তুমি তো গুরু স্বরূপের অধীন।
আমি ছিলাম সুখে উর্ধ্ব দেশে
অধে এনে করলে আমায় হীন।।
তুমি মাতা তুমি পিতা
তুমি হও জ্ঞানদাতা
তুমি চক্ষু দান দিয়ে
দেখাও আমায় শুভদিন।।
আমি গুরুর করবো ভজন
তাতে বাদী হলো ছয়জন
ও সেই দশে-ছয়ে ষোলআনা
হলো না মোর সেইদিন।।
ভক্তি নইলে কি মন
গুরুচরন হয় শরন
অধীন লালন ভেবে কয়
কেমনে শুধিব গুরুঋন।।
সামান্যে কি সে ধন পাবে
দ্বীনের অধীনে হয়ে চরন সাধিতে হবে।।
গুরু পদে কি না হল
কত বাদশা বাদশাহি ছাড়িল
কত কুলবতীর কুল গেল
কালারে ভেবে।।
গুরু পদে কতজনা
বিনামূল্যে হয়ে কেনা
করে গুরুর দাস্যপনা
সে ধনের লোভে।।
কত যোগী মুনি ঋষি
যুগ যুগান্তর বনবাসী
পাবে বলে কালশশী
বসেছে স্তবে।।
গুরুপদে যাহার আশা
অন্য ধনে নাই লালশা
লালন ভেড়োর বুদ্ধি নাশা
ম'ল ধোঁয়াশা [১] ভেবে।।
গুরুগত না হইলে প্রেমের প্রেমিক না হলে
বিনা কার্যে ধন উপার্জন
কে করিতে পারে?
বাংলা কেতাব দশজনে পড়ে,
আরবী, ফারসি, নাগরী বুলি
কে বুঝতে পারে
বুঝবা যদি নাগরী বুলি
বাংলা খান লও পালা করে।।
এক স্কুলে দশজনে পড়ে
গুরুর মনের এই বাসনা
সব সমান করে
কেউ পাছে এসে আগে গেল
পরীক্ষায় চিনা যায় তারে।।
বিশ্বম্ভর সে বিষপান করে
তাড়োয় করে বিছা হজম
কাকে কি পারে?
লালন বলে রসিক হলে,
বিষ খেয়ে জীর্ণ করে।।
(আরো পড়ূন)