Great revolutions which strike the eye at a glance must have been preceded by a quiet and secret revolution in the spirit of the age (Zeitgeist), a revolution not visible to every eye, especially imperceptible to contemporaries, and as hard to discern as to describe in words. It is lack of acquaintance with this spiritual revolution which makes the resulting changes astonishing.
HEGEL
১
বাংলাদেশে একটা অদ্ভুত ধারণা রয়েছে যে রাজনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে চিন্তার কোন যোগ নাই। একটি সমাজ যখন তাদের অবস্থা সম্পর্কে নানান দিক থেকে ভাবতে ও বিচার করতে শেখে তার প্রভাব সরাসরি রাজনীতিতে পড়তে থাকে। সজীব ও সক্রিয় চিন্তা ও জ (আরো পড়ূন)
‘নো ট্যাক্স উইদাউট রিপ্রেজেন্টেশান’
এবার আমরা আসি বিএনপির অসহযোগ ঘোষণার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে। সেটা হোল, অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকারকে ট্যাক্স, খাজনা ও ইউটিলিটি বিল না দেওয়া। নির্বাচিত সরকার না হলে ট্যাক্স, খাজনা বা কর নেবার অধিকার নাই, বা "নো ট্যাক্স উইদাউট রিপ্রেজেন্টেশান" – গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সম্পর্কে এই ধারণা দানা বেঁধেছে মার্কিন দেশে আঠারোশ শতকের শেষের দিকে। এই রণধ্বণি প্রথম তোলা হয়েছিল ১৭৬৫ সালে, যখন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট আমেরিকার উপনিবেশগুলিতে স্ট্যাম্প আইন পাস করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তখন ব্রিটেনের কলোনি। এই আইন অনুসারে, আমেরিকার উপনিবেশবাসীরা সকল সরকারি দলিল, পত্রিকা, বই, ইত্যাদিতে স্ট্যাম্প কর দ (আরো পড়ূন)
২১ ডিসেম্বর ২০২৩
বিএনপি এবং ফ্যাসিস্ট সরকার বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল শেখ হাসিনার সরকারের ২০২৪ সালের নির্বাচনে যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে বিএনপি বর্তমান সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে সাতই জানুয়ারির ভোট বর্জন করা, ট্যাক্স, খাজনা ও ইউটিলিটি বিল না দেওয়া। এই আহ্বান বিএনপি প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের জনগণের প্রতি জানিয়েছে। ক্ষমতা থেকে ফ্যাসিস্ট শক্তি উৎখাত না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। শুরু থেকেই আমরা বলেছি চরম প্রতারণাপূর্ণ নির্বাচনী ডামাডোলে সময় অপচয় না করে ফ্যাসিস্ট শক্তি ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করাই আমাদের কাজ। দেরিতে হলেও বা ন (আরো পড়ূন)
জো বাইডেন শুরু থেকেই যেভাবে নিঃশর্তে নেতানিয়ানহুকে সমর্থন করে যাচ্ছিলেন তার রাজনৈতিক পরিণতি তাঁর জন্য ভাল হয় নি। ইসরায়েলের গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের প্রতি তার নিঃশর্ত সমর্থন দেশের ভেতরে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে মার্কিন জনগণের বৃহৎ একটি অংশ তাঁর বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ভাবে যুক্তরাষ্ট্র তার ভাবমূর্তি ও আধিপত্য খুইয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যুদ্ধে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের পরাজয় এবং ইউরোপে রাজনৈতিক ও জ্বালানি সংকট। ইউরোপে রাজনৈতিক সংকট বাড়বে এবং বাড়ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোভূক্ত দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে প্রক্সি ওয়ার চালাচ্ছে তা এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। জায়নিস্ট ইসরায়েলের নির্লজ্জ তল্পিবাহক হিশাবে স্নায়ুযুদ্ধোত্তর বিশ (আরো পড়ূন)
নারী আন্দোলনের দাবি, আসন সংরক্ষিত যদি থাকে তা হতে হবে সরাসরি নির্বাচিত; যেখানে রাজনৈতিক দলের নারী সদস্য, সমাজ কর্মী, নারী আন্দোলন কর্মী সকলেই নারীদের পক্ষে কথা বলার জন্যে এবং সার্বিকভাবে দেশের মানুষের জন্যে কাজ করার সুযোগ পাবেন। একইসাথে এটাও বলা দরকার যে নারী আজীবন সংরক্ষিত আসনে থাকবেন এটাও কাম্য নয়। নারীরা পুরুষের মতোই সাধারণ আসনে নির্বাচন করবেন এটাই হচ্ছে লক্ষ্য।
এই বছর বাংলাদেশের রাজনীতির জন্যে খুব গুরুত্বপুর্ণ। আগামী ২০২৪ সালের শুরুতেই দ্বাদশ সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এখন থেকে ছোট বড় সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে তাদের নিজ নিজ দাবিগুলো পেশ করছেন। তারমধ্যে অন্যতম প্রধান দাবি নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে। সুষ্ঠু (আরো পড়ূন)
বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দলের বিভাগীয় সমাবেশ সফল হোক।
শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মধ্য দিয়ে ফ্যসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধের এই কৌশল সঠিক। আওয়ামী লীগের যেসকল ফ্যাসিস্ট বলছে পল্টনে সভা করার দাবি ত্যাগ করে গোলাপবাগে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত মানা বিএনপির ‘অর্ধেক পরাজয়’, তারা ভুল। বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিভিন্ন দেশের উৎকন্ঠা আমলে নিয়ে সংঘর্ষ ও সন্ত্রাস এড়ানোই এই মূহূর্তের সঠিক কৌশল। ফ্যাসিস্ট শক্তি ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের জনগণের আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভ জরুরি। কারন এই লড়াই সবে দানা বাঁধছে মাত্র। এটা দীর্ঘস্থায়ী লড়াই হতে পারে।
ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট শক্তি ইতোমধ্যে (আরো পড়ূন)
আওয়ামী লীগ আরেকটি গৃহযুদ্ধ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। ফ্যাসিস্ট শাসনের দায়ভার এড়াবার এটাই সবচেয়ে শস্তা কিন্তু ভয়ংকর বিপজ্জনক পথ। তাঁর বিরুদ্ধে আনা ফালতু অভিযোগ আইনী ভাবে মোকাবিলার মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়া আন্তর্জাতিক ভাবে প্রমাণ করেছেন তিনি আইন ও আইনী প্রক্রিয়া মানেন, সেই আইন ফ্যাসিস্ট শক্তির হাতে প্রতিহিংসার হাতিয়ার হলেও তিনি শান্তিপূর্ণ ভাবে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব সংঘাতের মীমাংসা চান। তাঁকে চিকিৎসার জন্য বাইরে যাবার অনুমতি দেওয়া হয় নি। আইন ও আইনী প্রক্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধার যে উদাহরণ খালেদা জিয়া সৃষ্টি করেছেন আজ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সেটাই বিএনপির প্রধান রাজনৈতিক পুঁজি হয়ে উঠেছে। এটা বিএনপির রাজনৈতিক কর্মীদের – বিশেষত তরুণদের বুঝতে হবে। তিনি (আরো পড়ূন)
সাত তারিখের ঘটনার মধ্য দিয়ে আরও পরিষ্কার হোল বিএনপি আসলে কী চায় সেটা পরিষ্কার ভাবে বিএনপি এখনও বলে নি, বলাবাহুল্য বলার দরকার রয়েছে। আমরা চাই বা না চাই তুফান তো ঘাড়ের ওপর এসে পড়েছে। এর আগে ‘গণমুখী রাজনৈতিক ধারার নীতি ও কৌশল প্রসঙ্গে’ নিবন্ধে আমি বলেছি নীতি হিশাবে বিজয়ী গণভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে নতুন ভাবে গঠন করবার কথা জনগণের মধ্যে প্রচার করতে হবে। এটাই গণরাষ্ট্র হিশাবে বাংলাদেশকে নতুন করে ‘গঠন’ করার নীতি বা পথ।
তবে বিএনপিকে ‘গণমুখী’ রাজনৈতিক দল গণ্য করে তাদের উদ্দেশ্যে কথাগুলো বলি নি। বিএনপি এর আগে ক্ষমতায় ছিল, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বিএনপি সম্পর্কে নির্মোহ ধারণা আমাদের থাকা দরকার। আমাদের দু (আরো পড়ূন)
শেষ পর্যন্ত যা অনুমান করেছিলাম তাই হোল। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক সংঘর্ষকে ব্যাপক হানাহানি এবং গৃহযুদ্ধের দিকে ঢেলে দিচ্ছে। দশ তারিখে বিএনপির ঢাকা সমাবেশ করতে না দিয়ে বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশি হামলা এবং গুলি করে হত্যার নিন্দা জানাবার ভাষা নাই। দশ তারিখের বিএনপির সমাবেশের আগেই বাংলাদেশকে সংঘাতের দিকে সামনে ঢেলে দেওয়া হোল। এর রাজনৈতিক পরিণতি সম্পর্কে আওয়ামি লীগ অজ্ঞ তা নয়। এটা বিপজ্জনক এবং পরিস্থিতি যে কোন দিকেই গড়াতে পারে। বিএনপির মহা সচিব ঘ্টনাস্থলে গিয়ে সকলকে শান্ত ও স্থির থাকবার যে অনুরোধ করেছেন তা সঠিক ও দুরদর্শী হয়েছে। কারন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ সকল পরাশক্তি গভীর ভাবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। এই সময় বিএনপিকে অবশ্যই শান্ত, ধৈর্য (আরো পড়ূন)
১. আমরা কি চাই?
আমরা মানুষের মহিমা উপলব্ধি করতে চাই, একালে তার তাৎপর্য বিচারের জন্য সজীব ও সক্রিয় চিন্তার ধারা গড়ে তোলা জরুরি মনে করি, যেন বৈষয়িক জীবন ও জগতের অন্তর্গত মানুষকে তার সামগ্রিক কায়কারবারসহ আমরা বুঝতে পারি। বুঝতে পারি কিভাবে বৈষয়িক জীবন ও জগত মানুষকে এবং বিপরীত দিক থেকে মানুষের চিন্তা বৈষয়িক জীবন ও জগতকে প্রভাবিত ও নির্ণয় করে। এই পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝা ও বিচার একালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। তার পরও কোন অতিরিক্ত দিব্য সম্ভাবনা 'মানুষ' নামক জীবের রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন আমরা তুলি। কারণ এর দ্বারাই মানুষের অনাগত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আগাম আন্দাজ করা সম্ভব এবং সেই অনু (আরো পড়ূন)
এক
জাতীয় ইনসাফ কমিটি গত ১৬ মার্চে তাদের প্রস্তাবনায় বাংলাদেশ নতুন ভাবে ‘গঠন’ করবার প্রশ্ন উত্থাপন করেছিল। বাংলাদেশে চিন্তার দুর্ভিক্ষ এতোই প্রবল যে দৈনিক পত্রিকাগুলো গণরাজনৈতিক সত্তা হিশাবে রাষ্ট্রের ‘গঠন’-কে স্রেফ আইনী ব্যাপার ধরে নিয়েছে। তাদের রিপোর্টে সকলেই লিখেছে আমরা নাকি নতুন সংবিধান চাইছি। অথচ আমরা বলেছি রাষ্ট্র স্রেফ ‘আইনী’ প্রতিষ্ঠান নয় যে উকিল-ব্যারিস্টারদের ধরে এনে একটি টুকলিফাই সংবিধান লিখে নিলেই ল্যাঠা চুকে যায়। উত্তর-ঔপনিবেশিক দেশ হিশাবে আমরা এখনও এই সকল কলোনিয়াল হ্যাঙ্গওভার কাটিয়ে উঠতে পারি নি। তাই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কিভাবে ‘গঠিত’ হয় (আরো পড়ূন)
একটি দৃশ্যমান হত্যা প্রক্রিয়ায় কিভাবে আমরা সকলে শামিল হই সেটাই আমার আলোচনার বিষয়। সুনির্দিষ্ট ভাবে ফ্যাসিবাদকে শনাক্ত করতে হলে বুঝতে হবে ফ্যাসিবাদ একনায়কতন্ত্র নয়। ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আমাদের মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পর্কে্র ধরণ একনায়কতন্ত্র থেকে আলাদা। আমাদের মন ও বুদ্ধির জগতে ফ্যাসিবাদ কিভাবে কাজ করে সেটাই এখানে বুঝবার এবং বোঝাবার চেষ্টা করছি।
আজকাল অনেকে বাংলাদেশের বিদ্যমান রাষ্ট্রব্যবস্থাকে 'ফ্যাসিস্ট' বলতে চায় না। মনে হয় তারা খুব শরমিন্দা বোধ করেন। এর একটা কারণ হতে পারে 'ফ্যাসিবাদ', 'ফ্যাসিস্ট শক্তি ' বা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা কিছুটা ক্লিশে শব্দ হয়ে গিয়েছে, যা্র কারনে তারা মনে করেন এই শব্দগুলো বিশেষ কোন অর্থ বহন করে না
(আরো পড়ূন)
খুবই দৃশ্যমান ভাবে -- অর্থাৎ বাংলাদেশের জনগণকে দেখিয়ে দেখিয়ে এবং জনগণের সক্রিয় ও সচেতন অংশগ্রহণের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে 'হত্যা' করা হচ্ছে। বলাবাহুল্য 'হত্যা'র এই প্রক্রিয়া বা কাণ্ডটিকে যার যার মর্জি মাফিক স্রেফ মেটাফোর হিশাবে, কিম্বা বাস্তবেই ঘটানো হচ্ছে বলে নানান জনে নানান ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন, অসুবিধা নাই। তাই সকলে যেন নিজের নিজের অনুমান ও ধারনাগুলোর প্রতি ঘনিষ্ঠ ভাবে ফিরে তাকাতে পারেন সেটাই আমরা চাই। এতে আমি যে বিষয়ের অবতারণা করতে চাই তার জেরজবরে বিশেষ ভেদ হবে না।আইন ও রাজনীতির বিবিধ অনুমান নিয়ে জিজ্ঞাসা জাগিয়ে তোলা জরুরী।
বেগম খালেদা জিয়া হত্যা প্রক্রিয়ার কর্তা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তার জোট, কিন্তু অংশগ্রহণকারী
(আরো পড়ূন)
প্রথম কিস্তি
সম্প্রতি শ্রদ্ধেয় ফরহাদ মজহার কুরবানি নিয়া একটি সিরিজ লেখা শুরু করছেন। কুরবানি নিয়া ফরহাদ মজহারের লেখাগুলা ধারাবাহিক; এখন পর্যন্ত দুইটা কিস্তি উনি লিখছেন। সেই দুই কিস্তিতে যা যা আসে নাই, তা সামনের কিস্তিগুলায় আনবেন— বলছেন সেকেন্ড কিস্তির শেষে। তাই কুরবানি নিয়া ফরহাদ মজহার যা যা বলতে চান, তা এখনো সম্পন্ন ও সম্পূর্ণ না। ফলে, মন্তব্য করা মুশকিল।
তবু, ওনার লেখা নিয়া নানা ধরনের বিতর্ক তৈয়ার হইছে। এই ধরনের বিতর্করে আমি ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখি। যদিও, বিতর্কের পাশাপাশি নানা ধরনের কুতর্ক ও ব্ (আরো পড়ূন)
সোরেন আবায়া কিয়ের্কেগার্ড (Søren Aabye Kierkegaard) বা সংক্ষেপে সোরেন কিয়ের্কেগার্ড (১৮১৩-১৮৫৫) আধুনিক কালের সামনের সারির দার্শনিক। পাশ্চাত্য যখন এনলাইটমেন্টের শিখরে – অর্থাৎ জীবন ও জগতের প্রচলিত অনুমান, সংস্কার, ধারণা, প্রত্যয় প্রতিজ্ঞা সবকিছুই যখন বুদ্ধির প্রবল পরাক্রমে বিধ্বস্ত, সবকিছুই যখন সার্বভৌম বুদ্ধির সঙ্গে লড়ে পরাজিত এবং বুদ্ধির অধীনস্থ, শুধু বুদ্ধি যখন মানুষের সকল বৃত্তির সর্দার হিশাবে ঘোষিত ও প্রতিষ্ঠিত -- সেই ডামাডোলের মধ্যে তাঁর আবির্ভাব। তাঁকে পাঠের সময় একটা অদ্ভুত শিহরণ জাগে। মনে হয় একজন বিশ্বাসী তাঁর বিশ্বাসকে এক প্রবল ঝড় ও তুফানের মধ্যে বুকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চাইছেন। যুক্তি, বুদ্ধি ও মানুষের সকল বৃত্তির অতীত যে (আরো পড়ূন)
এক
কারো কারো অভিজ্ঞতা ভিন্ন হতে পারে, তবে আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই মনে করেন আল্লাহ হজরত ইব্রাহিম (আঃ)-কে তাঁর প্রতি আনুগত্য প্রমাণ করবার জন্য নিজের সন্তান কোরবানি করবার ‘নির্দেশ’ দিয়েছেন। এটা আসলে বাইবেলের আদি পুস্তক বা তৌরাত শরিফের গল্প। কিন্তু এই গল্পকেই তাঁরা কোরানুল করিমের বয়ান মনে করেন। এটা ঠিক না। কোরানুল করিমে আল্লার 'আদেশ' পালন করবার জন্য সন্তানকে হত্যা ও কাঠের চিতায় বলীদানের গল্প নাই। ইসলামে আল্লাহ 'দয়ার দয়া', 'দয়াল'। তিনি 'রাহমানুর রাহিম'। তিনি আনুগত্য প্রমানের জন্য পিতাকে নিজের প্রিয় সন্তান বলি দানের কথা বলতে পারেন কি? আধুনিক পাশ্চাত্য দর্শনে বাইবেলের গল্পের সূত্রে এই তর্ক জারি রয়েছে।
বাইব (আরো পড়ূন)
অনেকে প্রায়ই প্রশ্ন করেন বাংলাদেশের রাজনীতি কোন দিকে যাচ্ছে? কিন্তু প্রশ্ন হওয়া উচিত আমরা একে কোন দিকে নিতে চাই?
বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে শ্রমিক ও কৃষকদের উপস্থিতি না থাকলেও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ও ছাত্র অধিকার পরিষদের অধিকাংশ সংগ্রামী তরুণেরা গরিব কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের সন্তান। আন্দোলনে শ্রেণিগত ছাপ স্পষ্ট না হলেও এটা পরিষ্কার সড়ক দুর্ঘটনায় যারা মরে কিম্বা পঙ্গু হয়ে দুঃসহ জীবন কাটায় তাদের অধিকাংশই 'মফিজ' -- অর্থাৎ তাদের পরিচয় বা নাম থাকে না। এছাড়া আছে মেহনতি ও নিম্নবিত্তের মানুষ -- যাদের খবর কেউ রাখে না। তাহলে আমাদের উচিত হচ্ছে যে কোন আন্দোলনে অন্তর্নিহিত শ্রেণি প্রশ্নটা ধরতে পারা এবং অন্যদের বোঝানো। দিনশেষে লড়াইটা হচ্ছে অল্প কয়েকট (আরো পড়ূন)
এক
এই লেখা যখন লিখছি তখন হেফাজতের হরতাল চলছে। হেফাজতে ইসলাম ২৮ মার্চ রোববার জানিয়েছে ইতোমধ্যে শহিদ হয়েছেন ১৭ জন এবং কমপক্ষে ৫০০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও ছাত্রলীগ, অর্থাৎ রাষ্ট্র ও দলের যৌথ সহিংসতা এবং হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভও তীব্র হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতি একটা নতুন কালপর্বে প্রবেশ করেছে এবং সামগ্রিক ভাবে বাংলাদেশের ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক পরিসরের বেশ কিছু গুণগত রূপান্তর ঘটে গিয়েছে। সেই বিষয়ে এবং এর সম্ভাব্য পরিণতি কি হতে পারে তা নিয়েই এই লেখা। আগামি দিনে পরিণতে কি দাঁড়াবে আমি জানি না। তবে সমাজ, ইতিহাস এবং রাজনীতির অভিজ্ঞতার আলোকে কয়েকটি কথা আজ বলব।
(আরো পড়ূন)
ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ সকল ঐতিহাসিক আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা মিছিলে মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেছেন, আন্দোলন করেছেন, কিন্তু তাঁদের স্বীকৃতি দিতে ইতিহাস সবসময়ই কার্পণ্য করেছে। কিন্তু এবার ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (বা ইংরেজি সংক্ষিপ্ত নাম ডাকসু) নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ছাত্রীরা যে ভূমিকা রেখেছেন, তা সবার নজর কেড়েছে। তাদের লাল সালাম জানাই। নারী আন্দোলনের একজন কর্মী হিশেবে আমি গর্ব বোধ করছি। আর একটি ইতিহাস রচনা হচ্ছে যেখানে নারীর অবদান খোঁজার জন্যে হারিকেন নিয়ে বেরুতে হবে না; তাদের অবদান জ্বলজ্বল করে সবার চোখের সামনে ফুটে উঠেছে। এটা ২০১৯ সাল, এখন নারীর অবদান ঢেকে (আরো পড়ূন)
কিছু বিষয় আছে যা মেয়েদের খুব গভীরে আহত করে, যা মেয়ে না হলে বোঝা কঠিন।
সালেহা বেগম, কোটা সংস্কারের আন্দোলনের নেতা রাশেদ খানের মা। তিনি ঢাকায় ছুটে এসেছেন ছেলের ওপর আক্রমণ এবং তাকে রিমান্ডে নেয়া থেকে মুক্তি দিতে। ছেলের জীবন বাঁচাবার জন্যে কতখানি অসহায় হলে, হাত জোড় করে একজন মা বলতে পারেন, ‘আমার মণিকে তোমরা মাফ করে দাও। শুধু মুক্তি দাও। ও আর চাকরী চাবে না গো। ওকে ভিক্ষা দাও। আমার মণিকে আমি ঢাকায় আর রাখব না গো। গ্রামে নিয়ে চলে যাব।’ প্রধানমন্ত্রীর কাছে হাত পেতে তিনি সন্তান ভিক্ষা চাইছেন। যে আন্দোলন সারা দেশের মানুষকে নাড়িয়ে দিয়েছে আজ সে আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা শিক্ষার্থির মায়ের ক্ষমা চাইবার ভাষা সব মায়ের মাথা নুইয়ে দিয়েছে। এই (আরো পড়ূন)
আজ ঈদ। ঈদ মোবারক।
বাংলাদেশের জনগণ বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দী রেখে ঈদুল ফিতর পালন করছে। এ এক নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা। রাজনৈতিক সংবেদনা ও উপলব্ধির দিক থেকে অস্বস্তির।
আইন প্রণেতা ও আইন বাস্তবায়নকারীর মধ্যে যখন ফারাক লুপ্ত হয়, তখন আইন, অধিকার বা ন্যায় বিচারের তর্ক অর্থহীন। জনগণকে এই সহজ সত্যটুকু বোঝাবার কার্যকর কোন চেষ্টা বিএনপি করে নি। বাংলাদেশের বাস্তবতায় শুধু আইনী পদ্ধতিতে ন্যায়-অন্যায় মীমাংসার রাজনীতি আত্মঘাতী চিন্তা। যার পরিণতি খালেদা কেন, বাংলাদেশের বহু নাগরিক ভোগ করছেন। অথচ পাশাপাশি দরকার ছিল এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার সুস্পষ্ট রাজনীতি ও গণআন্দোলন।
দিল্লির মসনদে উপমহাদেশের ভয়ংকর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাবাজ শক্ত (আরো পড়ূন)
কওমি মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতি কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে শেখ হাসিনার ‘সন্ধি’ বাংলাদেশের রাজনীতির অনেক হিসাব নিকাশ নিমেষে বদলে দিয়েছে। সমাজে বিভিন্ন শক্তির ভারসাম্যের ক্ষেত্রে এই ‘সন্ধি’ গুণগত রূপান্তরের ইঙ্গিত। চরম ইসলাম বিদ্বেষী ‘নাস্তিক’, সেকুলার বা ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদীরা আওয়ামি লীগের ঘাড়ে বন্দুক রেখে এই দেশে যেভাবে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা চর্চা করছিল তাদের উত্তাপ কতোটা কমবে এটা আগাম আন্দাজ করা মুশকিল। কারন এদের শক্তির ভিত্তি বাংলাদেশের জনগণ নয়, বরং দিল্লী ও সাম্রাজ্যবাদী পরাশক্তি। এই 'সন্ধি'তে শেখ হাসিনার হাতে গড়ে ওঠা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থার কোন পরিবর্তন হবে না। দিল্লির কাছ থেকে তিস্তার পানি (আরো পড়ূন)
গত ২ মার্চ রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় মোটামুটি বড় একটা গণ্ডগোল হয়ে গেল। প্রথমে ঘটনা তুচ্ছই ছিল। গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয় (১ মার্চ দিবাগত রাতে) ওই এলাকার এক নিরাপত্তারক্ষী ও এক ছাত্রের মধ্যে। এর জের ধরে ছাত্রটিকে পিটিয়ে আহত করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। বিভিন্ন পত্রিকার খবর অনুযায়ী, নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্র শাহরিয়ার হাসনাত তপুকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছাত্রদের এবং স্থানীয় অনেকের অভিযোগ হচ্ছে, ওখানকার নিরাপত্তরক্ষীরা প্রায়ই বাড়াবাড়ি করে থাকেন। কেউ কিছু বলার সাহস পায় না। এ নিয়ে ওই এলাকায় বাস করা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের মধ্যে একটা ক্ষোভ ছিল । আগের ক্ষোভের সাথে সহপাঠিকে পিটিয়ে আহত কর (আরো পড়ূন)
প্রেক্ষাপট
ভারত এবং মিয়ানমার বাংলাদেশের দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আঞ্চলিক বৃহৎ শক্তি ভারতের সঙ্গেই বাংলাদশের প্রধান সীমান্ত যার দৈর্ঘ ৪০০০ কিলোমিটারের অধিক। এর মধ্যে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মেঘালয় এবং পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের যথাক্রমে ২৬২, ৮৫৬, ১৮০, ৪৪৩ এবং ২২১৭ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যবর্তী সীমান্তের দৈর্ঘ বিশ্বে পঞ্চম দীর্ঘতম। অপরদিকে মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের ২৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে। দুই দেশের মধ্যকার স্থলসীমান্তের দৈর্ঘ ২০৮ কিলোমিটার। অবশিষ্ট ৬৪ কিলোমিটার সীমান্ত নাফ নদী বরাবর দুই দেশকে পৃথক করেছে।
সীমান্তে পাহারা দেয়ার (আরো পড়ূন)
কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাবার পর মাহমুদুর রহমান কথা বললেন।
মঙ্গলবার ( ৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে মাহমুদুর রহমান প্রথম সংবাদ সম্মেলন করলেন। দীর্ঘকাল ক্ষমতাসীনদের অন্যায় নির্যাতনের শিকার দৈনিক আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের কথা শুনতে সাংবাদিকরা আগ্রহী ছিলেন। তাঁর কথা কতোটা সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করবে বা করলেও অবিকৃত ভাবে করবে কিনা সে সম্পর্কে মাহমুদুর রহমান নিজেও সন্দিহান ছিলেন। তবে তিনি কী বলতে চান সাংবাদিকদের তা জানার আগ্রহ ছিলো। গণমাধ্যমের বর্তমান ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর কথা বিশেষ প্রচারিত না হওয়াই স্বাভাবিক। তবে উপস্থিত পেশাদার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে তরুণ সাংবাদিকদের বড় একটি অংশ মনে (আরো পড়ূন)
বলা হচ্ছে, ২০১৯ সালে জাতীয় নির্বাচন হবে। নিয়ম অনুযায়ী তেমনটাই হওয়ার কথা। সে উপলক্ষে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের দাবি আছে সর্ব মহলে। নির্বাচনকে ঘিরে, অর্থাৎ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আরো নানা দাবি আছে বিভিন্ন পক্ষের। নিরপেক্ষ কমিশন গঠন তার অন্যতম। এ উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গত ডিসেম্বর মাসজুড়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করেছেন। আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ মোট ৩১টি দল তাতে অংশ নেয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নানা দল নিজেদের মতো করে নানা দাবি তার কাছেতুলে ধরে ।
এরপর গত ২৫ জানুয়ারি কমিশন গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতি একটি সার্চ কমিটি করে দেন। অতীতেও ইসি গঠনে এমন সার্চ কমিটি হয়েছে। যেমনটি হয়েছিল ২০১২ সালেও। বিচারপতি সৈয়দ মাহ (আরো পড়ূন)
‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’
যাঁরা ঈদ এলে প্রায়ই নিজেকে মহান পশু দরদী প্রমাণ করবার জন্য পশু কোরবানি না দিয়ে ‘মনের পশু’ কোরবানির তত্ত্ব দিয়ে থাকেন,তাদের কিছু বিষয় বিবেচনার জন্য পেশ করছি। আশা করি তাঁরা ভেবে দেখবেন।
১. প্রায় সব ধর্মেই নিজ নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী পরমের সন্তুষ্টি বিধানের জন্য ‘কোরবানি’র বিধান আছে। বলাবাহুল্য তাকে ‘কোরবানি’ বলা হয় না। বলা হয় ‘বলী’, ‘ঈশ্বরের জন্য রক্তোৎসর্গ’ ইত্যাদি। আরবিতে ‘উদিয়া’ শব্দের অর্থ & (আরো পড়ূন)
অগাস্ট মাসে শেখ মুজিবর রহমানের সপরিবার নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে ‘মৃত্যুবার্ষিকী’ হিসাবেই পালন করা হোত। আজকাল ‘শাহাদাৎ বার্ষিকী’ হিসাবে উদযাপন করা হচ্ছে। এটা নতুন। এবারের নতুন আরেকটি দিক হোল ‘শাহাদাৎ বার্ষিকী’ উদযাপনের জন্য সারাদেশ থেকে বেশ কিছু বাউলদের নিয়ে এসে শিল্পকলা একাডেমি ‘সাধুসঙ্গ’ আয়োজন করেছে। খবরে তাই দেখেছি। ‘সাধুসঙ্গ’ ব্যাপারটা আসলে কি এটা অনেকেই জানেন না। বাউল গান নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি অনুষ্ঠান করতেই পারে। তবে শেখ মুজিবর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপনের জন্য ‘সাধুসঙ্গ’ আয়োজন করবার দাবি বেশ কৌতুহলের জন্ম দেয়।
এতোকাল আওয়ামি লীগ অগাস্ট মাসকে শোকের মাস হিসাবেই (আরো পড়ূন)
সংঘাতের চরিত্র যাই হোক, দ্বন্দ্ব-সংঘাত প্রতিটি সমাজেই থাকে। দ্বন্দ্ব-সংঘাতের চরিত্র বোঝা এবং সমাজ কিভাবে তা সমাধান করছে, কিম্বা করতে ব্যর্থ হচ্ছে তার দ্বারা একটি সমাজের টিকে থাকা না থাকা সম্পর্কে আগাম অনেক কিছু অনুমান করা যায়। সংঘাত আর্থ-সামাজিক সম্পর্কের দ্বন্দ্ব বা বিরোধ থেকে হতে পারে; কিম্বা বোঝাবুঝি, চিন্তাচেতনার ফারাক অথবা সাংস্কৃতিক-আদর্শিক বিরোধ থেকেও হতে পারে। দ্বন্দ্ব-সংঘাত হতে পারে মীমাংসার অতীত, আবার নাও হতে পারে -- এই ধরনের তর্ক বাম মহলের প্রাচীন একটি তর্ক। যেমন বিরোধ কি এন্টাগনিস্টিক নাকি নন-এন্টাগনিস্টিক, ইত্যাদি।
