আনন্দবাজারে চলরে মন (৩)
@ ব্রাত্য রাইসুর মন্তব্য ধরে আলোচনা করতে গিয়ে কথাগুলো মনে এলো। আসলে আয়ু তো ছোট হয়ে যাচ্ছে, তাই যা মনে এলো লিখে রাখলাম। পরে ভুলে যাবো।
"বাংলার ভাবান্দোলনের চিহ্ন পরম্পরা ও ব্যাকরণ মেনে যারা ভাবচর্চায় আগ্রহী, কিন্তু যে ভাব শুধু বাংলার ভাবান্দোলন হবে না, বরং তার বৈশিষ্ট্য হবে বৈশ্বিক। তাদের জন্য পার্বতী খুব তাৎপর্যপূর্ণ।" / FM
আমিও তাই বলতে চাইলাম। ফিউশন ইত্যাদির ক্ষেত্রে পার্বতী ভালো উদাহরণ। তবে বাংলার ভাবান্দোলনের জন্যে পার্বতী অগুরুত্বপূর্ণ।
যে কারণে আনুশেহ্ প্রমুখরা বাংলার ভাবান্দোলনের পথের কাঁটা সে কারণে পার্বতীও। ধ্রুপদী নাচের সঙ্গে বাউল গান যে মিশ খাইতে পারে তেমন দৃষ্টান্তের জন্য পার্বতী ঠিক আছেন।
এমনিতে ছেউরিয়ার চিহ্ন পরম্পরার বৈশিষ্ট্যও তো বৈশ্বিকই। তা বাউলদের মধ্য দিয়া ধরাই তো থাকতেছে। আনুশেহ্ পার্বতী তাতে মিশলে ক্ষতি নাই তা জানি, ফরহাদ ভাই।
আগাম বানানো বাক্সে ফেলে দিয়ে বিচার করার পদ্ধতি সঠিক কিনা ভেবে দেখবেন। আমরা আগাম কেউই বলতে পারবোনা, কে পথের কাঁটা, আর কে পথের প্রস্ফুটিত গোলাপ। আর, পথটাই বা কী, কার বা কিসের? আমরা বড় জোর এতোটুকু বলতে পারি ভূগোল ও ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে নানান ‘জায়গায় নানান ভাবের উৎপত্তি ঘটেছে ও ঘটে। তাদের নিজ নিজ অনন্যতা জ্ঞানতাত্ত্বিক ভাবে বোঝা মানে, পরস্পরের পার্থক্য বা ভিন্নতা দিয়ে বোঝা। এটাই নাকি জ্ঞানসম্মত, এই কালের দার্শিনিকরা এই দাবি করে থাকেন। সেই কারনে পার্বতীর পরিবেশনা বুঝতে গিয়ে নদিয়া ও রাঢ়ের তুলনা টেনেছি। সন্ধির জায়গা খুঁজেছি। ইত্যাদি।
অন্যদিকে ভাব তো শুধু ভাব বা চিন্তা মাত্র নয়। ভাব বা ভাবের ইতিহাসকে তার বর্তমানতা (ontology) ও ঐতিহাসিকতা (history) উভয় দিক থেকে বোঝাই জরুরী। সেই তর্ক আপাতত থাকুক। আমাদের আলোচনার জন্য ইতিহাসের দিক থেকে প্রাসঙ্গিক হচ্ছে এই যে চিন্তার ইতিহাসকে ইউরোপের ইতিহাস মাত্র ভাবা যেমন ঠিক না, তেমনি নদিয়া বা রাঢ়ের চর্চা নিজ চরিত্রের গুণেই বৈশ্বিক বা সার্বজনীন ভাবাও ভুল। “ছেঁউড়িয়ার চিহ্ন পরম্পরার বৈশিষ্ট্যও তো বৈশ্বিকই” – কথাটা আপনাকে তাহলে ব্যাখা করেই বলতে হবে। কথাটা তর্ক ছাড়া আমি মেনে নিলাম না।
বৈশ্বিকতার নানান মানে হতে পারে। সেই কথা মনে রেখে কিছু কথা বলে রাখছি, আপনি কথা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে করা যাবে।
১. ইউরোপ আমাদের বিশ্ব ইতিহাসে গণ্য করে না বলে আমরা বিশ্বের বাইরে হয়ে যাই না, কারন আমাদের নিয়াই বিশ্ব। কারণ যেখানে যা কিছু আছে সব নিয়াই বিশ্ব। অতএব ছেঁউড়িয়াও বিশ্বের অংশ, বৈশ্বিক। আপনার কথার এটা একটা অর্থ হৈতে পারে।
২. পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়নের যুগে কোন কিছুই আর বিশ্বের বাইরে নাই, সবই পুঁজির পেটে সাঁইধা যাচ্ছে। আমরাও সেই অর্থে বিশ্বের মধ্যেই ঢুকে আছি। ছেঁউড়িয়াও অতএব বৈশ্বিক। এটা আরেকটা মানে।
