চিন্তা


চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা



ফরহাদ মজহার ফরিদা আখতার সাংবাদিক সম্মেলন

আমরা সুবিচার চাই: গুম অপহরণ বন্ধ হোক

১. ফরিদা আখতারের বক্তব্য

 শ্রদ্ধাভাজনেষু

আজ আমি এবং ফরহাদ মজহার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি দীর্ঘদিন পর আমাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য তুলে ধরার জন্য। গত ৩ জুলাই সকালে ফরহাদ মজহার যে ঘটনার শিকার হয়েছিলেন, সেদিন সারাদিন দেশের মানুষ, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, সুশীল সমাজ, সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষী আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের চিরদিনের জন্য কৃতজ্ঞ করেছেন।

সুষ্ঠ তদন্ত ও আইনী প্রক্রিয়ার স্বার্থেই আমরা এতদিন চুপ থাকা সঠিক মনে করেছি। গুমের শিকার অধিকা (আরো পড়ূন)

“তরুণদেরকে ক্রমাগত দৃশ্যমান হয়ে ওঠতে হবে” (বৃহস্পতিবারে চিন্তার পাঠচক্রের আলোচনা)

কোনো একজনের সমুখে ডান পা গুটিয়ে বসার ধরন দেখে ফরহাদ মজহার নানান ধর্মের সংশ্লিষ্ট স্পিরিট ও দর্শনকে প্রাসঙ্গিক করে তুলে বললে- ডান পা শিবের, বাম পা পার্বতীর। অর্থাৎ পুরুষের ডান পা আর বাম পা নারীর। মানে, নারী যদি পুরুষকে আগলে না রাখে তবে পুরুষ এই জগৎ সংসারকে নষ্ট ও ধ্বংস করে ফেলবে। নারী এখানে অসাধারণ। আসলে শিব ও পার্বতীর এই ঘটনার সিম্বলিক মানে খুবই ইন্টারেস্টিং। অসাধারণ তাৎপর্যপূর্ণ। কিন্তু অন্যদিকে বৌদ্ধ ধর্মে বিষয়টি এরকম না। সেখানে গৌতম বৌদ্ধ ডান পা সামনে দিয়ে বসেন। ব্যাপারটি নারী বিরোধী মনে হবে। যেকারণে বৌদ্ধ ধর্মে নারী ভিু হতে পারে না। কারণ বুদ্ধ মনে করেন- মানুষ পাপী হয়েই (আরো পড়ূন)

দিল্লির নয়া কূটনীতি: টিপাইমুখের বদলে ট্রানজিট?

মূল: মামুন নেসার বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে অনেক অমীমাসিংত বিষয় থাকলেও এসেছে টিপাইমুখ বাঁধ ইস্যু। এ ইস্যু কয়েক মাস ধরে মিডিয়া আর রাজনীতি উভয় মাঠই দখল করে রেখেছে। অথচ গত কয়েক বছরে দু’দেশের এজেন্ডায় একবারেই মুখ্য ছিল না বিষয়টি। প্রণব মুখার্জির ফেব্রুয়ারির ঢাকা সফরের সময়েও আলোচনায় ছিল না এটি। এছাড়া টিপাইমুখ নিয়ে ভারতের হঠাৎ আক্রমণাত্মক কূটনীতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার একের পর এক উত্তেজক মন্তব্যের মাধ্যমে এর বিরোধিতাকে উসকে দিচ্ছেন। আর এ কারণেই টিপাইমুখ ইস্যু জিইয়ে রেখে ট্রানজিট বা সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়ে ভারত বিশেষ কোন কূটনৈতিক সুবিধা পেতে চাইতে পা (আরো পড়ূন)

Imperialism and Islam

ইসলাম ও সাম্রাজ্যবাদ মূল: সাইয়্যেদ কুতুব তরজমা: শাহাদাৎ তৈয়ব জাযীরাতুল আরবে আরবী ভাষা ও দ্বীনের শিা প্রদানকে এমনি এক অপরাধ হিশেবে গণ্য করা হচ্ছে, যে অপরাধের অপরাধীকে চোর ডাকাতের মতো ধরে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দিয়ে চোর-ডাকাতদের সাথে একই বন্দীশালায় ভরে রাখা হয়। আমাদের উদারতাবাদী লেখকরা বলেন- ফ্রান্সই স্বাধীনতার জননী। ফ্রান্সই আর সমস্ত বিশ্বকে স্বাধীনতা ও সাম্য-ভ্রাতৃত্বের নীতিকথা শিখিয়েছে। অন্যদিকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে আসা হলেও দণি সুদানে একজনমাত্র মুসলমানের অস্তিত্বকেও বিবেচনা করা হয় এমন মহা সংকট ও হুমকি হিশেবে, শুধু ওই জন্যই বৃটেন তার সেনাশক্তি মোতায়েনে তৎপর হয়ে যায়। আর সু (আরো পড়ূন)

