চিন্তা


চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা

রাজনৈতিক অসুখের ‘চিহ্ন’ ও তাৎপর্য

 বাংলাভাষায় ‘লক্ষণ’ কথাটা আমরা ইংরেজি ‘সিম্পটম’ অনুবাদ করতে গিয়ে ব্যবহার করি। গ্রিক symptomat বা symptoma থেকে ল্যাটিন হয়ে  ইংরেজিতে সিম্পটম। এর অর্থ কোন দুর্ঘটনা, দুরবস্থা বা দুর্দশায় পতিত হওয়া – যার ঘটেছে তিনি সেটা উপলব্ধি করেন। এটা সাবজেক্টিভ – অর্থাৎ ব্যাক্তির বোধ, উপলব্ধি অনুভব ইত্যাদির সঙ্গে জড়িত। ডাক্তারি শাস্ত্রে এটি যখন ব্যবহার শুরু হোল তখন এই সাবজেক্টিভ বা ব্যাক্তির উপলব্ধির দিকটার ওপর জোর রইল। রোগের লক্ষণ মানে রোগটা কি সেটা না জানা থাকলেও রোগী নিজে যা উপলব্ধি করেন সেটাই ‘লক্ষণ’। যদি সিম্পটম অনুবাদের ক্ষেত্রে ‘লক্ষণ’ ব্যবহার করতে না চাই, তাহলে (আরো পড়ূন)

প্রতিরক্ষানীতি

একীভূত সীমান্ত বা যৌথ টহলের আত্মঘাতী বন্দোবস্ত

সম্প্রতি ঢাকায় শেষ হওয়া বিডিআর এবং বিএসএফ শীর্ষ সম্মেলনটা রুটিন কর্মসূচি। দুদেশের মধ্যে সীমান্ত নিয়ে বিবদমান সমস্যা সুরাহার জন্য এধরনের বৈঠক ঢাকা কিম্বা দিল্লিতে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধানের নেতৃত্বে হয়। সেখানে ইনডিয়ার তরফে কিছু গৎবাঁধা আশ্বাস শুনিয়ে দেয়া হয়। ব্যাস এটুকুই। তারপরও, যথারীতি চলতে থাকে যখনতখন গুলি করে বাংলাদেশের নাগরিক হত্যা, ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন, অনুপ্রবেশ, জায়গা দখল, বাংলাদেশের সীমানায় এসে বাঙ্কার স্থাপন সহ যাবতীয় আগ্রাসী কর্মকাণ্ড। এটা একটা নিরবচ্ছিন্ন এবং (আরো পড়ূন)

সীমান্তে ইনডিয়ার আগ্রাসন ও অনুপ্রবেশ

সরেজমিন জৈন্তাপুর

ওপরের আলোকচিত্রে দেখা যাচ্ছে জৈন্তাপুর সীমান্তে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হ্যান্ডমাইক দিয়ে ইনডিয়ার অনুপ্রবেশকারীদের ফিরে যেতে বলছে। সিলেট জৈন্তাপুর সীমান্তে ভারতীয় খাসিয়ারা বাংলাদেশের সীমানার ভেতর ঢুকে জমি জবরদখল করার ঘটনা ঘটাচ্ছে অনেক দিন ধরে। গত মার্চ-এপ্রিলে সেখানে খাসিয়াদের বাংলাদেশী জমি জবরদখল এবং বিএসএফ-বিডিআরের মারাত্মক উত্তেজনার পর দুইদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত বিরোধ নিরসনে কয়েক দফা বৈঠকও হয়। কিন্তু এরপরও গত চার জুলাই জৈন্তাপুরের শ্রীপুর-মিনাটিলা সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও আগ্র (আরো পড়ূন)

বিডিআর বিদ্রোহ, সীমান্ত নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিবেচনা

পিলখানায় গত বছর সংগঠিত বিডিআর বিদ্রোহের পর আমরা সামগ্রিকভাবে এই প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠানের ভিতরের যেসকল সমস্যার কথা অভিযোগ আকারে উঠে এসেছিল সেসব বিষয় সহ সর্বোপরি বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা এবং জাতীয় প্রতিরক্ষার গুরুতর সংকট বিবেচনায় বিডিআর-এর গুরুত্ব, এর পুনর্গঠন, পোষাক পরবির্তন, ঘটনার তদন্ত ইত্যাদি নানান দিক নিয়ে কথা বলি। আমরা একজন বিডিআর জাওয়ান, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক হিশেবে মেজর জেনারেল (অব:) মইনুল হোসেন চৌধুরী এবং সাবেক ডিজি বিডিআর হিশেবে মেজর জেনারেল (অব:) ফজলুর রহমানের কাছ থেকে বিষয়গুলো বুঝতে চেয়েছি তারা কিভাবে এগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন। বিশেষত, জাওয়ানদের ক্ষোভ, অভাব-অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও গণহারে অভি (আরো পড়ূন)

