পশ্চিম বাংলার সাহিত্যিকদের প্রধান বাজার বাংলাদেশ। সেই দিক থেকে বাংলাদেশের বাজার রক্ষার খাতিরে বাংলাদেশের তোষামোদ করা তাদের জন্য জরুরী। এটা কোন খারাপ অর্থে বলছি না, ভাল অর্থেই বলতে চাইছি। বাজার ব্যবস্থার চরিত্রের কারণেই তোষামোদি দরকার হয়ে পড়ে। বাজার ব্যবস্থার ‘অদৃশ্য হাত’ তার প্রণোদনা। বাংলাদেশের পাঠক বা বই ভোক্তাদের নিজের প্রতি আগ্রহী করে রাখার ওপর পশ্চিম বাংলার লেখকদের বইয়ের বেচাবিক্রি অনেকাংশেই নির্ভর করে। তোষামোদির দরকার সেই কারণেই। বাংলাদেশে পশ্চিম বাংলার লেখকদের গ্রহণযোগ্যতার সঙ্গে নিজের বইয়ের বাজার সুরক্ষার প্রশ্ন জড়িত। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়সহ অনেকেই বাংলাদেশের প্রতি সে কারণে অনেক সদয় মন্তব্য করেছেন। বাজার ব্যবস্থায় তোষামোদি (আরো পড়ূন)
মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীর সিনেমা ‘টেলিভিশন’ রিলিজ হয়েছে সম্প্রতি সিনেমা হলে। কিছু তরুণ বন্ধুদের উৎসাহে শুক্রবার সকালে দশটায় অর্থাৎ প্রথম দিনের প্রথম শো দেখতে গিয়েছিলাম। দর্শকরা ছবিটি কিভাবে নেয়, কি ধরণের প্রতিক্রিয়া জানায় ইত্যাদি জানার দিক চিন্তা ভাবনা করে বন্ধুরা বলাকা হল বেছে নিয়েছিল।
সে হিসাবে যথারীতি সকালে যাওয়া। গিয়ে দেখা গেল টিকেটের চাহিদা এত বেশি যে বলাকা-২ বা আগের নাম বিনাকা হলে, তাও ব্যালকনি নয়, নীচতলার টিকেট পাওয়া গেল। সকাল দশটার আগেই হাউসফুল বোর্ডও টাঙানো হয়েছিল দেখেছিলাম। সকাল নয়টার দিকে বাসা থেকে রওয়ানা দেবার সময় ভেবেছিলাম এই শৈতপ্রবাহের সকালে নিশ্চয় হলে গিয়ে দেখব ভীড় তেমন নাই। দর্শকেরা হয়ত পরের শোগুলোতে ভীড় কর (আরো পড়ূন)
‘আমার কাছে মানবিক সম্পর্ক রাজনীতির চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয় বলে মনে হয়’- হুমায়ুন আহমেদ
হুমায়ূন ‘জনপ্রিয়’। কিন্তু এই জনপ্রিয়তাটা কিভাবে ব্যাখ্যা করব? জনপ্রিয়তার সুবিধাটা হুমায়ূনের পুঁজি হতে পেরেছে। তাকে নিয়ে বই ও মিডিয়া ব্যবসায়ী ব্যবসা করে গেছে; হুমায়ূনের মৃত্যুর ফলে মৃত হুমায়ূন নিয়েও আরও ব্যবসায়িক ফায়দা তোলার সুযোগ তৈরী হয়েছে। তার জন্য ব্যবসায়ীরা আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেটা শুরুও হয়ে গিয়েছে। হুমায়ূন কর্কট বা ক্যান্সার রোগে মারা গেছেন। ক্যান্সারে মারা যাবার কারনে যে মানবিক সহানুভূতি তৈরী হয় সেটাও ব্যবসার কাজে লাগবে। বাজার এইভাবেই কাজ করে।
আবার এই জনপ্রিয়তা রা (আরো পড়ূন)
[হুমায়ূন আহমেদ সম্প্রতি গত হয়েছেন। তার জনপ্রিয়তা অনস্বীকার্য, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোর অপরিসীম উৎসাহ এবং একই সঙ্গে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ও তাদের সমর্থকদের পক্ষপাত। অসুস্থ অবস্থায় মৃত্যুর আগে হুমায়ূন শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘দেয়াল’ নামে একটি উপন্যাস লিখেছেন। কথাকার হিশাবে হুমায়ূন গণমাধ্যমের যে বিপুল সমর্থন ও প্রচার পেয়েছেন তার কণামাত্রও আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের কপালে জোটে নি। এই তথ্য তুলনার জন্য নয়, বরং হুমায়ূনের সাহিত্যিক ও নান্দনিক বিচারের চেয়েও একটি জনগোষ্ঠির বিশেষ সময়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক লক্ষণ বোঝার জন্য এই তুলনা মনে রাখা জরুরী। এর সুবিধা হচ্ছে সাহিত্যিক, নাট্যকার কিম্বা ছবিওয়ালাদের সমাজ ও রা (আরো পড়ূন)