এই বৈশ্বিকতার মধ্যে আমরা গোলাম হৈয়া থাকি, কিম্বা বিশ্বকে শ্রমিক রপ্তানির নামে দাস রপ্তানি করি তাতে কিছুই আসে যায় না। আছি তো। শ্রমিক নিজের শ্রমশক্তি বেইচা দিয়া সমাজের অন্তর্ভুক্ত থাকে, তা নইলে সে খেয়ে পরে জীবের জীবন রক্ষা করতে পারে না, এই দাসত্ব বিশেষ ধরণের দাসত্ব। বিশ্বব্যবস্থায় সস্তা শ্রমিকের সাপ্লাইয়ার হিসাবে দাস-শ্রমিক সাপ্লায়ার হৈয়া আমরাও বৈশ্বিক।
৩. এবার আপনার ফিউশান বা বৈশ্বিক ফিউশান প্রসঙ্গ। ফিউশান করে আমরা বিশ্বসঙ্গীতের জাতে ওঠার সাধনা করি। সেটা করি আমাদের ভাবের কাঁচামাল বেইচা। নিজেদের ঘরের মাল বেচে দেওয়া বিশ্বসঙ্গীতের সমাজে আমাদের অন্তর্ভূক্তির একটা শর্ত। এই দিক থেকে ফিউশান কথাটা কিন্তু খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কোক স্টুডিওর কাজকে আপনি কোন ভাবেই ফিউশান হিসাবে খারাপ বলতে পারবেন না, আমি গানের পাগল বলে কান ও শ্রুতি খুলে শুনি। কিন্তু এটা করছে কোকাকোলা কম্পানি? নাকি? আপনাকে জাতে উঠতে হলে কোম্পানির কাছে নিজেরে বেচতে হবে। এই কালে একেই বলে বিশ্ব। এ কালে বৈশ্বিকতার এটাই মানে।
আমরা নিজেদের বেচতে পারি, কিন্তু বিশ্বভাবের কেন্দ্র হৈতে পারি না, কিম্বা এই ব্যবস্থার মধ্যে নিজেদের জন্য একটা যুৎসই জায়গা দখলে রাখতে পারি না ; তার জন্য রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সংগ্রাম দরকার হয়, শুধু ভাব দিয়া সেটা হবে না বা হয় না। পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থার পর্যালোচনার বাইরে পুঁজিতান্ত্রিক বৈশ্বিকতাকে বোঝা যাবে না।
ফাঁকে বলে রাখি, পুঁজিতন্ত্রের বিরুদ্ধে আমার আপত্তি নৈতিক বা শৈল্পিক নয়, রাজনৈতিক। গরিব মানুষ বা শ্রমিকের জন্য প্রাণ কান্দে বলে আমি নীতিবাদি কমিউনিস্ট না, এতে নিজেকে মহৎ প্রমাণের আকাংখাই কাজ করে, কমিউনিস্টের বর্তমানতা ও ঐতিহাসিকতা নয়। কিম্বা পুঁজিতন্ত্র মহৎ শিল্পের ক্ষতি করে বলে আমার কোন হাহাকার নাই, বরং দেখতেছি কোক স্টুডিওর কারনে গান নিয়া দারুন কিছু কাজ হৈতেছে। বাংলাদেশের দুই একটা পোলাপানও বিশ্ব সঙ্গীত সমাজে খ্যাত ও বিত্ত পাইলে আমি লাভ ছাড়া ক্ষতি দেখি না। রাজনীতি বলতে এখানে আমি বুঝাচ্ছি পুঁজির সমাজ অতিক্রম করে মানুষের সমাজ কল্পনা ও তাকে বর্তমান করে তোলার ইচ্ছা, সংকল্প ও বাস্তবায়নের কর্তাসত্তার আবির্ভাব ও তৈয়ারির প্রক্রিয়া। এটাও এই কালে আমার কাছে ভাবচর্চার অন্তর্গত। অর্থাৎ ভাবচর্চা আর রাজনীতিকে আমি আলাদা কিছু গণ্য করি না।
৪. পুঁজিতান্ত্রিক সমাজে পুঁজির ভাবকেই মানুষ নিজের ভাব বৈলা ভাবে। পুঁজির ভাবই ‘মানুষ’ নামক এক বিমূর্ত জিনিসের ভাব হিসাবে প্রসিদ্ধি পায়। আমরা ব্যক্তির কথা বলি, ব্যক্তির মুক্তি, স্বাধীনতা ইত্যাদি আওড়াই। পুঁজির বিশ্ব ঐতিহাসিকতার চরিত্র এই রকমই। পুঁজির আর কোন ভাব (?) নাই। এটাই হবার কথা। কিন্তু এটা কখনই আপোষে হয় না। সবসময়ই প্রতিরোধ চলে। এই পরিস্থিতিতে ভাবের জগতে পুঁজির