তবে আর্থ-সামাজিক বিরোধের রাজনৈতিক প্রকাশ কিভাবে ঘটে সেটা নির্ণয়ের পদ্ধতি এবং তার সম্ভাব্য পরিণতি আগাম বলা (আরো পড়ূন)
হোলি আর্টিসান ও তার পরে শোলাকিয়ার ঘটনা বাংলাদেশকে গোড়াসুদ্ধ কাঁপিয়ে দিয়েছে। গুলশানে হামলার ধরণ ও নৃশংসতা সবাইকে আতংকিত করেছে; নিরাপত্তাহীনতা আরও ভারি হয়েছে।
মাত্র পাঁচ জনকে মোকাবিলা করতে গিয়ে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, সোয়াত টিম, গোয়েন্দা বাহিনীর বিভিন্ন দল এবং বিশেষ কমান্ডোদের ব্যবহার করতে হয়েছে। অর্থাৎ বিমান বাহিনী ছাড়া রাষ্ট্রের আইন শৃংখলা ও জাতীয় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে নিয়োজিত হতে হয়েছে। কমান্ডোর জন্য সকাল অবধি অপেক্ষা করতে হয়েছে। এই ধরণের পরিস্থিতি বিচক্ষণতা, ক্ষিপ্রতা ও দ্রুততম সময়ে মোকাবিলা করবার যে দক্ষতা আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে জনগণ প্রত্যাশা করে সেখানে একটা আস্থার (আরো পড়ূন)
মার্কিন ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের ডিরেক্টর জেমস ক্ল্যাপার এ বছর ফেব্রুয়ারির নয় তারিখে ইউএস আর্মড সার্ভিসেস কমিটি ও সিনেট সিলেক্ট কমিটির কাছে একটি লিখিত প্রতিবেদন পেশ করেছিলেন। এ ধরনের প্রতিবেদনকে বলা হয় ‘Statement for the Record’। অনেকটা ভবিষ্যতে রেফারেন্সের জন্য নথি করে রাখার মতো ব্যাপার। হোলি আর্টিসানের রক্তপাতের পরে এখন তা রেফারেন্স হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশ সম্পর্কে তাঁর লিখিত মন্তব্য ছিল ছোট এবং খুবই সংক্ষিপ্ত। পুরাটাই এখানে তুলে দিচ্ছি:
“Prime Minister Sheikh Hasina’s continuing efforts to undermine the political opposition in Bangladesh will probably provide openin (আরো পড়ূন)
কেন হিন্দু প্রশ্ন?
বদরুদ্দিন উমর সম্প্রতি বেশ কয়েকটি লেখায় বাংলাদেশে হিন্দু প্রশ্ন ও সাম্প্রদায়িকতার প্রসঙ্গ তুলেছেন। তাঁর সাম্প্রতিক দুটো লেখা গুরুত্বপূর্ণ। ‘এটা কি সাম্প্রদায়িকতা?', লিখেছেন ২৫ মে ২০১৪ সালে, যুগান্তরে; দ্বিতীয় লেখাটি হচ্ছে, ‘
(আরো পড়ূন)
ছয়দফায় করা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মানুষ মরেছে। কতজন? সংখ্যা এখন খুব ধর্তব্য নয়। শুধু সংখ্যা রাজনৈতিক বাস্তবতার ইঙ্গিত হতে পারে কিন্তু সংকটের পরিসর ও গভীরতার নির্দেশক না। তাছাড়া কয়জন মরেছে, কতজন পঙ্গু হয়েছে, কতজন নিখোঁজ আর কতজন পুলিশের ভয়ে গ্রাম ছাড়া সেইসব সুনির্দিষ্ট করে নির্ণয়ের উপায় নাই। দ্বিতীয়ত ব্যাপক প্রাণহানির যে ধারা তৈরি হোল তা গ্রামাঞ্চলকে মূলত আরও রক্তপাতের দিকেই ঠেলে দিল। দ্বন্দ্ব ও বিভাজন জাতীয় পর্যায়ে কমবেশী সীমাবদ্ধ ছিল; প্রবল দুশ্চিন্তার বিষয় হচ্ছে এখন তাকে গ্রামীন সামাজিক ও পারিবারিক সংঘাতে পরিণত করা হোল। বপন করা হোল দীর্ঘস্থায়ী সন্ত্রাসের বিষ । হিংসা ও হানাহানির এটা নতুন গুণগত পর্ব।
অল্পদিনের ব্যবধানে পুলিশ সুপার (আরো পড়ূন)
ঠাট্টা করে নয়, বাংলাদেশের সমাজকে আপনি সিরিয়াসলি ‘সত্যবাদীদের সমাজ’ বলতে পারেন। এই সমাজে বিবাদমান সকল পক্ষই 'সত্যবাদী'। অর্থাৎ তারা মনে করে তারা নিজেরা যা বলে ও প্রচার করে এটাই চরম সত্য। রাজনীতিও এখানে অতএব সত্য কায়েমের রাজনীতি। অর্থাৎ প্রতিটি পক্ষই মনে করে সত্যে শুধু তাদেরই একচেটিয়া। একমাত্র তারাই সত্যবাদী, আর মিথ্যা শুধু অন্য পক্ষে। সত্যবাদীদের সমাজে বিবাদমান পক্ষ অপর পক্ষে কোন সত্য থাকতে পারে মনে করে না। প্রতিপক্ষ মানেই সত্যের দুষমন। অতএব সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য অপর পক্ষকে ধ্বংসই একমাত্র কর্তব্য। এই ধরনের সমাজে নির্মূল আর কতলের কারবার ছাড়া অন্য কোন রাজনীতি গড়ে ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই একদিকে আমরা দেখি বাংলাদেশে তথাকথিত প্রগতিশ (আরো পড়ূন)
বাস্তবকে জানুন, জেগে উঠুন
সরলীকরণের দোষ স্বীকার করেও সহজে পাঠকদের বোঝাবার জন্য উপমা দিয়ে বলিঃ ধরুন আপনি জানেন আপনি যে গাড়িতে উঠতে চাইছেন তা ভাঙা গাড়ি। চলে না। তদুপরি মোটেও নিরাপদ না, ভেঙে পড়তে পারে। আপনাকে নিরাপদে পৌঁছানোর পরিবর্তে আপনাকে এমন এক জায়গায় এসে এই গাড়ি নামিয়ে দিতে পারে যা বিপদ সংকুল। দেখলেন, আপনি হাজির হয়েছেন একটি ভয়ংকর যুদ্ধক্ষেত্রে। ধরুন সিরিয়ায় কিম্বা ইরাকে? ফিরে যাবার আর উপায় নাই? আপনি কী করবেন?
আপনাকে নতুন বাহনের কথা ভাবতে হবে। ভাবতেই হবে। আপনার পুরানা বাহন সংস্কারের সুযোগ বা সুবিধাও নাই। একদমই। পুরানা ইঞ্জিনিয়ারিং বিদ্যা দিয়েও কাজ হচ্ছে না। আসলে নতুন বাহ (আরো পড়ূন)
‘নাস্তিকতা আল্লাহ আছে এই সত্য অস্বীকার করে, যে অস্বীকৃতির মধ্য দিয়ে মানুষই শুধু আছে সেই সত্য জাহির করা হয়। কিন্তু কমিউনিজমের জন্য এ ধরনের ঘোরাপথের দরকার পড়ে না।’ (কার্ল মার্কস)
‘যে নৈরাজ্যবাদী খেয়ে না খেয়ে আল্লাহখোদার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ওয়াজ করে বেড়ায় সে আসলে মোল্লা-মৌলবি-পুরোহিত আর বুর্জোয়াদের স্বার্থই রক্ষা করে।’ (ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন)
(আরো পড়ূন)
কেন?
কারণ বিশ্ব ইতিহাসে অবদান রাখবার হিম্মত ও সম্ভাবনা কমিউনিজমের এখনও ফুরিয়ে যায় নি। আছে।
মানুষ সামাজিক এবং নিজেকে সে কোন না কোন সমাজ বা কমিউনিটির মধ্যেই আবিষ্কার করে। ফলে সামাজিকতার বা সামাজিক বন্ধনের যে কোন অভাবই তাকে পীড়া দিতে বাধ্য। পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যখন পরিবার ও সমাজের বন্ধনগুলি ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে যায় তখন 'উম্মাহ' বা সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে একই মানব্জাতির অন্তর্ভূক্তিকরণ ও পুনর্গঠনের তাগিদ বাড়ে বৈ কমে না। কমিউনিজম কোন আজগবি বা আসমানি ধারণা নয় এবং এই ধারণার উৎপত্তি, ইতিহাস ও বিকাশের ওপর কমিউনিস্টদের কোন একচেটিয়া নাই। নিজেকে অপরাপর মানুষের সঙ্গে স্রেফ মানুষ হিসাবে সম্পর্কিত হবার ও সম্বন্ধ রচনার ধারণা গুরুত (আরো পড়ূন)
জাতীয় ক্ষেত্রে বেশ কিছু বড় বড় ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক কেলেংকারি, নিরাপত্তা বিশ্লেষকের গুম হয়ে যাওয়া, ব্যাংকের ভেতর থেকেই টাকা পাচারের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি এবং গভর্নরের পদত্যাগ; ধর্ষণ, নির্যাতন ও মেয়েদের খুন করে ফেলার ভীতিকর প্রবণতা বৃদ্ধি ও তনু ধর্ষণ ও হত্যার মতো জঘন্য ঘটনা, যার প্রতিবাদ সারা দেশে হচ্ছে। কিন্তু একই সাথে লক্ষণীয় সামগ্রিক ভাবে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদের চেয়েও যা ঘটেছে তা হোল বিষয়টিকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রচারণার বিষয়ে পরিণত করার চেষ্টা এবং শেষমেষ তার কোন কুল কিনারা না পাওয়া। ইতোমধ্যে তনুর এক বন্ধুও নিখোঁজ। চট্টগ্রামের বাঁশখালিতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণের প্রতিবাদ ও তাদের গুলি করে হত্যা; (আরো পড়ূন)
এক এগারোর সময় পত্রিকার সম্পাদক হিসাবে নিজের ভূমিকার ভুলের কথা মাহফুজ আনাম একটি টেলিভিশান টক শোতে স্বীকার করেছেন। তাঁর এই উপলব্ধিকে আন্তরিক মনে না করার কোন যুক্তি নাই। সরকারপক্ষের টেলিভিশান চ্যানেলটি তাঁকে কথার ফাঁদে ফেলবার জন্যই তাদের অনুষ্ঠানে নিয়েছিল কিনা সেটাও আমরা ভাবতে পারি। কিন্তু যে উপলব্ধির জায়গা থেকে মাহফুজ আনাম সম্প্রতি ভুল স্বীকার করেছেন তাকে স্বাগত জানাবার জন্যই এই লেখাটি ফেব্রুয়ারির বারো তারিখে লিখেছিলাম। কিন্তু যে পত্রিকায় দিয়েছি তাঁরা তা ছাপান নি। কেন তাঁরা তা ছাপান নি তার কোন ব্যাখ্যাও আমাকে দেন নি। একই লেখা কিছুটা এদিক ওদিক করে এখন পেশ করছি।
মাহফুজ আনামের উপলব্ধি ও স্বীকারোক্তি হচ্ছে এজেন্সির চাপের কাছে একটি পত্রিক (আরো পড়ূন)
নতুন ঈসায়ী নববর্ষে সবাইকে ভালবাসা
আজ ২০১৫ সালের শেষ দিন। আর একটি ঈসায়ী সাল চলে যাচ্ছে। আরেকটি ঈসায়ী সাল সামনে। ইসলামের নবী-রসুলদের মধ্যে যিনি ঘৃণা ও হিংসার বিপরীতে প্রেমের অভূতপূর্ব নজির স্থাপন করে অমর হয়ে আছেন তিনি হজরত ঈসা (আ:)। তিনি রুহুল্লা। প্রেমের প্রতীক। ইসলামে তাঁর মর্যাদা অসামান্য। তাঁকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছে বলে ইসলাম মনে করে না। তিনি আবার প্রত্যাবর্তন করবেন কি করবেন না তা নিয়ে নানান তর্ক ও ব্যাখ্যা থাকলেও হজরত ঈসার (আ:) প্রতীকী তাৎপর্য হচ্ছে প্রেম বা আশেকানিকে ক্রুশবিদ্ধ করা অসম্ভব। একই সঙ্গে হজরত ঈসার (আ:) প্রত্যাবর্তনের প্রতিশ্রুতির মধ্যে এই সত্যের ওপরই জোর দেওয়া হয় যে যুদ্ধ, হানাহানি, হত্যা ও রক্তপাতে (আরো পড়ূন)
সবাইকে ঈসায়ী নববর্ষের শুভেচ্ছা। নতুন বছরের শুরুতে অল্প কিছু কথা বলব। বরং সবাইকে বলব, ভাবুন, আমরা কোন্দিকে যাচ্ছি।
চরম দুর্নীতি, লুটপাট, নাগরিক ও মানবিক অধিকার লংঘন এবং ভোটের তামাশা সত্ত্বেও আমি মনে করি না বাংলাদেশের জনগণ ভুল পথে যাচ্ছে। গত বছরের (২০১৫) শেষে পৌর সভার নির্বাচন গিয়েছে। নির্বাচনের কারচুপি ঘটেছে, একে কোন অর্থেই নির্বাচন বলা যায় না। ইসির ভূমিকা নিন্দনীয়। বিএনপি যথারীতি তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
পৌর নির্বাচনের ফলাফল দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতির চরিত্রে বদল ঘটল কিনা অনেকে সেই প্রশ্ন তুলছেন। আদৌ কোন বদল হয়েছে কিনা বুঝতে পারব কি? আমার ধারণা, বুঝব। কিন্তু সবার আগে বুঝতে হবে শেখ হাসিনার অধীনে বিরোধী রাজনৈতিক জোটের নির্ (আরো পড়ূন)
সকালে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে ২২ তারিখের ‘দৈনিক প্রথম আলো’য় চোখ বুলাচ্ছিলাম। উপসম্পাদকীয়র পাতায় রওনক জাহানের একটা লেখা চোখে পড়ল। লেখার শিরোনাম 'গণতান্ত্রিক উত্তরণের ২৫ বছর’। রওনক জাহান আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিত। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ওপর তাঁর ভাল কাজ আছে বলে শুনেছি। তিনি ‘সেন্টা (আরো পড়ূন)
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি সমাজের ক্ষমতাসীনদের জন্য আরামের কিনা বলা মুশকিল তবে তারা তাদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও মতাদর্শিক স্বার্থ উসুল করে নিতে পারছে, এটাই বাস্তবতা। স্বার্থ উসুল করা কথাটা বোঝা আশা করি কঠিন কিছু নয়। তারা ক্ষমতার সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো লুট করছে ও বিদেশে টাকা পাচার করতে পারছে। বড় কোন প্রকল্পের জন্য এখন টেন্ডার দিতে হয় না, এর বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আইন করেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সরকার টেণ্ডার ছাড়া যে কাউকেই তাদের ইচ্ছা মতো মতো দরদামে কাজ বা ঠিকাদারী দিতে পারে এবং দিচ্ছেও। ক্ষমতাসীন থাকার কারনে অপরাধ করেও ক্ষমতাসীনদ (আরো পড়ূন)
আসলেই, ‘সমাজ বদল’ কথাটার অর্থ কী?