Bangladesh under constant threat of emperial power

বিপদ বাংলাদেশের পিছু ছুটছে (বাংলাদেশের পিছু ছুটছে স্রামাজবাদের ১/১১ বিপদগুলো) উপনিবেশিক সময়ে আমাদের রাজনৈতিক চেতনা, কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রমে যে লড়াইয়ের প্রণোদনা দিয়েছে তার প্রাসঙ্গিকতা এখনও যে পুরোপুরি বিদ্যমান তা বোঝা যায় নানা রকম চেতনার আর্বজনার আর্বিভাবের কারণে। যদিও ঠিক এই জায়গা থেকেই সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর ভাবনা ও রাজনীতির পার্থক্য সমেত স্ববিরোধিতাকে ধরা সহজ হয়ে গিয়েছে। ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারীতে বাংলাদেশের রাজনীতির যে পরাজয় আমরা দেখেছি তাতে একটি বিষয় উপলব্ধি হয়েছে বটে, তাহল চেতনার রাজনীতি আর রাজনৈতিক চেতনা সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাপার।বিষয়টি ব্যাখ্যার দাবী রাখে। ১/১১র ও “চে (আরো পড়ূন)

Tipaimukh dam is a geo-tectonic blunder of international blunder

Tipaimukh Dam Is A Geo-tectonic Blunder Of International Dimensions By: Dr. Soibam Ibotombi (Dept. of Earth SciencesManipur University) Introduction: The proposed Tipaimukh dam is to be located 500 meters downstream from the confluence of Barak and Tuivai rivers, and lies on the south-western corner of Manipur State (24°14¢N and 93°1.3¢E approximately). It is a huge earth dam (rock-fill with central impervious core) having an altitude of about 180 M above the sea-level with a maximum reservoir level of 178m and 136m as the MDDL (minimum draw down level). The dam was or (আরো পড়ূন)

প্রপার্টি বা সম্পত্তি বিষয়ক পাঠচক্রের আলোচনা

“প্রপার্টি বা সম্পত্তি” বিষয়ক আলোচনা মাঝে মাঝে ফাঁক দিয়ে অনিয়মিতভাবে চলে আসছিলো। গত বৃহস্পতিবারের পাঠচক্রে আগের পাঠ পর্যালোচনার খোঁজ খবর নিয়ে ফরহাদ মজহার প্রপার্টি বিষয়ে আলোচনার প্রসংগ তোলেন। জর্মান ইডিওলোজির সম্পত্তি বিষয়ক মার্কসের বয়ানের বরাত দিয়ে ফরহাদ মজহার সম্পত্তির গুরুত্ব পেশ করেন। তিনি বলেন: সম্পত্তি বিষয়টি তিনটি কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, সম্পত্তি ব্যাপারটা আসলে কী? সম্পত্তি মানে এখানে ব্যাক্তিগত সম্পত্তির বিষয়। এটি বুঝতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যেকোনো লড়াই-দ্বন্দ্ব সম্পত্তি, ধর্মতত্ত্ব ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে ঘটে। ফলে আজকে কমিউনিজম, উম্মাহ, জিহাদ, ভক্তি (আরো পড়ূন)

পিরোজপুরে ৩ বোরকা পরিহিত মহিলাকে হেনস্তা: ধর্মনিরপেক্ষতার দেউলিয়াপনা

সমপ্রতি পিরোজপুরে জেএমবি সন্দেহে তিন বোরকা পরিহিত মহিলাকে আটক করা হয়। সন্দেহভাজন হিসেবে তাদেরকে আটক করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে খোদ পুলিশও কোন ধরনের নেতিবাচক তথ্য প্রমান করতে পারেনি। মহিলাদের বিরুদ্ধে পুলিশের এ ধরনের আচরন সভ্য সমাজে মোটেও সমর্থন যোগ্য নয়। পশ্চিমা দেশগুলো পর্যন্ত মহিলাদেরকে থানায় বা হাজতে নেয়ার ব্যপারে অনেক সতর্ক থাকে। অথচ আমাদের দেশে খুব অবলীলায় এই অপকর্মটি সংঘটিত হলো। অভিযোগ যখন প্রমানিত হলো না, তখন তাদের ছেড়ে দেয়াটাই ছিল বাঞ্ছনীয়। তা না করে স্থানীয় পুলিশ, তথাকথিত উপরের নির্দেশের আলোকে তাদেরকে হেনস্তা করা চালিয়ে যেতে থাকলো। দিন কয়েক থানায় আটকে রেখে সর্বশেষ গত (আরো পড়ূন)

