নদীটির তীরে আমরা ঢেউ গুনি

আনন্দ দেখো-
নদীটির তীরে অহর্নিশ কারা আসে যায়
আমরা যার নামও দিয়েছি

আমরা নাম দিয়েছি তার
ঢেউ
ঢেউ এক হারানো মানিক
ফিরে আসে আবার ফিরে যায়

আমরা নদীটির ঢেউ গুনি!

তুমি কি শুনতে পাও
ঢেউয়ের মাঝে তোমার চলন
তোমার মাঝে ঢেউ
তারা যাকে বলে ইতিহাস
কি দ্বিধা দেখো-
আমরা বলি
দেখার নীরবতায় হারিয়ে যাক কথা
পরিহাস
কথারা হারায় না কখনো
হারায় শুধু কথার জননীরা।

আনন্দ ঢেউয়ের ইতিহাস কী
অথবা এই নদীটি
যার কূলে আমরা একেলা বসে
নক্ষত্র দেখি
আর নদীটি
নদীতে বাসা বাধে পক্ষী
যে দূর নক্ষত্রের দোলায় কাদেঁ আর হাসে
সেও কী আমাদের মতো
অথবা মানুষ
একটি মানুষ সুদূর বেশ
যেমন- নক্ষত্র
তবুও আমরা কী এক পাষাণ বেধে
নদীটির ঢেউ গুনি।

কি পরিহাস
তার নাম দিয়েছি ইতিহাস।

*আমার লেখার খাতা: ইচ্ছেশূন্য মানুষ (http://wahedsujan.com/)


নিজের সম্পর্কে লেখক

ইচ্ছেশূন্যতার কোন অর্থ হয় না। মানুষ নিজেই ইচ্ছের রূপান্তর। তার বাসনাগুলো নানারূপে অধরাকে ধরে, অনুধাবন করে। একই সাথে সে নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে চায়। এই চাওয়া-না চাওয়ার কি ঘটে সেটা কথা নয়। কথা হলো, তাকে চাইতে হয় আবার চাওয়াটাকে অস্বীকার করতে হয়। এই স্বীকার-অস্বীকারের দ্বন্ধে যেটুকু আশা বেঁচে থাকে তাকে বলি, এই তো আছি। এই বেঁচে থাকাটাই আনন্দের।

ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন


৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।