চিন্তা


চিন্তা ও তৎপরতার পত্রিকা

আর কি বসবো এমন সাধুর সাধবাজারে

আর কি বসবো এমন সাধুর সাধবাজারে
না জানি কোন সময় কি দশা ঘটে আমারে।।

সাধুর বাজারে কি আনন্দময়
অমাবস্যায় পুর্ণ চন্দ্র উদয়
আছে ভক্তির নয়ন যার, সেই চাঁদ দৃষ্ট তার
   ভব বন্ধন জ্বালা যায় গো দূরে।।

দেবের দুর্লভ পদ সে
সাধু নামটি যাহার শস্ত্রে ভাসে
(আছে) পতিত পাবনী গঙ্গাজননী
   সেও  তো সাধুর চরণ বাঞ্জা করে।।

দাসের দাস তার দাস যোগ্য নয়
কি ভাগ্যেতে এলাম সাধুর সাধ-সভায়
লালন বলে মোর,  ভক্তিহীন অন্তর
   আবার বুঝি পড়ি কদাচারে।।

(আরো পড়ূন)

যাতে যায় শমন যন্তনা ভ্রমে ভুলো না

যাতে যায় শমন যন্তনা ভ্রমে ভুলো না ।[১]
গুরুর শীতল চরন ভুল না।।

বেদ বৈদিকের ভোলে ভুলি
গুরু ছেড়ে গৌর বলি
মনের ভ্রম এ সকলি
   শেষে যাবে রে জানা।।

চৈতন্য আজব সুরে
থেকে নিকট দেখায় দূরে
গুরুরূপ আশ্রিত করে
   কর রূপের ঠিকানা।।

জগৎ জীবের দ্বারায়
নিজরূপ সম্বব তো নয়
লালন বলে তাইতো গো সাঁই
   দেখায় স্বরূপে রূপ-নিশানা।।

(আরো পড়ূন)

মুরশিদকে মানিলে খোদার মান্য হয়

মুরশিদকে মানিলে খোদার মান্য হয়।
সন্দ যদি হয় কাহারো কোরান দেখলে মিটে যায়।।

দেখ বেমুরিদ যত
শয়তানের অনুগত
এবাদত বন্দেগি তার তো
  সই দেবে না দয়াময়।।

মুরশিদের মেহের হলে
খোদার মেহের তারে বলে
হেন মুরশিদ না ভজিলে
তার কি আর আছে উপায়।।

মুরশিদে পথের দাঁড়া
যাবে কোথায় তারে ছাড়া
সিরাজ সাঁই কয় লালন গোড়া
  মুরশিদ ভজলে জানা যায়।।

 

(আরো পড়ূন)

দিন থাকতে মুরশিদ রতন চিনে নেনা

দিন থাকতে মুরশিদ রতন চিনে নেনা
এমন সাধের জনম
  বয়ে গেলে আর হবে না।।

মুরশিদ আমার বিষয়াদি
মুরশিদ আমার গুন নিধি
পারে যেতে ভব নদী
   ভরসা ওই চরনখানা।।

কোরানে ছাপ শুনিতে পাই
অলিয়েম মুরশিদ সাঁই
ভেবে বুঝে দেখ মনরায়
   মুরশিদ (হন) কেমন জনা।।

মুরশিদ-বস্ত চিনলে পরে
চিনা যাবে অচেনারে
লালন বলে মরি ঘুরে
  হয়ে যেমন জন্ম-কানা।।

 

(আরো পড়ূন)