বাংলা ভাষায় ‘সমাজ’ নামে একটি শব্দ আছে। কিন্তু শব্দটি এখন কী বোঝায় সে সম্পর্কে আমরা আর একদমই অবহিত নই। আগেও খুব সজ্ঞান ছিলাম বলা যাবে না। যদি থাকতাম তাহলে সমাজ বদল, পরিবর্তন বা রূপান্তর ইত্যাদি ধারণার একটা মানে আমরা দাঁড় করাতে পারতাম এবং আমাদের বর্তমান অবস্থা বিচার করবার মানদণ্ড হিসাবে তা ব্যবহারও করা যেতো। সেই সুবিধাটুকু পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও প্রাচীন অভ্যাস বশত সমাজ বদলাবার কিম্বা সমাজ পরিবর্তনের কথা আমরা শুনে এসেছি। শুনতাম। আজকাল তাও শুনি না। কিম্বা শুনলেও সেটা কোন বিশেষ অর্থ জ্ঞাপন করে না। সমাজ যদি বর্ণনাত্মক অর্থে কি (আরো পড়ূন)
যখন বুঝতে পারি দেশের মানুষ ভয়ংকর বিপদের দিকে ধেয়ে চলেছে তখন লিখতে গিয়ে সবকিছু গুছিয়ে লিখতে পারছি কিনা বারবার সেই দিকে সতর্ক থাকতে হয়। এই কাণ্ডজ্ঞানটুকু বজায় রাখা জরুরী যে যদি সমাজের রাজনৈতিক ও আদর্শিক বিভক্তি আমাদের বিপদ ও বিপর্যয়ের গোড়া হয় তাহলে সেই বিভক্তির গোড়ায় পানি ঢালা এখনকার কাজ নয়। এটা খুশির কথা যে অনেকেই ঐক্যবদ্ধ হবার কথা বলছেন। আমি কাতর ভাবে বুঝতে চাইছি তাঁরা কাদের মধ্যে ঐক্যের কথা বলছেন? সেই ঐক্যের উদ্দেশ্য কি? কার বিরুদ্ধে কার ঐক্য?
ঐক্যের ডাক সফল হতে হলে স্বঘোষিত মুক্তিবুদ্ধিওয়ালাদের ঐক্য হলে হবে না। স্বঘোষিত ইসলামের রক্ষাকর্তাদের ঐক্যেও চলবে না। কারো সংলাপের আহ্বানেও কাজ হবে না। এটা হতে হবে জনগণের ঐক্য। এই মুহূর (আরো পড়ূন)
সাধারণত আমি লেখা শেষ করার পর লেখার শিরোনাম দিয়ে থাকি। কিন্তু আজ ব্যতিক্রম করেছি। আগে শিরোনাম লিখলাম। উদ্ধৃতি চিহ্নের মধ্যে একবার বিস্ময় চিহ্ন আর আরেকবার প্রশ্নচিহ্ন দেয়ায় পাঠকের একটু মিস্টেরিয়াস মনে হতে পারে। আসলে রহস্যের কিছু নাই। ব্যখ্যা করে বলি।
শেখ হাসিনার সরকার এতদিন আমাদের বুঝিয়েছিল,বাংলাদেশ ইসলামী সন্ত্রাসীতে ভরে গিয়েছে। তিনি দাবী করতেন, তার সরকারের আমলে কোনো বিরোধী দল নাই। যারা তার সরকারের বিরোধী, তারা ইসলামী সন্ত্রাসী। আর তাই বলতেন তিনি বিরোধী দল দমন করছেন না, ইসলামী সন্ত্রাসীদের দমন করছেন। কারণ, বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর ছত্রছায়ায় বাংলাদেশে ইসলামী সন্ত্রাস চর্চা হয়েছে। দল বা জোট হিসেবে তারা যেমন সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুক্ত ছিল, (আরো পড়ূন)
শেখ হাসিনা সফল ভাবে বিরোধী দলকে নাস্তানাবুদ করে দিতে পেরেছেন। খালেদা জিয়া বিদেশে গিয়েছেন চিকিৎসার জন্য। তাঁর ফিরে আসার কথা থাকলেও এখন শোনা যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য দেরি হবে। তাঁর প্রত্যাবর্তনের তারিখ এখনও অনিশ্চিত। এতে ক্ষমতাসীনদের পুলকিত থাকবার যথেষ্ট কারন রয়েছে। কিন্তু সাধারণ নাগরিকদের জন্য আনন্দিত হবার কিছু নাই। অন্যদিকে আমরা বারবারই আমাদের লেখায় বলেছি, বিরোধী দলের বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার একটাই পথ: তাদের রাজনীতি স্পষ্ট, সুনির্দিষ্ট ও পরিচ্ছন্ন করা। তারা বাংলাদেশে রাজনৈতিক ভাবে কি অবদান রাখতে চান সেটা সাধারণ মানুষকে স্পষ্ট করে কিছুই বলেন নি। নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি চাইবার অর্থ বিএনপি শুধু ক্ষমতায় যেতে চায়, কিন্তু জনগণ ভোট দিয়ে তাঁদের আবার ক্ষম (আরো পড়ূন)
[ বর্তমান পৃথিবীতে যেসব প্রশ্ন আমাদের নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে এবং নতুন রাজনীতি নির্মাণে প্রধান প্রশ্ন আকারে সামনে এসেছে এর মধ্যে ‘শরিয়াহ’ অন্যতম। কিন্তু শরিয়া নিয়ে আলোচনা সহজ নয়। এর বাস্তব প্রয়োগ যেমন বিতর্ক তৈরি করে তেমনি ইসলামকে দানবীয় বর্বর ধর্ম হিসাবে হাজির করবার জন্য পাশ্চাত্য শরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রপাগাণ্ডা চালায়। ঐতিহাসিক ভাবে শরিয়ার উৎপত্তি ও বিবর্তন বোঝা এবং শরিয়াকে কেন্দ্র করে ইসলামে আইন, রাষ্ট্র, শাসন ব্যবস্থা, ক্ষমতা ইত্যাদি ধারণার উৎপত্তি ও বিবর্তন কিভাবে ঘটেছে সে সম্পর্কে বুদ্ধিবৃত্তিক নিষ্ঠার সঙ্গে শরিয়া পাঠ ও বিশ্লেষন ছাড়া গত্যন্তর নাই। সেই পাঠ একই সঙ্গে আধুনিক রাষত্রের পর্যালোচনাতেও সহায়ক হতে পারে। (আরো পড়ূন)
ক্ষমতাসীনদের প্রতিপক্ষ যেখানে নির্জীব এবং দমন পীড়নে পর্যুদস্ত তখন হঠাৎ রাজনীতি আবার অস্থির হয়ে উঠেছে। বাইরে থেকে দেখেএকে ক্ষমতাসীনদের নিজেদের ভেতরকার বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব বলে পত্রিকায় কেউ কেউ বলেছেন -- এরফকমই সন্তবত দেখেছি। এই মূল্যায়ন অবশ্য সস্তা, কারণ একথা ক্লাস সেভেনে পড়া ছেলেটিও বলতে পারে। বিরোধী দলের সাড়াশব্দ নাই, এই ফাঁকে নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে -- এই সস্তা ব্যাখ্যায় আমাদের বিশেষ আগ্রহ নাই। কীসে আগ্রহ সেই প্রশ্নে যাবার আগে ক্ষমতাসীনদের অন্তর্দ্বন্দ্ব কিভাবে প্রকাশিত হচ্ছে আমরা তার একটা তালিকা করবার চেষ্টা করি।
প্রথমে হাজারীবাগের ছাত্রলীগ নেতা আরজু ও মাগুরায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আজিবরের ‘ক (আরো পড়ূন)
এক
দৈনিক যুগান্তরে গত সপ্তাহে ‘আয়নায় মুখ দেখা’ লেখাটি ছাপা হবার পর একজন পাঠক আমাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন (এই লিঙ্কেও লেখাটি পড়তে পারেন)। তাঁকে ধন্যবাদ। চিঠিতে তিনি নাম উল্লেখ না করে ২০০৪ সালের ১ নভেম্বর প্রকাশিত একটি লেখার অংশ উদ্ধৃত করে আমাকে প্রশ্ন করেছেন, আমি এই লেখকক (আরো পড়ূন)
‘নির্বাচনই গণতন্ত্র’ – এই ধরণের একটি ধারণার প্রকট প্রাবল্য বাংলাদেশে দীর্ঘকাল ধরে আমরা দেখেছি। তবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদে নির্বাচন নিয়ে যে তামাশা জনগণ দেখেছে সে কারণে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের সম্পর্ক নিয়ে কিছু কিছু ভাবনা শুরু হয়েছে বটে, কিন্তু আমার অনুমান সেটা খুবই ক্ষীণ। রাষ্ট্র নামক ব্যাপারটা আসলে কী, তা নিয়ে আমাদের সমাজে আলোচনা নাই বললেই চলে। একটি সর্বগ্রাসী প্রতিষ্ঠানের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়ে যাওয়া এবং তা একজন ব্যাক্তির কুক্ষিগত হওয়া বিপজ্জনক। একদিকে কেন্দ্রীভূত ক্ষমতার প্রতিষ্ঠান আর অপরদিকে ক্ষমতাহীন সাধারণ মানুষ -- তাদের জীবন ও জীবিকার সিদ্ধান্ত গ্রহণের সামাজিক সুযোগগুলোও নষ্ট ও নস্যাৎ করে দেওয় (আরো পড়ূন)
বিরোধী জোটের রাজনৈতিক কৌশলের ব্যর্থতা ও দুর্দশা নিয়ে প্রায়ই অনেককে কথা বলতে শুনি। নানান জনে নানান কারনের কথা বলেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেইসকল মন্তব্য অকাজের। অর্থাৎ বিশ্লেষণ বলি কিম্বা ভবিষ্যতে বিরোধী দলের কি করা উচিত সেই ঔচিত্যের ক্ষেত্র থেকে বলি – লক্ষ্যহীন বাগাড়ম্বর কোন কাজে আসে না।
তাহলে এক কথায় বিরোধী রাজনীতির কৌশলগত ব্যর্থতার সারমর্ম কিভাবে করা যায়! এর উত্তর মিলবে যদি প্রশ্ন করি বিরোধী দল আসলে কি চেয়েছিল? তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়েছিল। ভাল কথা। কিন্তু পঞ্চদশ সংশোধনীর মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেবার কোন ইচ্ছা তার নাই। অতএব তার কোন সম্ভাবনাও নাই। বি (আরো পড়ূন)
বিভাজন, বিভক্তি ও নির্মূলের রাজনীতির বিপদ
অন্ধ হয়ে রাজনৈতিক বিভাজন ও বিভক্তি রেখা যেভাবে আমরা পরস্পরের বিরুদ্ধে টেনে দিচ্ছি এবং ভিন্ন চিন্তাকে দুষমণ গণ্য করে তাকে নির্মূল ও কতল করবার জন্য পরস্পরের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ছি তার পরিণতি সহিংস ও আত্মঘাতী হতে বাধ্য। বাংলাদেশের জন্য সেটা ইতোমধ্যেই মারাত্মক হয়ে উঠেছে। শুনতে অনেকের ভাল নাও লাগতে পারে -- এই বিভাজন ও বিভক্তি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে বিলয়ের দিকে নিয়ে যাতে পারে। অবশ্য বিশ্বে আমরা এখন টিকে আছি শুধু সস্তা দাসের দেশ হিসাবে। সেটা একদিকে পোশাক কারখানার শ্রমিকদের জীবনের বিনিময়ে -- তাদের পুড়িয়ে কিম্বা জ্যান্ (আরো পড়ূন)
শেখ হাসিনা ধমক দিয়েছেন!
