বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস খুবই পুরাতন। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৯-এ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে আন্দোলন ও ৯০-এর এরশাদবিরোধী আন্দোলন– সবগুলো পর্বই ‘গণঅভ্যুত্থান’ হিসাবে অভিহিত করা হয়। কোনো দাবি বা লক্ষ্য অর্জনের জন্য সম্মিলিত আন্দোলন এবং আন্দলোনের প্রক্রিয়ায় সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক চরিত্র নিয়ে জনগণের যে সামষ্টিক উত্থান ঘটে তাকেই গণঅভ্যুত্থান বলে। জনগণের এই সামষ্টিক রাজনৈতিক সত্তার জীবন্ত ও মূর্ত রূপই গণতন্ত্র। জনগণই সার্বভৌম – গণঅভ্যুত্থান গণতন্ত্রের এই মৌলিক সত্য প্রতিষ্ঠা করে এবং জনগণের গাঠনিক শক্তি (Constituent Power) হিসাবে হাজির হয়। এই গাঠনিক ক্ষমতাই গণঅভ্যুত্থানের ফলে উৎখাত (আরো পড়ূন)
নিরাপদ সড়কের দাবি কেন্দ্র করে বাংলাদেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থিদের আন্দোলন সারা পৃথিবীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। এদের অধিকাংশই ছিল শিশু-কিশোর বয়েসি। কিন্তু আন্দোলনের মাত্রা বিস্তার ও শৃঙ্খলা সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। শিশু-কিশোর আন্দোলন আন্তর্জাতিক আগ্রহ ও বিস্ময় তৈরি করে। সরকার ও রাষ্ট্র এই আন্দোলনের মুখে নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখমুখি হয় যা এর আগে কোন সরকারকে মোকাবিলা করতে হয় নি। যথারীতি এই আন্দোলন দমন করবার জন্য সরকার দমন-পীড়নের পথ বেছে নেয়।
বাসের নীচে চাপা পড়ে শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুজন শিক্ষার্থির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে স্কুলেজের ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদ সড়কের দাবি গড়ে ওঠে। এবং তৎক্ষণাৎ তা বিক্ষুব্ধ আন্দোলনে (আরো পড়ূন)