দ্যা আইডিয়া অফ রিপাবলিক
গত ১৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার চিন্তা পাঠচক্রের আলোচনার বিষয় ছিল ‘দ্যা আইডিয়া অব রিপাবলিক’। আলোচনা করেন মুসতাইন জহির।
মুসতাইন জহির- রিপাবলিক নিয়ে আজকের আলোচনায় আমাদের তাড়িত করেছে সাম্প্রতিক কালের নেপালের ঘটনা। আপনারা জানেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর নেপাল তাদের নতুন সংবিধান প্রণয়ন করছে। নেপাল নিজেকে রিপাবলিক হিসেবে ঘোষণা করেছে। অনেক বলেত পারেন এটা খুবই সাধারণ ঘটনা, আধুনিক রাষ্ট্র তো রিপাবলিক-ই হয়। বাংলাদেশ রিপাবলিক। নর্থ কোরিয়া হল একমাত্র এখনো নিজেকে কমিউনিস্ট দাবী করা দেশ। নর্থ কোরিয়ার নাম কি? ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া। আর দক্ষিণ কোরিয়া হল অনলি রিপাবলিক অব কোরিয়া। চীন বিপ্লব পরবর্তী যে নামটা গ্রহণ করেছে সেটা হল পিপলস রিপাবলিক অব চায়না। একটা কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর রাষ্ট্র বানিয়েছে তার নাম রিপাবলিক? কেন এরকম? আধুনিক জামানায় এখন পর্যন্ত পশ্চিমা চিন্তার বাইরে দাঁড়িয়ে কোন রাজনৈতিক আদর্শের মাধ্যমে বিপ্লব সাধিত হয়ে একটা রাষ্ট্র নিমার্ণ হয়েছে সেটা কি? ইরান। এর নাম কি বলেন? ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান। কেন? ইট ইজ আউট অফ ওয়েস্টার্ণ ট্রাডিশন এন্ড হেজ ইসলামিক আইিডলওজি। তারা কেন রিপাবলিক?
তাহলে আমরা দেখতে পাচ্ছি অলমোস্ট সোশালিস্ট,লিবারেল ওয়েস্টার্ণ ট্রাডিশন, ডেমোক্রেটিক, ইসলামিক-- ইনভেরিয়েবলি দিস ইজ দ্য ফান্ডামেন্টাল আইডেনটিটি অব মডার্ণ স্টেট। কেন? তার বাইরে মধ্যপ্রাচ্যে আছে, যেগুলো হল রাজতন্ত্র। যেসব জায়গায় এখনো কিংশিপ আছে কিন্তু তারা একটা ডেমোক্রেটিক সিস্টেম বজায় রেখেছে। এরকম রাষ্ট্র হচ্ছে- ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড ইজ নট এ রিপাবলিক বাট প্র্যাকটিসিং ডেমোক্রেসি। এশিয়ার মধ্যে আছে জাপান। তাহলে গণতন্ত্র এবং রিপাবলিক কি আলাদা জিনিস? নর্থ কোরিয়ার নামটা আবার মনে করে দেখেন। ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া। তিনটা বিশেষণে বিশেষায়িত একটি রাষ্ট্র। বাংলাদেশের নাম পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ। আমরা পিপলস পর্যন্ত রাখছি। মজার না?
রিপাবলিক এর সাথে পিপলস লাগানোর হিস্টরিকাল একটা কারণ আছে। আমরা উদাহরণে দেখছি রিপাবলিক ধারণাটা ওইসব রাষ্ট্রে দেখতে পাচ্ছি না যাদের কোন না কোন ফর্মে কিং আছে। তাহলে গণতন্ত্রের সাথে রিপাবলিকের একটা স্পষ্ট পার্থক্য আছে। একটা পার্থক্যের রেখা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। পার্থক্য রেখা হল কিং। আজকালকার জামানায় তো গণতন্ত্রের মধ্যেও কিং থাকে কিন্তু রিপাবলিকের মধ্যে কোনো কিং থাকে না। যারা বুদ্ধিমান তারা ইশারাটা ধরেত পারেবন, এর চেয়ে বেশি এখন বলবনা। তাহলে নেপালে রজাতন্ত্রের উচ্ছেদ করে তারা রিপাবলিক করেছে। তারা কিন্তু একটা মনার্কি রাখতে পারত ডেমোক্রেসি প্র্যাকটিস করার জন্য। কিন্তু তারা শুধু ডেমোক্রেসি পেতে চায় নি, তারা রাজতন্ত্রের উচ্ছেদও চেয়েছে। একটা সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের সুযোগ আধুনিক রাজনীতিতে আছে আমরা দেখতে পাচ্ছি। এটা নেপালেও হওয়ার সুযোগ ছিল। বাংলাদেশের দিকে তাকান, আমাদের তো আর রাজতন্ত্র ছিল না যে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। এ প্রশ্ন আমাদের জন্য অবান্তর; কিন্তু নেপালের জন্য একটি বান্তর প্রশ্ন। আমরা দেখতে পাচ্ছি নেপালে রাজতন্ত্র ছিল। নেপালের রাজনৈতিক আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটেছে রাজতন্ত্র থেকে রিপাবলিকে যাওয়ার মাধ্যমে। তাহলে রিপাবলিক কথাটার মানে হল যেখানে রাজতন্ত্র থাকে না, এবং যেখানে রাজাই থাকে না। রাজতন্ত্র থাকা এক জিনিস সাংবিধানিকভাবে রাজার ভুমিকা থাকা আরেক জিনিস। ইউরোপের বহু দেশে এখনো রাজা আছে। রাজা থেকেও সভ্য আধুনিক উচ্চ পর্যায়ের গণতন্ত্র চর্চা করা যায়! তাহলে কি অর্থে নেপালের রিপাবলিক কথাটা বুঝব? যেখানে রাজতন্ত্রের পরিপুর্ণ অবসান ঘটবে। এই অর্থের সুনির্দিষ্টতা আপনারা আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
রিপাবলিক কথাটা আমরা সাধারণত আমাদের দেশে রাজনৈতিক আলোচনায় খুব একটা দেখতে পাই না, যতটা গণতন্ত্রের আলোচনা দেখি। আমরা রিপাবলিক নিয়ে কথা বলি না। আমাদের মনে হয় রিপাবলিক কোন একটা শব্দ বা নাম যেটা কোনভাবে আছে। এর গুরুত্ব- প্রয়োজন অথবা কেন এটা আমরা ধারণ করি এটা আমরা আলোচনা পর্যন্ত করি না। গণতন্ত্র নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। গণতন্ত্রের মানসকন্যা থেকে শুরু করে নাতি-পুতি সবই আছে, গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিচ্ছে। কিন্তু রিপাবলিক কেন? আপনি তো রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেন নাই। নেপালীরা করেছে আমরা দেখেছি। রিপাবলিক আমাদের কাছে আলোচ্য বিষয়-ই হয়না, কিন্তু আমরা নামে অন্তত রিপাবলিক দেখতে পাচ্ছি।
তো, রিপাবলিক বা রিপাবলিকানিজম এই আইডিয়াটা কোত্থেকে আসছে? এবং এটা সুনির্দিষ্টভাবে রাজতন্ত্র কথাটার সাথে কেন জড়িত? এটার আবির্ভাব কোথায়? এবং এটা কেন এত ইম্পর্টেন্ট লাস্টিং ইম্পেক্ট তৈরি করেছে? এটা অলমোস্ট আধুনিক রাজনীতিতে চিরস্থায়ী একটা অবস্থান নির্মাণ করেছে।
আমরা নিশ্চয় একটা বইয়ের নামের সাথে সবাই পরিচিত। আমাদের স্বর্গীয় দর্শনের অধ্যাপক সরদার ফজলুল করিম অনুবাদ করেছেন। প্লেটোর রিপাবলিক। সম্ভবত যে কোন রাজনীতি চিন্তার আলোচনায় রেফারেন্স বইটার প্রথমটা হল রিপাবলিক। সো, এটার সাথে একটা সম্পর্ক আছে নিশ্চয়? গ্রীক চিন্তা থেকে কি রিপাবলিকের ধারণা আসছে? এটা কি গ্রিক নোশন? না। আসলে এটা গ্রীক ধারণা নয়। গ্রীক ধারণা ছিল-পলিস। সিটি স্টেট যেখান থেকে আসছে। নগরকে কেন্দ্র করে স্পার্টা, এথেন্স এগুলো সিটি স্টেট হিসাবে গেড় উঠেছ। সেখান থেকে ধারণাটা আসছে ডেমোস; বা ডেমোক্রেসি।
