বাংলাদেশে জ্বালানি সংকট: ধরন ও উত্তরণের উপায়


(২য় পর্ব)

সিস্টেম লস

সংকট আজ থেকে পাঁচ কিম্বা দশ বছর আগে যে মাত্রায় ছিল, তা ক্রমশ বাড়ছে। কারণ সবমিলিয়ে উৎপাদন ক্রমশ কমছে। যেই হারে চাহিদা বেড়েছে, উৎপাদন সেই হারে বাড়ানো যায়ই নাই--বরং চাহিদা ও যোগানের মধ্যে দ্বিতীয়টি ক্রমশ নীচের দিকে নামছে। এতো গেলো উৎপাদনের ক্ষেত্রে সংকটের চেহারা, সংকট আছে বিতরণের ক্ষেত্রেও। চাহিদার তুলনায় অনেক কম উৎপাদন হচ্ছে, সন্দেহ নাই। সেই সাথে এ বিষয়েও আমরা নিসন্দেহ যে, উৎপাদিত বিদ্যুতের যে পরিমাণ বিতরণ-মূল্য রাষ্ট্রের অর্থভান্ডারে আসার কথা, তার চেয়ে অনেক কম মূল্য রাষ্ট্র পাচ্ছে। অর্থাত কম উৎপাদনই শুধু নয়, রাষ্ট্রের হাতে যথাযথ রাজস্ব আয় তুলে অক্ষম বিতরণ ব্যবস্থাও সংকট তৈরি করছে।

তাতে করে উৎপাদন ব্যায় বাড়ছে, নতুন উৎপাদন ক্ষমতা তৈরি করা আর্থিকভাবে কষ্টকর হচ্ছে। যেই পরিমাণ বিদ্যুত উৎপাদিত হয়ে জাতীয় গ্রিড লাইনে যাচ্ছে, সেই পরিমাণ বিদ্যুতের মূল্য সরকারের হাতে আসছে না। সোজা মানে হলো; যে পরিমাণ বিদ্যুত সরকার তুলে দিচ্ছে বিতরণ সংস্থাগুলোর হাতে, ফিরতি হিসাবে ওই সংস্থাগুলো সরকারের হাতে ওই পরিমাণ বিদ্যুতের মূল্যের চেয়ে অনেক কম আয় জমা দিচ্ছে। তাহলে বাকি বিদ্যুত এর কি খবর ? বিদ্যুত তো এমন কোনো পণ্য না যে, যা মজুদ করে রাখা যায়, কিম্বা বিতরণ লাইন থেকে স্রেফ হাওয়া যেতে পারে। বিদ্যুত নিশ্চয় ব্যবহার করে খরচ করতে হয়। গ্রাহক ব্যবহার কিম্বা অপব্যবহার যা-ই করে বিদ্যুত খরচ করুক না কেন, সেই মূল্য আদায় করার দায়িত্ব তো বিতরণকারী সংস্থাগুলোর কাছে--ডেসা, ডেসকো, পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুত ইত্যাদির কাছে। তারা ঠিক কি কারণে এই মূল্য বাবদ প্রকৃত রাজস্ব আয় সরকারের হাতে তুলে দিচ্ছে না? বিতরণকারী সংস্থাগুলোর তরফ থেকে একটা জবাব প্রস্তুত আছে--সিস্টেম লস।

এই সিস্টেম লস বিষয়টা আসলে ‘চুরি’। বিতরণকারী সংস্থাগুলো অবৈধভাবে গ্রাহকের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে, মিটার জালিয়াতি করে ওই গ্রাহকদের ব্যবহৃত বিদ্যুতের পরিমান কম দেখায় এবং স্বাভাবিক পরিণতিতে সরকারের খাতে কম বিল জমা পড়ে। তাছাড়া দাপ্তরিক হিসাবের বাইরে অবৈধ সংযোগ দেয়া তো আছেই। এভাবে বিল কমিয়ে দেখানো ও অবৈধ সংযোগ দেয়ার মাধ্যমে প্রতি বছর যে কোটি কোটি টাকা লোকসান হয় তা-ই ডেসা, ডেসকো আর পিডিবি’র ভাষায় সিস্টেম লস।

