২. করোনাভাইরাস, জীবানু মারণাস্ত্র এবং বৈশ্বিক নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণ
চিন ছাড়া আর দুটি দেশ মৃত্যু হার ও প্রাদুর্ভাবের দিক থেকে করোনাভাইরাসে ভীষণ ভাবে আক্রান্ত: একটি ইটালি, আরেকটি ইরান। ইরান করোনাভাইরাসে অতিশয় আক্রান্ত তিনটি দেশের একটি। ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতার পরামর্শদাতাদের একজন আয়াতুল্লাহ হাশেম বাথায়ি গোলপায়েগানি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ডাক্তারি পরীক্ষায় নিশ্চিত হবার দুই দিনের মধ্যেই মারা গিয়েছেন। ইরানের রেভুলিউশনারি গার্ড কোরের একজন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসের শাবানি কোভিড-১৯ সংক্রমণে মারা গিয়েছেন। ইরানে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে, যখন এ লেখা লিখছি, ৮৫০ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশ ভয়ংকর বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। সরকারি সংক্রমণ সরকারী পর্যায়ে অস্বীকার করবার প্রবণতা আমরা শুরু থেকেই লক্ষ্য করছি। সংক্রমণ শনাক্তকরণের কোন বিধিবদ্ধ ব্যাপক ব্যবস্থা নাই। আমরা আসল পরিস্থিতি ঠিক কী, জানি না। জানার কোন উপায় নাই। জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতার যে অবিশ্বাস্য মাত্রা আমরা লক্ষ্য করছি, তা ভয়ংকর। এর জন্য বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দ্বিপাক্ষিক সহযোগীরাই প্রধানভাবে দায়ী। তারাই সরকারের এই ধরণের আচরন টিকিয়ে রেখেছে।
সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করলে সারা পৃথিবীর জন্য হুমকি হয়ে উঠবে। এর জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও দায়ী। কারন তাদের তরফ থেকে সরকারের ওপর কোন চাপ দেবার লক্ষণ আমরা দেখছি না। এতে তথ্য লুকিয়ে রাখবার সুবিধা হচ্ছে। তথাকথিত উন্নয়ন সহযোগীদের তরফ থেকে কোন উচ্চবাচ্য নাই। সরকার টিকিয়ে রেখেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বহুপাক্ষিক সংগঠন। কাঁটাতারের বেড়ার মধ্যে বাংলাদেশের জনগণকে করোনাভাইরাসে মারবার প্রস্তুতিই চলছে যেন! ভয়াবহ।
মনে রাখবেন, পরিস্থিতি এমন যে করোনাভাইরাস জৈব মরণাস্ত্র হোক না হোক অসম বিশ্বব্যবস্থায় সংক্রমণের মাত্রা ও ক্ষতি আপনাকেই বহন করতে হবে। বিশ্বব্যাপী প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশের বিনাশ, ভারসাম্যহীনতা ও অব্যবস্থাপনার শিকার হবেন আপনি। ল্যাবরেটরিতে তৈরি না হলেও প্রকৃতি ধ্বংস করলে তার প্রতিশোধ মহামারী মড়ক ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকৃতি নিয়ে থাকে। আপনি ক্ষমতাসীন সরকার এবং পাশ্চাত্য শক্তিগুলোর চোখে স্রেফ সংখ্যা মাত্র। মানুষ না। আপনি বাদুড়ের মতো করোনাভাইরাস বহনকারী জীব। কিন্তু আপনার কোন হুঁশ নাই।
আমাদের বেহুঁশ হাল ও অজ্ঞানতার সুযোগে ক্ষমতাসীনরা তথ্য লুকাচ্ছে। এই বিপর্যয় থেকে মানুষ রক্ষা করবার কোনই প্রস্তুতি তাদের নাই। মানুষ মরে কি বাঁচে তাতে কারুরই মাথাব্যথা নাই।
একটি লুটেরা, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা দিল্লি-ওয়াশিংটন-লণ্ডন-ব্রাসেলস টিকিয়ে রেখেছে, পিকিং অর্থনৈতিক ফায়দা তুলে নিচ্ছে। কিন্তু আপনার নিজের বিপদ সম্পর্কে আপনার নিজেরই কি কোন হুঁশ আছে?
