১. ফরিদা আখতারের বক্তব্য
শ্রদ্ধাভাজনেষু
আজ আমি এবং ফরহাদ মজহার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি দীর্ঘদিন পর আমাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। গত ৩ জুলাই সকালে ফরহাদ মজহার যে ঘটনার শিকার হয়েছিলেন, সেদিন সারাদিন দেশের মানুষ, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সুশীল সমাজ, সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ করেছেন।
সুষ্ঠ তদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়ার স্বার্থেই আমরা এতদিন চুপ থাকা সঠিক মনে করেছি। গুমের শিকার অধিকা
(আরো পড়ূন)
আশা ও বাঁচা
বাংলা্লিঙ্ক বলছে দেশের জন্য শর্তহীন ভালবাসা প্রকাশের জন্য ০১৯৭১ এই সিরিজের মোবাইল নাম্বারটি নিতে হবে। সর্বোচ্চ দশ লক্ষ গ্রাহক এই সিরিজের নমবরটি নিতে পারবেন। বাকীরা পারবেন না। সতের আঠারো কোটি মানুষের দেশে মাত্র দশলক্ষ গ্রাহক শর্তহীন দেশপ্রেম দেখাতে পারবেন। অংকের হিসেবে মাত্র শূণ্য দশমিক পাঁচ শতাংশ ( ০.৫%) নাগরিকের শর্তহীন দেশপ্রেম দেখানোর সুযোগ পাবেন আর বাকি ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ লোকের জন্য আফসোস করা ছাড়া আর কিইবা করতে পারি!
আমাদের দেশপ্রেম এখন এই অবস্থায় এসে ঠেকেছে। দেশপ্রেম খুব সস্তা জিনিস। সেই ১৭৫৭ হতে ১৯৭১ পর্যন্ত পিঁপড়ের সারির মত মিছিল নিয়ে যারা হাসতে
(আরো পড়ূন)
চিন্তা পাঠচক্রে মাকাসিদ আশ-শারিয়াহ নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনার পর গত ১৯ মার্চ’১৫ ইমাম ইবনে তাইমিয়ার ‘দ্য পলিটিকাল শারিয়াহ’ বইটার উপর আলোচনা করেন জোবায়ের আল মাহমুদ।
জোবায়ের আল মাহমুদ- ইমাম ইবনে তাইমিয়া তাঁর বইয়ের শুরুতে রাজনীতিতে কি কি বিষয়ে নজর রাখা উচিত সেগুলো আলোচনা করেন। আলোচনার মধ্যে তিনি তাঁর নিজের বক্তব্য খুব একটা প্রধান করেন নাই। পুরো আলোচনার মধ্যে তিনি কোর’আন হাদিসের রেফারেন্স দিয়ে আলোচনা চালিয়ে গেছেন। ট্র্যাডিশনাল বইগুলোতে আমরা দেখব, কোরান-হাদিসের রেফারেন্স দিয়েই পরস্পর ভিন্ন দুইজন আলেম কথা বলছেন, কিন্তু কোর’আন-হাদিসগুলো সাজ
(আরো পড়ূন)
একটি রাষ্ট্রের জ্ঞানের সর্বোচ্চ স্তর তার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এই সর্বোচ্চ স্তরে এসে জ্ঞান যেমন হয়ে ওঠে পরিপূর্ণরূপে সৃষ্টিশীল, তেমনি সেটি প্রভাব সৃষ্টি করে ব্যক্তির মনন-কাঠামোর সুশৃঙ্খল পদ্ধতির উপর। মননরীতির ভিত্তি হিশেবে; দেশিক বা বিশ্বজনীন, যাই হোক না কেন সেখানে জ্ঞানই মুখ্য। চিন্তার বন্ধ্যত্ব থেকে সেই জ্ঞান যেমন মুক্ত করে সৃষ্টিশীলতাকে, তেমনি মননকে সমৃদ্ধ করার মধ্যদিয়ে দ্বার উন্মোচন করে এক নতুন দিগন্তের। তবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় যখন তার জ্ঞান নামক মুখ্য অবস্থান থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখে নানান কূপমণ্ডূকতায় তখনই তার ওপর আরোপিত হয় অজ্ঞতা, অনিশ্চয়তা, অপসংস্কৃতি-সহ মরণব্যধি