শেখ হাসিনা ধমক দিয়েছেন। শুনতে মন্দ লাগতে পারে, কিন্তু সংবিধানকে ব্যবহার করবার ইচ্ছা নিয়ে তিনি যেভাবে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী করেছেন তাতে এই ধরনের ধমক অপ্রত্যাশিত কিছু নয়। শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘উত্তরপাড়ার দিকে তাকিয়ে থেকে লাভ নেই’। বলছেন, খালেদা জিয়াকে। তাঁর ধারনা উত্তরপাড়া থেকে কেউ এসে খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবেন। এরপর বলেছেন, “ তিনি যাদের নিয়ে ভাবেন, তারাও জানে এভাবে ক্ষমতায় এলে পরিণতি কী হয়। অতীতে যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল, তাদেরও খারাপ পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে। অনেককে দেশ ছেড়ে যেতে হয়েছে। সংবিধান লঙ্ঘন করে কেউ ক্ষ (আরো পড়ূন)
দুই হাজার পনেরো সালের জানুয়ারির ৫ তারিখ বাংলাদেশের ইতিহাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ কারন এই দিনে দীর্ঘকাল ধরে জমে থাকা সমাজের নানান স্তরের দ্বন্দ্ব-সংঘাত মীমাংসার অতীত রাজনৈতিক বিরোধের রূপ নিয়ে ক্রমে ক্রমে মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। বাংলাদেশের অতীতের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতের তুলনায় এই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নতুন। এর মীমাংসা সহজ নয়।
একদিক থেকে একে বাংলাদেশের গভীর গহ্বরে পতন হিসাবে বিবেচনা করা যায়, অন্যদিক থেকে, গর্ত যতো গভীরই হোক উল্লম্ফনের পথটিও ঐতিহাসিক দূরদৃষ্টির প্রতিভা আমাদের দেখিয়ে দিতে পারে যদি ঐতিহাসিক পর্যালোচনার অভিজ্ঞতা দিয়ে এই গর্ত কিভাবে আমরা একাত্তরের পর থেকে নিজেরাই খনন করে চলেছি বুঝতে পারি (আরো পড়ূন)
গতকাল ৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে সংসদে আওয়ামি লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার কথা শুনছিলাম। ‘যারপরনাই ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন’-এর মধ্য দিয়ে তিনি ‘প্রধান মন্ত্রী’, তাঁর ক্ষমতার বৈধতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অথচ তিনি তাকে আমলে নিচ্ছেন না। যার কুফল বাংলাদেশকে ভোগ করতে হচ্ছে।
‘যারপরনাই ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন (extremely flawed election) আমার ভাষ্য নয়। বিদেশিদের মূল্যায়ন। যুক্তিসঙ্গত কারনেই আন্তর্জাতিক মহলে ‘যারপর নাই ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন’-এর মধ্য দিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদও আদৌ বৈধ সংসদ কিনা সে বিষয়ে ঘোর সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে অবৈধ সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস, এক শ্রেণির গণমাধ্যমের নির্বিচার (আরো পড়ূন)
সম্প্রতি দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়াশান মিলনায়তনে ২৮ জানুয়ারি তারিখে ‘চলমান জাতীয় সংকট: উত্তরণের পথ’ শীর্ষক একটি সভায় 'জাতীয় ঐকমত্যের সরকার' গঠন এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব করেছেন। সেই সভায় বিচারপতি আব্দুর রউফ, খোন্দকার মাহবুব হোসেন, লে: কঃ (অঃ) মোহাম্মদ সেলিম, রুহুল আলম গাজী সহ আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তির সঙ্গে আমাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তার জন্য তাঁকে ও সভার উদ্যাক্তাদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। দৈনিক পত্রিকায় এ (আরো পড়ূন)
বাংলাদেশ বিস্ময়কর দেশ। এই এক দেশ যেখানে পশ্চিমা মিডিয়ার বর্ণবাদী ও পুরুষতান্ত্রিক চিন্তার প্রাবল্যের জন্য পড়াশোনা জানা শিক্ষিত ভদ্রলোকরা বিশ্বাস করে বাংলাদেশের সকল নষ্টের গোড়া দুই বেগম। তাদের ভাষায় ‘ব্যাটলিং বেগামস’। সমাজে যারা শিক্ষিত, অভিজাত ও বুদ্ধিমান বলে পরিচিত তাদের এই বিশ্বাস কি করে এতো বদ্ধমূল হোল সেটা সমাজতাত্ত্বিক গবেষণার বিষয়। অর্থনীতি, সমাজ, সংস্কৃতির ইতিহাস এই সংকটের জন্য কতোটা দায়ী, কতোটা বাহাত্তরে রাষ্ট্র গঠনের ত্রুটি -- সেই দিকে তাদের কোন ভ্রূক্ষেপ নাই। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের একমাত্র কারণ দুইজন মহিলা। ফলে কখন কিভাবে রাষ্ট্র যারপরনাই সন্ত্রাসী হয়ে নাগরিকদের সকল অধিকার হরণ করতে শুরু করেছে তার কোন হদিস নেওয়া ত (আরো পড়ূন)
দমন পীড়ন হত্যা, গুম খুন ও যৌথ বাহিনীর নির্মম ও নিষ্ঠুর অপারেশানের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনরা বিরোধী দলের কর্মসূচি নস্যাৎ করবার যে চেষ্টা চালাচ্ছে, তা ক্ষমতাসীনদের আরও দুর্বল করবে। বিদেশ থেকে পরিচালিত একটি পোর্টালে পুরা পরিকল্পনার সমেত সংবাদ প্রচার হওয়ায় তেইশ তারিখ দুপুর থেকেই শুনছিলাম সরকার নিজেই একটি বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছে। যাতে তার পুরা দায় বিরোধী দলের উপর চাপিয়ে দেওয়া যায়। রাত্রে নয়টার দিকে ডেমরায় পেট্রল বোমা ও ককটেলে ৩৫ জন আরোহীকে অগ্নিদগ্ধ করা হয়েছে। বার্ন ইউনিটকে ক্ষমতাসীনদের প্রচার-প্রপাগাণ্ডার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করায় আসলে কারা এই ধরণের নির্মম ও অমানবিক ঘটনা ঘটিয়েছে সেটা জানা যাবে না। যারাই করুক তারা ক্ষমার অযোগ্য। দোষ, বলাবা (আরো পড়ূন)
এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় আমি একটি কবিতা লিখেছিলাম, ‘এরশাদ তোমাকে দেখা মাত্রই গুলি করবে’। সে রকম একটা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সেই সময়। তখনই বুঝেছিলাম এটা মরণকামড়ের মতো। শেষ মূহূর্ত হাজির। সামরিক শাসকের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া স্রেফ অল্পকিছু সময়ের ব্যপার মাত্র। তাই ঘটেছে। গতকাল দেখছি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘একজন ব্যক্তি যদি বোমা ফাটায়, তাহলে পাঁচজন লোক নিহত হতে পারে। এ দৃশ্য কোনো বিজিবি সদস্যের নজরে এলে ওই বোমা বহনকারীকে ক্যাজুয়ালটি (হতাহত) করা তার দায়িত্ব।’
না, এটা তাঁর দায়িত্ব না। তাঁর দায়িত্ব সীমান্ত রক্ষা করা। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে বাং (আরো পড়ূন)
৫ জানুয়ারি ২০১৫। নৈতিক ও সাংবিধানিক দিক থেকে অবৈধ সরকারের একবছর শেষ হোল। বিরোধী দলের কাছে দিনটি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’, আর ক্ষমতাসীনদের কাছে ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেউ কেউ ‘বিতর্কিত’ বলে কৌশলে ক্ষমতাসীনদের পক্ষালম্বন করে থাকেন। অথচ ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার যেমন কোন নৈতিক ভিত্তি নাই, তেমনি ‘প্রত্যক্ষ নির্বাচন’ ছাড়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনশ সদস্যের মধ্যে ১৫৩ জন অনির্বাচিত ব্যক্তিদের নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠন অসাংবিধানিক। ক্ষমতাসীনদের নির্লজ্জ দালাল ছাড়া কোন সংবিধান বিশেষষজ্ঞই বলবেন না, শেখ হাসিনা সাংবিধানিক ভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। রফিকুল হক দেরিতে হলেও বলছেন, (আরো পড়ূন)
মাত্র সাড়ে তিন বছরের শিশু জিহাদ সারা দেশে কান্নার রোল তুলতে পেরেছে। সে কান্না এখনো থামে নি। শেষ পর্যন্ত জিহাদকে তোলা হোল, কিন্তু পাওয়া গেছে মৃত অবস্থায়। ছোট্ট ভেজা শরীরটা বিশেষ খাঁচার কারিগরি খাটিয়ে সাধারণ মানুষের উদ্যোগে ওঠানো হয়েছে। ততক্ষণে ঘোষণা দিয়ে ফায়ার ব্রিগেড তার কাজ স্থগিত ঘোষণা করেছে। একজন মন্ত্রী বলেছেন, কেউ ওয়াসার পাইপের মধ্যে নাই, এটা গুজব। জিহাদকে রেখেই ফায়ারব্রিগেড পাততাড়ি গুটিয়ে চলে যায়। সাধারন মানুষ তা বিশ্বাস করে নি, নিজেদের উদ্যোগে তারা জিহাদকে উদ্ধারে তৎপর হয়। ঠিকই তাকে পাওয়া গেলো। কিন্তু হাসপাতালে নেয়ার পর জানা গেল জিহাদ আর বেঁচে নেই।
সঠিক হোক কি বেঠিক, মানুষের মনে ধারণা জন্মেছে যে জিহাদকে উদ্ধারের নামে ২৩ (আরো পড়ূন)
আরেকটি ঈসায়ী বছর শেষ হচ্ছে। নতুন বছরের জন্য সবাইকে শুভেচ্ছা।
নতুন বছরে আমরা সবাই ভবিষ্যতের কথা ভাবি। গতবছরগুলো যতো মন্দই হোক, সামনের বছরগুলো অতীতের চেয়ে ভালোভাবে কাটবে আশা করি। সেই আশাটা নতুন বছরে প্রকাশ করাই রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও প্রায়ই ভাবি, যে-বছর চলে যাচ্ছে সেটা যদি পিছিয়ে পড়া ব্যর্থতার বছর হয় তারপরও তো নতুন বছরের উৎসব করি আমরা। সেটা তো দোষের না। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। সম্ভবত এই সংস্কৃতি আমরা রপ্ত করতে চাইছি যে নতুন বছরে মন্দ কথা বলা ঠিক না। আমিও আজ এখানে ব্যর্থতার কথা বলব না।
দাবি উঠতে পারে আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুমখুন, ক্ষমতাসীনদের দমন-পীড়ন, নির্যাতনসহ মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের মধ্যে আমি আবার ভাল কি আবিষ্কার ক (আরো পড়ূন)
পেশোয়ারে একটি মিলিটারি স্কুলে পাকিস্তানী তালেবানদের হামলা আমাকে স্তম্ভিত ও শোকার্ত করেছে। সেই বিষয়েই কয়েকটি কথা বলব।
দুই হাজার ১০ সালের ১৮ অক্টোবর মার্কিন ড্রোন হামলায় প্রাণঘাতী লোহার টুকরা দশ বছরের বালক নাসিমুল্লার বুক ও শরীর ভেদ করে বেরিয়ে যায়। শান্তিতে ঘুমিয়ে থাকা মৃত নাসিমুল্লার ছবিটি ইন্টারনেটে দেখেছিলাম। সেটা এখনও আমার মনে গেঁথে আছে। উত্তর ওয়াজিরিস্তানের ফাতিমা। তার বয়সও আট থেকে দশের বেশি হবে না। একুশে মে ২০১০ সালে ড্রোন হামলায় নিহত তার ছবিও মনে আছে। মনে আছে অনেকের ছবি। (আরো পড়ূন)
[ এ লেখাটি দুই হাজার দশ সালে লেখা। চার বছরের বেশি সময় পেরিয়ে এসেছি। ছাপা হয়েছিল অনলাইনে বিডিনিউজ২৪ ডট কমে অগাস্ট মাসের ৮ তারিখে। পিয়াস করিমকে শেষ বিদায় জানাবার আগে নাগরিক শ্রদ্ধা জানাবার জন্য শহিদ মিনারে নেবার সিদ্ধান্ত নিয়ে যে রাজনৈতিক মেরুকরণ ও তর্ক চলছে এই লেখা সে কারণে এখন আবার প্রাসঙ্গিক হতে পারে ভেবে এখানে তুলে দেওয়া হোল – চিন্তা]
শহীদ মিনার গড়ে উঠেছিল রাজনৈতিক প্রতিবাদের প্রতীক ও হাতিয়ার হিসাবে। প্রতীক, কারণ রাষ্ট্রীয় সহিংসতা নিপীড়ন অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের লড়াই ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে একটা বিশেষ ঐত (আরো পড়ূন)
রাজনীতির শীর্ষ পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে পৃথিবীর অনেক দেশে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে নারী বিরোধিতা বা বিদ্বেষ কমে গেছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ সব পথ পরিস্কার করে দিয়েছে তাই নারী সহজে উচ্চ পদে বসতে পারছেন এমন কোন কারণ নাই। ধনী ও উন্নত দেশ যেখানে নারী স্বাধীনতা অনেক এগিয়ে আছে বলে মনে করা হয় সেখানে এখনো প্রধান মন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি পদে নারীদের পাওয়া খুব কঠিন ব্যাপার। অথচ দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোতে ধনীদেশের আগেই তা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে (২০১৪ সালে) ২২টি দেশে নারী প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি রয়েছেন। তার মানে জাতিসংঘ সদস্য ১৯৩ টি দেশের মাত্র ১১.৩% দেশে নারী রাষ্ট্র ও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে আছেন। বাইশটি দেশের মধ্ (আরো পড়ূন)
