ফরহাদ মজহার ফরিদা আখতার সাংবাদিক সম্মেলন
ফরহাদ মজহার
||
Saturday 09 December 17
আমরা সুবিচার চাই: গুম অপহরণ বন্ধ হোক
১. ফরিদা আখতারের বক্তব্য
শ্রদ্ধাভাজনেষু
আজ আমি এবং ফরহাদ মজহার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি দীর্ঘদিন পর আমাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। গত ৩ জুলাই সকালে ফরহাদ মজহার যে ঘটনার শিকার হয়েছিলেন, সেদিন সারাদিন দেশের মানুষ, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সুশীল সমাজ, সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ করেছেন।
সুষ্ঠ তদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়ার স্বার্থেই আমরা এতদিন চুপ থাকা সঠিক মনে করেছি। গুমের শিকার অধিকা
(আরো পড়ূন)
“সুলতা বনাম বনলতা সেন”
এস ইসলাম
||
Thursday 13 December 12
“সুলতা বনাম বনলতা সেন”
একটি তুলনামূলক কাব্য বিশ্লেষণ
–ডঃ সৈয়দ এস আর কাশফি
কবি শফিকুল ইসলামের কবিতায় তার কাব্য প্রেয়সী সুলতার যে নান্দনিক ও শৈল্পিক সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়া যায় তা সামগ্রিক ও কাব্যময়। কবি জীবনানন্দ দাসের বনলতাসেনের মতো কোন খন্ড চিত্রকল্প নহে। বর্ণনা এখানে সফল, কাব্যময় এবং জীবন্ত। জীবনানন্দদাস বনলতা সেনের মুখশ্রী ও চুলে কাব্য সৌন্দর্য্য খোঁজে ফিরেছেন। যা নিতান্তই খন্ড চিত্র। যেমন তিনি বলেছেনঃ
“চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য”…
এখানে বনলতা সেনের সফল সৌন্দর্য বর্ণনা আমরা খোঁজে পাইনা। প্রায় অন্ধকারের মত তার চুল দেখার ঝাপসা আকুতি
(আরো পড়ূন)
প্রেম একবার এসেছিল নীরবে..
এস ইসলাম
||
Thursday 06 December 12
“একটি বেদনা-ভরা প্রেমের কাব্য”
–অধ্যাপক কৃপাল নারায়ণ চৌধুরী।
কবি শফিকুল ইসলামের ‘শ্রাবণ দিনের কাব্য’ একটি মহৎ প্রেমের কাব্য। বইটি এবারের বইমেলায় প্রকাশ করছে আগামী প্রকাশনী। এই কাব্যের প্রতিটি কবিতায় কবির প্রেমিক হৃদয়ের গভীর অনুভুতির সার্থক প্রকাশ ঘটেছে। কবিতাগুলোর মধ্যে হৃদয়ের হাহাকার স্পষ্টই প্রতীয়মান হয়। তিনি বইটির উৎসর্গ পত্রে লিখেছেনঃ–
“….যাকে ভালবেসে
একদিন এই জীবনকে
বড় বেশী ভালবেসেছিলাম,
যাকে হারিয়ে আজ এই জীবনের চেয়ে
মৃত্যুই বেশী সুমধুর বলে মনে হয়,
যার বিচ্ছেদ-যাতনায় তিক্ত গরল ও আজ
অমৃতের অধিক অমৃতময় বলে মনে হয়।”
কাব্যলক্ষ্মী সুলতাকে কবি একদিন হৃদয় থেকে ভালবেসেছিলেন।
(আরো পড়ূন)
গ্রন্থ পর্যালোচনা “শ্রাবন দিনের কাব্য”
এস ইসলাম
||
Thursday 06 December 12
গ্রন্থ পর্যালোচনা “শ্রাবন দিনের কাব্য”
–মোঃ শামসুল হক শামস
[বাংলাদেশ বেতারের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান "উত্তরণ" এ একাধিকবার পঠিত]
২০১০ -এ একুশের বই মেলায় আগামী প্রকাশনী,বাংলা বাজার, ঢাকা থেকে প্রকাশিত কবি শফিকুল ইসলাম এর কাব্য গ্রন্থ “শ্রাবন দিনের কাব্য” । এই গ্রন্থে প্রায় ৫০টির (পঞ্চাশ) মত কবিতা স্থান পেয়েছে । গ্রন্থের প্রচছদ পরিকল্পনায় শিবু কুমার শীল। কবিতাগুলো মনের গভীরে প্রোথিত অনুভূতিকে উদ্বেলিত করার মত গদ্য -রীতিতে রচিত ।
নান্দনিকতায় যখন ভাটা ,হালকা চটুল গান নিয়ে যখন মানুষ অ-রুচির অন্ধকারে আচছন্ন ,ঠিক তখনই উপযুক্ত সময়ে যেন সৃষ্টি হল এই কাব্যগ্রন্থটি । বাংলা সাহিত্যে এমন গ্
(আরো পড়ূন)
“স্মৃতি তুমি বেদনা…
এস ইসলাম
||
Friday 23 November 12
পুরনো শহর মানে-স্মৃতির শহর,
বহুদিন পর সেই পুরনো স্মৃতির শহরে ফেরা মানে-
স্মৃতির আয়নায় নিজেকে মুখোমুখি দাড় করানো….
