চিন্তা


চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা



ফরহাদ মজহার ফরিদা আখতার সাংবাদিক সম্মেলন

আমরা সুবিচার চাই: গুম অপহরণ বন্ধ হোক

১. ফরিদা আখতারের বক্তব্য

 শ্রদ্ধাভাজনেষু

আজ আমি এবং ফরহাদ মজহার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি দীর্ঘদিন পর আমাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। গত ৩ জুলাই সকালে ফরহাদ মজহার যে ঘটনার শিকার হয়েছিলেন, সেদিন সারাদিন দেশের মানুষ, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সুশীল সমাজ, সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ করেছেন।

সুষ্ঠ তদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়ার স্বার্থেই আমরা এতদিন চুপ থাকা সঠিক মনে করেছি। গুমের শিকার অধিকা (আরো পড়ূন)

উন্নয়নের জন্য শিক্ষা

মানুষের জন্ম, বিকাশ ও সভ্যতার অন্তরালে যে সমৃদ্ধি তার পেছনে রয়েছে জ্ঞান চর্চার নিরন্তর প্রচেষ্টা। পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রসমূহের শিক্ষা ব্যবস্থা অপেক্ষাকৃত পশ্চাৎপদ রাষ্ট্রসমূহের চেয়ে অনেক উন্নত। বলা হয়ে থাকে যে, পশ্চাৎপদ শিক্ষা ব্যবস্থার কারণেই রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় উন্নয়নের বিষয়টি ব্যাপকতা রয়েছে। রাষ্ট্র নাগরিকের জীবন মান উন্নয়নের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। মূল দায়িত্ব ব্যক্তি পরিবার বা সমাজ ব্যবস্থার। আমরা যদি পৃথিবীর স্মরণীয় ও বরণীয় ব্যক্তিগণের জীবন ও ইতিহাস অধ্যয়ন করি তাহলে দেখতে পাই ব্যক্তির কঠিন আত্ম প্রচেষ্টা সকল সাফল্যের ভ (আরো পড়ূন)

সুন্নাহ কি ? সুন্নাত নামে আমরা কি ভাবছি ॥

সুন্নাহ কি ? এ জাতীয় প্রশ্ন এখন ইসলামী পত্রিকার পাতায়, টেলিভিশনের সওয়াল জওয়াব অনুষ্টানে শোনা যায় এবং বিভিন্ন বক্তা তাদের ওয়াজ মাহফিলে এ বিষয়ে বিভিন্ন রকমের বয়ান করে থাকেন। সমষ্যা হচেছ আমরা সাধারন মানুষরা কি করে বুঝবো আসলেই সুন্নাহ কি। এ বিষয়ে ভালো করে উপলদ্ধি করার জন্য আমাদের কে সাহাবাদের কর্ম প্রদ্ধতি দেখতে হবে, কারণ সুন্নাহ পালনে তাদের সমকক্ষ প্রথিবীতে আর কোন সম্প্রদায় হতে পারবে না। সুন্নাহ ছিলো সাহাবাদের ধ্যান- খেয়াল, চোখের মনী। এ কারনে আগে জানতে হবে সুন্নাহ বলতে সাহাবা কি বুঝতেন। আমাদের আর সাহাবাদের সুন্নার ধরন কিন্তু এক রকম নয় এবং হবার কথাও নয় কারণ তারা কাছ থেকে রাসুল (আরো পড়ূন)

