কাজের কথা, চিন্তার ও

মানুষের নিজেকে প্রকাশ করার জন্য, এবং সে নিজে যা কিছু প্রকাশ করতে চায় সেই জন্য, মানুষের ভাষা খুব অপর্যাপ্ত। এই অপর্যাপ্ততার মাঝেই প্রকাশ' এর কাজ চালাইয়া যাইতে হয়। কারন কাজ করতে হইলে কাজের কথা প্রকাশ করতে হয়। ভাষায়। এই যেমন এই দেশে এখনকার সবচেয়ে বড়ো কাজ হইলো (এইটা এই দেশের শুরু থেইকাই বড়ো কাজ); 'একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা'। তো আমি মুশকিলে আছি এই ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়া। আপনারা এইটা না জাইনা পারেনই না যে, 'কাজ'টা কি বা কেমন সেইটা একমাত্র সেই 'কাজ' যে শব্দে শব্দমালায় প্রকাশ করা হয় সেইটা বহুত গুরুত্বপূর্ন। সেই শব্দের জন্ম, জন্মস্থান, বংশ পরিচয়, ঘরবাড়ী, দ্যাশ গেরাম সব মিলাইয়া সে 'শব্দ'। তো জানা কথা 'ধর্মনিরপেক্ষতা' এই 'ধর্মনিরপেক্ষ' হইতে চাওয়া বাংলাদেশের ভাষার শব্দ তো নাই বরং বহু দুরদেশের শব্দ। তার পূর্বপুরুষ হইলো 'সেকুলারিজম'। রাজনৈতিক মতবাদ হিসেবে ইওরোপের 'সেকুলারিজম' এবং জ্ঞানতাত্বিক ধারা হিসেবে 'সেকুলার'। জ্ঞানগত চর্চার 'সেকুলার' জায়গা থেইকাই, রাজনৈতিক মতবাদ 'সেকুলারিজম'। এবং আমাদের অনেক বন্ধুদেরই মনে হইছে যে, সেই ক্ষেত্রে 'সেকুলারিজম' এর জায়গায় 'ধর্মনিরপেক্ষতা' হইলে পরে কাজের জায়গায় অনেক গড়বড় হইয়া যায়। ধর্ম বলতে বাংলা ভাষার মানুষ ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিকভাবে যা বোঝে, তাতে এই শব্দ ঠিক আধুনিকতার প্রকল্পের গনতন্ত্র ভিত্তিক কাঠামোর রাষ্ট্র 'আধুনিক গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র' এর রাজনৈতিক মতবাদ সেকুলারিজমের সাথে যায় না। তাইলে কে যায়? সলিমুল্লাহ খান বলতেছেন 'দুনিয়াদারি', মুসতাইন জহির বলিতেছেন 'ইহজাগতিকতা'। তো শুধু এই দুই শব্দ ই না। এ প্রসঙ্গের আত্মীয় স্বজন শব্দ ইত্যাদি যারা আছে তাদের বাংলাভাষায় ঠিক কিভাবে আনলে পরে 'কাজ'টা সহজ হয় সেই বিষয়ে আপনাদের কথা-বার্তার অপেক্ষায় চাতক পাখির ন্যায় বসে আছি। তবে প্রথমেই সেকুলার এবং সেকুলারিজম।


নিজের সম্পর্কে লেখক

সাংবাদিক



ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন


৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।