তাহলে রিপাবলিক কোত্থেকে আসছে? এটা হল রোমান কনসেপ্ট। রোমানদের একটা রাজনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে রিপাবলিকের উদ্ভব ঘটেছে। এক সুন্দরীর নাম আপনারা শুনেছেন-হেলেন, ট্রয় নগরীর। ঐটাতে গ্রীকরা প্রবেশ করার পরে সেখান থেকে তারা চলে গিয়ে ইটালির ল্যাটিয়াম নামক জায়গায় গিয়ে বসতি গড়ে তুলে। রোম নগীর প্রতিষ্ঠাতা রোমুলাস। যেখান থেকে রোম নামটা আসছে। নেকড়ের দুধ খেয়ে দুই ভাই রোমুস এবং রোমুলাস জীবন ধারণ করে। তারা পরবর্তীতে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে লিপ্ত হয়ে একজন আরেকজনকে মেরে ফেলে। কি কারণে? নগরীর ক্ষমতার একটা দ্বন্দ্ব ছিল। রোমুলাস নিজের নামেই শহেরর নামকরণ করে। পরে, রোমুলাসের উত্তরসুরীরা এটা পরিচালনা করত। সেখানে স্লেভসহ বিভিন্ন জায়গার বিতাড়িত লোকজনকে জায়গা দিয়ে বসতি গড়েছে। এর মধ্যে একটা পলিটিকাল সিস্টেম তারা গড়েছে। রোমানরা আস্তে আস্তে ল্যাটিন যে বলয়টা এটাতে প্রভাব বিস্তার করে এবং এম্পায়ার গড়ে ওঠে। এম্পায়ার হওয়ার আগের কথা বলছি যখন কিংশিপ ছিল। সর্বমোট সাতজন রাজা শাসন করেছে, সর্বশেষ ছিল টারকুইিনয়াস সুপারবাস, যে এতই স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে উঠে যে এটার বিরুদ্ধে তখন রিভোল্ট হয়। তারা কিংশিপ থেকে রিপাবলিকান একটা ব্যবস্থা নির্মাণ করে।
ঐ সময় এটার আবির্ভাব ঘটে। রোমের দুইটা প্রধান শ্রেণী ছিল পেট্রিসিয়ান আর প্লেবিয়ান: যাদেরকে নিয়ে এ ব্যবস্থাটা প্রতিষ্ঠিত হয়। পেট্রিসিয়ানদের নিয়ে প্রধানত গঠিত হত সিনেট। পেট্রিসিয়ান শব্দটা আসছে পেট্রা থেকে; পেট্রা শব্দটার সাথে পেট্রিয়ার্কি শব্দটা জড়িত যেটা আমরা চিনি পুরুষ হিসাবে। এটা আসলে পুরুষ না, পিতৃতান্ত্রিক হবে। অর্থাৎ ফ্যামেলি হেড। গোত্র বা ফ্যামেলি থেকে এটা আসছে। রোমে তখন যে প্রধান প্রধান পরিবারগুলো ছিল তাদের যে হেড বা ফ্যামেলি সে ফ্যামেলিগুলোকে নিয়ে একটা সিস্টেম ডেভেলপ করা হয়। এটাতে যারা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন তাদেরকে বলা হয় পেট্রিসিয়ান। প্রধান পরিবারগুলোর নিচে ছিল সাধারণত কৃষক। এর মানে এই না যে পেট্রিসিয়ানরা কৃষক ছিল না। কিন্তু সাধারণ কৃষক, গরীব, লেবারার, বিজনেসম্যান, ট্রেডার এবং তারও নিচে যারা ছিল এরাও কিন্তু স্বাধীন ছিল । এরা ছিল প্লিবস বা এখনকার ভাষায় যাদেরকে বলে- আম। আমেরও নিচে হল স্লেভস।
এই সিনেটরিয়াল যে সিস্টেম এর পলিটিকাল স্ট্রাকচার ছিল সিনেট কালেকটিভলি কতৃত্ব করে। এটা কিন্তু গ্রীক নোশন থেকে ভিন্ন; গ্রীসে হচ্ছে ডেমোসের ধারণা। এখানে একটা কালেকটিভ অথরেটির দ্বারা সিস্টেম পরিচালিত হয়। এই সিনেটে যারা নির্বাচিত হবেন তারা এখান থেকে আসেন। এখানে সিনেটরা চূড়ান্ত ডিসিশন নেয়। তিনটা প্রধান উপাদানের একটা সন্নিবেশিত ব্যবস্থা বলা যায় এটাকে: মেজিস্ট্রেট, সিনেট এবং কনসিলিয়াস প্লেবিস। প্লিবিয়ানদের যে কাউন্সিল। আপনারা জানেন যে ইউরোপে রেনেসাঁসকাল সময়ে যে নতুন সময়ের সুচনা ঘটেছে, রোমান ট্রাডিশনকে পুনর্জীবিত করা হয়েছে। ঐ সমেয়র ইম্পর্টেন্ট পলিটিকাল সাইনটিস্ট হল নিকোলো মেকিয়াভেলি। রোমান পলিটিকাল থিংকার হিসেবে একজনের নাম আমরা জানি, সিসেরো। সিসেরো নিজেও ছিলেন একজন সিনেটর।