(আরো পড়ূন)
ইসলামে রাষ্ট্রের ধারণাটা জানার জন্যে আমরা মাকাসিদ-আশ্-শারিয়াহ্ নিয়ে গত দু’সপ্তাহ জুড়ে আলোচনা করেছি। এই সপ্তাহে ( ১২ মার্চ) এ নিয়ে আরও বিস্তৃতভাবে আলোচনা শুরু করেন জোবায়ের আল মাহমুদ।
জোবায়ের- গত সপ্তাহে আমি সংক্ষেপে শরিয়াহ্ কী, ফিকহ্ কী, এবং কানুন কী, এসব বিষয়ে কথা বলেছি। শরিয়াহ্, ফিকহ্ ও কানুনের মাঝে কী কী পার্থক্য আছে, তাও বলেছি। এ সপ্তাহে আমরা বিস্তৃতভাবে মাকাসিদ-আশ-শারিয়াহ্ বিষয়ে আলোচনা করব। একটি ঘটনা দিয়ে শুরু করা যাক। আমি আর রাক্বীব ভাই আসার সময় রাস্তায় অনেক যানজট ছিল। আ
(আরো পড়ূন)
ইসলামে আইনের ধরনাটা আসলে কি, তা জানা-বুঝা ব্যতীত ইসলামে রাষ্ট্রের ধারনাটা পরিষ্কার করা সম্ভব না। বিষয়টি বিবেচনা করেই গত ৫ মার্চ চিন্তা পাঠচক্রের নির্ধারিত বিষয় ছিল মাকাসিদ আশ-শরীয়া বা শরীয়তের উদ্দেশ্য। আলোচনা করেন রাসেল ও জোবায়ের আল মাহমুদ। শুরুতে রাসেল মাওলানা আবদুর রহিমের ‘ইসলামী শরীয়তের উৎস’ বইটা নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর জোবায়ের আল মাহমুদ ড. জাসের আউদার ‘মাকাসিদ আল শরীয়া এজ ইসলামিক ল’ বইটার উপর প্রাথমিক আলোচনা করেন।
রাসেল- শরীয়া শব্দের অর্থ এমন একটা পানি যে
(আরো পড়ূন)
দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট, রাষ্ট্র ও আইনের সম্পর্ক এসব বিষয় নিয়ে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি’ ১৫ চিন্তা পাঠচক্রে আলোচনা করেন মুসতাইন জহির।
মুসতাইন জহির- পাঠচক্রে আমরা অন্যদের কথা শুনতে চাই এবং যে কেউ এসে আমাদের কথা শুনতে পারেন। আমাদের মধ্যে একটা আলাপ-আলোচনা হতে পারে, যেটাকে আমরা বলি সংলাপ। এটাই রাজনীতির একটা মৌলিক ধারনা। এটার উপর নির্ভর করে অন্তত আধুনিক রাজনীতির চিন্তাটা গড়ে উঠেছে।
আমি বা আপনি পরিবারের মধ্যে থাকি। ফ্যমিলি হল যেখানে মানুষের বৈষয়িক সম্প
(আরো পড়ূন)
‘ইসলামী শারিয়াহ্’ শব্দটা শুনলে অনেকেই আঁতকে উঠেন। এর কারণ শারিয়াহ্ নিজে নয়, ব্যক্তির অজ্ঞতা। কোনো বিষয়ে অজ্ঞতা থাকলে ব্যক্তি সে বিষয়কে হয়তো ভয় পাবে, নতুবা এড়িয়ে যাবে; -এটাই মানুষের স্বভাব। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ইসলামী শারিয়াহ্ সম্পর্কে কোনো কিছু না জানার ফলেই শারিয়াহ্-র বিরোধিতা করেন। সম্প্রতি দেখেছি, মিজানুর রহমান খান প্রথম আলোতে ফতোয়া নিষিদ্ধ হবার রায় পাঠ্যপুস্
(আরো পড়ূন)