কাজের কথা, চিন্তার ও

মানুষের নিজেকে প্রকাশ করার জন্য, এবং সে নিজে যা কিছু প্রকাশ করতে চায় সেই জন্য, মানুষের ভাষা খুব অপর্যাপ্ত। এই অপর্যাপ্ততার মাঝেই প্রকাশ' এর কাজ চালাইয়া যাইতে হয়। কারন কাজ করতে হইলে কাজের কথা প্রকাশ করতে হয়। ভাষায়। এই যেমন এই দেশে এখনকার সবচেয়ে বড়ো কাজ হইলো (এইটা এই দেশের শুরু থেইকাই বড়ো কাজ); 'একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা'। তো আমি মুশকিলে আছি এই ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়া। আপনারা এইটা না জাইনা পারেনই না যে, 'কাজ'টা কি বা কেমন সেইটা একমাত্র সেই 'কাজ' যে শব্দে শব্দমালায় প্রকাশ করা হয় সেইটা বহুত গুরুত্বপূর্ন। সেই শব্দের জন্ম, জন্মস্থান, বংশ পরিচয়, ঘরব (আরো পড়ূন)

দিন বদলের শ্লোগান সমাচার

আমি যখন আমার স্নাতকোত্তর পড়াশুনা করছিরাম, তখন বিজ্ঞাপনী ভাষা বা এ্যাডভার্টাজিং ল্যাংগুয়েজের উপর আমাকে একটি কোর্স করতে হয়েছিল। সে সময়ে বিভিন্ন কোম্পানীর শ্লোগান নিয়েও কাজ করেছিলাম। এগুলো করতে গিয়ে ব্যবসায়িক কোন প্রতিষ্ঠানের শ্লোগান নিয়ে আমার বেশ কিছুটা ধারণা হলো। যেমন আমি জানতে পারলাম যে, কোন একটি কোম্পানীর শ্লোগানটিকে হতে হবে তার উৎপাদিত পন্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন। শ্লোগানটিকে হতে হবে আকর্ষণীয়, যাতে ক্রেতা শ্লোগানটি পড়েই যেন পন্য কিনতে আগ্রহী হন। শ্লোগানটিকে সে অর্থে হতে হবে সংক্ষেপ, কিন্তু তাৎপর্যপূর্ন। সবচেয়ে বড় ব্যপার হলো, শ্লোগানটিকে হতে হতে ব্যতিক্রমধর্মী। যাতে এর মূল (আরো পড়ূন)

সংগীত অথবা অকূল সমুদ্দুরে অবগাহন

আমরা যখন কোনকিছু বলি-অর্থবোধকই বলি। যাতে অপরকে নিজের ভাব বুঝাতে পারি। শুধু তাই নয়, নিজের ভেতর সে অর্থের প্রতি এক ধরণের তাড়না থাকে। অর্থ মূলতঃ নির্দেশনামূলক। এই নির্দেশনা কোন ঘটনাকারে উপস্থিত হয়, যা একাধারে বস্তুকেন্দ্রিক আবার অনুভূতির সাথেও জড়িত। যখন আপনি কিছু বললেন, তা ধ্বনি আকারে অপরের কানে পৌঁছায়। তা বিশিষ্ট দ্যোতনা তৈরী করে। যেমন- আনন্দ। এর যে অর্থবোধকতা, রহস্যময় মনে হতে পারে, কেননা বস্তু আকারে এর নির্দেশনাটি কি? এই শব্দটি উচ্চারণের সাথে সাথে আপনার মনে উৎফুল তার যে ভাব আসে তা ভাষায় বা বস্তু দিয়ে দেখানোর নয়। এই হলো শব্দ ও অনুভূতির নিজস্ব সম্পর্ক। কোন নাম শুধু নি (আরো পড়ূন)