ইনডিয়ার সাথে বিদ্যুত-কারবার

প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ ইনডিয়া সফরে চুক্তি করে এসেছেন যে ওই দেশ থেকে প্রতিদিন ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানি করা হবে। ভারতের প্রতিশ্রুত ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানির জন্য বাংলাদেশকে ২০১২ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আগামী দু বছরের মধ্যে বাংলাদেশে যে ঘাটতি এখনই অনুমান করা যাচ্ছে--তিন হাজার মেগাওয়াট ঘাটতির ওই সময়ে আড়াইশো খুব বেশি কিছু যোগান হবে না। কাজেই সংকট নিরসনে সরকার কি করছে? এই প্রশ্নের জবাবে ওই কারবারের ফিরিস্তি দিয়ে খুশি হওয়ার কিছু নেই। এই বিদ্যুৎ আনার জন্য বিতরণ লাইনসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত খাতে বাংলাদেশকে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করতে হবে, তা দেশের মধ্যে নতুন উৎপাদন চালু করার চেয়ে অনেকানেক বেশি ব্যয়বহুল ও লোকসানি হবে। এই বিদ্যুতের জন্য বাংলাদেশকে ব্যয় করতে হবে ১১০০ কোটি টাকা। বিদ্যুতের দাম পড়বে ইউনিট প্রতি পাঁচ টাকার উপরে। এই বিদ্যুত আমদানির জন্য আগামী দু’বছরের মধ্যে এক আন্তঃদেশীয় গ্রিড লাইন স্থাপন করতে হবে। ভারতের বহরমপুর থেকে বাংলাদেশের ভেড়ামারায় ১৩০ কিলোমিটারের এই গ্রিড লাইনটি হবে। বাংলাদেশের অংশে ৪৫ কিলোমিটার ও ভারতের অংশে ৮৫ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন হবে। দুই দেশের সঞ্চালন ব্যবস্থার পার্থক্যের কারণে বাংলাদেশের ভেড়ামারায় একটি বিশেষ সাব-স্টেশন স্থাপন করা হবে। বাংলাদেশের ৪৫ কিলোমিটার অংশে বিদ্যুত লাইন স্থাপনে ব্যয় হবে ১১০০ কোটি টাকা আর ভারতের ৮৫ কিলোমিটার অংশের ব্যয় হবে ২০০ কোটি টাকা। উল্লেখ্য বাংলাদেশের চেয়ে ইনডিয়ান ইউনিয়নে বিদ্যুতের ট্যারিফ বেশি, এবং ইনডিয়া ভর্তুকি দিতে আগ্রহী হবে কি না তা নিশ্চিত নয়।

অবশ্য যদি ইনডিয়া কম পরিমাণে হলেও ভর্তুকি দিতে রাজি হয় তাতে করেও শেষ হিসাবে তাদের বেলায় লোকসানের কিছু নাই। পুরাটাই লাভ। কারণ বর্তমানে ইনডিয়ান ইউনিয়ন ভূক্ত পশ্চিমঞ্চলের রাজ্যগুলোতে ক্রমবিকাশমান শিল্পের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা যেভাবে ক্রমবর্ধমান, তাতে করে এই বিদ্যুত কারবার দেশটির খুবই কাজে আসবে। কারণ চুক্তি অনুযায়ি; ইনডিয়ান ইউনিয়নের পশ্চিমাঞ্চল থেকে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিড লাইনে বিদ্যুত আসবে, একই সাথে এই জাতীয় গ্রিড পূর্ব সীমান্তে ইনডিয়ার গ্রিডের সাথে যুক্ত হবে। মূলত: ইনডিয়া আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ইউনিয়নভূক্ত পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে হাইড্রোলিক পাওয়ার প্লান্টসহ বিভিন্ন প্লান্টের মাধ্যমে কম খরচে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। উৎপাদিত বিদ্যুতের ২০ ভাগও তাদের ওইসব অঞ্চলে চাহিদা নেই। ফলে অতিরিক্ত বিদ্যুত তারা বাংলাদেশের ওপর দিয়ে তাদের পশ্চিমাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে নিতে আগ্রহী। একবাক্যে বলা যায়, বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডলাইনকে তারা ট্রানজিট হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে, পূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুত নিয়ে যাওয়ার জন্য; তুলনামূলক বেশি দুরত্ব, প্রচুর ব্যয় ও নিরাপত্তা ঝুকি ইত্যাদি কারণে যে পরিচালন শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে হলে ইনডিয়ার জন্য অলাভজনক হতো।

সৌরবিদ্যুত

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারের প্রচার বিভাগ বলছে--‘এটা সাশ্রয়ী জ্বালানি শক্তির এক অনন্য নজির, সবাইকে সৌরবিদ্যুত ব্যবহারে এগিয়ে আসতে হবে।’ গ্যাস, ডিজেল, ফার্নেস অয়েল, কয়লা ইত্যাদি ভিত্তিক উৎপাদনের চেয়ে সৌরবিদ্যুত যে সাশ্রয়ি সে বিষয়ে আমাদের সন্দেহ নাই। কিন্তু বিটিভি’র ভাষায় ‘আমরা দু:খিত, বিদ্যুত বিভ্রাট প্রচারে বিঘ্নটায়’। যাদের লক্ষ্য করে এই পাবলিসিটি সেই পাবলিক নিশ্চয় জানতে পারছে না, ওই সময়টা অধিকাংশ স্থানেই লোডশেডিং থাকার কথা। ছাপা মাধ্যমে জেনেশুনে পাবলিকের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে- প্রধানমন্ত্রীর দফতরই আর জাতীয় গ্রিড লাইনের ওপর ভরসা করতে পারছেন না!

