নিউইয়র্কের মসজিদ বির্তক
দেশপ্রেমের আড়ালে বর্ণবাদের বিকট চেহারা
নিউইয়র্কের গ্রাউন্ড জিরোর কাছে একটা জায়গায় মসজিদ তৈরিকে কেন্দ্র করে আমেরিকার রাজনৈতিক দলগুলা সহ নানা পক্ষ থেকে ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক চলছে। এ বিতর্কে রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামাও জড়িয়ে পড়েছে। তবে লক্ষণীয় দিক হচ্ছে প্রধানত সেকুলার মুসলিমরা একে কেন্দ্র করে বেশ হাহুতাশ চিৎকার চেচামেচি শুরু করেছেন ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তারা নানা কায়দা করে বুঝাতে চাচ্ছেন, এই বিরোধিতা আমেরিকার জনগণের প্রধান কণ্ঠ না। তাদের ভাবসাব এমন যে এই মসজিদ বানানোর বিরোধিতার মধ্য দিয়ে দুনিয়ায় সেকুলারিজমের বেহেস্তখানা অর্থাৎ আমেরিকার খুব কলঙ্ক হয়ে যাচ্ছে। কারণ তারা বলছেন, আমেরিকান সমাজ খুব বহুত্ববাদী এবং ধর্মবিশ্বাস ও সংস্কৃতির বৈচিত্রে সহনশীল। ফলে যেকোন ধর্মীয় আচার পালনে সকল নাগরিকেরই সমান অধিকার আছে আমেরিকায়। কিন্তু গুটিকয়েক অসহিষ্ণু এখন গ্রাউন্ড জিরোতে মসজিদ বানানোতে বাধা দিচ্ছে।
আমেরিকান এবং নানা মুসলমান দেশ থেকে আমেরিকায় অভিবাসী কিম্বা প্রবাসী হওয়া এই সেকুলারদের বক্তব্য হচ্ছে, কাজেই মুক্ত সমাজ হিশাবে আমেরিকার দায়িত্ব হল এখন এই মসজিদখানা বানাতে দেয়া। যাতে করে তারা মডারেট মুসলমান অর্থাৎ ভাল মুসলমানদের আমেরিকার সমাজে হজম (অ্যাসিমিলেইট) করতে পারেন। বাংলাদেশের প্রতিবেশী ইনডিয়ার নায়ক শাহরুখ খান অভিনীত ‘মাই নেম ইজ খান’ ছবির মুসলামানের মত ভাল মুসলমান। কিন্তু ভাল মুসলমানের ধারা প্রতিষ্ঠার রাজনীতি করতে গিয়ে এই সেকুলাররা এখন আমেরিকান সমাজের যে রূপ দেখছেন, তাতে তাদের বেহেস্তখানার খোয়াব বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। খিচুনি ধরার মতই তারা এখন তড়পাচ্ছেন, কলমে-কিবোর্ডে আর টক শো কিম্বা বক্তৃতায়।
মসজিদটা ঠিক গ্রাউন্ড জিরোতে হওয়ার কথা না। তার পাশে একটা ব্যক্তি মালিকানায় থাকা জমিতে ওই জমির মালিকরাই মসজিদ বানানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। এ বছরের তেসরা আগস্ট প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছে ডাউন টাউন ম্যানহাটান কমিউনিটি বোর্ড। সিটি মেয়র মাইকেল ব্লমবার্গ এই প্রকল্পে সমর্থন জানিয়েছেন। গ্রাউন্ড জিরো থেকে চারশ হাত দূরে প্রস্তাবিত পার্ক ৫১’র এই ইসলামি কেন্দ্রটার নাম কর্ডোভা হাউস। মুসলিম আমলের স্পেনের কর্ডোভা শহরের স্মৃতি জড়ানো নামের ওই তের তলার কেন্দ্র বানাতে খরচ পড়বে ৭০০ কোটি টাকা।
গত তের আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার ও ডিনার পার্টিতে স্বাগত বক্তব্যে দেশটার রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের একজন নাগরিক এবং রাষ্ট্রপতি হিশাবে আমি মনে করি, অন্য সব ধর্মের মত ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী আমেরিকান মুসলমানদেরও স্বাধীনভাবে ধর্মকর্ম করার অধিকার আছে। তাই তাদের গ্রাউন্ড জিরোর কাছে মসজিদ ও ইসলামি কেন্দ্র তৈরির পথে কারো বাধা হয়ে দাঁড়ানো উচিত না।
