কবিতার বোনের সঙ্গে আবার
কবিতার বোনের সঙ্গে আবার, ফরহাদ মজহার; প্রথম প্রকাশ ৪ ফাল্গুন ১৪০৯, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৩। চিন্তা প্রকাশনী ঢাকা। পৃষ্ঠা ৬৪; মূল্য: ১০০/=
যুদ্ধের মধ্যে দুই পক্ষেই যখন হতাহতের সংখ্যা প্রচুর এবং উভয় পক্ষেই সত্য দৃঢ়, মিথ্যা শুধু অন্যপক্ষে-কবিতার বোনের সঙ্গে ফরহাদ মজহার ঠিক তখনই আবার কাব্য করতে বসেছেন।জননী সরস্বতীর গর্ভে বসে সহোদরার সঙ্গে নাকি সীমান্তের দুই পাশের ভাই আর বোনের সঙ্গে কথোপকথন? কবিতা সমকালীন রাজনীতির কথা কীভাবে বলে? আদৌ কি বলে? নাকি অন্য কিছু বলে,আমরাই ভুল করি।একই মায়ের গর্ভে থেকে আর সেই নাড়ির টানে বোনকে ভালবেসে ভাই কীভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠে হয়তো কবিতা এর বেশি কিছুই বলতে চায় না। বোনকে তো বিয়ে দিতে হয় অন্যের ঘরে। কে বুঝকে ভাইয়ের সেই বোন হারাবার ব্যথা? কার সাধ্য বোঝে?
তবু কোথায় জানি সিগমুন্ড ফ্রয়েড সাহেবের সঙ্গে এই কবিতার একটা তর্ক শুরু হয়ে যায়।রবীন্দ্রনাথের জীবনদেবতাকে খানিক মশকরা করে কবিতার ভাই আর বোন হাত ধরাধরি করে চলে যায় অন্য একটি রাষ্ট্রে।যেখানে গুজরাট নাই,সংখ্যলুঘু নির্যাতন নাই এবং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সম্ভাব্য সংঘর্ষ বা ভীতিকর যুদ্ধেরও কোন সম্ভাবনা নাই।শুধু সরস্বতী তার দুই সন্তানের হাত ধরে দাঁড়িয়ে হাসছেন।হয়তো তিনিই তাঁর সন্তানকে দিয়ে এই পদ্যপুস্তিকাখানা লিখিয়ে নিলেন,নিজেরই দরকারে।
সূচিপত্র
- প্রথম তরঙ্গ
- গর্ভসূত্র।
- সরস্বতীর বিখণ্ড বাংলা।
- ঈশ্বরে বিজ্ঞানী।
- পারলে শেখা।
- ঘুম।
- ফেরা।
- শোলোক।
- দিদি।
- দ্বিতীয় তরঙ্গ
- জঙ্গনামা।
- প্রতিবেশী।
- আইকন বাইকন।
- তৃতীয় তরঙ্গ
- ফাইনাল গেইম।
- পুরুষতন্ত্র।
- দিদির সঙ্গে ওড়া।
- সুসংবাদ।
- শেষ ছত্র।
কবিতার বোনের সঙ্গে আবার, ফরহাদ মজহার; প্রথম প্রকাশ ৪ ফাল্গুন ১৪০৯, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৩। চিন্তা প্রকাশনী ঢাকা। পৃষ্ঠা ৬৪; মূল্য: ১০০/=
যুদ্ধের মধ্যে দুই পক্ষেই যখন হতাহতের সংখ্যা প্রচুর এবং উভয় পক্ষেই সত্য দৃঢ়, মিথ্যা শুধু অন্যপক্ষে-কবিতার বোনের সঙ্গে ফরহাদ মজহার ঠিক তখনই আবার কাব্য করতে বসেছেন।জননী সরস্বতীর গর্ভে বসে সহোদরার সঙ্গে নাকি সীমান্তের দুই পাশের ভাই আর বোনের সঙ্গে কথোপকথন? কবিতা সমকালীন রাজনীতির কথা কীভাবে বলে? আদৌ কি বলে? নাকি অন্য কিছু বলে,আমরাই ভুল করি।একই মায়ের গর্ভে থেকে আর সেই নাড়ির টানে বোনকে ভালবেসে ভাই কীভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠে হয়তো কবিতা এর বেশি কিছুই বলতে চায় না। বোনকে তো বিয়ে দিতে হয় অন্যের ঘরে। কে বুঝকে ভাইয়ের সেই বোন হারাবার ব্যথা? কার সাধ্য বোঝে?
তবু কোথায় জানি সিগমুন্ড ফ্রয়েড সাহেবের সঙ্গে এই কবিতার একটা তর্ক শুরু হয়ে যায়।রবীন্দ্রনাথের জীবনদেবতাকে খানিক মশকরা করে কবিতার ভাই আর বোন হাত ধরাধরি করে চলে যায় অন্য একটি রাষ্ট্রে।যেখানে গুজরাট নাই,সংখ্যলুঘু নির্যাতন নাই এবং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সম্ভাব্য সংঘর্ষ বা ভীতিকর যুদ্ধেরও কোন সম্ভাবনা নাই।শুধু সরস্বতী তার দুই সন্তানের হাত ধরে দাঁড়িয়ে হাসছেন।হয়তো তিনিই তাঁর সন্তানকে দিয়ে এই পদ্যপুস্তিকাখানা লিখিয়ে নিলেন,নিজেরই দরকারে।
<!--[if gte mso 9]><xml>