১. ফরিদা আখতারের বক্তব্য
শ্রদ্ধাভাজনেষু
আজ আমি এবং ফরহাদ মজহার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি দীর্ঘদিন পর আমাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। গত ৩ জুলাই সকালে ফরহাদ মজহার যে ঘটনার শিকার হয়েছিলেন, সেদিন সারাদিন দেশের মানুষ, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সুশীল সমাজ, সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ করেছেন।
সুষ্ঠ তদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়ার স্বার্থেই আমরা এতদিন চুপ থাকা সঠিক মনে করেছি। গুমের শিকার অধিকা
(আরো পড়ূন)
ইবনে খলদুন ও তাঁর আসাবিয়া তত্ত্বের উপর 'চিন্তা পাঠচক্র'র আলোচনা
২২ জানুয়ারি ‘চিন্তা পাঠচক্র’র বিষয় ছিল ইবনে খলদুন-এর ইতিহাস চিন্তা।মুল আলোচক জোবায়ের আল মাহমুদ।
জোবায়ের- ইবনে খলদুনের জন্ম ১৩৩২ সালে আর মৃত্যু ১৪০৬ সালে। মূলত চারটা বিষয়ে আগ্রহের জায়গা ছিল উনার।সমাজ বিজ্ঞান,ইতিহাসের দর্শন,অর্থনীতি আর রাষ্ট্রবিজ্ঞান। মোটা দাগে তাঁর মৌলিক অবদানের জায়গা হল ‘আসাবিয়া’ বা গোত্রপ্রীতি, শাসকের উত্থান পতনের বৃত্ত, অর্থনীতির চাহিদা ও যোগান ইত্যাদি।
আজ আমরা যে আর্টিকেলগুলো নিয়ে আলোচনা করব, তা মূলত নে
(আরো পড়ূন)
১৫ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখ ‘চিন্তা পাঠচক্রে’তালাল আসাদের ‘কনস্ক্রিপ্টস অফ ওয়েস্টার্ন সিভিলাইজেশন’ এর উপর আলোচনা হয়। আলোচনা শুরু করেন খন্দকার রাকীব। আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ এখানে তুলে দেয়া হল।
রাকীব- ‘কনসক্রিপ্ট’ শব্দটা আমরা সবাই জানি। একটা রাষ্ট্রে যখন যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে, সেনাবাহিনী তখন জোর করে সৈন্যদলে লোক অন্তর্ভুক্ত করে। এটাকে কনস্ক্রিপশন বলে। আপনারা জানেন, পাশ্চাত্য সভ্যতা পৃথিবীর ৮৪ শতাংশ জায়গা দখল করে উপনিবেশ কায়েম করেছে। দখল করা মানুষগুলো ওয়েস্ট
(আরো পড়ূন)
স্বভাবগতভাবেই বাঙালিরা পুরুষতান্ত্রিক –এ কথা বেগম রোকেয়া নানাভাবে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন; এবং সফলও হয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে তাঁর অনুসারীরা এ কথাটা বুঝতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।
আজকাল যারা নারী অধিকারের কথা বল
(আরো পড়ূন)
৮ জানুয়ারি ২০১৫। বিকাল সাড়ে পাঁচটায় ‘চিন্তা’ পাঠচক্রের নিয়মিত আলোচনা শুরু হয়। মুল আলোচনা শুরুর আগে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি,অস্থিরতা এবং ভবিষ্যৎ গন্তব্য নিয়ে এক প্রাণবন্ত আলাপ শুরু হয় উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে।
বেশিরভাগের আলোচনায় বর্তমান উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিরোধীদলের ভূমিকা এবং আন্দোলনে ব্যর্থতার কথা উঠে আসে। বর্তমানে বিএনপির যে সাংগঠনিক অবস্থা এবং সরকারের যে কঠোর নীতি এতে করে আন্দোলন সফলতার দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে এবং এ অস্থির পরিস্থিতি আরো দীর্ঘায়ত হওয়ার আশঙ্কাও ব্যক
(আরো পড়ূন)
‘আত্মপরিচয়ের বয়ান’ নিয়ে চিন্তা পাঠচক্রের ধারাবাহিক (১জানুয়ারি,বৃহস্পতিবার) আলোচনায় এই পর্বের বিষয়ছিল দু’টি: ‘রিলিজিয়ন,ন্যাশনস্টেট এন্ড সেকুলারজিম’ যা নিয়ে আলোচনা করেন আইমান রাহাত এবং ‘টু ইউরোপিয়ান ইমেজেস অফ ননইউরোপিয়ান রুল’ নিয়ে আলোচনা করেন খুরশিদ আলম । যথারীতি বিকাল পাঁচটায় আলোচনা শুরু হয়।