‘অসহিষ্ণুতা শুধু আল-কায়েদারই বৈশিষ্ট্য না- ইসলাম নিজেই এমন’
মসজিদ বানানোর উদ্যোগের শুরুতে প্রতিবাদ করেছে ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১-এ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলা। আর তাদের জোরালো সমর্থন করেন রিপাবলিকানরা। দলটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সারাহ পলিন, সাবেক স্পিকার ন্যুট গিংরিচ এবং নিউইয়র্ক থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান সদস্য পিটার কিং এই মসজিদ নির্মাণ বিরোধী প্রচারণায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন। পিটার কিং বলেন, ওবামা ভুল করছেন। গ্রাউন্ড জিরো এলাকায় মসজিদ নির্মিত হলে তা ১১ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্বজনদের দারুণভাবে আহত করবে। এতে এর প্রভাব সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়বে। দ্য গ্রান্ড জিহাদ : হাউ ইসলাম এন্ড দ্য লেফট স্যাবটাইজ আমেরিকা বইয়ের লেখক এ্যান্ডু ম্যাকার্থির ন্যাশনাল রিভিউতে দি টলারেন্ট পোজ নামে একটা লেখা লেখেন। তিনি দেখান, অসহিষ্ণুতা শুধু আল-কায়েদারই বৈশিষ্ট্য না- ইসলাম নিজেই এমন। আমেরিকায় ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রসঙ্গে ম্যাকার্থির বলেন, ওবামা যা বলেছেন তা আসল স্বাধীনতা না, বরং স্বাধীনতা জিনিসটাকেই তিনি অস্পষ্ট এবং হাওয়াই করে ফেলেছেন।
এটাই আমেরিকার সমাজের আসল চেহারা
আমেরিকায় ধর্মীয় বহুত্ববাদকে নজির হিশাবে না নিয়ে উল্টা পথে যাত্রার ইতিহাস নতুন না। যেখানে উনিশ শতকে যুক্তরাষ্ট্রে ঠিক এইরকম সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে আক্রান্ত হয়েছিল রোমান ক্যাথলিকরা। কিন্তু এখন পিটার কিং-এর মত ক্যাথলিকরাই মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতা করছে। আ হিস্ট্রি অফ ইসলাম ইন আমেরিকা’র লেখক কাম্বিজ গ্যানিয়াবিসিরি ‘ইজ রিলিজিয়াস ফ্রিডম এ কজালটি এট গ্রান্ড জিরো?’ (গ্রাউন্ড জিরোতে ধর্মীয় স্বাধীনতাই কি একটা যুক্তি?) লেখায় আমেরিকায় মুসলমানদের ইতিহাস দেখিয়ে সংবিধানের ধারা অক্ষুণ্ন রাখার কথা বলেন। কিন্তু ২ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের এক জরিপে এই প্রকল্পের বিপক্ষে মত দিয়েছে প্রায় ৬৮ ভাগ আমেরিকান নাগরিক।
আমেরিকান ইসলাম
১৩ আগস্টের সেই অনুষ্ঠানে ওবামা আরো বলেন, আল-কায়েদা সন্ত্রাসীচক্র প্রকারান্তরে ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আজ পর্যন্ত যত নিরীহ লোক তারা হত্যা করেছে তার সিংহভাগই হচ্ছেন মুসলিম। আসলে ওরা কোন ধর্মেরই প্রতিনিধিত্ব করে না। ওরা মানবতার শত্র“। তাই আল-কায়েদার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে শান্তি ও প্রগতির ধর্ম ইসলামের কোনই সম্পর্ক নাই।