রোমে এই যে সিনেটরিয়াল সিস্টেম ডেভেলপ করল, সেখানে সিনেট প্রথম একটা ইম্পর্টেন্ট নোশন নিয়ে আসল। সেটা হচ্ছে একটা ইন্সটিউশন এন্ড কালেক্টিভ অথরেটি। যার দ্বারা তারা পরিচালিত হবে। এন্ড প্র্যাকটিস অফ দ্য সিনেট ইজ এ ফানডামেন্টাল পার্ট অব রিপাবলিক। বাট হোয়াট ইজ রিপাবলিক ইটসেল্ফ? এখানে পাবলিকের জায়গাটা কোথায়, মানেটাই বা কি? খেয়াল করার বিষয় এখানে কিন্তু পিপল বলা হচ্ছে না, এটা পাবলিক। ল্যাটিনে রিপাবলিক মানে রেস পাবলিকা। এটা কিন্তু গ্রীকদের মত, রাজার বদলে নিজের শাসন নয়। একটা পলিটিকাল স্ফেয়ার তৈরি করা, যার মধ্য দিয়ে অপরের সাথে সম্মিলন, সকলে মিলে সমবেত হওয়া এবং নিজের স্বর ও উপস্থিতি দৃশ্যমান রাখার জায়গা থাকা,সেটা হল রিপাবলিক। ইংরেজি অনুবাদে পাবলিক রেলম বা পাবলিক স্ফেয়ার। ঐতিহাসিক উদাহরণ থেকে দেখা যাচ্ছে, রোমান পাবলিক স্ফেয়ারের মধ্যে ইনক্লডেড হচ্ছে সিনেটর যারা পেট্রিসিয়ান। সিনেট আইনি এবং রাজনৈতিক বিষয়ে যে সকল সিদ্ধান্ত নেয় সেটাতে প্লিবসদের প্রতিনিধিত্ব নাই। বাট দিস ইজ অলসো কালেকটিভ সিস্টেম। এটার সাথে পার্লামেন্টকে মিলিয় ফেলা যাবে না। একটা কালেকটিভ অথরেটি দ্বারা এটা চালিত। সিনেটররাও কিন্তু ইলেকটেড হতেন। প্রশাসনিক বা আমরা যাদেরকে নির্বাহী র্কমকতা বলি তারাও নিয়মিত প্রতি বছর নির্বাচিত হতো। ম্যাজিস্ট্রেসির মধ্যে সর্বোচ্চ পদ ছিল কনসাল। সিনেটের মাধ্যমে অনুমোদিত হতেন কনসাল। কনসাল ছিলেন চিপ এক্সিকিউটিভ। দুইজন এক্সিকিউটিভ তারা নির্বাচন করত। কনসালের আন্ডারে ছিল প্রেইটর। প্রেইটরের আন্ডারে ছিল এ্যডিল তারপর কোয়াএস্টর। প্রত্যেকেরই একটা টেনিউর দ্বারা পদায়ন সীমায়িত ছিল এবং অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে প্রেটর হত প্রেটর থেকে কনসাল, কনসাল হয়ে সিনেটর হত এরকম একটা সিস্টেম ছিল। সেখানে সিনিয়রিটি ছিল খুব গুরুত্বপুর্ণ একটা হায়ারার্কি।
যে কোন পাবলিক ইস্যু বা পলিসি সিদ্ধান্তের জন্য সিনেটের কাছে যেতে হত, সিনেট তখন এটা নিয়ে আলোচনা করত। ওপেন পাবলিক ডিসকাশন হোত। সিনেট কালেকটিভলি একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হতেন। তো এটাই হল আদি ধারণা, এখানে সম্মিলিতভাবে একটা পাবলিক অথরেটি পাবলিক ডিসকাশনের মাধ্যমে পাবলিক এফেয়ার্সের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। এই জন্যই তারা সর্বোচ্চ অথরেটি। এন্ড দে ইলেকট কনসাল বাট দ্য কনসাল ইজ আন্ডার দেয়ার অথরেটি।
এখন এই অংশটা যে সিদ্ধান্ত নিতেন তা সমাজের আরেকটা অংশ যারা প্লিবস তাদের স্বার্থ প্রতিফলিত ও সুরক্ষিত করছে না। ফলে কনফ্লিক্ট অব দ্য অর্ডার নামে একটা সময়কাল গিয়েছে ৫ম থেকে প্রায় ২য় খ্রিস্টপুর্ব শতক পর্যন্ত। এ সময়ে কিছু ওয়েলদি প্লিবস সাধারণ প্লিবসদের মোবিলাইজ করা শুরু করল। ৪৯৪ খ্রিস্টপুর্ব সনে তারা পুরো রোম ঘেরাও করলেন। তাদের ঘেরাওটা ছত্রভঙ্গ করার জন্য সিনেট মিলিটারি ডাকল। কিন্তু তবু তারা ঘেরাও তুলল না; দাবি জানাতে থাকল যতক্ষণ না এডমিনিসট্রেশন অর্থাৎ ম্যাজিসস্ট্রেসির মধ্যে তাদের ইন্টারেস্ট প্রটেক্ট করার জন্য প্রতিনিধি রাখার সুযোগ দেওয়া হয়। সিনেট সেটা মেনে নিতে বাধ্য হলেন। সেখানে থেকে আসছে তাদের প্রতিনিধি যেটা ছিল-ট্রিবিউন। মেজিস্ট্রেট, প্রেটর যখন কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন ট্রিবিউনরা তখন প্লিবসদের ইনডিভিজুয়াল রাইট ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কিনা সেটা দেখতেন, ভেটো দিতেন। এখানে আমরা প্রথম পেলাম সিভিল রাইটস প্রটেকশন। মনে রাখতে হবে এরা সবাই কিন্তু রোমান নাগরিক এবং এদের সবারই অধিকার স্বীকৃত। লড়াইটা হচ্ছে রাইট প্রটেক্ট করা নিয়ে।