করোনাভাইরাস সম্পর্কে আমরা শুধু ইউরোপিয়ানদের ভাষ্য শুনি, তাদেরই তথ্য, বিশ্লেষণ, দাবি আর পালটা দাবি শু্নি। কিন্তু ইরান করোনাভাইরাস সংক্রমন সম্পর্কে কি বলে আমরা শুনি না। কারন সেখানে শিয়া ইমামরা ক্ষমতায় আছেন। আমরা তাদের পছন্দ করি না। করোনাভাইরাইস শিয়া সুন্নি ভেদ করতে পারে কিনা সেই গবেষণার কোন খবর আমার জানা নাই। আপনি ইরান শুনছেন না। একে ‘প্রপাগাণ্ডা’ বলছেন, কিম্বা বলছেন মার্কিনিরা যেমন পণ্ডিতি করে বলে থাকে ‘ল্যাকিং এভিডেন্স’।
এতে আপনার কথায় একটা বৈজ্ঞানিক নিরপেক্ষতার ভাব আসে, কিন্তু আপনাকে বিশুদ্ধ বেকুব ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। মনে রাখবেন ষোল বা সতেরো শতাব্দির বিজ্ঞানের কেচ্ছা শুনে বিজ্ঞান সম্পর্কে আপনি যে নির্বিচার ধারণা গড়ে তুলেছেন সেটা স্রেফ অন্ধ বিশ্বাস। যেমন, বিজ্ঞান আর কৃৎকৌশল মানেই দেশকালপাত্র ভেদে সবসময়ই সত্য এবং মঙ্গল। এই নির্বিচার অনুমানকেই 'অন্ধ বিশ্বাস' বলা হয়। অন্ধ বিশ্বাস ত্যাগ করুন। আপনার মাথা বিগড়ে আছে। নিজের প্রতিরক্ষার কথা ভাবুন।
ঠিক আছে না হয় ‘অন্ধ বিশ্বাস’ বললেন না। কিন্তু একালে ‘বিজ্ঞান’ নামক ধারণা আসলে ‘ইডিওলজি’। আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করবার মতাদর্শিক হাতিয়ার। দেখুন, ‘ধারণা’ বলেছি, বিজ্ঞান বা কৃৎকৌশল আমাদের মঙ্গল করে নাকি মন্দ, সেটা সুনির্দিষ্ট বিজ্ঞান ও কৃৎকৌশল পর্যালোচনা করেই করতে হবে। বিজ্ঞান মানেই ভালো, কৃৎকৌশল মানেই ভাল – এই গড়ে হরিবোল ধারণা ‘ইডিওলজি’। তাই বিজ্ঞানের যে স্পিরিট – অর্থাৎ প্রত্যক্ষ ভাবে জগতকে জেনে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে কোন একটি অনুমান, প্রস্তাবনা বা থিসিস সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসা – সেই স্পিরিট এখন তলানিতে। বিজ্ঞানের জগত দখলে নিয়েছে বহুজাতিক কোম্পানি, মারণাস্ত্র ইন্ড্রাস্ট্রি এবং পরাশক্তি দেশগুলোর প্রতিরক্ষা বিভাগ। এর বাইরে সত্যিকারের বিজ্ঞানের নিজস্ব ক্ষেত্র ও লড়াই আছে। প্রাণ, পরিবেশ ও প্রকৃতি সুরক্ষার বিজ্ঞান যেমন, যার ভিত্তি হাজার হাজার বছর ধরে গড়ে উঠেছে। সেই বিজ্ঞানে আমাদের বিজ্ঞানী হয়ে উঠতে হবে। আমাদের দরকার উন্নত গণপ্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যেখানে লোকায়ত চর্চা, প্রজ্ঞা, বিজ্ঞান, নীতিনৈতিকতা এবং দূরদৃষ্টি অর্জন প্রধান ভূমিকা রাখবে। কারণ এই অসম বিশ্বে আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। ইঁদুরের মতো মুখে ফেনা তুলে মরে গেলে চলবে না।
মানুষের সকল কর্মকাণ্ডই নৈতিক পর্যালোচনা সাপেক্ষে বিচার্য। কারণ মানুষ জন্তু-জানোয়ার না। কিন্তু 'বিজ্ঞান' নামক ইডিওলজির নামে আপনার নৈতিক জীবন অস্বীকার করা যায়। বিজ্ঞানের কাজ কি শুধু ভোগী মানুষের ভোগের চাহিদা মেটানো? নৈতিকতার জায়গা থেকে বিজ্ঞান ও কৃৎকৌশলের পর্যালোচনা জরুরী, এই অতি প্রাথমিক কর্তব্য থেকে মানুষ সরে এসেছে। বিজ্ঞান ও কৃৎকৌশল মানেই কোন প্রকার বিবেচনা ছাড়াই ভালো – এই মহা মূর্খতার প্রচার ও আধিপত্য এমনই বেড়েছে যে আপনি বুঝতেই পারছেন না বিজ্ঞান ও কৃৎকৌশল এখন দুনিয়ার অল্পকিছু বহুজাতিক কোম্পানি এবং মারণাস্ত্র তৈরির ইন্ড্রাস্ট্রির প্রায় একচেটিয়া হয়ে গিয়েছে।