এই শতাব্দীর শুরু নাগাদ ইসলামি দুনিয়ায় নতুন একটি শব্দ যোগ হয়। মডারেট বা ভালো ইসলাম। ক্লিনটন দুইহাজার সালে বাংলাদেশ সফরকালে এই দেশকে মডারেট মুসলিম রাষ্ট্রের খেতাব দেন। মডারেট ইসলাম আমেরিকার বানানো পছন্দসই ইসলাম। যে ইসলাম আমেরিকার আপন স্বার্থ, সেই সুবাদে বিশ্বপুঁজির স্বার্থ এবং দুনিয়াজোড়া সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের শরিকানায় পয়বন্ধ। যে ইসলাম বিনাপ্রশ্নে এই স্বার্থ ও যুদ্ধ সমর্থন করে এবং তার পক্ষ নেয় সেটাই ‘ভাল ইসলাম’। আসলে, মডারেট মুসলমান বা মডারেট ইসলাম ধর্মতাত্ত্বিক কোন অভিধা না। এটা পুরাই রাজনৈতিক অভিধা।
লক্ষণীয় যে, কিছু ধর্মপ্রাণ মুসলমান গোষ্ঠী এবং সেকুলাররা এর রাজনৈতিক ভিত্তি দেয়। এর সাথে যে দেয়া-নেয়া বা দাস্যতার সম্পর্ক আছে তা সবসময়ই আড়াল করে রাখা ছিল। এমনকি এই মডারেট নামের আড়ালে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের কায়-কারবারে সরাসরি সায় জানানোর তরিকা জারি রাখে। এর মধ্য দিয়ে ধর্মের সাথে রাজনীতির অনৈতিহাসিক এবং কাল্পনিক এক অসূয়া সম্পর্ক দেখিয়ে সেকুলার ইসলামের বয়ান হাজির করে। কিন্তু সেই মডারেট ইসলামের জন্মদাতা খোদ আমেরিকাই এখন সামান্য মসজিদের চিহ্ন রাখতে দিতে নারাজ, মুসলমানরা এখানে বর্ণবাদের শিকার।
সেকুলার হবার খায়েশে ভাল ইসলাম আর উদার মুসলমানিত্বের পরিচয়ে নিজেকে অপদমস্তক ঝালাই করেও শেষ রক্ষা হচ্ছেনা। এরপর আর বাকি থাকে সব আলখাল্লা খুলে ভাল খ্রিস্টান হয়ে যাওয়া।
আমেরিকান জনগণের মসজিদ বিরোধিতার ফলে বাংলাদেশেও ‘ভাল ইসলাম’ ব্যবসায়ীরা বেকায়দা দশায় পড়েছেন। ভাবখানা এমন, এ হতেই পারেনা, এ আমার চেনা নয়, পুণ্যভূমি সাধের আমেকিার কি করে এমন হয়! এই যেমন তের আগস্ট দৈনিক প্রথম আলোতে আমেরিকা প্রবাসী সেকুলার-ধর্মপ্রাণ হাসান ফেরদৌস ‘আমেরিকায় এসব হচ্ছেটা কি?’ শিরোনামে লেখাটায় আহাজারি আর বিলাপের বিস্তার ঘটান। ওই লেখায় তার ক্ষোভ এই যে, আমেরিকানরা ‘রাজনৈতিক ইসলাম’ এবং ‘ইসলাম ধর্ম’ একসাথে গুলিয়ে ফেলছেন। হাসান ফেরদৌসরা যা আড়াল করছেন তা হল, ‘রাজনৈতিক ইসলাম’-এর বদলে যে ‘শান্তিবাদী ইসলাম ধর্ম’-এর তাবলীগ বাংলাদেশে তারা করছেন, ভাল-মুসলমান হবার সবক দিচ্ছেন--সেই শান্তির ইসলাম আর ভাল মুসলমান-ই সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধের নিরেট রাজনৈতিক প্রকল্প। কিন্তু তামাশাটা হচ্ছে, খোদ সেই প্রকল্পে শরিক ‘মুসলমান’রাই নিজ জমিতে একটা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বানাতে পারছেনা।
ভাল মুসলমানেরও জায়গা নাই
ইসলামের উন্নয়নে আমেরিকার ভাল মুসলমানদের নানা প্রকল্প আছে। আমেরিকান ইসলামকে মজবুত করতে মসজিদ ও ইসলামি কেন্দ্র ইত্যাদি বানানো, ইমাম প্রশিক্ষণ, ধর্মীয় বা মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করেন তারা। তাছাড়া সন্ত্রাসীদের দমনে রাষ্ট্রের তরফে সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ নানা প্রকল্পে গ্রহণ করে যুক্তরাষ্ট্র। এই আমেরিকা ইসলামের একজন নেতা হচ্ছেন কর্ডোভা হাউসের ইমাম ফয়সল আবদুর রউফ। একজন ভালো মুসলমান হিশাবে তিনি পরিচিত। তিনি মুসলমানদের নানা নহিসত করে দি হাফিংটন