বশ্যতা স্বীকার আর প্রতিরোধের সীমান্ত কোথায় কিভাবে আঁকা হয় সে চিহ্ন ধরবার চেষ্টাটা খুব কাজের মনে হয় আমার কাছে। ভাব এই ক্ষেত্রে শুধু পুঁজির বশ্যতা মানে এটা ঠিক না, প্রতিরোধও করে। প্রশ্নটা হচ্ছে, প্রতিরোধ করে কিভাবে? কিভাবে একদিকে গ্রহণ, অন্যদিকে বর্জনের প্রক্রিয়াটা চলে। পার্বতী এই কারণেই গুরুত্বপূর্ণ । পার্বতী 'অগুরুত্বপূর্ণ' অতএব আপনার এই মন্তব্য মানতে পারলাম না।
৫. তাহলে ফিউশান জিনিসটারে পুঁজির বিশ্লেষণ ছাড়া বোঝা যাবে না। কিন্তু তার একটা টেকনলজিকাল বা কারিগরি দিক আছে; খেয়াল করেন, ফিউশানে লালনকে ব্যবহার করি কিন্তু নিজেদেরই গানে, নিজেদের জন্যই। লালনের জন্য নয়, লালনের ভাব প্রকাশ বা লালনীয় জীবনচর্চার জন্য না। লালন কাঁচা মালের সাপ্লায়ার। মনসান্টো যেমন বেগুনের বীজ নিয়া গিয়া ইঞ্জিনিয়ারগিরি করে, ব্যাক্টেরিয়ার শরীর থেকে জিন নিয়া বেগুনে ঢুকিয়ে ‘ফিউশন’ করে (জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারগিরি আর কি!) , গানের ফিউশান বলে যা বোঝাচ্ছেন তারাও এটাই করে। বেগুনটা অথচ বংশ ও ঐতিহ্য পরম্পরায় বাংলাদেশের কৃষকের, আইনী অর্থেও তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি বা ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি, তাদেরকে পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে এই জাত ‘আবিষ্কার’ করতে হয়েছে; বাংলাদেশে যারে আপনি গানের বা ভাবের ‘ফিউশান’ বললেন সেটা এই কাতারে পড়ে। গানগুলো ফকিরফ্যাকড়ার গান, কিন্তু যে যেমন খুশি তেমন তাকে নিয়া মারদাঙ্গা ব্যবহার করছে। ইউনেস্কোতে লোকগান বা লোকায়ত ভাবের অধিকার নিয়ে যে আইনী চিন্তাভাবনা তার আলোকেও যারা ব্যান্ডে লালনের গান বাজায়, তারা পাইরেসির অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারে। গরিব মানুষের ঘরের জিনিস কতো লোকে চুরি করতেছে, তো সাধুর ঘরের মাল তো চুরি হবেই। মজার দিক হোল, চুরি যেটা হয় সেটা ভাব বা জীবনচর্চা না, সেটা গানের কথা ও সুর। চোরের তো তুচ্ছ জিনিসের প্রতিই নজর থাকবে। আসল চিনতে হলে তো তারে গুরু ধরা লাগবে; সেই বাসনা বা ধৈর্য তার নাই। তো ভাবের পর্যালোচনায় এইগুলাকেও আমি নৈতিক বা আইনী মানদণ্ড দিয়ে বিচার করতে চাই না। চোরকে চুরি করতে দেন, কিছুই আসলে আসে যায় না। পার্বতী গুরুত্বপূর্ণ কারন কথা বা সুর তার ভাব থেকে আলাদা করা যায় না। সে ঘরের মেয়ে -- অর্থাৎ সাধনার ঘরের। তাকে অগুরুত্বপূর্ণ বলে উড়িয়ে দেওয়া কঠিন।
৬. যদি এই টেকনলজির ব্যাপারটা মানেন তাহলে পার্বতী ‘ফিউশান’ করছে, এটা আপনি বলতে পারেন না। সে বাউলের ঘরে থেকেই তার বাউলগিরি করতে চায়, তার মধ্য দিয়া সে যা শিখছে তারই ভাব ও ভাষার ব্যাকরণ ও বয়ান সে তৈরী করতে চায়। লালন, হাওড়ে গোঁসাই বা ভবা পাগলা তার কাছে কাঁচা মাল না, যা সে তার পারফরমেন্সে ব্যবহার করে। সে তাদেরকেই ভাবগত ভাবে হাজির করতে চায়। সে নিজেই বরং ভবা পাগলা হয়, কিম্বা হাওড়ে গোঁসাই বা লালন। তারপরও যদি আপনি মুড়ি মুড়িকি এক দরে বেচেন, আমার বলার কিছু নাই।
