চিন্তা


চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা

রামপাল বন্ধ হোক, কিন্তু রূপপুর? অথবা শেখ হাসিনা আল গোর বিতর্ক

ধরুন, আপনি জানেন আপনি মন্দ কাজ করছেন। তখন কি আপনি ধর্মের কাহিনী শুনবেন? ভাল কাজে স্বর্গবাস, মন্দ কাজে দোজখ – এই সকল কেচ্ছা শুনে আপনার কি লাভ? আপনি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করবেন তো করবেনই, তো এতে বাঘ মরল কি গণ্ডার পুড়ল – আপনি কি শুনবেন? না, শুনবেন না।

দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামে ক্লাইমেট চেইঞ্জের ‘পাদ্রি’ আল গোর শেখ হাসিনাকে ধর্মকথা শোনাতে চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনা শুনলেন না। মুখের ওপর বলে দিলেন, ‘আমি বুঝতে পারি না কয়লা বিদ্যুত প্রকল্প নিয়ে কেন মানুষ কথা বলে ... আমার মনে হয় যারা রামপালে বিরোধিতা করছেন তাদের মানুষের প্রতি দরদ নাই, বরং তারা সুন্দরবন ও রয়েল বেঙ্গল টাইগার নিয়েই বেশী উদ্বিগ্ন’। ম (আরো পড়ূন)

জলবায়ু সম্মেলন কপ ২১: আর কতো!

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে শুরু হয়েছে বিশ্ব জলবায়ু কপ-২১ (বা কনফারেন্স অব দ্য পার্টি) সম্মেলন। টানা ১২ দিন চলবে দেনদরবারের নাটক; গাওয়া হবে নানান গীত ও কেচ্ছা। বিশ্বধরিত্রী সম্মেলন হয়েছে ২০১৩ সালে। এর পর ১৯৯৭ সালে এলো কিয়োটো প্রটোকল বা সমঝোতা। প্রটকলকে বাংলায় অনেক সময় চুক্তি বললেও সেখানে ফাঁক আছে। জাতিসংঘের জলবায়ু সংক্রান্ত কনভেনশান হয়েছিল ১৯৯২ সালে। সেই কনভেনশানে  জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাবার জন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমাবার কথা উঠেছিল কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমানোর জন্য উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো নিজ নিজ দেশের পক্ষ থেকে Common but Differentiated Responsibilities অর্থাৎ একই লক্ষ্যে ভিন্ন দায়িত্ব চুক্তি করার চেষ্ট (আরো পড়ূন)

সুন্দরবন রক্ষা না হলে ভাবমূর্তিও রক্ষা পাবে না

দেশে যখন দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকে কেন্দ্র করে নানা রঙের (তার মধ্যে লাল অন্যতম) অ্যালার্ট বা সতর্কবার্তা জারি হচ্ছে, তখন সরকার নিজেই জনগণের একটি ন্যায্য দাবিতে পুলিশ দিয়ে লাঠিচার্জ ও হামলা করে নিজেদের ভাবমূর্তি নিজেরাই ক্ষুণ্ণ করছে। পরপর দুই বিদেশি হত্যার ঘটনা (একটি ঢাকায় এবং অন্যটি রংপুরে) বিদেশিদের মধ্যে একটা আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে, এতে কোনো সন্দেহ নাই। পাশাপাশি কিছু হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের মানুষ নিয়েও ঘটেছে সে ব্যাপারে কোনো অ্যালার্ট জারি হয়নি বটে, কিন্তু সবার মধ্যে কেমন একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। কী হচ্ছে দেশে? কেউ বলতে পারছে না। দেশের মধ্যেও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। মানুষ নিরাপত্তা চায়। তাই সরকার এখন রাজন হত্যাকারী কামরুল, সৌরভকে গুলি মা (আরো পড়ূন)

সুন্দরবন ও জীবনযাপন: আরও কথা

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোধিতার পক্ষে সমাজে একটা গণসমর্থন গড়ে উঠেছে। যেহেতু রামপাল প্রকল্পের স্থান ঠিক হয়েছে সুন্দরবন অতএব এই প্রকল্পের বিরোধিতা সুন্দরবন রক্ষার জন্য জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির সুযোগও তৈরী করেছ। কিছু কথা ‘বাঘ, সুন্দরবন ও রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প’ শিরোনামের লেখায় বলেছি। এখন কিছু বাড়তি কথা বলার সুযোগ নেব। কেউ কেউ বলছেন, ‘সুন্দরবন ছাড়া বাংলাদেশ টিকবে না’ – এই কথাটা ঠিক কি (আরো পড়ূন)

বাঘ, সুন্দরবন আর রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প

 এক

দৈনিক যুগান্তর ও চিন্তার ওয়েবপাতায় ‘গণতান্ত্রিক বিপ্লবের তিন লক্ষ্য’ ( ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩)  প্রকাশের পর সাড়া পেয়েছি বিস্তর। এতে অবাক হয়েছি, কিছুটা। সমাজ যেভাবে বিভক্ত তাতে যে কথা বলতে চেয়েছি তা পাঠকদের কাছে পোঁছানো কঠিন ভেবেছিলাম। কিন্তু মনে হয় তাঁরা বুঝেছেন।

শাপলা/ শাহবাগ বিভাজনের রাজনৈতিক মুহূর্ত বাংলাদেশে ঘটে যাবার ফলে আমাদের প্রথাগত চিন্তার ছক খানিক নড়বড়ে হয়েছে। অনেকের সঙ্গে দূরত্ব তৈরী হয়েছে, অনেকের সঙ্গে বাধ্য হয়েই দূরত্ব তৈরী করতে হয়েছে। ফেইসবুক নাম (আরো পড়ূন)

কয়লা নীতি

বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং জ্বালানি নিরাপত্তায় কয়লা নীতি

দেশের চলমান জ্বালানি সংকট কাটাতে কয়লা ব্যবহারে এখনো কোন উদ্যোগ চূড়ান্ত করে নাই সরকার। কয়লা ওঠানোর উদ্যোগ এখনো নীতিগত স্তরেই আটকে আছে। জ্বালানি তেল আমদানি করতে হচ্ছে, ক্রমেই বাড়তে থাকা বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে শিল্পখাতের নিরাপত্তা হুমকির মুখে। আমদানি করা জ্বালানির ওপর নির্ভরতার কারণে একদিকে জ্বালানি নিরাপত্তার অনিশ্চয়তা কাটছে না, অন্যদিকে ব্যয়ও বাড়ছে। কয়লা নীতি না থাকায় কয়লা ওঠানোর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যাচ্ছে না। চাহিদামাফিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে দে (আরো পড়ূন)

অস্বাভাবিক তাড়াহুড়ায় ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

জ্বালানি নিরাপত্তা ও শিল্পখাত ঝুঁকিতে পড়বে

বিদ্যুৎ সংকট সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার কথা বলে ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করতে বেসরকারি কোম্পানিগুলার সাথে চুক্তি করছে সরকার; আর এই চুক্তির পুরা প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে--অনেক ক্ষেত্রে কোনো ধরনের দরপত্র ছাড়াই এবং অস্বাভাবিক তাড়াহুড়া করে। এমন বেসরকারি কেন্দ্র--ভাড়া ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র--চালু হলে সরকার প্রতিযোগিতামূলক দামে ওই বিদ্যুৎ কিনে নেবে। ফলে, প্রচলিত প্রক্রিয়ার বাইরে এমন তড়িঘড়ি উদ্যোগে একদিকে যেমন চলমান সংকট হয়ত কিছুটা উতরানো যাবে। কিন্তু বাংলাদে (আরো পড়ূন)