বক্ষদ্বয়
অভিবাদন তোমায় হে প্রিয়তমা। তোমার হাতের স্পর্শে আমি পেয়েছিলাম সেদিন স্বর্গের ছোঁয়া। তুমিই প্রথম আমায় জাগিয়ে দিয়েছিলে আমার ভেতর থেকে। তোমাকে জড়িয়ে অভিমানী ঠোঁটে প্রথম চুম্বন খাওয়া দৃশ্য কি মনে আছে। সামান্য একটা চুম্বন। এতেই তুমি অজরে কেঁদেছিলে লজ্জায়। তোমার নয়নদ্বয় থেকে ঝরেছিল অশ্রুর ঝর্ণা। কি অভিমানী ছিলে তুমি! একবার কোনো কিছুতে অভিমান করলে তা ভাঙ্গানো সহজ ছিল না। অথচ এই অভিমানই আমাকে মুগ্ধ করেছিল। শুধুই মুগ্ধতা? না কি অন্য কিছু, যা শারীরিক কামের চাহিদা মেটায়? আমি কি সেই যৌন নামের কামুক তৃষ্ণাকে মেটাতে চেয়েছিলাম তোমার দেহে। তোমার দেহও কি আমায় মুগ্ধ করেছিল। আমার যৌন ক্ষুধাকে বাড়িয়ে দিয়েছিল সহস্র গতিতে? হ্যাঁ করেছিল। শুধু মুগ্ধতা নয়, আমার কামুকতাকেও বাড়িয়ে তুলেছিলে বহুগুণে। তোমার বক্ষযুগল আমার চোখকে ঝলসে দিয়েছিল। মনে হয়েছিল আমার সামনে দুটি পর্বতের শৃঙ্গ দাঁড়িয়ে আছে। তোমার বক্ষের গন্ধ আমায় ঝাঁজিয়ে দিয়েছিলো। কতো কাছাকাছি। ইঞ্চির চেয়েও ঘনিষ্ঠ হয়ে আড়ষ্ট হয়েছিলাম তোমার প্রেমে। প্রেম! নাকি মুগ্ধতা? আবারো সেই প্রশ্ন। বিরক্ত হচ্ছো? প্রেম, কামুকতা কিংবা বক্ষদ্বয়ও নয়, আকৃষ্ট হয়েছিলাম তোমার বাঁকানো চোখদ্বয় দেখে। সামান্য কাজলও কি অসাধারণ মনে হয়েছিল। কাজলের কোন এক অণু আমার হৃদয় পটভূমির সীমানাকে পালটিয়ে দিয়েছিল অজান্তেই। মনে হয়েছিলো সমস্ত পৃথিবীকে পেছনে ফেলে হাজির হই তোমার সামনে।