তাহলে নেচার অব দিস ইনক্লুশনটা কি? এটা কিন্তু ডেফিনেটলি একটা এক্সটেনশন, যেখানে প্লিবসদের ইনক্লুড করা হয়েছে। তাদের কিছু স্বার্থ এবং অধিকার সুরক্ষার আইনি স্বীকৃতি আসছে এবং প্রশাসনের কিছু জায়গায় তাদের প্রতিনিধিত্ব রাখা হয়েছে। দিস ইজ এ লিগাল প্রটেকশন, নট ইয়েট এ ফুল্লি পলিটিকাল পার্টিসিপেশন। এই যে পাবলিক রেলমের মধ্যে সিনেটররা যেরকম একত্রিত হয় তার অথরেটি আছে সে ডিসাইড করে এবং সে ডিলিগেইট করে স্টেটের কোন এক্ট সে গ্রান্ট করবে অথবা রিজেক্ট করবে, এরা কিন্তু তা করতে পারে না। তাহলে তারা এখনো পলিটিকাল অথরিটির মধ্যে ইনক্লুড হতে পারল না। তার ওপর দেখা গেল তাদের সব সমস্যারও সমাধান হচ্ছিল না। কারণ তারা নিজেরা ডিসিশন মেকার না। একটা ডিসিশন হলে তারা ইন্টার্ভেইন করতে পারে, ভেটো দিতে পারে অথবা আটকে দিতে পারে। কিন্তু নিজেদের সিদ্ধান্ত তারা নিজেরা নিতে পারছে না। কোন পলিটিকাল পার্টিসিপেশন ছাড়া নিছক আইনি স্বীকৃতি দিয়ে এটা করা সম্ভব না।
আইন সুরক্ষাবাচক একটা জায়গা তৈরি করে। আইনের মাধ্যমে কোন অধিকারের স্বীকৃতি এবং সে অধিকার রক্ষার একটা জায়গা তৈরি করা যায়। কিন্তু আইন ইটসেলফ পলিটিকাল যে পার্টিসিপেশন এটাকে জায়গা করে দিতে পারে না। কালেকটিভ এফেয়ার্সে তো বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কোন কোন বিষয়ে যারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তারা আপনার কিছু কিছু অধিকার লঙ্ঘন করতে পারবেন না, এটা আপনি আইনি অধিকার দ্বারা রক্ষা করতে পারবেন। কিন্তু আপনি ডিসিশন মেকিং প্রসেসে অংশ নিতে পারবেন না। কেউ ডিসিশন নিচ্ছে সেটা আপনার জন্য ন্যায়ানুগ না হতে পারে, আপনার অধিকার সেখানে লঙ্ঘিত হতে পারে। সবচেয়ে বড় বিষয় হল আপনার নিজের প্রয়োজনে নিজে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সিদ্ধান্তটা আপনি কখনোই নিতে পারছেন না। ইউ আর পার্ট অব ইট বাট কান্ট টেক পারট ইন ইট; দ্যাসট্ হোয়াই পারটেকিং ইজ এসেনশিয়াল আদারওয়াইজ ইউ মাইট বি ইনক্লুডেড বাট নট রিপ্রেজেন্টেটেড।
এ প্রবলেমের ফলে আবার কনফ্লিক্ট শুরু। এখানে থেকে প্লিবিয়াস কনসিলিয়াস এর আবির্ভাব। প্লিবসরা নিজেরা এসেম্বেল করতে পারবে যেখান থেকে আমরা এখন এসেম্বলি কথাটা বলি। এখানে আপনি সমবেত হতে পারবেন। এটা পাবলিক এসেম্বলি। এটাকে তখন স্বীকৃতি দেয়া হল। একটা সময় গিয়ে তারা এটাও ডিসাইড করল যে প্লিবসদের যে কাউন্সিল সেটাতে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সেটা পেট্রিসিয়ানসহ সকলের জন্য প্রযোজ্য। দিস ইজ দ্য পলিটিকাল পার্ট। পলিটিকাল ইনক্লুশনের জায়গাটা যে প্যাটার্ন অব পলিটিকাল ইভোলিউশানের মধ্যে দিয়ে হয়েছে সেটা রিপাবলিকান সিস্টেমের মধ্যে এসে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রুপ লাভ করেছে। একটা ডিভিশনের মধ্য দিয়ে হয়েছে, সিনেট থেকে শুরু, স্টিল দে হেভ দ্য অথরেটি। সুপ্রিম অথরেটি তাদের কিন্তু এর মধ্যে প্লিবসদেরও পাওয়ার আছে।