বাংলাদেশ কোন দিকে যাচ্ছে এই প্রশ্ন প্রায় সকলের। রাজনীতি নিয়ে যে সকল আলোচনা দেখি তার অধিকাংশই হচ্ছে যার যার মনের বাসনার প্রতিফলন। সেটা হাজির হয় কোন দিকে যাচ্ছে তাকে নৈর্ব্যক্তিক বা ইচ্ছা অনিচ্ছার বাইরের একটি বাস্তব প্রক্রিয়া হিসাবে দেখবার চেষ্টা না করে ঔচিত্যবোধের জায়গা থেকে দেখবার বাসনা থেকে। অর্থাৎ কোন দিকে যাচ্ছে সেই আলোচনা না করে আমরা কোনদিকে যাওয়া উচিত সেই দিক নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে তুমুল তর্ক করতে শুরু করি। এর ওপর রয়েছে সঠিক তথ্যের প্রচণ্ড অভাব। কৃষি, খাদ্য ব্যবস্থা, শিল্পকারখানা, শ্রমিকের হাল হকিকত, বিনিয়োগ পরিস্থিতি, জাতীয় আয় ব্যয়ের সঠিক হিসাব ইত্যাদির তথ্য-পরিসংখ্যানের সঠিকতা নিয়ে সন্দেহ। এই এক অদ্ভূত দেশ যেখানে শাসক শ্রেণী সারাক্ষণই (আরো পড়ূন)
সরকারের সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে বিস্তর তর্ক বিতর্ক হয়েছে এবং হচ্ছে। পত্রিকায় দেখছি সম্পাদক পরিষদও বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁরা আশংকা প্রকাশ করেছেন, সরকার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন। প্রশ্ন হচ্ছে গণমাধ্যম তো পুরোটাই সরকারের নিয়ন্ত্রণে, আর কি নিয়ন্ত্রণ করবে ক্ষমতাসীনরা? সংশয় ও সমালোচনা সত্ত্বেও সম্পাদক পরিষদের এই বিবৃতি আমি সমর্থন করি। সেটা বলার জন্যই এই লেখা।
যাঁরা বিবৃতি দিয়েছেন তাদের মধ্যে এমন সম্পাদকও আছেন যারা অন্যের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে এর আগে অস্বীকার করেছেন। তারা সরকারের দলীয় সমর্থক। নির্বিচারে তারা সরকারের পক্ষাবলম্বন করেছেন। বিরোধী চিন্তা ও মতের বিরুদ্ধে হেন কোন অপপ্রচার বা কুৎসা নাই যা তারা করেন নি বা করেন না। নিজের মত প্রক (আরো পড়ূন)
আমি ‘আধুনিক’ নই। এর মানে এই নয় যে আমি অনাধুনিক। কিম্বা আমি অনাধুনিকতাকে মহিমান্বিত করতে চাই। আধুনিক যুগের আবির্ভাবের আগে প্রাক-আধুনিক যুগ নামক যদি কিছু থাকে সেখানে প্রত্যাবর্তন করার ইচ্ছা বা সংকল্প কোনটিই আমার রাজনীতি না। আমি কোথাও প্রত্যাবর্তন করছি না, ফিরছি না; বরং আধুনিকতা/অনাধুনিকতার বিভাজন অতিক্রমের চেষ্টা করছি। যে কারনে আমি আধুনিকতা বনাম অনাধুনিকতা এই দুইয়ের একটিকে মহিমান্বিত করে অপরটির বিরুদ্ধে দাঁড়াই না। বরং চিন্তা ও চর্চার যে অভ্যাস এই ধরণের বিভাজন তৈরি করে, সেই অভ্যাস থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে চাই। চিন্তা যেন সপ্রাণ ও সজীব থাকার চেষ্টায় বিরতি দিয়ে কোন একটা ‘মত’ বা বদ্ধমূল সিদ্ধান্তে পর্যবসিত না হয় বিভাজনের ফ (আরো পড়ূন)
অন্যের ভূখণ্ড দখল এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠিকে উৎখাত ও বিতাড়িত করে সাম্রাজ্যবাদী যুগে যে 'সেটলার কলোনিয়াল' রাষ্ট্র গড়ে উঠেছে জায়নবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল সেই ধরণের একটি রাষ্ট্র। রুজভেল্ট ও চার্চিলের আটলান্টিক চার্টার অনুযায়ী এই ধরণের রাষ্ট্রের 'সেলফ ডিফেন্স' দূরের কথা অস্তিত্বের বৈধতা আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী থাকবার কথা নয়। অথচ জায়নবাদের পক্ষে গণমাধ্যম সেলফ ডিফেন্সের শঠতাসর্বস্ব যুক্তি ফেরি করে বেড়াচ্ছে, প্রাণ দিচ্ছে গাজার মানুষ।
সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইনের সম্পর্ক যে 'সোনার পিতলা কলস' জাতীয় ব্যাপার সেটাই এই নিবন্ধে আলোচিত হয়েছে। ফিলিস্তিনীদের ভূখণ্ড দখল করে, তাদের বাড়ীঘ (আরো পড়ূন)
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নানান বিদেশি ফ্যাক্টর কাজ করে, এটা আমরা জানি। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পরাশক্তিগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব, সহাবস্থান ও আঁতাতের বাস্তবতা বিবেচনায় নিলে এই ফ্যাক্টরগুলো কি রূপ নিতে পারে সে বিষয়ে বাস্তবসম্মত আলোচনা খুব একটা চোখে পড়ে নি। এখানে চার কিস্তিতে প্রাথমিক কিছু আলোচনা আমরা হাজির করছি।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দেশের ভিতরের ফ্যাক্টরগুলোর ছাড়াও বাইরে বিদেশিদের ভুমিকাও কেন বিরাট ভুমিকা নেবার সুযোগ পাবে এযুগে এনিয়ে প্রশ্ন তোলা যতোটুকু না রাজনৈতিক তার চেয়ে অধিক নৈতিক। অর্থাৎ আমরা নৈতিক জায়গা থেকেই তর্ক করি যে কোন বিদেশী শক্তি আ (আরো পড়ূন)
এক
লেখাটি এ বছর চৌদ্দই ফেব্রুয়ারির জন্য তৈরি করেছিলাম, যদি সেদিনই বেরুতো ভাল লাগতো। কিন্তু পাঠাতে পারি নি। আজ পনেরো তারিখে পাঠাচ্ছি। অতএব কাল ষোল ফেব্রুয়ারিতে বেরুবে।
তবে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাইছি, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাসে ১৪ ফেব্রুয়ারি খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন। স্বাধীনতার পরে তরুণদের সবচেয়ে গৌরবের তারিখ। কিন্তু এই দিনটি নানান কারনে ম্লান হয়ে গিয়েছে। সামরিকতন্ত্রের বিরুদ্ধে তরুণদের গণতান্ত্রিক লড়াই সংগ্রামের এই কালপর্বটার ইতিহাস ধরে রাখার ও তার তাৎপর্য বিচারের সময় এসেছে । এর ব্যর্থতা ও সাফল্যের একটা খতিয়ান টানা দরকার। এই দিকট (আরো পড়ূন)
বাংলাদেশ ইসলামি সন্ত্রাসীতে ভরে গিয়েছে যেভাবেই হোক আন্তর্জাতিক ভাবে এটা প্রমাণের ওপর নির্ভর করছে ক্ষমতাসীনদের রাজত্বের মেয়াদ। অতএব সঙ্গত কারণেই সাধারণ্যে প্রায়ই অপরিচিত জেনস সেন্টার (IHS Jane’s Terrorism and Insurgency Centre ) বলে একটা সংগঠন বাংলাদেশে হঠাৎ পরিচিত হয়ে উঠছে। তাদের তালিকা নিয়ে এই লেখা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারী তারিখে জামাতের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশের ইসলামি ছাত্র শিবিরকে দুনিয়ার এই মুহূর্তে শীর্ষ দশ অ-রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গ্রুপের তালিকার (Top 10 most active non-state armed groups in 2013) মধ্যে তিন নম্বরে রেখে এই সংগঠনটি একটি তালিকাটি প্রকাশ করেছে। এটা নাকি কেবল গত বছরে (আরো পড়ূন)
এক
আলজাওয়াহিরি কথিত ভিডিও বার্তা নিয়ে প্রপাগান্ডা চলছে। কিন্তু দেশি বা বিদেশি কেউই নিশ্চিত করে এখনও বলতে পারছে না, এই ভিডিও বার্তা আসলে কার। যারা খবরটি ছেপেছে তারা সবাই খবরের সোর্স পরীক্ষা না করে এবং খবরটা কোন ক্রসচেক না করেই ছেপে দিয়েছে। খবরের কোন সত্যতা নাই জেনেশুনেই খবরটি ছেপে নিজ নিজ পক্ষে প্রপাগান্ডা চালিয়ে গিয়েছে। মুল গলদটা এখানেই। বলা বাহুল্য, এই সময় মিথ্যা হোক বা সত্য, এই ধরণের প্রপাগান্ডার মুল্য আছে; মিডিয়ার পছন্দ ও অনুসরণ করা রাজনীতির লাইনের জন্য ফায়দা তোলারও এটা ভাল রাস্তা -এই বিবেচনাও কাজ করেছে। । ফায়দা তোলার বিবেচনা এতই প্রবলভাবে অনেককে তাড়া করেছেচ যে এ ধরন (আরো পড়ূন)
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে জামায়াত ও হেফাজত সংক্রান্ত প্রস্তাব ছাড়া বাকি সবগুলোই ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে। প্রত্যেকেই এই নির্বাচনকে ' ভূয়া' বা কূটনৈতিক ভাষায় 'অগ্রহণযোগ্য' বলেছে। আবার দ্রুত নির্বাচন চাইছে তারা।
এক
তথাকথিত ‘নির্বাচন’ নামক তামাশার পরে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বেশ কিছু প্রস্তাব নেয়। বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যম সেই পার্লামেন্টে গৃহীত অনেকগুলো প্রস্তাবের মধ্যে সব বা (আরো পড়ূন)
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রস্তাবের সার কথা বিকৃত করে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনরা আঠারো দলীয় জোটে ভাঙন ধরাবার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের দাবি ইউরোপ চায় বিএনপি জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতে ইসলামের সঙ্গ ত্যাগ করুক। বিএনপির অভ্যন্তরেও এই মতের সমর্থক রয়েছে। এর সঙ্গে তারা ক্ষমতাসীনদের আরেকটি প্রপাগাণ্ডা যোগ করে; সেটা হোল, খালেদ জিয়া দিল্লীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখেন নি বলে ক্ষমতায় যেতে পারলেন না।
একঃ ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রস্তাব
গত ১৬ জানুয়ারি তারিখে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট বাংলাদেশের নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকটি প্রস্তাব গ্রহণ করে। প্রথম (আরো পড়ূন)
এক
আগের লেখায় আন্দোলনের ধরণ নিয়ে আলোচনা করেছি (দেখুন, ‘হাসিনার নয় দফা ও আন্দোলনের ধরণ’ - নয়াদিগন্ত, ১৯ জানুয়ারি ২০১৪)। সেই প্রসঙ্গে ছিয়ানব্বইয়ের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন সম্পন্ন হবার পর তখনকার বর্জনের নেত্রী শেখ হাসিনার বিখ্যাত ‘নয় দফা’র কথাও সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছি। বেগম খালেদা জিয়া ১৫ জানুয়ারিতে যে কর্মসূচী ও বক্তব্য দিয়েছেন তার সঙ্গে শেখ হাসিনার নয় দফা তুলনা করলে মনে হয় বিএনপি আন্দোলনের সুনির্দিষ্ট অর্জন সম্পর্কে অস্পষ্ (আরো পড়ূন)
বোঝা যাচ্ছে আন্দোলনের একটা বিরতি ঘটেছে। খালেদা জিয়া ১৫ তারিখে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ২০ জানুয়ারি গণ সমাবেশ ও ২৯ তারিখে কালোপতাকা মিছিল। অন্যদিকে খবর খুব দ্রুত ঘটছে। অনেক খবর তাদের প্রিন্টিং প্রেস সমেত সিল গালাও হয়ে যাচ্ছে। তিনটি বিষয় খবর হিসাবে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমটি বিরতির ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়ার সাংবাদিক সম্মেলন; এখান থেকে আন্দোলনের সাম্প্রতিক গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে একটা ধারণা আমরা করতে পারি, আন্দোলনের ধরণ সম্পর্কে একটা নির্মোহ বিচার দরকার। দ্বিতীয় খবর হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্স এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পার্লামেন্টে বাংলাদেশ নিয়ে বিতর্ক; এ সকল বিতর্ক সম্পর্কে গণআন্দোলন-বিদ্বেষী গণ মাধ্যমগুলোর (আরো পড়ূন)
দুই হাজার চৌদ্দ সালের ৫ জানুয়ারী রোববার; বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি কালো দিন। দিল্লীর সাধের নির্বাচনের দিন। রঙতামাশার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে পুনর্বার ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া হবে। এ লেখা যখন লিখছি তখন শেখ হাসিনার রক্তপাতে সিক্ত নির্বাচনে ১৮ জন মানুষ শহিদ হয়েছেন। সংবাদ নিয়ে জেনেছি ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোট দিতে কম ভোটারই হাজির হয়েছেন। মিথ্যুক ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের সহযোগী মিডিয়াগুলোর পক্ষেও ভোটকেন্দ্রগুলোতে মানুষ যাচ্ছে প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। সরকারী চাপে থাকা মিডিয়াগুলো তাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে যে খবর দিচ্ছে তাতে পরিষ্কার, সরকারী দলের অন্ধ সমর্থকদের ক্ষুদ্র একটি অংশ ছাড়া ভোট দিতে যায়নি কেউই। আওয়ামি লীগের সমর্থক, কিন্তু নিজ (আরো পড়ূন)
প্রথম আলোয় ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের লেখা ‘প্লিজ নির্বাচন করবেন না’ (৩ জানুয়ারি ২০১৩) আমার জন্য ছিল সবচেয়ে বিব্রতকর ও লজ্জাজনক পাঠ। তিনি চান না ৫ই জানুয়ারি নির্বাচন হোক। নির্বাচন না হলে, তাঁর আশা, সংবিধানের মধ্যে একটা সমাধানের পথ বের করা যাবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটা সমঝোতাও নাকি করা সম্ভব। যদিও সংবিধানের মধ্যে সমাধানের যে-পরামর্শের ইঙ্গিত তিনি দিচ্ছেন তা একদমই অনিশ্চিত প্রস্তাব; তাঁর দাবি নির্বাচন স্থগিত রেখে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করবার ‘আইনগত ভিত্তি’ নাকি ‘খুঁজে পাওয়া যেতে পারে’। আদৌ কোন আইনগত ভিত্তি আছে কিনা সে সম্পর্কে তিনি নিজেও নিশ্চিত নন, থাকলে নিজেই তিনি সুনির্দিষ্ট ভাবে বলতেন।
