চিন্তা


চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা



ফরহাদ মজহার ফরিদা আখতার সাংবাদিক সম্মেলন

আমরা সুবিচার চাই: গুম অপহরণ বন্ধ হোক

১. ফরিদা আখতারের বক্তব্য

 শ্রদ্ধাভাজনেষু

আজ আমি এবং ফরহাদ মজহার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি দীর্ঘদিন পর আমাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। গত ৩ জুলাই সকালে ফরহাদ মজহার যে ঘটনার শিকার হয়েছিলেন, সেদিন সারাদিন দেশের মানুষ, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সুশীল সমাজ, সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ করেছেন।

সুষ্ঠ তদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়ার স্বার্থেই আমরা এতদিন চুপ থাকা সঠিক মনে করেছি। গুমের শিকার অধিকা (আরো পড়ূন)

'আনন্দবাজারে চলরে মন' (১)

'আনন্দ বাজারে চলরে মন' । একতারা ও ডুগি তবলা নিয়ে একা একা পার্বতীর গাইবার ভঙ্গী্র মধ্যে নদিয়া ও রাঢ় অঞ্চলের একটা সন্ধি ঘটেছে মনে হয়, হয়তো ভাবেরও। ওর মধ্যে পার্বতীর নিজস্বতা। গাইবার ভঙ্গী বা গায়কী শুধু কন্ঠে না, সেটা নাচের নরম ও মসৃণ পদক্ষেপে, তালে, মুখের অভিব্যক্তিসহ সারা শরীরে। ছেঁউড়িয়া থেকে তাকালে অচেনা মনে হয় না, কিন্তু বোঝা যায় এই ধারা এই দিক থেকে – অর্থাৎ বাংলাদেশে (আরো পড়ূন)


গৌর ক্ষ্যাপা

গত বছর ২০১৩ সালে জানুয়ারি ২২১ তারিখে বোলপুরের জয়দেবের মেলে থেকে ফেরার পথে গৌর ক্ষ্যাপা দুর্ঘটনায় পড়েন, আহত হন খুব। যে গাড়িতে ছিলেন সেটা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা মারে। ড্রাইভার সেখানেই নিহত হয়। কলকাতার একটি হাসপাতালে গৌর ক্ষ্যাপার চিকিৎসা চলছিল; পাগল, ক্ষ্যাপা, ফকির ফ্যাকড়ার ক্ষেত্রে যা হয় তাঁর ক্ষেত্রেও অন্য রকম কিছু ঘটে নি। চিকিৎসার খরচ ওঠে না। চিকিৎসা কি হয়েছে বলা মুশক (আরো পড়ূন)


বইয়ের বিপনন

কয়েকদিন আগে বইয়ের বিপণন সংক্রান্ত একটা লেখায় পড়লাম,মার্কেটিংয়ের অভাবে নাকি অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যকর্ম পাঠকের কাছে পৌঁছে না বা মূল্যায়িত হয় না! সেখানে গোষ্ঠীভুক্ত না হওয়ার কারণে ও মনোযোগ না পাওয়া অথবা মূল্যায়িত না হবার ঘটনা ঘটে-এই পয়েন্টটা ভদ্রোজনিত কারণে অনুল্লেখ ছিল। তবে এসমস্ত কথা আসে মূলত, খ্যাতি না পাওয়া অনেকের চেয়ে অনেক নিম্নমানের সাহিত্যিকেরা ওইসবের জোরে সমাজেসাহিত্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়, এইদেখা থেকে। কোনো সাহিত্যিকের যদি সেই পাওয়া পর্যন্তই লক্ষ হয়,তো তার জন্য এই হিসাব ঠিকই আছে।আমি ওসহমত করি। কিন্তু বিষয়টা এইখানেনা। ধরেন, রাষ্ট্রীয়মদতে অথবা সামাজিক কোটারি গোষ (আরো পড়ূন)


বৃষ্টি কথন

লোকে বলে বৃষ্টি নাকি আকাশের কান্না
কই, আমিতো কখনো নোনা স্বাদ পাইনি বৃষ্টিতে সে হতে পারে আমার জিভের দোষ। ওহ হ, বৃষ্টির স্বাদ ও নিতে জানিনা বলছ নিতে হয় ত্বকে, চোখে, অনুভবে? হতে পারে, ত্বক আমার নয় অতোটা সংবেদনশীল কিন্তু জান, আমার ত্বক রোদ বুঝে, ছায়া বুঝে ঘামের গ্রন্থীগুলো ও এখনো অতিমাত্রায় ক্রিয়াশীল আমার চোখ এখনো সক্রিয়,ভালো রকম...।
তোমরা যেমন রোদ চশমায় কপালের ভাঁজ ঢাক
আমার এখনো লাগেনি, হয়তো লাগবেওনা
আর যদি অনুভবের কথা বল, তবে বলছি শোন,
এখনো অভাবের কান্না বুঝি.........
স্বভাবের দোষ বুঝি, সমাজের ক্ষয় বুঝি, 
থালিতে তরকারী মাখানো ভাতের ও (আরো পড়ূন)


আনন্দবাজারে চলরে মন

'আনন্দ বাজারে চলরে মন' । একতারা ও ডুগি তবলা নিয়ে একা একা পার্বতীর গাইবার ভঙ্গী্র মধ্যে নদিয়া ও রাঢ় অঞ্চলের একটা সন্ধি ঘটেছে মনে হয়, হয়তো ভাবেরও। ওর মধ্যে পার্বতীর নিজস্বতা। গাইবার ভঙ্গী বা গায়কী শুধু কন্ঠে না, সেটা নাচের নরম ও মসৃণ পদক্ষেপে, তালে, মুখের অভিব্যক্তিসহ সারা শরীরে। ছেঁউড়িয়া থেকে তাকালে অচেনা মনে হয় না, কিন্তু বোঝা যায় এই ধারা এই দিক থেকে – অর্থাৎ বাংলাদেশের দিক থেকে ভিন্ন। শরীরকে আমরা ভাবের বাহন করে তুলবার সাধনা কম করি। ভাবের প্রতি আমাদের নিষ্ঠারও বুঝি অভাব ঘটছে দিনে দিনে।

গাইবার ভঙ্গী বা গাইবার ধরণ-- গাইতে গিয়ে ভাষা ও শরীরের মধ্যে অভেদ নির্মাণে (আরো পড়ূন)


সোফিস্টস্ বনাম প্লেটো

 প্লেটো কেন সর্বকালের সবচেয়ে প্রভাবশালী দার্শনিক?  

