেকসই উন্নয়ন, ব্রিজ আর নদী শাসন থেকে।
দিন গড়ইয়া ভাসতে ভাসতে যাবি দরিয়ায়
আহা দরিয়া, ওগো সমুদ্র অনন্ত লীলাময়ী আমার।
সে লীলায় ভাসতে ভাসতে বাংলার জলযানে
কখন যে তোমার হইয়া যায়, টের পাই না
আমাদের মধ্যে একেকটা নদী শুকাইতে শুকাইতে
সাগরের দিকে ছুটতে না পারার যন্ত্রণায়
দূরে যাইতে থাকে
আর সকল ব্যাকুলতারে পিছে ফেলে।