ভাসানীঃ যেন তিনি থাকেন
আজ ১২ ডিসেম্বর। গণমাধ্যমগুলোতে খুঁজলাম। দুই-একটি পত্রিকা কানাকুঞ্চিতে ক্ষুদ্রভাবে মনে করিয়ে দিয়েছে। তবুও বলি, শুকরিয়া।
মরিজন বিবি এই তারিখে ১৮৮০ সালে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। হাজী শরাফত আলী খানের পুত্র। সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রাম ব্রিটিশ আমলে কেমন ছিল, এখন অনুমান করার উপায় নাই। বুঝতে পারি, যাকে আমরা অতি পশ্চাৎপদ গ্রাম হিসেবে ট্যাগ মারতে পছন্দ করি, ধানগড়া সেই রকমই ছিল। শরাফত আলী খান ছেলেকে মক্তবেই পড়িয়েছিলেন। ছেলে মক্তবে কিছুদিন শিক্ষকতাও করেছিলেন। ১৮৯৭ সালে পীর সৈয়দ নাসীরুদ্দীনের সঙ্গে আসাম চলে যান। তারপরের ইতিহাস উপমহাদেশে ব্রিটিশবিরোধী লড়াই ও জমিদার-মহাজনদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি যুক্ত। এ লড়াইয়ের নায়ক হচ্ছে এই অঞ্চলের কৃষক। সোজা কথায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মজলুম জনগণ।
মরিজন বিবি আর হাজী শরাফত আলী খান যে ছেলেটির জন্ম দিয়েছিলেন, তিনি আবদুল হামিদ খান ভাসানী। আজ তার জন্মদিন। আজ ভোরে যখন দেশের বাইরে থাকায় দুই সপ্তাহ বাদে যুগান্তরের লেখা লিখতে বসেছি, মনে হল তিনি পাশে কোথাও বক্তৃতা করছেন। তার ঠাটাফাটানো বজ্র কণ্ঠের খামোশ কানে এসে আছড়ে পড়ছে বারবার।
আবদুল হামিদ খান ১৯০৩ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। ইংরেজের রাজত্বকে ইংরেজের আইনের অধীনতা মেনে লড়াই করলে পতন ঘটানো যাবে না। এটা বোঝার মতো কাণ্ডজ্ঞান তার ছিল। ক্ষমতা ও আইনের সম্পর্ক কতটা বুঝেছিলেন সেটা বলা যাবে না। কিন্তু গান্ধীর অহিংস আন্দোলনকে সমর্থন করেননি। মওলানা গান্ধীবাদী ছিলেন না। কিন্তু সন্ত্রাসবাদীও ছিলেন না। যেটা তার বিরুদ্ধে জালিমেরা প্রায়ই বলে থাকে। মওলানা গণআন্দোলনে বিশ্বাস করতেন। গণবিচ্ছিন্ন কোনো সন্ত্রাস বা বিচ্ছিন্ন সামরিক লাইন তিনি অনুমোদন করতেন তার কোনো প্রমাণ তার কথায় বা তৎপরতায় পাওয়া যায় না। কিন্তু গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে গণশক্তি নির্মাণ ও জালিমের বলপ্রয়োগের বিরুদ্ধে পাল্টা বলপ্রয়োগ সামাজিক ও ঐতিহাসিক বাস্তবতায় অনিবার্য, এই সত্য অস্বীকার করতেন না। এখানে তিনি অনন্য। জালিম শ্রেণী ক্ষমতা বহাল রাখার জন্য আইন, বিধান ও ব্যবস্থা খাড়া করে। তার বিরুদ্ধে মজলুম লড়বেই। সেটা বিক্ষোভ, হরতাল, ধর্মঘট, ঘেরাও যে কোনো রূপ নিতে পারে। তেমনি রাষ্ট্র বলপ্রয়োগ করে তা দমন করতে চাইলে জনগণের তরফে পাল্টা বলপ্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। জনগণের ইচ্ছা ও সংকল্পই গণ-আইন বা গণতান্ত্রিক আইনের ভিত্তি, এটা বিভিন্ন সময়ে তার বক্তৃতা ও তৎপরতা পর্যালোচনা করলে অনায়াসেই বোঝা যায়। সাম্রাজ্যবাদীরা তাকে প্রফেট অফ ভায়োলেন্স হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে কুপ্রচার চালিয়েছিল, রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তাকে স্বীকৃতি দেয়ার নামে। সেই কলোনিয়াল অভ্যাস বাংলাদেশে এখনও অনেকে রপ্ত করে রেখেছেন।