(আরো পড়ূন)দুই হাজার তেরো ঈসায়ী সাল শেষ হচ্ছে আজ। বছরকে বিদায় জানাবার রীতি পাশ্চাত্যের; বরণ করবার সংস্কৃতিও। সময়কে সরল রেখা গণ্য করার চিন্তাও ‘আধুনিক’। তাই সরল রেখার যে বিন্দুতে আমরা দাঁড়াই তাকে বলি ‘বর্তমান’, পেছনকে ‘অতীত’ আর সামনে ‘ভবিষ্যৎ’। সময় আসলে সরলরেখার মতো একদিক থেকে অন্যদিকে আদৌ ছুটে চলেছে, নাকি বৃত্তের মতো ফিরে ফিরে আসছে, এই তর্ক দীর্ঘ দিনের। সময় যদি সরল রেখা হয় তাহলে যা চলে গিয়েছে তা আর ফিরে আসে না। তাই কি? ইতিহাস তো অতীতকে বর্তমানে বহন করেই ইতিহাস হয়, নইলে ভবিষ্যৎ নির্মাণ অসম্ভব হয়ে ওঠে। যদি সময়কে বৃত্ত গণ্য করি তো প্রতিটি বিন্দুই তো একই সঙ্গে বৃত্তের শেষ ও আরম্ভ।
না। আমরা কে কিভাবে (আরো পড়ূন)
এক
সম্প্রতি দৈনিক পত্রিকায় কয়েকটি লেখায় আমি বেশ কয়েকবার জোর দিয়ে বলেছিলাম পুঁজির প্রান্তের দেশগুলোতে ‘লিবারেল’ বা উদার রাজনীতির ভূমিকা রয়েছে। এই দাবির পক্ষে দুই একটি কথা বললেও কোন্ অর্থে কথাগুলো বলেছি তা যথেষ্ট ব্যখ্যা করতে পারি নি। এখানে লিবারেলিজম নিয়ে কিছু প্রাথমিক তত্ত্বকথা বলব। আশা, এতে কিছু কথা পরিষ্কার হবে। লিবারেলিজমের ভালো বাংলা নাই বলে খোদ ইংরাজি শব্দটি জায়গায় জায়গায় ব্যবহার করব, তবে বাংলায় ‘উদারবাদ’, ‘উদার রাজনীতি’ কিম্বা ‘ উদার রাজনৈতিক মতাদর্শ’ ইত্যাদি ধারণাও সুযোগ বুঝে খাটিয়ে নেবো।
বাংলাদেশে (আরো পড়ূন)
শেখ হাসিনা দারুন! তাঁর দলের সন্ত্রাসীরা পুলিশের সহায়তায় যখন লাঠি হাতে প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও কিম্বা সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে পুলিশের প্রশ্রয়ে গেইট ভেঙে ঢুকে আইনজীবীদের নির্দয় ভাবে লাঠি দিয়ে পেটাচ্ছে, আর পেটাচ্ছে নারী আইনজীবীদের -- শেখ হাসিনা তখন বলছেন, “এক এগারোর কুশীলবরা আবার সক্রিয়। এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী অসাংবিধানিক সরকারকে ক্ষমতায় আনতে চান”। তখন তাঁকে বেশ গুরুগম্ভীর বুদ্ধিজীবীর মতোই মনে হচ্ছিল।
দারুন যে খালেদা জিয়াকে কোন কর্মসূচীই পালন করতে হয় নি। তিনি ‘সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র’ রক্ষার জন্য অভিযাত্রার ডাক দিয়ে যে রাজনৈতিক ফল পাবার আশা করেছিলেন তারচেয়ে দশগুন বেশী ফল পেয়ে গিয়েছেন ক্ষমতাসীনদের কারনে। (আরো পড়ূন)
আমি একজন নাগরিক এবং ভোটার। নাগরিক হিশেবে এই লেখাটি লিখছি। নির্বাচন শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলের বিষয় নয়, সরাসরি নাগরিকদেরও বিষয়। ভোটার হিসাবে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নাগরিকরা রায় দিয়ে থাকেন। এই কথা সবাই জানেন। গণতান্ত্রিক সরকার – অর্থাৎ শাসিতের সম্মতি ছাড়া শাসন করবার অধিকার অর্জন করবার এই প্রক্রিয়া পালন না করলে কোন সরকারই নিজেকে বৈধ বলে দাবি করতে পারে না। আমি নিজে বুঝতে পারছি আমার ভোট দেয়ার অধিকার থাকছে না। একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে নির্বাচন হলেও সব ভোটাররা উৎসাহিত হয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থিকে ভোট দিয়ে নির্বাচন করতে চান। জাতীয় পর্যায়ের নির্বাচন সে কারণে আরও বেশি গুরুত্বপুর্ণ; কারণ এর মাধ্যমে ভাল হোক মন্দ হোক জনগণ বলতে পারে আমাদেরই সংখ্যাগরিষ্ঠ (আরো পড়ূন)
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সমঝোতা হলে দশম সংসদ ভেঙে তিনি একাদশ সংসদের নির্বাচন দেবেন। এই প্রস্তাবের পেছনে পরাজয়ের সুর আছে। কিন্তু এটা কি পিছু হটা? মোটেও নয়। তাঁর এই প্রস্তাব কি তথাকথিত সমঝোতার ইঙ্গিত? তাও নয়। তিনি যা বলছেন আসলেই কি তা করবেন? না, করবেন না। এটা অসম্ভব। এর কারন, সিদ্ধান্ত তিনি নিজে নেবেন না, সিদ্ধান্ত নেবে দিল্লী। যদি তার নিজের সিদ্ধান্ত নেবার জায়গাগুলো অবশিষ্ট থাকতো তাহলে তাঁর এই ঘোষণাকে ভিন্ন ভাবে বিচার করবার সুযোগ থাকতো। তাঁর নিজের সিদ্ধান্ত নেবার যে জায়গাগুলো ছিল তিনি তা অপচয় করেছেন। নির্বাচনের নামে যে কাণ্ড করলেন তাতে শুধু তাঁর নিজের নয়, বিশ্বে বাংলাদেশের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে। এখন তিনি সমঝোতার কথা বলছেন না। বরং তাঁর লজ (আরো পড়ূন)
দেশের মধ্যে হানাহানি, সহিংসতা, অরাজকতা, হিংসা-বিদ্বেষ চলছে আগামি দশম সংসদীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে। সবাই দোষারোপ করছেন দুইটি প্রধান দলের দুই নেত্রীকে। তাঁরা হলেন শেখ হাসিনা আর খালেদা জিয়া। বলা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে যে বিরোধ তারই প্রতিফলন ঘটছে সারা দেশে। এই কথা আমার নয়, নিরানব্বই দশমিক নয় ভাগ পুরুষ এই কথাই বলে। মেয়েদের কথা ভিন্ন। সমাজ অনেক বড় ব্যাপার। সেখানে সমাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, ধর্ম, চিন্তা চেতনা, শিল্প সাহিত্য বহু কিছু নানান ভাবে নানান দিক থেকে কাজ করে। বিরোধ সমাজের মধ্যে, সেই বিরোধই রাজনৈতিক বিরোধ হয়ে বিষফোঁড়ার মতো পেকে ফেটে বেরুচ্ছে। মেয়েদের জন্য দুর্ভাগ্য হোল সেই বিরোধ হাজির হয়েছে দুই নেত্রীর বিরোধ হয়ে। রাজনীতি মীমাংসার অতীত হয়ে (আরো পড়ূন)
এ লেখাটি লিখছি শহরে, গ্রামে ও প্রবাসে সেইসব বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য যারা বয়সে তরুণ। যাঁরা ‘তরুণ প্রজন্ম’ অবশ্যই, কিন্তু শুধু ঢাকা শহরের নয়। মফস্বল ও গ্রামেরও। গ্রামে আছে তরুণ প্রজন্মের বিশাল একটি অংশ যারা কৃষি সহ বিভিন্ন উৎপাদনমূলক কাজে জড়িত। কলকারখানায় মেহনত দিয়ে অর্থনীতির চাকা যাঁরা সচল রাখছেন তাঁরাও তরুণ প্রজন্ম; প্রায় পুরানা দাস ব্যবস্থার মতো ‘তরুন প্রজন্ম’ তরতাজা শ্রমশক্তি হয়ে চালান হয়ে যাচ্ছেন বিদেশে, বিশাল একটি অংশ চলে যাচ্ছেন নিজের দেশ থেকেই, অথচ মন পড়ে থাকে দেশে – মা বাবা ভাইবোন পাড়া প্রতিবেশীর জন্য; মাসে মাসে ঘামে-রক্তে কামাই করা আয় দেশে পাঠান, দেশের অর্থনীতি প্রবাসীদের সেই আয়ের ওপর নির্ভরশীল। জাতী (আরো পড়ূন)
এক
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং ঝড়ের মতোই এসেছিলেন, ঝড়ের মতোই গেলেন। পাঁচ তারিখ খুব সকালে যখন তিনি দিল্লী ফিরে যাচ্ছেন তখন থেকেই ভাবছি তাঁর এই আসার আদৌ নতুন কোন তাৎপর্য আছে কিনা। দিল্লী ঢাকাকে যেটা জানাতে চেয়েছে সেটা ভারতীয় পত্রপত্রিকা ও তাদের থিংক ট্যাংকগুলোর সুবাদে আমরা জানি। সেটা হোল, শেখ হাসিনার একতরফা নির্বাচনের নীতি সমর্থন করছে দিল্লী। নিজের হাতে একনায়কী ক্ষমতা রেখে অসম রাজনৈতিক পরিবিশ বহাল রেখেই নির্বাচন করতে চাইছেন হাসিনা, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সহিংসতা ও রক্তপাত ঘটছে এর জন্যই। কিন্তু দিল্লী তাতে বিচলিত নয়। দিল্লী চায় যেভাবেই হোক শেখ হাসিনাই আবার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন (আরো পড়ূন)
এক
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং বাংলাদেশে এসে শেখ হাসিনার এক তরফা নির্বাচনের পথকেই সম্মতি জানিয়ে গেলেন; দিল্লী ঢাকাকে যেটা জানাতে চেয়েছে সেটা ভারতীয় পত্রপত্রিকা ও তাদের থিংক ট্যাংকগুলোর সুবাদে আমরা জানি। সুজাতা সিং নেপালের উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, সেখানেও একটি দল নির্বাচন বর্জনের হুমকি দিয়েছিল, কিন্তু শেষাবধি সেখানে নির্বাচন হয়েছে। অতএব নির্বাচন বর্জনের পরোয়া না করে শেখ হাসিনাকে ‘গণতন্ত্রের স্বার্থেই’ নির্বাচন করতে হবে, এটাই উচিত কাজ। (দেখুন প্রথম আলো, ‘গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন হওয়া উচিত’, ৬ ডিসেম্বর ২০১৩)। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় দিল্লী সবার অংশ গ্রহণে নির্বাচন (আরো পড়ূন)
প্রসঙ্গ একঃ আমেরিকা ভারতের কথা শুনল না
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে স্থানীয় মিডিয়ার জন্য একটা প্রেস রিলিজ পাঠানো হয়েছে ০৯ নভেম্বর সন্ধ্যায়। ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে ইংরাজীর সাথে বাংলাতেও বিবৃতিটি দেয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি নিউজপোর্টালে খবরটি ছাপা হয়েছে, প্রিন্ট পত্রিকাতেও এসেছে। প্রথম আলোর ১০ নভেম্বর প্রিন্ট কিম্বা অনলাইন সংস্করণেও তাদের নিজেদের করা বাংলা অনুবাদ দেয়া আছে। আমি সেটাই এখানে ব্যবহার করব। ওর কিছু অংশ এরকমঃ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র “গত কয়েক দিনের ঘটনাবলি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পথ খুঁজে বের করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। আম (আরো পড়ূন)
এ লেখা যখন লিখছি তখন বিরোধী দলের ওপর নতুন করে দমন পীড়ন শুরু হয়েছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গভীর রাতে খালেদা জিয়ার বাসা থেকে বেরিয়ে যাবার সময় গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমূল বিশ্বাস। কী অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করা হোল পুলিশ তৎক্ষণাৎ জানায় নি। বোঝা যাচ্ছে পরে তাদের বিরুদ্ধে যথারীতি মিথ্যা মামলা সাজানো হবে। বেগম জিয়ার গুলশান বাসভবন পুলিশ ঘিতে রেখেছে।
এছাড়া রাতে সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বিরোধীদলীয় চিফ হুই (আরো পড়ূন)
এ লেখা যখন লিখছি, তখন আঠারো দলীয় জোটের ডাকা হরতাল চলছে। হেফাজতে ইসলামও তাদের দাবিদাওয়া আদায়ের জন্য কর্মসূচী দিয়েছে। সংলাপের মাধ্যমে – অর্থাৎ উদার বা লিবারেল রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সংকট সমাধানের কোন সুযোগ আদৌ ছিল কিনা তা নিয়ে এখন কূটতর্ক হতে পারে, কিন্তু তার কোন উপযোগিতা আর নাই। হরতালের মতো কর্মসুচী দেয়া শুরু হয়ে যাবার পর রাজনীতির গতিমুখ বোঝা যাবে আগামি কয়েক দিনেই। আগামি ৭ তারিখের কর্মসূচির মধ্য দিয়ে একটি পর্ব শেষ হবার পর আরও অনেক কিছু স্পষ্ট হয়ে উঠবে। ওদিকে সাত তারিখ থেকে হেফাজতে ইসলামের ১৫ তারিখের সমাবেশ অবধি কী ঘটে তার মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ লেখা হয়ে যাবে। তাতে কোন সন্দেহ নাই।
আমি এই লেখা লিখছি চরম উদ (আরো পড়ূন)
পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বকাঠামোতে গণতান্ত্রিক চর্চা মানেই সাম্রাজ্যবাদীদের কর্পোরেট আধিপত্য মেনে নিয়েই রাজনীতি করা, বাংলাদেশে মূল ধারার রাজনৈতিক দলগুলো তাই করে কিন্তু তারপরও এই সাম্রাজ্যিক হেজিমনির যুগেও আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নিজস্ব কিছু স্বকীয়তা, সীমিত স্বাধীনতা রয়েছে তার ভিত্তিতে রাষ্ট্র তার নাগরিকদের অধিকার আদায়ের বন্দোবস্ত করে। কিন্তু বাংলাদেশের রাষ্ট্রেরএই সীমিত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বও পুরাপুরি নস্যাৎ হয়ে যাবে যদি বাংলাদেশ সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের নতুন ফ্রন্ট হয়ে উঠে। বাংলাদেশের বুর্জোয়া শাসক শ্রেণীর সেবাদাসসুলভ মনোভাবের কারনে আগামী নির্বাচনে পরাশক্তির সমর্থন লাভ ক্ষমতার রাজনীতিতে খুবই গুরুত্ব (আরো পড়ূন)
বেগম জিয়া ২৫ অক্টোবরের মহাসমাবেশে ঘোষণা করেছেন, আন্দোলন এবং সংলাপ দুই পথ ধরেই তিনি অগ্রসর হবেন। রাজনৈতিক কৌশল হিসাবে এটা সঠিক অবস্থান। কিন্তু তিনি কী অর্জন করতে চাইছেন সেটা এখনও সাধারণ জনগণের কাছে অস্পষ্ট। তাঁর রাজনীতির এই দিকটি সবচেয়ে দুর্বল। যখন লিখছি তখন শোনা যাছিল তাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করবেন। শেষমেষ ফোন করেছেন হরতাল প্রত্যাহার করবার জন্য, আন্দোলন থেকে তাঁকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করছে ক্ষমতাসীনরা। তাঁকে গণভবনে নৈশ ভোজেও দাওয়াত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আরেকটি দারুন খবর তাঁর লালফোন নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী তা ঠিক করে দেবেন বলেছেন। খুব সুন্দর! সংলাপ শুরু হয়েছে!!
শেখ হাসিনা করেছেন আন্তর্জাতিক চাপে, বেগম জিয়াকেও (আরো পড়ূন)
শেষাবধি ২৫ অক্টোবর...