ভালো কাজে বাড়াবাড়ি ভালো নয় : ৪

বিস্মিত হই, যখন দেখি চিন্তা ও চর্চার বহুমুখী বিস্তারের এই প্রশস্ত সময়েও বহু লোক ধর্মের ঐচ্ছিক বা কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অযথা বাড়াবাড়ির ব্যাধিতে আক্রান্ত। জীবনের বিপুল আনন্দকে দু’ হাত প্রসারিত করে গ্রহণ করবার পরিবর্তে বিশেষ অভিমতের কূপের ভেতরে আবদ্ধ ব্যাঙের মতো বেঁচে থেকে এরা যে কেবল নিজেকেই বঞ্চিত করে তা-ই নয়, বৃথা বাচালতায় বিরক্ত করে চারপাশের সবাইকেও। তাদের ধারণা তারা জানে। হয়তো ঠিক। তারা কী জানে, তা জানে। কিন্তু কূপমণ্ডুকতার কারণ, তারা কী জানে না তা জানে না। আজকে আমরা যেসব বিষয় নিয়ে তর্ক করে মুসলিম জাতির মধ্যে অনৈক্য ও বিভেদের বিস্তার ঘটতে দেখছি, আল্লাহ যখন ত (আরো পড়ূন)

ভালো কাজে বাড়াবাড়ি ভালো নয়

৩. ফাতওয়া দেয়া কেবল ভালো কাজই নয়, খুবই জরুরি কাজ। যোগ্য আলিমদের ওপর এটি ফরয। ফাতওয়া ইসলামের আইন এবং মুসলিম সমাজের চালিকাশক্তি। কিন্তু বাংলাদেশে মানবরচিত আইন ও শাসনব্যবস্থা কায়েম থাকায় ফাতওয়া রাষ্ট্রীয় আইন হিসেবে কার্যকর নয় এবং ইসলাম-নির্দেশিত মর্যাদায় অধিষ্ঠিত নয়। সরকারি অসহযোগ সত্ত্বেও ধর্মনিষ্ঠ মুসলিমদের ব্যক্তিগত সহায়তায় চালিত মাদরাসার উচ্চস্তরে ফাতওয়ার চর্চা এবং দেশের ধার্মিক পরিবারগুলোতে সীমিত কিছু ক্ষেত্রে ফাতওয়া অনুসরণের রীতি চালু আছে। এদেশে ফাতওয়ার পক্ষে ও বিপক্ষে দু’ দিক থেকেই প্রায়শ সীমালঙ্ঘনের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। আদালতের বিচারক ও গণমাধ্যমকর্মীদে (আরো পড়ূন)

ভালো কাজে বাড়াবাড়ি ভালো নয়

২. ধর্মচর্চায় চরমপন্থা যুগ যুগ ধরে কেবলই সঙ্কট, অনৈক্য ও বিপর্যয় তৈরি করে আসছে। ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচরণের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ ও যুক্তি-বুদ্ধি-বিবেকের দেয়া সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করে ব্যক্তিগত প্রবৃত্তির পছন্দের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিমতের অন্ধ অনুসরণ এবং গৌণ, সূক্ষ্ম ও খুঁটিনাটি বিষয়ে অনড় অবস্থান গ্রহণ, চুলচেরা বিশ্লেষণ ও বাড়াবাড়ির ফলে মুসলিমদের মধ্যে দিনদিন দল বাড়ছে, কিন্তু বল বাড়ছে না। ভুলশুদ্ধির প্রশ্ন একবার স্থগিত রেখে যদি আমরা শিয়া, খারিজী, জাহমিয়া, কাদারিয়া, জাবারিয়া প্রভৃতি সম্প্রদায়গুলির বিশ্বাসের কেবল অবস্থান ও চারিত্র নিরীক্ষণ করি, তাহলে প্রকটভাবে চোখে পড়বে তাদের চরম (আরো পড়ূন)