ভুলে যাবেন না, প্রথম পারমাণবিক বোমা হিরোশিমা ও নাগাশাকিতে মেরে তার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়েছিল। হয়তো করোনাভাইরাস তার ব্যাতিক্রম নয়। মানুষের ওপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। বাংলাদেশের মানুষের ওপর ব্যাপক পরিক্ষা-নিরীক্ষা করা খুবই সহজ। তাই একদিকে বিপর্যয় থেকে সুরক্ষার প্রস্তুতি যেমন দরকার, তেমনি ইরানিদের দাবি ‘প্রপাগান্ডা’ হোক বা না হোক -- আমি শোনার পক্ষপাতি। সত্যও হতে পারে। করোনাভাইরাস দুনিয়ার প্রধান ও এক নম্বর মারণাস্ত্র উৎপাদক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি জৈব মারণাস্ত্র (Biological Weapon)। প্রপাগান্ডা বলে এখন উপেক্ষা করতে পারেন, কিন্তু যখ্ন আপনি জানবেন তখন অনেক দেরি হয়ে যাবে।
আধুনিক পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়নের কালে বিজ্ঞান ‘নিরপেক্ষ’ নয়। বিজ্ঞানের আবির্ভাব ঘটেছিল বুদ্ধি ও বিচারবিবেচনা দিয়ে আমাদের পরিদৃশ্যমান জগত বা প্রকৃতির ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণের দরকারে। কারণ জানার পিপাসা মানুষের মজ্জাগত। কিন্তু সেই জানা কখনই স্রেফ জানার জন্য জানা ছিল না। সেই জানাকে মঙ্গল বা কল্যাণের দিকে প্রবাহিত করা ও প্রবাহিত রাখা সবচেয়ে কঠিন কাজ। মানুষের জানার পিপাসা এখনও তীব্র, কিন্তু তার ওপর আধিপত্য এসেছে মোটা দাগে দুটো ধাপে। প্রথম ধাপে ঘটেছে জানা ও বোঝার জগতে মানুষের নৈতিক ভূমিকা নির্ণয়ের কর্তব্য ভুলে গিয়ে বিজ্ঞানকে স্বয়ং অধিপতি হয়ে উঠতে দেওয়ার মধ্যে। জানা বা বোঝার চেয়ে বিজ্ঞান ও কৃৎকৌশল হয়ে উঠেছে স্রেফ জগত বা প্রকৃতির ওপর মানুষের আধিপত্য কায়েমের হাতিয়ার। মানুষই সব কিছুর কেন্দ্রবিন্দু, অন্য কোন প্রাণী, জীব, অণূজীব না, মানুষের জন্যই দুনিয়া -- এই চিন্তা একটি অসুস্থ জগত তৈরি করেছে। দুনিয়া মানুষের ভোগ্য বস্তু কেবল। দুনিয়ার একমাত্র কাজ মানুষের ভোগে লাগা। তাই মানুষের মধ্যে এই চিন্তা প্রবল হয়েছে যে প্রকৃতির ওপর মানুষের আধিপত্য কায়েম করতে হবে, যে কোন মূল্যে। বিজ্ঞান ও কৃৎকৌশল, বিশেষত ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল সভ্যতা (?) কিভাবে প্রকৃতির প্রাণব্যবস্থার ক্ষয় ঘটাচ্ছে, খোদ প্রকৃতিরই সর্বনাশ ঘটাচ্ছে সেই দিকে কেউ ফিরেও তাকায় নি। অতি সম্প্রতিকালে প্রকৃতি পরিবেশ নিয়ে কিছুটা হুঁশ তৈরির চেষ্টা চলছে।
