'পিপড়াবিদ্যা'

মরিবার তরে না, উঁহু, উড়িবার তরে। 'পিপীলিকার পাখা গজায় উড়িবার তরে'।

কোন ছবি দেখার পর মগজে দুই একটা ডায়ালগ,, কয়েকখানা পিকচার ফ্রেম বিঁধে যায়।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ছবি দেখে বেরিয়েছি, হলে যাদের দেখলাম তারা ঘামের গন্ধ বিড়ির খুশবুওয়ালা লোকজন না; অধিকাংশই মধ্যবিত্ত, বয়সে তরুণ। এটা শ্যামলী হল। নতুন। একটি পাগলাটে গোছের খুব স্মার্ট ছেলে তার বান্ধবীর সঙ্গে ছবি দেখে বেরুচ্ছে। আদুরে উচ্চারণে অনুচ্চ স্বরে তর্ক চলছে -- উড়িবার তরে পিপিলিকার পাখা গজায় না, চিরকুটের গানে মরিবার তরে সে ঠিকই শুনেছে; ছেলেটি মানছে না। তর্কটা আরও শুনতে ইচ্ছে হোল। কিন্তু তারা ততক্ষণে আমাদের থুয়ে সামনে এগিয়ে গিয়েছে।

পিপীলিকার পাখা ওঠে উড়িবার তরে। আমরা যা মুখস্থ বলি ও জানি, ফারুকী সেটা নড়বড়ে করে দেয়। এটা জানা ছিল, টাইটেল সং থেকেই শুরু। এখানেও সেটা দেখলাম।

তার চরিত্রগুলোর কথাই ধরা যাক, চরিত্রগুলোকে কোন একটা আগাম তৈয়ারি খাপের মধ্যে ঢুকাতে চাইলে ঢোকে না। ফারুকীর ছবি রঙ্গে রসে আনন্দ দেবার কথা ভোলে না, কিন্তু গল্প ও চরিত্রগুলো দীর্ঘদিন মস্তিষ্ক অধিকার করে রাখে। ভাবায়। এগুলো যে কোন বড় ও শক্তিমান পরিচালকের লক্ষণ। আমার কথায় বিশ্বাস করে লাভ নাই, নিজে দেখুন।

ফারুকী  ভালো ছবি বানাবেন পিপীলিকাগণও কমবেশী এখন সেটা জানে। কিন্তু পিপড়াবিদ্যাই সেই ছবি কিনা, সেটা নিয়ে ভাবা দরকার। অবশ্যই।

আশা করি প্রতিপক্ষের অনুষ্ঠানে আপনারা থাকবেন।
pipRabidya

 


নিজের সম্পর্কে লেখক

কবিতা লেখার চেষ্টা করি, লেখালিখি করি। কৃষিকাজ ভাল লাগে। দর্শন, কবিতা, কল্পনা ও সংকল্পের সঙ্গে গায়ের ঘাম ও শ্রম কৃষি কাজে প্রকৃতির সঙ্গে অব্যবহিত ভাবে থাকে বলে মানুষ ও প্রকৃতির ভেদ এই মেহনতে লুপ্ত হয় বলে মনে হয়। অভেদ আস্বাদনের স্বাদটা ভুলতে চাই না।



ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন


৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।