কত স্মৃতি,কত মুখ
কত উদাস দুপুর,বিষন্ন গোধূলী, জোছনা-মাখা রাত…
ফেলে আসা ক্ষণগুলো মুহুর্তে হৃদয়ে ভীড় করে।
আর সেই সব সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা-নিশার পটভূমিতে
কোন কোন মুখ আবার অবিকল মনে জাগে,
হৃদয়ের অতলান্তে ঝড় তুলে….
তেমনি একটি মুখ সুলতা!
বহুদিন আগের এই শহরে একটি মানবীর মায়াবী মুখ-
যে মুখ স্বপ্ন দেখাতো বেচে থাকার,
পথচলায় যোগাতো প্রেরণা–
স্মৃতির শহরে ফিরে এলে তাকে তো মনে পড়বেই,
তাকেই আরো বেশী মনে পড়বে-
মনে পড়াটাই স্বাভাবিক ও মানবিক।
যদিও দীর্ঘ দিনে দৃশ্যপট,
চেনা পথ-ঘাট স
(আরো পড়ূন)
‘প্রত্যয়ী যাত্রা’ ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা
এস ইসলাম
||
Monday 29 October 12
-মুহাম্মদ শামসুল হক শামস্
কবি ও গীতিকার ।
*** কাব্যমনস্ক বিবেকী সত্তার মানুষ, সত্য সাধনায় অসংকোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহসের নির্ভীক ব্যক্তিত্ব শফিকুল ইসলামের লেখার ভান্ডারে সঞ্চিত পান্ডুলিপি থেকে ইতোমধ্যে তার বেশ কয়টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে । আলোচিতব্য কাব্যগ্রন্থ “প্রত্যয়ী যাত্রা” তারই সাম্প্রতিক প্রয়াস । তার নিরলস প্রয়াস প্রমাণ করে যে, তার অপ্রতিরুদ্ধ্ গতি থামবার নয়, অন্যায়ের কাছে মিথ্যার কাছে আপোষ করবার মত নয়। আর তার নিরন্তর চেষ্টার মাঝে তিনি তার অনন্য কাব্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন বলেই প্রতিভাত হয় আমাদের কাছে ।
*** বাহুল্য শব্দের অলংকার, অনুপ্রাস বিবর্জিত আধুনি
(আরো পড়ূন)
গ্রন্থ পর্যালোচনাঃ “মেঘ ভাঙ্গা রোদ্দুর”
এস ইসলাম
||
Saturday 13 October 12
গ্রন্থ পর্যালোচনাঃ “মেঘ ভাঙ্গা রোদ্দুর”
–মহিবুর রহিম
“মেঘ ভাঙ্গা রোদ্দুর” একটি আধুনিক ধারার সঙ্গীত সংকলন। এগুলোকে গীতধর্মী কবিতা ও বলা যায়। তবে স্বার্থক সঙ্গীতের জন্যে কাব্যগুণের শর্ত তো খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। গ্রন্থটির লেখক শফিকুল ইসলাম বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত গীতিকার হলেও মূলত তিনি একজন কবি। কবিতা নিয়েই সাহিত্য জগতে তার পদযাত্রা।”এই ঘর এই লোকালয়”, “একটি আকাশ ও অনেক বৃষ্টি”, “শ্রাবণ দিনের কাব্য”, “তবু ও বৃষ্টি আসুক”, ‘দহন কালের কাব্য’ প্রভৃতি কাব্য গ্রন্থে তার স্বতন্ত্র কাব্য প্রবণতা বিশেষভাবে বিবেচনার দাবী রাখে। আর একজন কবির রচিত সঙ্গীত গ্রন্থে ভা
(আরো পড়ূন)
রামু সহিংসতা : সাম্প্রদায়িক না রাজনৈতিক
আবদুল হক
||
Wednesday 03 October 12
সম্প্রতি কক্সবাজারের রামু এবং চট্টগ্রামের পটিয়া ও এর পার্শ্ববর্তী অন্যান্য এলাকায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর সঙ্ঘটিত নাশকতার ঘটনা দেশ জুড়ে দুঃখ ও শঙ্কা ছড়িয়ে দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন এটা ‘পরিকল্পিত’। হতে পারে। প্রশ্ন হলো কার পরিকল্পনা, কী পরিকল্পনা? সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী। বলেছেন, এ তাণ্ডবের লক্ষ্য যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচাল করা। শুনে আমরা হতভম্ব এবং কেউ কেউ বিনোদিত হয়েছি। মনে হচ্ছে ঘটনা পরিকল্পিত হোক আর না-হোক, মন্ত্রীর এই ‘বাণী’ যে পরিকল্পিত, তাতে সন্দেহ নেই। কেননা এটা মেনে নিলে ধরে নিতে হবে, যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের মূল উদ্যোক্তা ফেইসবুকে আপত্
