ক্যামেরাগিরি
ক্যামেরাগিরি, ফরহাদ মজহার; প্রথম প্রকাশ ১৪১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০, দ্বিতীয় মুদ্রণ কার্তিক ১৪২০ নভেম্বর ২০১৩। আগামী প্রকাশনী, ঢাকা। পৃষ্ঠা ৫৪; মূল্য:১৫০/=
ফরহাদ মজহার বাংলা কবিতাকে ঔপনিবেশিক আধুনিকতার মৃত্যুযাত্রা থেকে ফিরিয়ে আপন ঐতিহ্যের নাড়ি-সম্পৃক্ত করার বলিষ্ঠ উদাহরণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আরো আগেই। যার অভাবনীয় উদ্বোধন 'এবাদতনামা'। যেখান থেকে বাংলা কবিতার মোড় মৌলিকভাবে ঘুরিয়ে দিয়ে তিনি একে যুক্ত করলেন, বাংলার ভাবসম্পদের অন্তর্গত কাব্য ও দর্শনের যুগল সম্মিলনে। এবার 'ক্যামেরাগিরি'র পরীক্ষা-নিরীক্ষায়, আরো ভিন্নতর মাত্রায় বিষয় ও আঙ্গিকের অভিনবত্বের ভিতর প্রসারিত করেছেন। ভাষাভঙ্গি, উপমা ও প্রকরণে যথারীতি এবারো একটি নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করেছেন নিঃসন্দেহে।
একইসাথে বাংলা কবিতা: পরমার্থিকতার উদয়ে, প্রজ্ঞার সুনির্মল লাবণ্য ধারণে, অনির্বনীয় বাগার্থের উৎপূর্ণতায় অভিষিক্ত একটি মর্মর ধ্যানকল্পের পূর্ণতা পেয়েছে। সহজে অতল গভীরতায় দিকে টেনে নেয়ার প্রাণস্পর্শী কাব্য সুষমার স্বাক্ষর ক্যামেরাগিরি কাব্যগ্রন্থ। যেখানে বিশ্বপ্রকৃতি, চরাচর, পুরুষ ও পরমাত্মা-কাব্যভাষায় রূপ ও অরূপের মিলিত মুহূর্তের ধারক হয়ে উঠেছে। এখানে বিষয় বা বিষয়ীর ভেদ লুপ্ত; অর্থের লীলা ছলছল শরীর ভেঙে সৃষ্টিশীল, দিব্যতার ব্যক্ত প্রভা ইতিহাসের নতুন ইশারা হয়ে হাতছানি দেয়। আসুন সেই আনন্দযাত্রায়, এই উৎসারণের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে।
সূচিপত্র
- ফরিদার জন্য ক্যামেরাগিরি।
- গণিতজ্ঞ।
- শালিক পাখির দিকে সাড়ে সাত রকম ভাবে তাকাইবার পদ্ধতি।
- আমার কবিতা।
- আহারে বৃষ্টি!
- বিছানা।
- কবে হবে সজল বরষা...।
- প্রেম।
- আকাশ।
- বৈশাখী পূর্ণিমায় সুসমাচার ১৪১১।
- নয়াকৃষি।
- নারীধর্ম।
- বিদ্রোহী ভাদ্রের জন্য তিনটি কবিতা।
- দাঁতে মনুষ্যমাংস।
- গনগনে পদ্য।
- বাঘের ভালোবাসা।
- চলো যাই।
- বৃষ্টি, তোরে আমি ধরুম।
- বিরহই যখন বঙ্গে নামায।