এ কথা সত্যি যে, শিল্প উৎপাদনে না হলেও অন্তত অফিস ও গৃহস্থালির বিদ্যুতের প্রয়োজন জাতীয় গ্রিড লাইনের ওপর ভরসা না করেই মেটানো সম্ভব, সৌরবিদ্যুতের ছোট ছোট প্যানেল বসিয়ে। আর শহরাঞ্চলের বাইরে চাহিদা কম হওয়ার কারণে সেটা আরো বেশি সম্ভব। যেমন বাংলাদেশের একটি দ্বীপ থানা এলাকা--মনপুরা’র পুরো বিদ্যুতের প্রয়োজন মেটানো হয় সৌরবিদ্যুতের প্যানেল ব্যবহার করে। বাংলাদেশে গড়ে বছরে ২৫০-৩০০ দিন সূর্যালোক আসে, বর্ষার তিনমাস বাদ দিয়ে বাকি সময়ে সূর্যালোক যথেষ্ট নিরবিচ্ছিন্ন ও প্রখর। প্রতিদিনে গড়ে ৫ কিলোওয়াট-ঘন্টা শক্তি বাংলাদেশের প্রতি বর্গমিটারে পাওয়া যায়। ভূপতিত এই সৌরশক্তির মাত্র ০.০৭% বিদ্যুতশক্তিতে রূপান্তর করা গেলেই বাংলাদেশের বিদ্যুতের চাহিদা মিটিয়ে ফেলা আনেকখানি সম্ভব হবে। সৌরবিদ্যুত পরিবেশ-বান্ধব ও একবার বিনিয়োগ করে বিদ্যুত উৎপাদন শুরূ করা গেলে রক্ষণাবেক্ষণের ন্যূনতম কিছু খরচা ছাড়া বিদ্যুত উৎপাদনের আলাদা কোনো খরচ নেই ।

প্রাথমিক মুশকিলের দিক হচ্ছে, সৌরবিদ্যুত উৎপাদক প্লান্ট বসানোর প্রাথমিক বিনিয়োগ অন্যান্য নবায়নযোগ্য শক্তির তুলনায় অনেক বেশি। বায়ুশক্তি থেকে বিদ্যুত উৎপাদনের খরচের তুলনায় প্রায় দুই গুণ। সৌরশক্তি আহরণ করার প্রচলিত পদ্ধতি হল সিলিকন নির্মিত ফোটোভোল্টেইক কোষ ব্যবহার করা। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সিলিকন বানাতে যতটা বিদ্যুত খরচ হয়, সে পরিমাণ বিদ্যুত উৎপাদনে ওই কোষের মোট প্রায় দুবছর সময় লাগার কথা। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক বিনিয়োগ উঠে আসতেও সময় তুলনামূলক বেশি লাগে।

বাংলাদেশের বিদ্যুত ব্যবহার সর্বোচ্চ হলো মার্চ থেকে অক্টোবরের মধ্যে। এর মধ্যে মার্চ থেকে মে মাসে সেচের কাজেও বিদ্যুত ব্যবহার হয়। এই কারণে বিদ্যুত ঘাটতি এই তিন মাসেই সর্বোচ্চ হয়--যার ফলশ্রুতিতে লোডশেডিং আর দুর্বিষহ কষ্ট। সেচের জন্য বিদ্যুতও পর্যাপ্ত পাওয়া যায় না। জলবিদ্যুত ও বায়ুশক্তি উৎপাদিত বিদ্যুতের ক্ষেত্রে বর্ষা কালই হল পিক সিজন--এই সময়েই কাপ্তাই বাঁধে সর্বোচ্চ বিদ্যুত উৎপাদন হয়, বায়ুশক্তি-চালিত টারবাইন বসানো হলে তাও এ সময়ে সর্বোচ্চ বিদ্যুত উৎপাদন করবে। অন্যদিকে শীতকালে চাহিদা যথেষ্ট কম আর দিনের বেলায় লোডশেডিং-এর প্রভাব ততটা দুর্বিষহ হয় না, তবে সেচ কাজের যথেষ্ট সমস্যা হয়। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে গরমকালের তিনমাসে বিদ্যুত ঘাটতি অন্যান্য সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ থাকে। সৌরবিদ্যুতের সুবিধা হলো এর পিক সিজন হলো গরমকালেই, কারণ গরমকালেই সূর্যের বিকিরণ সর্বোচ্চ হয়। এই সময়ে নিরবিচ্ছিন্ন-ভাবে বিদ্যুত উৎপাদন সম্ভব। আবার দিনের ২৪ ঘন্টার বিদ্যুত ব্যবহারের মধ্যেও অন্য একটা প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যায়। সৌরবিদ্যুত যদি সঞ্চয়ের কোনো ব্যবস্থা নাও করা হয় তাহলেও তা দিনের বেলাতেই সর্বোচ্চ হারে সরবরাহ করা যেতে পারে--যা সরাসরি সেচের কাজে ও কলকারখানা চালানোর কাজে লাগানো যেতে পারে। একইভাবে শীতকালে সেচের কাজের জন্য বিদ্যুত উৎপাদন সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়েই করা সম্ভব।