'সেনাঅফিসারদের প্রতি বিডিআর জাওয়ানদের একটা ক্ষোভ কিন্তু রয়েছে'

চিন্তা : আপনার নামটা বলুন?

রউফ : আব্দুর রউফ।

চিন্তা : আপনি বিডিআর-এর কত নাম্বার ব্যাটালিয়ানে চাকুরি করতেন?

রউফ : ৩৮ রাইফেল ব্যাটালিয়ানে চাকুরি করতাম।

চিন্তা : আপনি কত সালে চাকুরিতে জয়েন করেছিলেন। আর কত সালে চাকুরি থেকে অবসর নেন?

রউফ : চাকুরিতে ঢুকেছিলাম ১৯৮৮ সালে। আর চাকুরি ছেড়ে চলে এসেছি ২০০৮ সালে। প্রায় ২০ বছর।

চিন্তা : আপনার এই চাকুরি জীবনের কত বছর পিলখানায় কাটিয়েছেন?

রউফ : পিলখানায় আমি প্রায় ১৫ বছর ছিলাম। এছাড়া সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামেও থেকেছি।

চিন্তা : তো, পিলখানায় সাম্প্রতিক সময়ে যে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এটা একদিকে যেমন মর্মান্তিক, অন্যদিকে তেমনি অনাকাক্সিক্ষত। আমরা যারা সাধার (আরো পড়ূন)

'আমি বিডিআর বিদ্রোহে হতভম্ব নই কিন্তু মর্মাহত এত লোকের জীবন যাওয়াতে'

[ মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বের জন্য বীরবিক্রম উপাধি পেয়েছেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চকুরির সময় ১৯৭১ সালে মেজর হিসেবে কর্মরত ছিলেন দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। জয়দেবপুরে। ১৯ মার্চ জয়দেবপুরে সংঘটিত প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধের ইতিহাসে তিনি প্রথম ব্যাক্তি যিনি বাঙালিদের ওপর গুলি চালাতে পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষের দেওয়া নির্দেশ সরাসরি অমান্য করেছেন। ২৫ মার্চের পর জয়দেবপুর থেকেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বাঙালী সৈন্যদের নিয়ে যুদ্ধে যোগ দেন। কামালপুরসহ আরও কয়েক স্থানে তিনি যুদ্ধ করেন। মইনুল হোসেন চৌধুরী মেজর জেনারেল হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন। সেনাবাহিনীতে চাকরিরত থাকাকালে (আরো পড়ূন)

বিডিআর ঘটনা: ইনটেলিজেন্স ও রাষ্ট্র

বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে সবচেয়ে কম আলোচিত দিকটা হলো ইনটেলিজেন্স বা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ। বলা যায়, বিডিআর ঘটনা ইনটেলিজেন্স বিকল বা পরাজিত হবার একটা আদর্শ ঘটনা। এই ইনটেলিজেন্স বিকল বা পরাজয় আবার ঘটেছিল দুই ক্ষেত্রে। দুই ক্ষেত্রে মানে একটা ঘটনা ঘটার আগের আগাম তথ্যের কথা বলছি। আর একটা ঘটনা ঘটে গড়াতে শুরু হয়ে জানা যাবার পর কমপক্ষে পরবর্তী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত সময়ের কথা বলছি।

ইনটেলিজেন্স (গোয়েন্দা তথ্য) আর অস্ত্র (বাহিনী) - এরা দুজনে দুজনার। যার হাতে অস্ত্র, বাহিনীতে সংগঠিত অথচ কাজের `ইনটেলিজেন্স নাই অথবা বিকল পরাজিত - এটাকে কেবলমাত্র বাচ্চাদের খেলনা বন্দুক নিয়ে খেলাপাতির খেলার সাথেই বোধহয় তুলনা করা যায়। এই তুলনা আমরা করতেই পারি। কিন্তু সমস্যা হলো (আরো পড়ূন)