আবদুল হামিদ খান ইসলামিক শিক্ষার উদ্দেশে ১৯০৭ সালে দেওবন্দ যান। সেখানে তিনি দুই বছর লেখাপড়া করেন। সেদিক থেকে তিনি একজন দেওবন্দী মওলানা। এই অর্থে যে, দেওবন্দ তার চিন্তা ও চেতনাকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছে। তার উপনিবেশবাদবিরোধী চিন্তা-চেতনার বড় অংশই দেওবন্দী প্রেরণা থেকে জাত। দেওবন্দে কিছু সময় পড়াশোনার পর তিনি আসামে ফিরে আসেন।
১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস ময়মনসিংহ সফরে এসেছিলেন। তার বক্তৃতা শুনে আবদুল হামিদ অনুপ্রাণিত হন। ১৯১৯ সালে আবদুল হামিদ কংগ্রেসে যোগদান করেন। খেলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে দশ মাস কারাদণ্ডও ভোগ করেন। ১৯২৩ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন স্বরাজ্য পার্টি গঠন করেন। ভাসানী সেই দল সংগঠিত করার কাজে চিত্তরঞ্জনকে সহায়তা করেন। তবে ১৯২৬ সালে আসামে প্রথম কৃষক প্রজা পার্টি আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটানোর মধ্য দিয়ে কৃষক নেতা হিসেবে তার আবির্ভাব ঘটে এবং এই পরিচয়টাই দানা বাঁধতে থাকে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯২৯ সাল গুরুত্বপূর্ণ। এই বছর আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসান চরে প্রথম কৃষক সম্মেলন আয়োজন করেন আবদুল হামিদ খান। এ সম্মেলনের অভূতপূর্ব সাফল্যের মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলে জমিদার-মহাজনদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী কৃষক আন্দোলনের আবির্ভাব ঘটে। ভাসান চরের ঐতিহাসিক কৃষক সম্মেলনের পর থেকে আবদুল হামিদ খানের নামের শেষে ভাসানী কথাটা যুক্ত হয়ে পড়ে। ভাসানীর মওলানা থেকে শুধু ভাসানী। দেওবন্দের উপনিবেশবাদবিরোধী লড়াইয়ের ধারাবাহিকতা ভাসানীর মধ্য দিয়ে জমিদার-মহাজনবিরোধী কৃষক আন্দোলনে মূর্ত হয়ে উঠতে শুরু করে। হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের কারণে সম্প্রতি দেওবন্দী বিশেষত বাংলাদেশের দেওবন্দী ধারার সম্ভাব্য ভূমিকা রাজনৈতিক-সামাজিক চিন্তার অন্তর্গত হয়ে পড়েছে। যা এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। ভাসানীর কৃষক সংগ্রাম ও রাজনৈতিক চিন্তাভাবনাকে সেই জায়গা থেকেও বিচার করে দেখা প্রয়োজন। যদিও এখানে স্বল্প পরিসরে সেটা করার সুযোগ আমাদের নেই। ইসলাম, ইসলামের নবী-রাসূল ও অন্যান্য ধর্মের ধর্মগুরুদের বিরুদ্ধে অকথা কুকথা বলার যে অসামাজিকতা ও অন্যের বিশ্বাসকে আঘাত করে অপরের মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার যে রীতি, তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে সঙ্গত কারণেই ঈমান-আকিদা রক্ষার লড়াই একটি রাজনৈতিক আন্দোলনের রূপ পরিগ্রহণ করেছে। এটা নতুন বাস্তবতা। বাংলাদেশের দেওবন্দী ধারা বিশেষত কওমি মাদ্রাসা সব সময় রাজনীতিতে সরাসরি সক্রিয় অংশগ্রহণ করা থেকে দূরে ছিল। দেওবন্দী আলেম-ওলামারা সব সময়ই তাদের ভাষায় সাচ্চা মুসলমান তৈরির দিকে তাদের মনোযোগ নিবদ্ধ রেখেছিলেন। সেকুলার ভাষায় এর অর্থ হচ্ছে, নিজেদের জনগোষ্ঠীর সেবা করার ও তাদের সঠিক পথ দেখানোর জন্য যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলা। এ কারণে রাজনৈতিক ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও টানাপড়েন থেকে প্রজ্ঞাবান আলেম-ওলামারা নিজেদের দূরে রাখতেই পছন্দ করতেন। একইভাবে আমরা দেখি মওলানা ভাসানী জুলুমের বিরুদ্ধে অকুতোভয় লড়েছেন, কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল বা কুক্ষিগত করার দিকে নজর দেননি। এর জন্য তিনি সমালোচিতও বটে। একদিকে হেফাজত আর অন্যদিকে মওলানা ভাসানীর চিন্তা ও লড়াই সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে দেওবন্দের ভূমিকাকে ইতিবাচকভাবে পরিচালিত করতে সক্ষম হবে কি-না সেটা এখনও বলার সময় আসেনি। তবে মওলানা ভাসানী ক্রমে ক্রমে যে বাংলাদেশের আগামী রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় প্রেরণাদায়ী চরিত্র হয়ে উঠবেন তাতে কোনোই সন্দেহ নেই। এক্ষেত্রে অ্যান্টি-কলোনিয়াল দেওবন্দী রাজনৈতিক ধারা বাংলাদেশে আদৌ কোনো ভূমিকা পালন করবে কি-না, তা হেফাজতে ইসলামের নেতারা মওলানা ভাসানীকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন তার ওপর বেশ কিছুটা নির্ভর করবে।
আজ এই লেখাটি নিতান্তই ভাসানীকে স্মরণ করার জন্য। আজ সকাল থেকেই তাকে নিয়ে ভাবছি গভীরভাবে। অহিংসা সম্পর্কে তার অবস্থান নিয়ে আগেও লিখেছি। তার হুকুমতে রব্বানিয়া বা প্রতিপালনের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন রাষ্ট্রের ধারণা রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ- সে বিষয়েও আগে বলেছি। আজ অন্য একটি বিষয়ে খানিক ধারণা দিয়ে এই লেখা শেষ করব।
মওলানা কমিউনিস্টদের সঙ্গে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন; নিজের ঈমান-আকিদার সঙ্গে একতিলও আপস না করে। প্রশ্ন উঠতে পারে, কীভাবে তিনি নিজের চিন্তার মধ্যে এর আত্মীকরণ ঘটিয়েছিলেন। প্রথমত, এটা পরিষ্কার যে, কমিউনিজম মানে নাস্তিক্যবাদ, মওলানা ভাসানী এটা কখনোই গ্রহণ করেননি। অন্যদিকে জুলুমের অবসান ঘটিয়ে উন্নত ও অগ্রসর সমাজ গঠনের ধারণার সঙ্গে ইসলামের কোনো বিরোধ আছে, তাও তিনি মনে করেননি। ইসলামকে তিনি কমিউনিজম থেকে আলাদা করে দেখেননি। ইসলামকে তিনি উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, জমিদারি-মহাজনি ব্যবস্থা কিংবা সব রকম জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিহাদ হিসেবে দেখেছেন। তার কাছে ঈমান-আকিদা তখনই তার সঠিক ইহলৌকিক কর্তব্য পালন করে, যখন জালিম ব্যবস্থার বিরুদ্ধে একজন মোমিন রুখে দাঁড়ায়। এ দিকগুলো সহজে বোঝা যায়। মওলানা ভাসানীর কাছে ইসলামপন্থী বিশেষত দেওবন্দী আলেম-ওলামাদের বহু শিক্ষণীয় বিষয় আছে। একইভাবে কমিউনিস্টদেরও, যারা এ দেশে বাস্তবসম্মত রাজনীতি করতে চায়। কিন্তু মওলানা যেখানে একশ্রেণীর আলেম-ওলামা ও কমিউনিস্টদের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যেতেন, সেটা হচ্ছে ব্যক্তিগত সম্পত্তি সম্পর্কে তার অবস্থান। তিনি বলতেন, মওলানাদের অনেকে মুখে বলেন- সবই আল্লাহর, দুনিয়ার সব কিছুর তিনিই মালিক; কিন্তু তারা নিজেদের নফস ছাড়েন না। তারা নিজ নিজ নফসানিয়াতের অধীন। অর্থাৎ দুনিয়ায় তাদের বিষয়-সম্পত্তি আল্লাহর রাহে ছেড়ে দিতে রাজি নন। অন্যদিকে কমিউনিস্টদের মধ্যে তারাই প্রবল, যারা ব্যক্তিগত সম্পত্তির উৎখাত চায়; কিন্তু ব্যক্তির কাছ থেকে সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে তারা তাকে রাষ্ট্রের সম্পত্তি বানায়। এতে পার্টি ও রাষ্ট্র উপকৃত হয়- মজলুমের ফের নতুন শোষকদের বিরুদ্ধে লড়াই করা ছাড়া উপায় থাকে না। এ দুই ধারাই মজলুম জনগণের মুক্তির পথে সবচেয়ে বড় বাধা।
