কবিতার বোনের সঙ্গে আবার


Tuesday 12 June 18

কবিতার বোনের সঙ্গে আবার, ফরহাদ মজহার; প্রথম প্রকাশ ফাল্গুন ২০১৩। বইটি পাঠকদের চাহিদার জন্য ফেব্রয়ারী ২০১৬ এ নতুন করে ছাপায় আগামী প্রকাশনী ঢাকা। পৃষ্ঠা: ৫৯; মূল্য: ১২৫/=

ভগ্নির সাথে ভ্রাতার সম্পর্ক, যার ভেতর সহোদর বয়স্ক হয়ে ওঠে এবং আপনকার গূঢ় গ্রন্থিগুলিন অস্পষ্ট প্রতীক ও অনুচ্চারিত ইশারায় বুঝে নেয় তাকে কিভাবে কবিতায় পেশ করা যায়। কারণ, প্রথাসিদ্ধ প্রেমে তার প্রকাশ নাই, বিকাশও নাই। প্রেমিকাকে শারীরিকভাবে লাভ করবার মধ্যে সহোদরের বয়স্কতা জৈবিক ও মানসিক পরিণতি লাভ করে মাত্র, কিন্তু তখন তাতে ভগ্নিমূলক অস্পষ্টতা বা ইশারার আর কোনো ভূমিকা থাকেনা। তদুপরি ¯েœহ-প্রসূত কাম হতে রতিলিপ্সু কামুকতাকে তখন আর পৃথক করা সম্ভবপর হয় না। এই অবস্থায় কবি কী করবে? কিভাবে পাঠকের মধ্যে এই প্রকার বিষয়গুলির উপলব্ধি ঘটান যাবে?

বিষয়টি শুধুমাত্র ভ্রাতা ভগিনীর সম্পর্ক বিচারের ব্যাপার নয়, বিষয়টি কবিতার সাথে কবির সম্পর্ক বিচারের মামলা। কারণ কবিতার প্রতি, কিম্বা ‘জীবনদেবতার প্রতি’, কবির সম্পর্ক আদতে সহোদর-সহোদরামূলক। একদিকে কবি সব সময়ই অপ্রাপ্ত বয়স্ক, অপদিকে জীবনদেবতাও নিরন্তর ভগিনীমূলক আচরণ করে চলেন।

ভ্রাতা ও ভগিনী হিশাবেই কবিতা ও কবিতার আরাধ্য প্রতিমা নন্দনতত্ত্বে নিজেদের কুলজী মিলিয়ে কবিতার বংশপরম্পরা রক্ষা করে চলছে। এমন অবস্থায় কবির কিছুই করার নেই। অথচ কবি যদি গর্ভসূত্রজনিত রক্ত কিম্বা সহোদরার সাথে মাতৃগর্ভে সহবাস- অর্থাৎ দর্শন কিম্বা নন্দননতত্ত্বের সম্পর্কগুলি স্মরণ করিয়ে দিতেন বিচক্ষণ পাঠকগণও কবির সাথে কবিতার সম্পর্ক বুঝতে সক্ষম হত। এই পদ্যপুস্তিকায় এখন এই সত্য বোঝারনোর চেষ্টা হয়েছে যে দুনিয়ায় রমণী বলে কিছু নাই। অতএব রমণযোগ্য কোনো বস্ত বা বিষয়ও নাই। কারণ কে কাকে আস্বাদন করছে, অথবা কে কর্তা কে বিষয় হলেন সেই আদ্য কথাই শুধু প্রশ্ন আকারে রয়ে গেছে, মীমাংসা হয়নি। এই অভাবের ভাবটুকুন ধরতে পারলে কবিতাগুলি নানাবধি অর্থোৎপাদনে সক্ষম হবে।

সূচিপত্র

  • প্রথম তরঙ্গ
  • গর্ভসূত্র।
  • সরস্বতীর বিখণ্ড বাংলা।
  • ঈশ্বরে বিজ্ঞানী।
  • পারলে শেখা।
  • ঘুম।
  • ফেরা।
  • শোলোক।
  • দিদি।
  • দ্বিতীয় তরঙ্গ
  • জঙ্গনামা।
  • প্রতিবেশী।
  • আইকন বাইকন।
  • তৃতীয় তরঙ্গ
  • ফাইনাল গেইম।
  • পুরুষতন্ত্র।
  • দিদির সঙ্গে ওড়া।
  • সুসংবাদ।
  • ভেজা কবিতা
  • শেষ ছত্র।


৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।