যারা সময় এবং দুরত্বের কারণে পাঠচক্রে আসতে পারেন নি তাদের জন্য এখানে ১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত পাঠচক্রের গুরুত্বপুর্ণ কিছু আলোচনা তুলে দেয়া হল
(আরো পড়ূন)
ঢাকা সম্মেলনের দিকে যাবার লক্ষ্যে প্রতিপক্ষের দ্বিতীয় উদযাপন পর্ব প্রধানত ফটোগ্রাফি বা স্থিরছবির সাহিত্যচর্চা কেন্দ্র করে। আশা করি সবাই আসবেন আজ, এগারো জানুয়ারি, রোববার, বিকাল সাড়ে চারটায়। স্থান বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্র। বিষয়: ‘স্মৃতির শহর’ ঢাকা: ছবিতে ও অক্ষরে’
যেভাবে আমরা এখন ‘সাহিত্য’ কথাটা আক্ষরিক বুঝি, সেই দিক থেকেও আলোচনা হবে। আলোচনা হবে সিনেমার দিক থেকেও – প্রথম পর্বে ‘পিঁপড়াবিদ্যা ও নতুন সিনেমার সম্ভাবনা’ অনুষ্ঠানটিতে যেমন আমরা করেছি। তবে এবার ক্যামেরা আমাদের বিশেষ আগ্রহের বিষয়। ফটো তোলার মধ্য দিয়ে ‘সাহিত্য&
(আরো পড়ূন)
তামাক কোনো খাদ্য শস্য নয়, মানুষের কোনো উপকারে আসেনা, এমনকি পশু খাদ্যও নয় অথচ প্রতিবছর তামাক বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাময়িক মুনাফার লোভ দেখিয়ে কৃষকদের তামাক চাষে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। ফলে খাদ্য ফসলের জমি চলে যাচ্ছে তামাকের দখলে। সরকারের দেওয়া কোটি কোটি টাকার ভর্তূকি সার ও সেচ সুবিধা ব্যবহার করে বছরের পর বছর মুনাফা লুটে নিচ্ছে তামাক কোম্পানিগুলো। কিন্তু তামাক চাষ না করে এই জমিতে খাদ্য শস্য উৎপাদন করা হলে দেশের খাদ্য নিশ্চয়তায় হতো। তামাক কোম্পানিগুলো থেকে তামাকচাষীরা যে লাভ পায় তার বেশীর ভাগই চলে যায় কোম্পানির ঋণ শোধ দিতে আর বাকি যেটুকু থাকে সেটা যা তামাক জনিত রোগের চিকিৎসার
(আরো পড়ূন)
মরিবার তরে না, উঁহু, উড়িবার তরে। 'পিপীলিকার পাখা গজায় উড়িবার তরে'।
কোন ছবি দেখার পর মগজে দুই একটা ডায়ালগ,, কয়েকখানা পিকচার ফ্রেম বিঁধে যায়।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ছবি দেখে বেরিয়েছি, হলে যাদের দেখলাম তারা ঘামের গন্ধ বিড়ির খুশবুওয়ালা লোকজন না; অধিকাংশই মধ্যবিত্ত, বয়সে তরুণ। এটা শ্যামলী হল। নতুন। একটি পাগলাটে গোছের খুব স্মার্ট ছেলে তার বান্ধবীর সঙ্গে ছবি দেখে বেরুচ্ছে। আদুরে উচ্চারণে অনুচ্চ স্বরে তর্ক চলছে -- উড়িবার তরে পিপিলিকার পাখা গজায় না, চিরকুটের গানে মরিবার তরে সে ঠিকই শুনেছে; ছেলেটি মানছে না। তর্কটা আরও শুনতে ইচ্ছে হোল। কিন্তু তারা ততক্ষণে আমা
(আরো পড়ূন)
আরশোলা। অনেককে এই নামে গালি দিতে চাই, কিন্তু এই নামে গৃহপালিত যে-পতঙ্গটির সঙ্গে আমাদের নিত্যদিন ঘর করতে হয়, তার কথা ভেবে আরশোলা বলে কাউকে গালি দিতে পারি না। যখন রাগ হয় তখন বলি লুসিফুগা। ব্লাটাইড (Blattidae) অর্ডারের এই পতঙ্গের সকল জাতপ্রজাতকে পুরানা আমলে নাকি বলা হোত ‘লুসিফুগা – মানে, যারা আলো থেকে দূরে থাকে, আলো দেখলেই সড়াৎ করে সরে যায়। যে প্রাণি অন্ধকার ভালবাসে তার সঙ্গে তুলনা করবেন না। যেমন পেঁচা। আমি আলো ও অন্ধকার দুটাই ভালবাসি। আলোকিত হবার কিম্বা আলোকিত মানুষ হবার কোন বাতিক আমার নাই। কিন্তু আলো লুসিফুগা পছন্দ করে না, সেটা সে তার আচরণে সড়াৎ ক
(আরো পড়ূন)
লুসিফুগা