ফকির লালন সাঁইজীর তিরোধান দিবস ১২৪তম
ফকির লালন সাঁইজীর ১২৪তম তিরোধান দিবস উপল্যেক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়াতে চলে সাধুদের আগম। প্রতি বছরের বাংলা মাসের ১লা কার্তিক থেকে ৩রা কার্তিক পর্যন্ত এই তিরোধান দিবস পালিত হয়। (কোথা আছে রে সেই দীন দরদী সাঁই) এই গানের শিরোনামে নবপ্রাণ আখড়াবাড়ি, লালনের কুষ্টিয়া ছেঁউড়িয়াতে তার ১২৪তম তিরোধান দিবসে গানের মঞ্চ তৈরি হয়। নবপ্রাণ আখড়াবাড়ি প্রতি বছরে এই অনুষ্ঠান পালন করে থাকেন। এবারে ১লা কার্তিক প্রথম দিনে বিকাল ৩টায় নবপ্রাণ আন্দোলনের গানের অনুষ্ঠান শুরু করেন, তারপর সন্ধার বিরতী।
সন্ধার অনুষ্ঠানের জন্য আখড়াবাড়িতে আগর বাতি, মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালী'য়ে সাধুরা একত্রিত ভাবে চাল-পানি সেবা নেয়। ফকির লালন সাঁইজীর ১২৪তম তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে সাধুরা তাকে গানের মধ্যে দিয়ে স্মরণ করে। আস্তে আস্তে সাধু ও লালন অনুসারী ভক্ত বৃন্দুদেরও আগমন ঘটতে থাকে। হারমনিয়াম, খোল, তবলা, ঝুড়ি, একতারা, দোতারা, ও বাশির শুরে মুখরিত হতে থাকে পুরো ছেঁউড়িয়া এলাকা। মানুষ ছুঁটছে গানের মঞ্চে।
নবপ্রাণ আখড়াবাড়িতে গান গাওয়া সবার জন্য উন্মুক্ত। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অখ্যাত অজানা শিল্পীরা যারা সত্যি লালনের গান ভালবেসে চর্চা করেন তারা আখড়াবাড়ির এই মঞ্চে গান গাওয়ার সুযোগ পায়।
ফকির লালন শাহ এমন একজন মানুষ তার পরিচয় এখনো মানুষ যানি না। মানুষের মধ্যে এখন প্রশ্ন আসে লালন ফকির কোথা থেকে এসেছে কি তার পরিচয়। তার পরিচয় আমরা সাধারণত তার গানের ধারা থেকে পাই, তিনি অস্প্রদায়ীক চেতনার তার অসংখ্য চেতনা রেখে গেছেন এই দেশের গানের ধারায়, ও মানুষের মধ্যে তা এখন ছড়িয়ে পড়ছে পুরো বিশ্বে।
ফকির লালন শাহ দেহত্যাগ করেছেন ১২৪ বছর হয়ে চলছে। দিনে দিনে লালান ফকিরের পরিচয় বাড়ছে মানুষের মধ্যে তার গানের ভাবও বাড়ছে। তাই তো হাজারো মানুষের ঢল পড়েছে লালনের ছেঁউড়িয়াতে।
নিজের সম্পর্কে লেখক
উন্নয়ন কর্মী। চিন্তা পাঠচক্রের সঙ্গে যুক্ত।