গুবরে পোকার শ্বশুর


Monday 08 January 18

গুবরে পোকার শ্বশুর; প্রথম প্রকাশ: ফাল্গুন ১৪০৬ (২২ ফেব্রয়ারি ২০০০) প্রকাশক: চিন্তা প্রকাশন, ৫/৩ বারাবো মহানপুর, রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা ১২০৭

প্রচ্ছক: আবু বাকী

স্বত্ব: সমতলী হক/সেজান হক

উৎসর্গ: দীনেশচন্দ্র সেন

‘বরে পোকার শ্বাশুর’ গ্রন্থটির পিছন প্রচ্ছদে ফরহাদ মজহার এবং বর্তমান গ্রহন্থটির কবিতাসমূহ নিয়ে একটি পরিচিতিমূলক গদ্য ছাপা হয়েছিলো। নিম্নে তার উদ্ধৃতি করা হলো-

অবশেষে কবি ফরহাদ মজহার গুবরে পোকার শ্বশুরের খপ্পরে পড়লেন। এই সেই সময় যখন গদ্য আর পদ্যের ভেদ; নাই বললেই চলে তখন তিনি গদ্য লেখার সাধ করেছেন। বেচারা গদ্যের তখন আর কি করা, তাঁর ওপর সাড়ে ষোল আনা প্রতিশোধ তুলে এই গদ্যকে বলেই হাজির করতে তাঁকে বাধ্য করলো। তো এই দীনহীন পুস্তিকাখানার প্রকাশ। ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়াকে কিছুতেই আর পদ্যের জগতে আনা যাচ্ছে না। তবুও শহরের বাজে কবিতাগুলো যখন অতিশয় করুণ বৃন্দ আবৃত্তির কোলাহলে চামচিকা হয়ে জাতীয় সংসদে আশ্রয় নিচ্ছে তখনই কিন্তু গদ্য লেখার উপযুক্ত সময়। অতএব বিল ক্লিনটন আসার আগেই আমাদের সব গ্যাস ও তেল ফরিয়ে যাবার ভয়ে মিউনিসিপ্যালিটির শেষ বাতি জ্বালিয়ে এই বাক্যগুলো লেখা হয়েছে। কোনো ব্যাটা কিছুতেই এ গদ্যগুলো এখন আর আবৃত্তি করতে পারবে না। জননিরাপত্তা আইনের ভয়ে কবিতাগুলিও যারপরনাই মুষড়ে পড়েছে।

তবুও আমাদের জীবনে আমোদ আছে, আহ্লাদ আছে এবং গুবরে পোকার শ্বশুরের হাত ধরে আমরা হরতাল ও সন্ত্রাসের দিনগুলো পার করে দিচ্ছি।

জিন্দাবাদ!!”

সূচি

  • বেরো তুই শুয়োর, গুবরে পোকার শ্বশুর।
  • সাড়ে তেত্রিশি কোটি টিকটিকির ডিম।
  • টিপেটুপে দেখলেও দেখতে পারো।
  • মুর্গিছানা ফুটছে।
  • ধানপেষাই কলে চাল।
  • ডাইনোসর ছারপোকা।
  • কুসুমের মোসাহেব।
  • বঁড়শি বেঁধা মাছ।
  • আলজিভের ফুশলানি।
  • শয়তানের লেজ কাটা।
  • টেপরেকর্ডার।
  • শহিদেও জবানবন্দী।
  • তখন যদি না চিনতে পারিস দেখবি গলায় ফাঁসি...।
  • ফোশকা।
  • দীনের দুর্দশা।
  • বেকুব কবি।
  • ইনশাল্লাহ।
  • মনুষ্য প্রজতি সংরক্ষণ সমিতি।
  • সাংবাদিকতা।
  • এতিম পদ্য।
  • আত্মা ও সম্পত্তি।
  • অমৃতভোগ আমের আড়ত।
  • উইপোকার কেচ্ছা।
  • ইললিগাল অপারেশন।
  • দৈত্যের গল্প।
  • অন্নপূর্ণা।
  • মৃত্যু।
  • মানুষের সঙ্গে সাড়ে তিন আনা।
  • সময়।
  • খরগোশ।
  • টিকটিকির অধিবিদ্যা।
  • দয়াল নিতাই কারেও ফেলে যাবে না...।
  • ব্রহ্মজ্ঞান।
  • হারামজাদা।

 

 


৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।