(আরো পড়ূন)
”দহন কালের কাব্য ”
এস ইসলাম
||
Sunday 30 September 12
গ্রন্থ পর্যালোচনাঃ”দহন কালের কাব্য ”
–এম,এ মান্নান (রিপন)
কবি শফিকুল ইসলামের চিন্তা চেতনা বা দর্শন অনেকটাই এদেশের সাধারণ মানুষদের নিয়ে। যাদের অধিকাংশই মেহনতী শ্রমজীবী। যাদেরকে খেটে খাওয়া, সর্বহারা, সামাজিক বঞ্চিত মানব শ্রেণীকে বুঝায়। তার প্রকাশিত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থে এ সম্পর্কে ধারনা আমরা পেয়েছি। কিন্তু আমি অনেকটা বিস্মিত হয়েছি তার “দহন কালের কাব্য “গ্রন্থটি পড়ে। বইটি পড়তে গিয়ে আমি বার বার আর্শ্চাযিত হয়েছি বইটির প্রতিটি কবিতা পড়ে। উৎসর্গ টিকায় ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে কবি রবি ঠাকুরের সেই চিরচেনা অনুপ্রাণিত উৎসাহ উদ্দীপনার বানীঃ–
‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী
ভয় নাই ওরে ভয় নাই-
নিঃশে
(আরো পড়ূন)
‘বনলতা সেন’কে ঘিরে অনেক অমীমাংসিত প্রশ্ন !!!
এস ইসলাম
||
Monday 24 September 12
কবি জীবনানন্দ দাশ ও তার ‘বনলতা সেন’ কবিতা বাংলা সাহিত্যে একটি বহুল আলোচিত বিষয় । তার কাব্যে কারণে-অকারণে তরু-গুল্ম-লতা-পাতা ঝোপঝাড়ের এত বর্ণনা পাওয়া যায় যে তাকে কবি না বলে একজন অকৃত্রিম বনসংরক্ষক বা ফরেষ্ট গার্ড বলে ভ্রম হতে পারে। বাংলাভাষার কোন কবির সম্ভবত এত গাছপালার নাম-ধাম জানা নেই।
তারই রচিত ‘বনলতা সেন’ কবিতা বাংলা সাহিত্যে বহুল আলোচিত বলেই এর ব্যাপক বিচার-বিশ্লেষণ প্রয়োজন। দীর্ঘদিন থেকে কবিতাটি একইভাবে পাঠ করা হচ্ছে। বেশীরভাগ পাঠক কবিতাটি সম্পর্কে পূর্ব-ধারণা নিয়ে কবিতাটি পাঠ করছেন। যার ফলে কবিতাটি তার বহুমাত্রিক ব্যাখা-বিশ্লেষণ থেকে
(আরো পড়ূন)
গ্রন্থ পর্যালোচনা “তবুও বৃষ্টি আসুক”
এস ইসলাম
||
Saturday 22 September 12
গ্রন্থ পর্যালোচনা “তবুও বৃষ্টি আসুক”
–ডঃ আশরাফ সিদ্দিকী
সাবেক মহাপরিচালক
বাংলা একাডেমী।
গ্রন্থের নাম-”তবুও বৃষ্টি আসুক”- এটি কবি শফিকুল ইসলামের চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ । তার কবিতা আমি ইতিপূর্বে পড়েছি । ভাষা বর্ণনা প্রাঞ্জল এবং তীব্র নির্বাচনী। “তবুও বৃষ্টি আসুক” গ্রন্থে মোট ৪১ টি কবিতা রচিত হয়েছে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এ গ্রন্থ পাঠ করে পূর্বেই বলেছি, মন অনাবিল তৃপ্তিতে ভরে যায় । বইটির প্রথম কবিতায় মানবতাহীন এই হিংস্র পৃথিবীতে কবির চাওয়া বিশ্ব মানবের সার্বজনীন আকাংখা হয়ে ধরা দিয়েছে। কবি বলেছেনঃ-
“তারও আগে বৃষ্টি নামুক আমাদের বিবেকের মরুভূমিতে,
সেখানে মানবতা ফুল হয়ে ফুটুক-
আর প
(আরো পড়ূন)