৭. আনুশেহ ভাল উদাহরণ না, ফিডব্যাকের ম্যাকের কথা বলতে পারতেন। বা অন্য কেউ। বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংস্কৃতি ও রাজনীতির সংকট বুঝবার জন্য আনুশেহ খুব ভাল নজির। ওর প্রতি আমার পক্ষপাত আছে। সেটা স্নেহদুষ্ট হতে পারে। কিন্তু উচ্চ মধ্যবিত্ত বলয় থেকে ব্যাক্তিগত জায়গা থেকে ও যে সংগ্রাম করে সেটা আমি বুঝি বলে মনে হয়। আনুশেহ কেমন গায়, সেটা গানবিশারদরা করুক। কিন্তু যেভাবে গায় বুঝি যে গানের ভাবের মধ্যে তার দ্রবীভূত হবার চেষ্টা আছে। আমি গুরুধরা মানুষ, এটা আমার ভাল লাগে। তারপরও সমালোচনা হোক, আপত্তি নাই। শুধু একতারা আর প্রেমজুড়ি হাতে কাঙালিনীর গান গাওয়ার ভাবগত অর্থ বোঝার সাধ্য থাকলে এতদিনে অনেককেই হয়তো আমরা সেভাবেই ভাবচর্চা করতে দেখতাম। ৮. লালন নিয়ে মধ্যবিত্ত শ্রেণির আগ্রহের মুশকিলের জায়গা হচ্ছে তারা লালন ও বাউলদের নিয়ে তাদের নিজ শ্রেণির শ্রেণির ধর্ম নিরপেক্ষতার আদর্শ প্রচার করতে চায়, এতে তারা তাদের শ্রেণি সীমাবদ্ধতাসহ ধরা পড়ে। তারা বাউল হতে চায় জাতিবাদী হবার জন্য। জাতপাত বিরোধী বাউল হবার জন্য না। পূর্ব নির্মিত মতাদর্শ দিয়ে মানুষকে বিচার করার অভ্যাস ত্যাগ করতে পারা সহজ কাজ না। মানুষকে কংক্রিট মানুষ হিসাবে দেখা, অপরকে অপরের জায়গা থেকে বোঝার চেষ্টা তো রপ্ত করতে হয়। মুক্তিযুদ্ধের বাঙালিবাদী চেতনা বা জাতিবাদ থেকে বেরুতে পারা খুবই কঠিন সাধনার ব্যাপার।
৯. সে যাই হোক বিভিন্ন জনের পার্থক্য অনুধাবনটাই আপাতত আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, কোন ভাবকে এসেনসিয়ালাইজ করা -- চিরায়ত বা সার্বজনীন ভাবার বিপদ এড়িয়ে চলার মধ্যে স্বস্তি বোধ করি। বাংলাদেশে – বিশেষত নদিয়ায় -- বিশেষ জীবন চর্চার মধ্য দিয়ে যে ভাবচর্চা – আর বাংলা ভাষায় তার যে বিচ্ছুরণ – আমার নজর সেই দিকে। সেটা শুধুই ‘ভাবান্দোলন’। কিন্তু 'বাংলার ভাবান্দোলন' না। আমার বইটির নামও ‘ভাবান্দোলন’ – বাংলার ভাবান্দোলন নয়। আপনাকে উত্তর দিতে গিয়া 'বাংলার ভাবান্দোলন' কথাটা একটা শনাক্তকরণ চিহ্ন হিসাবে ব্যবহার করেছি। এই শব্দবন্ধ বর্ণনাত্মক চিহ্নের অতিরিক্ত কোন অর্থ বহন করে না।
ছেঁউড়িয়ার চিহ্নপরম্পরা ঐতিহ্য বৈশ্বিক, কিন্তু সেটা একই সঙ্গে 'বিশেষ' বা স্থানিক -- অর্থাৎ এই বৈশ্বিকতা ছেঁউড়িয়ার (নদিয়া) ভাবচর্চার অনন্যতা উহ্য রেখে নয়। পার্বতী যেভাবে রাঢ় অঞ্চলের বাউলিপনাকে ভাষা দেয় সেটা এই সকল কারণে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের সম্পর্কে লেখক
কবিতা লেখার চেষ্টা করি, লেখালিখি করি। কৃষিকাজ ভাল লাগে। দর্শন, কবিতা, কল্পনা ও সংকল্পের সঙ্গে গায়ের ঘাম ও শ্রম কৃষি কাজে প্রকৃতির সঙ্গে অব্যবহিত ভাবে থাকে বলে মানুষ ও প্রকৃতির ভেদ এই মেহনতে লুপ্ত হয় বলে মনে হয়। অভেদ আস্বাদনের স্বাদটা ভুলতে চাই না।