অনর্থক তর্ক
-----ব্যাপক গবেষণা করে পাওয়া গেল আল্লাহ বলে কিছু নাই। সব মনের সৃষ্টি। -----দুঃক্ষিত ! মনটা কার সৃষ্টি ? -----মন এমনি এমনি সৃষ্টি ,অনাদিকালের বিবর্বর্তনে ইহার সৃষ্টি হইয়াছে। -----মানে ঈশ্বর অনাদি হইতে না পারিলেও সৃষ্টি জগতে অনাদি আছে !!!! -----মহাবিশ্বের শুরুর আগে বৃহৎ বিস্ফোরণ বা ঐরকম কিছুর পূর্বে তারা অসৃস্ট ছিল। -----তার মানে ঈশ্বর অসৃস্টতে আপনার আপত্তি থাকিলেও কিছু একটা অসৃস্টে থাকার বিষয়ে আপনার সৃষ্টি রহস্যে কোনো সমস্যা নাই ??? -----ঠিক আছে ,দুইটি জিনিস একই সাথে অনাদি ও অসৃস্ট হইলে একজন সৃষ্টি আরেকজন স্রষ্টা হয় কি করে ??? -----বলুনতো ১০০০ এর পর কোন সংখ্যা ?? -----১০০১ ----তারপর ? ----১০০২ !! ----গুনতে থাকুন ----শেষ হবে না ,সংখ্যা অনন্ত। ... ----আপনিকি সংখ্যার স্রষ্টা ? ----না ,আমি তাকে ব্যবহার করি মাত্র ,আমার ইচ্ছা অনজায়ি। ----তার মানে সংখ্যা একটা ধারণা যার ব্যাপ্তি অসীম .অনাদি ও অনন্ত অথচ তার নিজের উপর প্রভুত্ব করার বিন্দু মাত্র ক্ষমতা তার নাই। ----কিন্তু সংখ্যা হলো ধারণা মাত্র ,আপনি বলেছেন ;অথচ বস্তু বাস্তব। ----বস্তু যে ধারণাগত ব্যাপার না ,তার নিশ্চয়তা দিতে পারবেন ? ----মানে কি ??? ----খুব সহজ,আমরা একমত হলাম যে অনাদি ও অসৃস্ত দ্বৈত সত্তা থাকা সম্ভব , কিন্তু প্রভুত্ব সম্ভব নয়। আর বস্তু বা সংখ্যা ধারণাগত না বাস্তবিক তাই বিবেচ্য। পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে বস্তুকে অনুভব করা গেলেও সংখ্যাকে যাচ্ছে না। এখন একজন অনাদি ,অসৃস্ট ও অনন্ত বিষয় থাকা যদি সম্ভব হয় এবং একটি আরেকটির উপর প্রভুত্তকারী সর্বশক্তিমান থাকে তবে ইন্দ্রিয়ের সৃষ্টিকর্তা থাকা সম্ভব ??? ----হুম ,লগিকালি সম্ভব। ----যদি ইন্দ্রিয়ের সৃষ্টিকর্তা থাকা সম্ভব হয় তবে কম বেশি ইন্দ্রিয় সৃষ্টিও সম্ভব ?? ----যেমন জন্মান্ধের চারটি ইন্দ্রিয় ? ----হ্যা ,এবং যে ইন্দ্রিয় মানুষকে দেয়া হয়নি তারও ? ----তারপর ? ----তাহলে সংখ্যা বস্তুর মত বাস্তবিক কিনা তার মিমাংসা ইন্দ্রিয়লব্দ ব্যাপার ,এবং স্রষ্টার সব ইন্দ্রিয়ের সংজ্ঞা আপনার হাতে নেই। ----তার মানে আপনি বলছেন ,স্রষ্টা অনাদি ,অনন্ত ,অসৃস্ট এবং সর্বশক্তিমান ?? ----ঠিক তাই। ----কিন্তু স্থান ও বস্তুও অনন্ত ,অতএব কোনো না কোনো ভাবে স্রষ্টা সমকক্ষ। ---- কিন্তু আপনি নিজেই নিশ্চিত হতে পারবেন না ,তারা আসলেই তাই কিনা। ----কেন ?? ----কারণ আপনার সেই ইন্দ্রিয়ের অভাব আছে ? ----কারণ সংখ্যা লেখার জন্য আপনাকে যদি পৃথিবীর সব কাগজ দেয়া হয় ,কাগজ শেষ হবে কিন্তু সংখ্যা শেষ হবে না। সব বস্তুকে কাগজ বানালেও....... ----তার মানে কি ? -----তার মানে সংখ্যা রহস্য শেষ হওয়ার আগেই আপনার লেখার ও চিন্তার উপকরণ শেষ হয়ে যাবে। -----তাও স্থান বা সংখ্যার ধারণা অসীম। -----আপনি সসীম ও সীমাবদ্ধ ,আপনার অস্তিত্থের তুলনায় তারা অসীম। -----তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন তারা আপেক্ষিক বিষয় ? -----অনেকটা .আচ্ছা বলুনতো এক কে শুন্য দিয়ে ভাগ দিলে কত হয় ?? ------ অসীম ,কেও কেও তাকে সংজ্ঞায়িত করতে চান না -----১০০০ কে শুন্য দিয়ে ভাগ করলে ?? ------একই ------আপনি '' শুন্য '' মানব '' এক '' বা '' এক হাজার '' বা '' অসীম '' কে যেভাবে ভাগ করুন আপনার উত্তর আসবে '' অসীম '' বা অসংজ্ঞায়িত। আপনি যেখানে শুন্য ,সেখানে ১ , ১০০০০, ১০০০০০০.....সব কিছুই আপনার কাছে অসীম বা অসংজ্ঞায়িত।