দ্বিতীয় ধাপে বিজ্ঞান এসেছে মানুষের দেহ, চেতনা এবং আচার আচরণ নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়নের কালে বিজ্ঞানের এই রূপ প্রবল ভাবে সামনে হাজির হয়েছে। যাকে আমরা মনোবিজ্ঞান বলি বা সেটা এখন হয়ে গিয়েছে বিহেভিয়ারাল সায়েন্স। মানুষের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের বিজ্ঞান। এরপর এসেছে ডিজিটাল টেকনলজি, ইন্টারনেট, স্মার্ট ফোন, গ্লোবাল পজিশানিং সিস্টেম, ইত্যাদি। আপনি এখন সার্বক্ষণিক নজরদারির অধীন। এরপর রয়েছে বায়োটেকনলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনীয়ারিং। এসেছে প্রাণকোষ বদলে দেওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং। প্রকৃতি স্বাভাবিক ভাবে যে প্রাণ তৈরি করে তার 'জিন' বা গঠন সংকেত বিকৃত করে সেই সকল অস্বাভাবিক জীব, অণূজীব ও প্রাণ তৈরি করা, যাতে খোদ প্রাণ এখন বহুজাতিক কোম্পানির নিয়ন্ত্রণের বিষয় হয়ে ওঠে। অল্পকিছু বহুজাতিক কোম্পানি নিজেদের মধ্যে সারা দুনিয়াকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেবার তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। জিন বা প্রাণের গঠন সংকেত এখন বহুজাতিক কোম্পানির নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্র। এই নতুন বাস্তবতা মাথায় রেখে কোভিড-১৯ নিয়ে ভাবুন। খামাখা আতংকিত হয়ে কোন ফল হবে না।
এই যখন বিশ্ব পরিস্থিতি তখন ইরানের ইসলামি রেভুলিউশনারি গার্ড কোর (Islamic Revolutionary Guard Corps)-এর কমাণ্ডার হোসেন সালামি মার্চের ৫ তারিখে বলেছেন, করোনাভাইরাস মার্কিন জৈব মারণাস্ত্র হতে পারে। আমরা তাঁর কথাকে তাই ফেলে দিচ্ছি না। যারা ‘ল্যাকিং এভিডেন্স’ বলে জৈব মারণাস্ত্রের তর্ক এড়িয়ে যেতে চাইছেন, কমান্ডার হোসেন সালামির বক্তব্য তার বিপরীতে। ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থার (ISNA news agency) খবর অনুযায়ী তিনি বলেছেন:
“আজ আমাদের দেশ একটি জৈব যুদ্ধে অবতীর্ণ। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা জিতব, যা মার্কিনদের তৈরি জৈব হামলা হতে পারে, যা প্রথমে চিনে ছড়িয়েছে, এরপর সারা দুনিয়ায়”। রাশিয়ার সোশাল মিডিয়াও মার্কিনিদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলছে। গুজব বলুন কিম্বা প্রপাগান্ডা, চিনাদের জৈব মারণাস্ত্র তৈরির ল্যাবরেটরি থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে – এই প্রচারও রয়েছে। বিপরীতে করোনাভাইরাসের ‘জেনোম’ বা গঠন সংকেত বিচার করে বিজ্ঞানীরা বলছেন এটি মানুষের তৈরি বলে মনে হয় না। অর্থাৎ ল্যাবরেটরিতে বানানো হয়েছে সেটা প্রমাণ করা কঠিন।
ইরান কিন্তু গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর। এটা গুজব নয়। একটি সম্ভাবনা। সাইবার পুলিশ কমাণ্ডার বাহিদ মজিদ লোকজনদের গুজব ছড়ানোর জন্য ধরছেন। অনেককে ওয়ার্নিং দিচ্ছেন। ইরানে সাইবার পুলিশ আছে।
আমরাও গুজবের বিরুদ্ধে। কারন জৈব মারণাস্ত্র হোক বা নাহোক, মানুষ বাঁচানোই এখন ফরজ কাজ।
কিন্তু জৈব মারণাস্ত্রের অভিযোগ ভুলতে আমরা রাজি না। কারন ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেবার জ্ঞান আমাদের কিছুটা হলেও আছে।