বাংলাদেশে মরূভূমি নেই, তবে সূর্য আছে, সূর্যের তেজও আছে। তাই প্রতিফলক বসিয়ে কিছু বিদ্যুত উৎপাদন করা খুব একটা শক্ত কাজ নয়। তবে এই পদ্ধতিতে বিদ্যুত উৎপাদনের আরো একটা সুবিধা আছে। একে সহজেই প্রচলিত তাপবিদ্যুত ব্যবস্থার হাইব্রিডের মধ্যে ঢুকিয়ে ফেলা যায়। বর্তমানেও তাপবিদ্যুত কেন্দ্রে বয়লারে জল ফুটিয়ে বাষ্পশক্তি বানানো হয়। জল গরম করার পুরো শক্তিটাই আসে কয়লা বা প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে। কিন্তু এই জলকে যদি কেন্দ্রীভূত সৌরশক্তির মধ্যে দিয়ে আনা যায় তাহলে এর উষ্ণতা আগেই বৃদ্ধি পাবে, ফলে বিদ্যুত উৎপাদনে কয়লা বা গ্যাস কম পোড়াতে হবে। অথবা, কিছু পরিমাণ জলের বাষ্পীভবন সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে করা হবে, বাকিটা জ্বালানী পুড়িয়ে । বাংলাদেশে বর্তমানে যে তাপবিদ্যুত প্রকল্পগুলো আছে সেগুলোকে প্রয়োজনে এইভাবে হাইব্রিডে রূপান্তর করা সম্ভব। ভারতেও অনেক তাপবিদ্যুত কেন্দ্রকে সৌরতাপ বিদ্যুত কেন্দ্রে পরিবর্তিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে সৌরশক্তি ২০-৫০% অবদান রাখতে পারে। বর্ষায় সূর্যের তেজ কমে গেলে বেশি জ্বালানী ব্যবহার হবে বিদ্যুতকেন্দ্রে, গরমকালে বা শীতকালে জ্বালানীর প্রয়োজন কমবে। একইভাবে, সৌরশক্তি ধরে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই, জ্বালানীর যোগান সন্ধ্যার পরে বাড়িয়ে দিলেই হবে, আপনা হতেই বিদ্যুত উৎপাদন অপরিবর্তিত থাকবে।

ইউরোপের পরমাণু-গবেষণাগারের প্রধান নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী স্টেনবার্জার সম্প্রতি দাবি জানিয়েছেন বায়ুশক্তির তুলনায় সৌরতাপশক্তি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য ও ভবিষ্যতে দ্বিতীয়টির সাফল্যের সম্ভাবনাই বেশি। সৌরতাপ সম্ভাবনার ম্যাপে বাংলাদেশকে ভারতের অধিকাংশ অঞ্চলের মত "সম্ভাবনাময়" হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

কল-কারখানাগুলো সৌরবিদুতের মাধ্যমে তাদের বিদ্যুতের চাহিদা মিটাতে পারে। তবে দেশে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সহজ করার জন্য অল্প মূল্যে সৌর প্যানেল উদ্ভাবন ও উৎপাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সহজ শর্তে ব্যাংক থেকে ঋণ দিতে হবে। কৃষি ক্ষেত্রে শুষ্ক মৌসুমে যেসব অগভীর নলকূপ রয়েছে সেগুলো যাতে সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে পরিচালনা করা যায়, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নির্দেশ নেয়া প্রয়োজন। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে মাটির নীচের পানি উত্তোলন সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে হবে। না হলে পরিবেশের বিপর্যয় রোধ করা সম্ভব নয়। মোট কথা হলো সরকার যদি চিন্তা করে তাহলে সৌরবিদুতের মাধ্যমেই বিদ্যুতের মোট উৎপাদন ৩০ শতাংশ বাড়াতে পারে।

চলবে...

পড়ুন প্রথম কিস্তি


ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন



৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।