পোস্টে কলাম লেখেন। সেখানে তিনি সন্ত্রাস বাদ দিয়ে অপরাপর ধর্ম সম্প্রদায়ের সাথে কিভাবে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করা যায়--তা তুলে ধরেন। রউফ তার ‘হোয়াটস রাইট উইথ ইসলাম ইজ হোয়াটস রাইট উইথ আমেরিকা’ নামের বইয়ে যুক্তি দেখান, প্রকৃতপক্ষে আমেরিকা হল ইসলামের জন্য আদর্শ সমাজ। তিনি বৈচিত্র্যের প্রতি উৎসাহ এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা ও বিভিন্ন ধর্মের প্রণোদনায় আমেরিকার কর্মকাণ্ডের জোর প্রশংসা করেন। এরজন্য তিনি কোরান থেকে ছত্রছত্র আয়াত উপস্থাপন করেন। নিউজ উইকের অন্যতম সম্পাদক ফরিদ জাকারিয়া ও লেখক উইলিয়াম ডারলিম্পেলের মত অনেকে ইমাম রউফের সাফাই গান। কিন্তু মূলধারার আমেরিকানরা প্রায় সবাই এর বিপরীত মত দেন। এইসব ঘটনার রেশ মিলে আসন্ন এগার সেপ্টেম্বর ইসলাম এবং মুসলিম বিরোধী নানা তৎপরতার আগাম ঘোষণা দিয়েছে আমেরিকানদের কোন কোন সংস্থা ও গোষ্ঠী। এর মধ্যে এক পাদ্রীর কোরান পোড়ানোর কর্মসূচিও আছে।
ইরাকে গণহত্যার সমর্থকরাও মসজিদ বানাতে না দেয়ায় ক্ষুব্ধ!
উল্লেখ্য নিউজ উইক পত্রিকা ডানপন্থী পত্রিকা হিশাবে পরিচিত। এর সম্পাদক ফরিদ জাকারিয়া মসজিদ নির্মাণের পক্ষে এক কড়া সম্পাদকীয় লেখেন। সাফ সাফ নিজের হতাশার কথাও লিখেছেন। লেখার শিরোনাম ছিল ‘গ্রাউন্ড জিরো মসজিদ তৈরি কর’। তার মতে, চলমান সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে জেতার জন্য ওসামা বিন লাদেনের অনুসারীদের বিপরীতে মডারেট মুসলমান বয়ান দাঁড় করানো বেশি কাজের জিনিস। হাসান ফেরদৌসও তাই মনে করেন। বুশ প্রশাসনও এই লক্ষ্যে মুসলমানদের নানাভাবে সাহায্য করেছে। এরমধ্যে মসজিদ, স্কুল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করার প্রকল্প রয়েছে। কিন্তু এর সবই ছিল নিউইয়র্ক ইস্যু থেকে দূরের বিষয়। কর্ডোভা হাউস নির্মাণকে তিনি সেই সংস্কারবাদী আন্দোলনের অংশ হিশাবেই দেখেন। ফরিদ জাকারিয়ার স্বীকারোক্তি, তিনি একজন ধার্মিক ব্যক্তি না হয়েও এই সুযোগ হাতছাড়া করায় মনে চোট পেয়েছেন। ইহুদিদের সংগঠন এন্টি ডিফেমেশন লীগের [এডিএল] প্রধান আব্রাহাম ফক্সম্যান এগার সেপ্টেম্বরের স্বজনহারাদের সাথে একমত পোষণ করেছেন। তিনি এই মসজিদ নির্মাণের সমর্থনকে গোড়ামী কর্মকাণ্ড বলেছেন। ২০০৫ সালে এই সংস্থা ফরিদ জাকারিয়াকে দ্য হুবার্ট এইচ হামফ্রে ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট ফ্রিডম প্রাইজ দেয়। তবে সংস্থাটির মসজিদ নির্মাণ বিরোধী অবস্থানে জাকারিয়া খুবই আহত হন। সেকারণে তিনি পুরস্কার ও সম্মানীর দশ হাজার ডলারও ফেরত দেন। তিনি বলেন, যখন তিনি পুরস্কার পান তিনি খুব খুশি হন, কারণ এই প্রতিষ্ঠানকে তিনি সম্মান করতেন। কিন্তু এখন দেখছেন তাদেরও ইসলাম আতঙ্ক আছে। এই প্রসঙ্গে তিনি ফিলিস্তনিদের নিধনযজ্ঞ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, এই পত্রিকা এবং এর সম্পাদকদের একজন ফরিদ জাকারিয়া আমেরিকা কর্তৃক ইরাকে গণহত্যা এবং দখলদারিত্বকে নির্বিচারে সমর্থন দিয়ে গেছেন।