মডার্ন স্টেটগুলোর কেউ এই দুইটা জিনিস নিয়েছে কেউ নেয় নাই। কেউ জাস্ট পার্লামেন্টারি সিস্টেম করেছে কেউ সিনেট এন্ড কংগ্রেস এ দুটো করেছে। মোটা দাগে দেখা যায় যে যারা ফেডারেল সিস্টেম করে তারা ফেডারেল ব্যবস্থাটার রিপ্রেজেনটেটিভ রাখে সিনেটকে আর একটা কমন যেটাকে ইন্ডিয়াতে বলে লোকসভা। নেপালেও আমরা দেখছি তারা একটা ফেডারেল ব্যবস্থা করেছে আন্ডার রিপাবলিক। কিন্তু রোমে কোন ফেডারেল ধারণা ছিল না। ফেডারেল ধারণাটা আসছে আমেরিকান রেভুলেশন থেকে।
রোমানদের সিটিজেনশিপের ধারণার আলাদা বিশেষত্ব ছিল। এটা এথেন্সে এবং গ্রিকে ছিল বাউন্ডেড, সিঙ্গেল সিটি ওরিয়েন্টেড। রোমে প্যাক্সরোমানা বলে একটা ধারণা ছিল। প্যাক্স মানে হল পিস ট্রিটি। তাদের আশে পাশে যারা ছিল তাদের সাথে একটা নেগোশিয়েটেড ট্রিটি করত। তার মধ্যে পরস্পর পরস্পরের মিত্র হবে এবং একে অপরকে সহযোগিতা করবে। সে যখন চাইবে যখন কোন যুদ্ধে যাবে তাকে সৈন্য পাঠাতে হবে। তার বিনিময়ে তাকে সে নিরাপত্তা দিবে। অনেকের ক্ষেত্রে তখন সিটিজেনশিপ দিয়েছে, যে তারাও রোমান সিটিজেন। এটা ছিল রোমের একটা বৈশিষ্ট্য। এ বৈশিষ্ট্যের কারণে যেটা হয়েছে রোম একটা মিলিটারি এডভেঞ্চারের দিকে গেছে। এথেন্স বা গ্রিকে তাদের নিজেদের সৈন্য দ্বারা নিজেদের মিলিটারি ক্যাম্পেইন মোবিলাইজ করতে হত। এটার কারণে রোমের এক্সপানসান মুভমেন্ট অনেক বেশি স্ট্রং হয়ে ওঠেছিল। রোমের এম্পায়ার হয়ে ওঠার একটা প্রধানতম শক্তির জায়গা বলা হয় এটা। সম্পর্কের জায়গাটা ট্রিভিউটারি সিস্টেম ছিল না, তাদেরকে এক ধরনের লিগাল ইকুয়ালিটি দেয়া হয়েছিল ফলে এটার সাথে তারা এফিলিয়েটেড বোধ করত এবং একইসাথে তাদের সামরিক সুরক্ষার একটা জায়গা ছিল। আস্তে আস্তে এর পরের ধাপে যখন গিয়েছে অনেককে তারা কিন্তু সিটিজেনশিপ দেয় নি। অনেকের কাছ থেকে আবার ট্রিভিউট নিয়েছে পরে। এ সম্পর্কটা এক দিকে মিলিটারি এডভেঞ্চারিজম ছিল কিন্তু মিলিটারি কমান্ডার এবং লিডার সিনেট ডিসাইড করত। সবসময় যে কনসালকে করা হত তা না, ইন্ডভিজুয়াল যারা সিনেট ছিলেন এক ধরনের মিলিটারি এডভেঞ্চারিস্ট যারা ছিলেন তারাই মূলত সৈন্য-সামন্ত তৈরি করতেন। আলাদা করে রাষ্ট্রীয় কোন বাহিনী ছিল না।
সিনেটর তো সবাই; তাহলে সেখানে হায়ার্কি কিভাবে নির্ধারণ করা হত? একটা হচ্ছে কার কত বেশি পুর্ব পারিবারিক ঐতিহ্য আছে সেটার ওপর তার ডিগনিটি নির্ভর করত। ডিগনিটি হল র্যাঙ্ক-কার মর্যাদা কেমন। সবাই তো সিনেটর কিন্তু সেখানে কে সবচেয়ে বেশি মর্যাদাবান হবে? এটা খুব গুরুত্বপুর্ণ একটা জিনিসের সাথে জড়িত ছিল। সেটা হল এই যে পাবলিক ভার্সু(virtue) পাবলিক পলিটিকাল একশন দ্বারা অর্জন করতে হয়। আপনার পুর্বপুরুষ যদি কেউ করে থাকে সেটা যেমন আপনার ঐতিহ্য আপনাকেও সেটা করতে হবে। ফলে প্রত্যেকটা ব্যক্তির চেষ্টা ছিল এটা অর্জন করা। রিপাবলিকের জন্য যে কিছু করেছে তারই এটা অর্জন সম্ভব। ঐটাই সবাই চেষ্টা করত। কন্টিনিউয়াসলি এটা চর্চা করার মধ্যে দিয়ে তারা তাদের ডিগনিটিটা অর্জন করার চেষ্টা করত। এটাই হল তার ফান্ডামেন্টাল সিভিক ভার্সু(virtue)। এই জন্য বলা হয় যে পলিটিক্স ইজ দ্য হাইয়েস্ট ভার্সু। ঐখানে আপনি আপনার একশন দ্বারা এমন কিছু করতে হবে যার মাধ্যমে সকলের প্রশংসা, খ্যাতি এবং গৌরব অর্জন করেন। এটাকে বলা হয় গ্লরিয়া। হোয়াট ইজ গ্লোরিয়াস? হু ব্রট সাম গ্লরি বাই ডুইং সামথিং ফর রিপাবলিক। তাকে নিয়ে গৌরব করা যায়। কাকে নিয়ে গৌরব করেন? সাধারণত আপনারা বীরদের নিয়ে গৌরব করেন। বীরত্বটা ছিল সবচেয়ে বড় গৌবরজনক ভার্সু। তবে এটা খালি যুদ্ধক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ ছিলনা। যারা উভয় ক্ষেত্রে সফল এবং সমানভাবে রিপাবলিকের জন্য নিজের দায়িত্ব পালন করেছে, তারাই হত সম্মানের দাবিদার। এজন্য বলা হয়, আই হ্যাভ সাভর্ড দ্য রিপাবলিক ইন ওয়ার এন্ড পিস।
একটা সময়ে গিয়ে দেখা গেল সবার মধ্যে এটাই হয়ে গেছে প্রধান প্রতিযোগিতার জায়গা। যেহেতু এরাই মিলিটারি কন্ট্রোল করত, একটা ভিক্টোরিয়াস অভিযানের পরে সে যখন রোমে আসত তখন ট্রায়াম্পাল প্রসেশন করতে চাইতো। অনেক ক্ষেত্রে সিনেটরদের জন্য এটা প্রবলেম হয়ে যেত। এখানে পাওয়ার এন্ড অথরেটির কনফ্লিক্টটা এরাইজ করা শুরু করল। সবচেয়ে বড় এরকম যে কয়েকজনের সাথে ঘটেছে তার একজন হচ্ছেন জুলিয়াস সিজার। তাকে সিনেটররা রোমে ঢুকতে দেয় নাই। তিনি বিজয়ী হয়েছেন পরে সম্রাট হয়ে নিজেকে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী করে তোলেন,পরিণামে তাকে আবার তাকে হত্যা করা হয়। এ ব্যাপারগুলোতো আপনারা জানেন সেদিকে না যাই।
এ রকমের কোন সংকট দেখা দিলে সিনেট কি করত? এরকম সিরিয়াস ক্রাইসিসে কাউকে সিঙ্গেল কনসালের ক্ষমতা দেয়া হত। ছয় মাসের জন্য এটা করা হত। আপনারা একটা শব্দের সাথে পরিচিত-ডিক্টেটর। ইট ওয়াজ এ লিগাল এন্ড পলিটিকাল এরেজমেন্ট ইন রোম। তারা ডিক্টেটর এপয়েন্ট করত ছয় মাসের জন্য। দিস ইজ দ্য কনসেপ্ট অফ ইমার্জেন্সি। পরবর্তীতে দেখা গেল যে ডিকটেটরিয়াল এ প্রভিশনটাকে মিস ইউজ করা শুরু করল এবং ছয় মাস অতিক্রম করার পরেও এটাকে কন্টিনিউ করল। যেখান থেকে একটা নোশন আসছে পারপেচুয়াল ডিকটেটরশিপ। যখন এরকম একটা সর্বময় কতৃত্ব এবং ক্ষমতা কেউ কন্টিনিউ করা শুরু করল। সিনেট আর তার ওপর নিয়ন্ত্রণ করার জায়গা হারিয়ে ফেলল। এটা হতে হতে একটা জায়গায় গিয়ে রিপাবলিকান ব্যবস্থাটাই খোদ ভেঙ্গে পড়ে। রোমের এই অভিজ্ঞতার জায়গা থেকে যে নোশনটা পরবর্তীতে আসল সেটা হচ্ছে ইন্ডিভিজুয়াল এক্সিকিউটিভ পাওয়ার ইন্সটিটিউশনাল পাওয়ারের মধ্যে এমন ধরনের ব্যালেন্স লাগবে যেটাকে বলা হয় চেক এন্ড ব্যালেন্স। এ ধারণাটা আমেরিকানরা প্র্যাকটিস করেছে। তো, আমরা বাংলাদেশে যে পারপেচুয়াল ডিকটেটরশিপের একটা জায়গা তৈরি করে ফেলেছি সেটা নিশ্চয় আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু, ভয়ে হয়ত অনেকে বলতে সাহস করছেন না। এখান থেকে বের হবার রাস্তা খুঁজে পেতে, রিপাবলিকের এইসমস্ত ধারণাগুলো আলোচনা করলাম।