ভালো কাজে বাড়াবাড়ি ভালো নয়

১. আমরা মাটির মানুষ। প্রকৃত ও রূপক, দুই অর্থেই কথাটি সত্য। মাটির পৃথিবীতে, মাটি থেকে আমাদের জন্ম, শেষ শয্যাও মাটিতেই। অনন্ত মহাকালের একটি বিন্দুতে বিজলির মতো আমাদের জীবন, ক্ষণিক। বাঁশি বাজলেই খেলা শেষ। এ সকলেই জানি। কিন্তু মনে রাখি না। মনে রাখি না বলেই অন্যকে ধাক্কা দিই। ধাক্কা দিয়ে কাউকে খাদে ফেলে দিতে পারলে ভাবি, জয়ী হলাম। ভুল। বাইরে এ জয়টা যখন পাই, তখন দেখি না যে আমাদের ভেতরের মানুষটা কী লজ্জাজনকভাবে হেরে গেলো। মানুষ দেহে প্রাণী, হৃদয়ে মানুষ। সেই হৃদয়ে আঘাত করলে মনুষ্যত্বের মৃত্যু ঘটে। হৃদয়-মন সবারই আছে। কিন্তু সব মানুষ হৃদয়বান ও মননশীল নয়। কারণ হৃদয় থাকলেই হৃ (আরো পড়ূন)

Knowing The Ropes 0f The Billion Dollar Loan By India

In my article, “Bangladesh-India relationship: Transit and other national issues”, on November 2009, I had indicated, that “determining public opinion and reaching a national consensus are a must before our government signs any agreement with India”. However the government has crossed the Rubicon on August 07, 2010 and it signed the 0ne Billion Dollar loan. This loan will finance 14 projects, within Bangladesh; all relating to development of railways and other communication infrastructure, particularly to facilitate transshipment of Indian goods to north-eastern region. (আরো পড়ূন)

তরুণ তোমার জন্য

হিংস্র শ্বাপদ হায়েনার দল মানুষের বেশ ধরি সত্যপন্থী খুঁজতেছে আজ তন্ন তন্ন করি, যেখানেই পাবে ন্যায়পরায়ন বিদ্রোহী মুজাহিদ মিথ্যা করদে বন্দী করে কেড়ে নিবে তার নিদ, তবু সত্যপন্থী তরুণ প্রাণ নির্ভীক নির্ভয় সকল বাঁধার প্রাচীর ভেঙে সত্যের হবে জয়। (আরো পড়ূন)

জাতিকে আর কত ধুনপুন বোঝাবেন?

প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে ফরিদপুরে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বললেন, দেশে কোন যুদ্ধাপরাধী নেই, আছে রাজাকার। পুতুলের দাদা শ্বশুর ছিল রাজাকার। যুদ্ধাপরাধী ছিল না। আপনারা পুতুলের দাদা শ্বশুরের কথা বারবার বলেন। কিন্তু শেখ সেলিমের কথা কখনও বলেন না। সাজেদা চৌধুরী একই কথা বলে ইন্জিনিয়ার মোশারফের রোষাণলে পরেন। জনাব মোশারফ ঘোষণা দেন সাজেদা চৌধুরীকে প্রতিহত করা হবে। দলের এই অভ্যান্তরীন কোন্দল নিরসেনে প্রধানমন্ত্রী নিজে মধ্যস্থতা করেন। এখন নিজামীদের ব্লাসফেমি নাটকে আটক করার পর বিএনপি নিজামীদের মুক্তি চাইল। প্রধানমন্ত্রী বললেন, বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনা (আরো পড়ূন)

জনগনের দায়িত্ব জনগণকে পালন করতে দিন

বিরোধীদল বা সরকারি দল যে কোন কোন দলই রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতে পারে। এমন কি হরতালও ডাকতে পারে। স্হানীয়ভাবে সরকারী দলের হরতাল পালনের নজির আমাদের দেশে আছে। প্রধানমন্ত্রীও দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন। পল্টন ময়দানে বক্তৃতা করেন। মন্ত্রীমহোদয়রা জনসংযোগের নামে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেন। এই কর্মসূচি যাতে সুন্দরভাবে, অহিংস ভাবে পালিত হয় সে জন্য সরকারের এবং সরকারি দলের দ্বায়িত্ব রয়েছে। সরকার ও সরকারি দলকে বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে। আমরা সংকিত হই যখন সরকারী দল বা সরকার যন্ত্র হুংকার দেয় হরতাল প্রতিহত করা হবে। হরতাল প্রতিহত কেন করতে হবে? হরতাল যদি জন (আরো পড়ূন)