অনেকে এটার উত্তর অনেকভাবে দিয়েছেন, দেবেন। আমার মত কেউ কেউ এককথায় বলবেন ‘সোফিস্টস্’- দের কারনে। সোফিস্টস হচ্ছে একদল গ্রীক দার্শনিক (অনেকে যাদেরকে দার্শনিক বলতে চান না) যাদের তাত্ত্বিক ভিত্তি ছিল ‘persuasion’ যার যথার্থ বাংলা হতে পারে, ‘সমর্থন অর্জন’। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকের গ্রিকে তখন চলছে ‘নগর গনতন্ত্র’ যেখানে নগরের পুরুষগন (দাস বাদে) হচ্ছেন  ‘সকল ক্ষমতার উৎস’। সোফিস্টরা যেটা টের পেল, তা হচ্ছে, এই (আরো পড়ূন)


'মুসলমানের মানবাধিকার থাকতে নেই'

গত ২২ ফেব্রুয়ারী শনিবার জাতীয প্রেস ক্লাব মিলনায়তে আমার দেশ পত্রিকার কারারুদ্ধ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের লেখা, মুসলমানের মানবাধিকার থাকতে নেই। এই শিরোনামে বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে দেশের রাজনীতিক,বুদ্ধিজীবি, সাংবাদিক,আইনজীবীসহ বিশিষ্ট জন’রা এই প্রকাশনা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন।


book


সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এই প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করে। এই বইটি প্রকাশ করেছে কাশবন প্রকাশনা, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে বক (আরো পড়ূন)


আমাদের সমাজে চিন্তা-ভাবনার ক্ষেত্রে কিছু আগাম অনুমান লক্ষ করা যায়। যেমন ‘ধর্ম মানেই সাম্প্রদায়িক-প্রতিক্রিয়াশীল এবং বর্বর, ধর্ম বিরোধিতা মানেই প্রগতিশীলতা, ইসলাম মানেই জামাত, জামাত মোকাবিলার একমাত্র পথ নির্মুল করা, শাহবাগ আন্দোলনের বিরোধিতা মানে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা। বিপরীতে আছে কমিউনিস্ট মানেই নাস্তিক, নাস্তিক মানেই ধর্মবিরোধী। মানে আগে থাকতেই ধরে নেওয়া হয় বিষয়গুলি বুঝি এরম একদম খাপে খাপে ঘটে, এর ব্যতিক্রম হয় না।

আগাম অনুমান চিন্তা করতে সাহায্য করে নিশ্চয়। কিন্তু আগাম অনুমানকে আগে থেকেই সঠিক ধরে নিলে মুশকিল তৈরি হয়। এ অনুমান এক সময় বিশ্বাসে পরিণত হয়ে যায়। (আরো পড়ূন)


জলের তলে জলের ছায়া

‘আমি’ নিজেকে নিজের ভেতর স্পষ্ট করে পেতে চায়। স্পষ্ট করতে সে নিজেকে দুনিয়ার ময়দানে নামায়, নিজেকে দিয়েই জগতটারে বুঝতে চায়। মুশকিল হলো আমি আর জগত তো সমার্থক বিষয় না (এভাবে চিন্তা করি)- ফলে ‘আমি’ বুঝলে দুনিয়া বুঝি কেমনে? তবে সমর্থক হওয়ার আগাম কী অনুমান তার কাছে!

নিজেকে দিয়ে জগতটাকে বুঝতে চাওয়া- এটি আপ্তবাক্য হয়ে উঠার ঝুঁকি থাকে, তাই তাকে বাড়তি কাজ করতে হয়। মোটাদাগে জগতটাকে পাঠ করতে গেলে সাধারণ হিসেবে আমিকে জগতের সামনে সিনা টান টান করে দাঁড়াতে হয়। তখন সে জগতের সামনে সমান-সমান হয়ে হাজির হয় (আরো পড়ূন)


অনন্ত রাজপথে

বাইরে তাকাই, ছেলেবেলা দেখি
আমার আর তাকাতে ইচ্ছা করে না
কিন্তু এখন আমি ভিতরেই দেখি
আমার সাথেই চোখাচোখি হয়ে যায় মেয়েটার

অনেক শব্দ অক্ষর উড়ছে আর উড়ছে
আমি হাত বাড়াব না
আমার চিৎকার ফিরে আসছে তাদের গায়ে ধাক্কা লেগে

সমুদ্র, নীলাভ আকাশ অসহ্য হয়ে উঠছে
আমি কোনো সুর পাচ্ছি না যার গায়ে হেলান দিতে পারি
আমি স্থির, শব্দহীন— পানি না, পাথর না, না কোনো হাওয়া
আমাকে স্তব্ধতায় আকুল করে রাখছে যুদ্ধে ঘায়েল কবুতর


বিয়ে বাড়িতে ফুলশয্যা ছাড়া সবকিছুর আয়োজন পাকা
ছবির জন্য মেকী হা (আরো পড়ূন)