এই লেখা লিখছি বহু প্রতিক্ষার ২৫ অক্টোবর, শুক্রবারে। বাংলাদেশের রাজনীতি কোনদিকে যেতে চাইছে তার কিছুটা আন্দাজ আমরা আজ ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার মধ্যে করতে পারব। যেহেতু গতকাল অবধি দুইপক্ষের মধ্যে তথাকথিত ‘সমঝোতা’ বা ‘আপোষ’ হয় নি, অতএব রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের মীমাংসা বলপ্রয়োগের মধ্য দিয়েই সম্ভবত নিষ্পন্ন হতে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা আইন-আদালত, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিসহ রাষ্ট্রের সকল শক্তি প্রয়োগের প্রতিষ্ঠানকে বিরোধী পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক কৌশল ও প্রতিরোধের প্রস্তুতি কেমন সেটা আমরা সম্ভবত এখন দেখত (আরো পড়ূন)
এক
সমাজে অর্থনীতিতে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে কিম্বা রাজনীতিতে যে সকল সম্পর্ক আমাদের জাপটে ধরে রাখে, মুক্ত হতে দেয় না, আমি তা উপড়ে ফেলার পক্ষপাতি। কেবল তখনই নতুন কিছুর নির্মাণ সম্ভব। সে নতুনের রূপ কেমন হবে সেটা বর্তমানের ভেতরে থেকেই অনুমান ও চিহ্নিত করা সম্ভব। বর্তমানের মধ্যে কাজ করেই তাকে ‘বর্তমান’ করে তোলা যায়, বাস্তবায়নও সম্ভব।
এক সময় দাবি করা হোত ইতিহাস সরল রেখার মতো। পেছনের যা কিছু সবই বাতিল করে দিয়ে আমরা শুধু সামনের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। সামনে এগিয়ে যাওয়া মানেই ‘আধুনিক’ হওয়া, তথাকথিত 'প্রগতি'র অর্থও তাই। ইতিহাসের গতি রৈখিক, অর্থাৎ সরল রেখার (আরো পড়ূন)
আন্দোলনে বিএনপির সাময়িক ইস্তফা
গত কিস্তি ছাপা হবার আগেই বোঝা গিয়েছে আন্দোলনের প্রশ্নে দোদুল্যমানতা ও পরাশক্তির ফাঁদে খাবি খাবার দুর্দশাই বিএনপি বেছে নিয়েছে। বিএনপি বাংলাদেশের জনগণের ওপর নয়, নির্ভর করতে চাইছে জাতিসংঘের ওপর। আন্দোলন থেকে পিছু হটে জাতিসংঘের সহায়তায় ক্ষমতায় আসতে চাইছে। বিএনপি হরতাল-অবরোধ বা কোনো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচিতে যাবে না। গরম ভাব ত্যাগ করে বিএনপি নরম হয়েছে। এর পরিণতি বিএনপির নেতানেত্রী বিশেষ ভাবে খালেদা জিয়া যথেষ্ট ভেবেছেন মনে হয় না। কিন্তু জাতিসংঘকে ডাকাডাকি শুধু বিএনপির জন্য নয়, বাংলাদেশের জন্যও আত্মঘাতী পথ। বিএনপির অবিলম্বে এই পথ থেকে সরে আসা উচিত। এই বিপজ (আরো পড়ূন)
কূটনৈতিক মহলের তৎপরতা
‘যেমন বেণী তেমনি রবে চুল ভেজাবো না’ শিরোনামে কিছু কথা বলা শুরু করেছিলাম। এ লেখা তারই ধারাবাহিকতা।
ইতোমধ্যে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। ঢাকার কূটনৈতিক মহল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করেছেন। তারা সুষ্ঠ, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চান। তারা চাইছেন বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেমন আছে তেমনি থাকুক; বড় কিসিমের গড়বড় কিম্বা দেশের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ আলগা হয়ে যাক তারা চান না। তারা চাইছেন, রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থার কোন বদল না ঘটিয়ে ক্ষমতার হাতবদল কোন প্রকার সংঘর্ষ ছাড়া ঘটুক। তারা এমন একটা পরিস্থিতি তৈরী করতে চান যাতে প্রধান প্রধ (আরো পড়ূন)
‘এক চুলও নড়বো না’
শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি ‘একচুলও নড়বেন না’। তিনি যেভাবে তাঁর অধীনে নির্বাচন করতে চান, সেভাবেই নির্বাচন হবে। তাঁর ইচ্ছাই শেষ কথা। বলেছেন, কিভাবে হবে সেটা সংবিধানেই লেখা আছে। এরও সুনির্দিষ্ট অর্থ আছে। অর্থ হোল, তিনি যেভাবে সংবিধান সংশোধন করে রেখেছেন, সেইভাবেই নির্বাচন হতে হবে: তিনি ক্ষমতায় থাকবেন, সংসদ জারি থাকবে; থানা-পুলিশ-প্রশাসন তার আজ্ঞাবহ থাকবে, তাদের সহযোগিতা করবে যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মীরা; এই পরিস্থিতি মেনে নিয়েই বিরোধী দলকে নির্বাচনে আসতে হবে। শুধু তাই নয়, নির্বাচন কমিশনের এখন যতোটুকু এখতিয়ার তাকে সংকুচিত করা হবে, যতটুকু ক্ষমতা (আরো পড়ূন)
বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হবার আগে আদৌ কোন নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় নতুন নয়। হয়তো হবে না, হয়তো হবে। ভদ্রলোক সমাজে যে উদ্বিগ্নতা আমরা দেখছি তাকে মোটা দাগে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। এক পক্ষে রয়েছে আইনী উদ্বিগ্নতা। যেমন, এই সরকারের মেয়াদ শেষ হলে যে সাংবিধানিক জটিলতা তৈরী হবে তার মীমাংসা কিভাবে হবে? আরেক ধরণের উদ্বিগ্নতা হচ্ছে সামাজিক। সেটা হোল নির্বাচন যদি না হয়, ক্ষমতাসীনরা যদি একতরফা নির্বাচন করে, তাহলে দেশে একটা সংঘাতময় পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটবে। সেটা সামাল দেওয়ার উপায় কি? বড়লোকদের জানমাল রক্ষার ব্যবস্থা কিভাবে হবে? পাহারাদারি কে করবে? পুলিশ? সরকারের মেয়াদ শেষ হলে পুলিশও নাকি চোখ উল্টিয়ে ফেলে, আর হাওয়া যদি ভিন্ন ভাবে বইতে শুরু করে তাহলে ত (আরো পড়ূন)
তথ্য মন্ত্রণালয় তথ্য চায়। তাদের কাছে তথ্য নাই যে তা না, তবু তারা তথ্য চায়। আজব ব্যাপার! তথ্য মন্ত্রণালয় তথ্য চেয়েছে ‘অধিকার’ ও ‘টি আই বি’র কাছে। দৈনিক জনকন্ঠে বিভাষ বাড়ৈ রিপোর্ট করেছেন, “শাপলা চত্বরের মৃত্যুর বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বিপাকে ‘অধিকার’ (১৪ জুলাই ২০১৩)”। ভালো তো, ভালো না?
পড়ুক অধিকার বিপাকে। আসলে কেউই মারা যায় নি। জাতীয় সংসদেও সরকারদলীয় নেতৃস্থানীয় সংসদ সদস্যরা বলেছেন ৫ মে রাতে হেফাজতের সমাবেশে কোন প্রাণহানির ঘটনাই ঘটেনি। আর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী গত ১৯ জুন জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে বক্তৃতায় বলেন, “৫ মে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের ওপর কোনো গুলিবর্ষণ করা হয়নি বরং হেফ (আরো পড়ূন)
শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেবেন না, তিনি পণ করেছেন তাঁর অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। এর পক্ষে তিনি আদালতের বরাত দিচ্ছেন। আদালত রায় দিয়েছে, তিনি আদালতের কথা মতোই চলবেন। আদালত ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ইচ্ছা-অনিচ্ছার বাইরে স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত দিয়েছে সেই সত্য আদালত কিম্বা আওয়ামি লীগ দুইয়ের কেউই প্রতিষ্ঠিত করতে পারে নি। বলাবাহুল্য, বেগম খালেদা জিয়া জানেন এর অর্থ হচ্ছে নির্বাচনে কারচুপি করে বিরোধী দলকে হারিয়ে দেবার পন্থা হিশাবেই শেখ হাসিনা নিজের অধীনে নির্বাচন চাইছেন। অতএব খালেদা জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন করবেন না। তাঁর তত্ত্বাবধায়ক চাই। আওয়ামি পন্থিরা বলছে, ক্ষমতাসীনদের অধীনে সিটি কর্পোরেশানগুলোর নির্বাচন হয়ে গেলো। সেখানে আওয়ামী ল (আরো পড়ূন)
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান মানুষের প্রচুর ভালবাসা পেয়েছেন। ব্যক্তি হিশাবে এটা বিরল সৌভাগ্য। তবে তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর মূল্যায়ন রাজনৈতিক ভাবেই হওয়া উচিত। সেটা তাঁর মৃত্যুর পরপরই করতে হবে এমন কথা নাই। আমাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের সঙ্গে সেটা খাপ খাবে না। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগের নেতা নেত্রীদের যে সাংস্কৃতিক মান দেখি তুলনায় তাঁকে ফেরেশতা মনে হয়। হয়তো এই জন্য মানুষ তাঁকে প্রাণভরে দোয়া করেছে। জানাজায় বিপুল সংখ্যায় শরিক হয়েছে। তাঁর নিরীহ জীবন, অহিংস বাচনভঙ্গী ও শারিরীক অঙ্গভঙ্গীর শালীনতা বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষকে কাছে টেনেছে। তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর এই ব্যক্তিগত গুণগুলোই সশব্দে জানান দিয়ে গিয়েছে।
(আরো পড়ূন)
বাংলাদেশের সমাজ দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে, এতে সন্দেহ নাই। এই বিভাজনকে এতদিন আমরা যেভাবে আওয়ামী লীগ- বিএনপি বলে চিনতাম সেই বিভক্তি নয়। এই ভাগাভাগি আরও গভীরে, আরও ব্যাপক, আরো বিস্তৃত।
সমাজে মানুষ বিভিন্ন পরিচয় নিয়ে হাজির থাকে। সমাজের ভাষা ও সংস্কৃতিগত নানান ভিন্নতা ও বৈচিত্র আছে, নানা নৃতাত্ত্বিক জাতি আছে, বিভিন্ন ধর্ম রয়েছে এবং তাদের নিজের নিজের সংস্কৃতি, ধর্ম ও আত্মপরিচয়ের নানান ব্যাখ্যাও আছে। এই বিভিন্নতা ও বৈচিত্র থেকে সমাজ ও সংস্কৃতি তাদের পারস্পরিক ঐক্যের রসদ সংগ্রহ করে। সমাজ গতিশীল থাকে। পরস্পরের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা যেমন থাকে, তেমনি নানান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় ও নিত্যনতুন সম্পর্ক নির্মাণের মধ্য দিয়ে একট (আরো পড়ূন)
দৈনিক সমকাল ঘোর আওয়ামীপন্থী পত্রিকা হিশাবে পরিচিত। গত আটই মার্চে দেখলাম তারা আট কলামে বড় লাল অক্ষরে প্রথম পাতায় শিরোনাম করেছে ‘মহাসংকটে দেশ’। বোঝা যাচ্ছে এটা আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের কোন একটি অংশের উপলব্ধি। ঘটনা ঘটছে দ্রুত। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী ও শক্তি এই পরিবর্তনশীল ঘটনার মধ্যে কখন কী উদ্দেশ্যে কি অবস্থান গ্রহণ করছে সেটা এই ধরণের খবর দেখে আন্দাজ করা যায়। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর যে অংশ চতুর্দিকে পরিস্থিতি দেখে আতংকিত হয়ে পড়েছে এবং অশান্তি, সহিংসতা, বল প্রয়োগ ইত্যাদিকে নৈতিক জায়গা থেকে নিন্দা করে ভেবেছিল প্রলয় বন্ধ থাকবে, তারা এখন প্রকাশ্যে তাদের আতংক ব্যক্ত করছে। ইন্টারেস্টিং।
এই আতংকিত মধ্যবিত্তের পক্ষে সম্ভাব্য রাজনৈতিক (আরো পড়ূন)
এ লেখাটি মূলত একটি অভিভাষণ। এই সময়ে রাজনৈতিক মঞ্চে সর্বাধিক আলোচিত মানুষ মাহমুদুর রহমানের বই প্রকাশনা উপলক্ষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা সম্পর্কে অভিভাষণটি দেওয়া হয়েছিল। শাহাদৎ তৈয়ব ভাষণটির অনুলিখন করেছেন। মাহমুদুর রহমানের প্রকাশনার মধ্যে দুইটি তার নিজের লেখা এবং একটি তিনি সম্পাদনা করেছেন। বইয়ের দুইটির নাম হচ্ছে, 'জয় আসলে ভারতের' এবং 'গুমরাজ্যে প্রত্যাবর্তন' , সম্পাদিত বইটির নাম 'দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশঃ সমাজচিন্তকদের ভাবনা'। এই পাতায় ছাপবার দরকারে দরকারে কিঞ্চিৎ সম্পাদনা করে এখানে পেশ করা হোল।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক মেরুকরণ যে চরিত্র গ্রহণ করেছে তাতে শাহবাগের রাজনীতি ও আচরণের বিপরীতে বিপুল ম (আরো পড়ূন)
বাংলাদেশের সঙ্গে পদ্মাসেতু প্রকল্প চুক্তি বিশ্বব্যাংক বাতিল করায় বিশ্বব্যাংক নিয়ে তর্ক উঠেছে। বিতর্ক নানান দিক থেকে জমে উঠেছে। অন্যান্য তর্কের তুলনায় 'সুশাসনের' প্রবক্তা 'সুশীল সমাজ' কী অবস্থান নিল তার আলাদা গুরুত্ব আছে। মনে হচ্ছে তারা বড়ই অস্বস্তি আর বিপদে আছে। এই তর্ক তাদের তাদের ইজ্জত ও সম্মান একেবারে ছেড়াব্যাড়া করে ছেড়েছে। অবস্থা হয়েছে দশহাত শাড়ির মত, একদিক ঢাকতে গেলে আরেক দিক উদোম হয়ে পড়ে। এই এক দুর্দশা। শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে গেলে তাদের দুর্নীতিবিরোধী নীতি ও তত্ত্ব যায়, তবু শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে বাঁচাতে তারা তাদের তত্ত্বই বদলাচ্ছে।
বাংলাদেশে ২০০৪ সাল থেকে এক বগলে দুর্নীতি উৎপাটন আর অপর বগলে তথাকথিত সুশাসনে (আরো পড়ূন)