বোঝা যায়, ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণাকে মওলানা ভাসানী আইনি ধারণা অর্থাৎ মালিকানার ধারণা, কিংবা অর্থনৈতিক ধারণা- যেমন, উৎপাদন সম্পর্ক- এই দুই ধারণা থেকেই আলাদা করে বিচারের পক্ষপাতী ছিলেন। এই ধারণাগুলোকে তিনি অস্বীকার করেননি। কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পত্তির ধারণা ও বাস্তবতা নিয়ে যথেষ্ট গবেষণা-পর্যালোচনা হয়েছে বলে মনে করতেন না। এই অভাব থেকেই তিনি নফসানিয়াতের ধারণা ইসলামের জিহাদি ঐতিহ্য থেকে গ্রহণের পক্ষপাতী ছিলেন। অর্থাৎ নিজের নফস থেকে নিজে মুক্ত হতে না পারলে জগতকে আমরা আমাদের সম্পত্তি বা ভোগ্যবস্তু হিসেবেই বিবেচনা করব। এতে কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা যেমন সম্ভব নয়, তেমনি ইসলাম কায়েমও অসম্ভব। এ যুগের বিপ্লবী কর্তব্য হচ্ছে, নফসানিয়াত থেকে রূহনিয়াতের পর্বে উত্তরণের রাজনীতি আবিষ্কার করা। এই রাজনীতিতে কমিউনিজমকে অস্বীকার করা হয়নি, বরং কমিউনিজমের অসম্পূর্ণতা ও ব্যর্থতা সমাধানের দুঃসাহসী প্রস্তাব নিহিত রয়েছে।
এই গোড়ার তর্ক আমলে না নিলে ভাসানীকে বোঝা কঠিন। তার পালনবাদ বা হুকুমতে রব্বানিয়াকে আমরা এ কারণে বুঝিনি। এই তত্ত্ব দাবি করে যে, ব্যক্তিগত সম্পত্তির একটা জিহাদি পর্যালোচনা হওয়া দরকার। সেটা নিছকই প্রথাগত ধর্মবিশ্বাস থেকে করা কঠিন। কারণ জিহাদ ভাসানীর কাছে অমুসলমানদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের জিহাদ নয়- বরং নিজের নফস কিংবা ভোগবাদী আমিত্বের কাছে বন্দি জীবের বিরুদ্ধে কিংবা আল্লাহর তরফে দুনিয়ায় প্রেরিত আল্লাহর খলিফার জিহাদ। আল্লাহর তরফে তার সৃষ্টিকে রক্ষা ও সব প্রাণের পালন ও বিকাশ যার দ্বীনের অন্তর্গত।
ইসলামকে প্রথাগত ধর্মতত্ত্বের অধীনে রেখে যেভাবে আমরা বিচার করি, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কেন আমিত্ব (নফসানিয়াত) ত্যাগ করে মানুষকে দিব্যপ্রাণ (রুহানিয়াত) হয়ে উঠতে হবে সেটা বোঝা কঠিন। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী মুসলমানের ঈমান-আকিদার কর্তব্য হিসেবে কেন এবং কীভাবে মজলুমের পক্ষে দাঁড়াতে হবে তার একটি পথ দেখিয়েছেন। সেখানে তিনি তার সময় ও যুগকেও অতিক্রম করে গিয়েছেন। শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা দুনিয়ার মজলুমের তিনি এ কারণেই নেতা।
আজ তার কথা ভাবতে পেরে মনে হচ্ছে তিনি বুঝি সামনেই দাঁড়িয়ে আছেন।
যেন তিনি থাকেন।
১২ ডিসেম্বর ২০১৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪২১, শ্যামলী, ঢাকা
(প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪, দৈনিক যুগান্তর ২০১৫)