শেষ করা আগে অন্য একটা প্রসঙ্গ বলে রাখি। ৩১২ ঈসায়ী সনে রোম সম্রাট কন্সটান্টিন যিশু খ্রিস্টের ঈসায়ী ধর্ম কবুল করেন। তার কিছুদিন পরে একটা বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে রোম পড়ে। রোমানদের কিন্তু স্টেট রিলিজিয়ন ছিল। তারা সবসময় দৈবে বিশ্বাস করত। তাদের আবার একটা লিবারেল এপ্রোচ ছিল। তারা যে কোন দেবতাকে গ্রহণ করে ফেলতেন। দেবতাদের আশির্বাদ থাকাটা তাদের জন্য খুব গুরুত্বপুর্ণ ছিল। খ্রিস্টিয়ানিটি আসার পরে তারা তাদের পুরোনো দেবতাদের ত্যাগ করতে হল, বিপযর্য়ের পর অনেকে ভাবা শুরু করলেন এটা বুঝি আশির্বাদ থেকে বঞ্চিত হবার ফল। এ সময়ে এসে আবার প্রি-খ্রিস্টিয়ান ভ্যালুজ, রোমান ট্র্যাডিশনের প্রতি একটা ঝোঁক তৈরি হয়। এ সময়ে একজন আফ্রিকান খ্রিস্টিয়ান তার নাম হল অগাস্টিন অব হিপ্পো যাকে আপনারা সেইন্ট অগাস্টিন নামে চিনেন, অগাস্টিন তখন একটা চ্যালেঞ্জ নিলেন। তিনি গ্রিক ও রোমান পলিটিক্যাল এন্টারপ্রাইজ থেকে উৎসারিত, সিটি স্টেট যে ভার্সু দ্বারা চালিত এটাকে এটাক করলেন। সিরিয়াস ফিলোসফিক্যাল এটাক। তার বইটার নাম হল সিটি অব গড। ইট ইজ এ ডিরেক্ট কনফ্রনটেশন এন্ড ফার্স্ট সিস্টেমেটিক এটাক অন রোমান রিপাবলিকান ভ্যালুজ এন্ড ভার্সু ফ্রম এ খ্রিস্টিয়ান থিওলজিকান পজিশন। এখান থেকেই আসে যে ওয়ার্ল্ডিনেস এন্ড ওয়ার্ল্ডি এফেয়ার্স এবং এর মধ্যে যে গ্লরি, ভার্সু এবং ডিগনিটাস এটা শুধুমাত্র ইহজগত কেন্দ্রিক হতে পারেনা। এট দ্য সেইম টাইম ইট ইজ এ কোয়েশ্চেন অব এপিসটেমলজি, ডিফারেন্ট এথিক্স এন্ড রিলেশনশিপ।
এতক্ষণ আমরা গ্রেকো-রোমান ঐতিহ্যের বরাতে যে আলোচনা করলাম এটা পুরোটাই দুনিয়াবি অর্জন, গৌরব, সম্পর্ক এবং মুল্যবোধের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে। অবশ্য অগাস্টিনকে আবার প্রমাণ করতে হয়েছে সিটি অব গড প্রতিষ্ঠার যে ডিভাইন প্রভিডেন্স সেখানে রোম কিভাবে জায়গা পায়। সে দিকে আজকে আমরা না যাই। আমি শুধু এ কথাটা বলার জন্য এত কথা বললাম যে রোমান পলিটিকাল নোশনটা পরবর্তীতে সিরিয়াস পলিটিকাল এন্ড থিওলজিকাল ডিসকাশনে প্রবেশ করেছে। পরবর্তীতে দেখা গেছে পলিটিক্যাল ভার্সু, ভ্যালুজ, রিপাবলিকান এ জিনিসগুলোর ক্রম অবসান ঘটে আস্তে আস্তে এটা খ্রিস্টিয়ানাইজ চার্চ বেইজড সোসাইটি এন্ড সিস্টেমে রূপান্তরীত হয়েছে। যেটাকে বলা হয় লাইফ ইজ অরগানাইজড বাই এন্ড ইউদিন লিটারজিক্যাল প্রাকটিস। এটাকে বলা যায়, কমপ্লিট ডিজএপিয়ারেন্স এন্ড লস্ট অব পলিটিক্যাল স্পিয়ার এজ ওয়েল এজ ইমাজিনেশ। আমরা ইসলামের ইতিহাসে, যেটাকে ক্লাসিক্যাল পিরিয়ড বলা হয়, এর সাজুয্য দেখতে পাব। আ স্লো ডিজএপিয়ারেন্স অব পলিটিক্যাল স্পিয়ার এন্ড অরগানাইজিং কমিউনিটি বাই একসেসিভলি রিলাইং অন লিটারজিক্যাল প্রাকটিস।
পরবর্তীতে আবার মডার্ন পলিটিকাল রেভুলেশনের পরে রোমান জিনিসগুলা তুলে নিয়ে আসার চেষ্টা হয়েছে। এটা নট নেসেসারিলি এজ ইট ইজ রোমের পুনরুত্থান ঘটেছে। ডেফিনেটলি খ্রিস্টান যে ট্রান্সফোর্মেশন হয়েছে তার মধ্যে দিয়েই সেটা আসছে। সো মডার্ন ওয়ার্ল্ড ইজ নট ডিরেক্টলি এন আউটকাম অর এ প্রডাক্ট অব খ্রিস্টিয়ানিটি এ্যালোন। এন্ড মডার্নিটি ক্যান নট বি এক্সপ্লেইনড এডিকুয়েটলি ইফ উই জাস্ট পারোকিয়ালাইজ সিকুয়েনন্সিয়াল হিস্টরিক্যাল নোশন দ্যাট ইট ইজ নাথিং বাট ইভলিউয়শন এন্ড ডেভেলপমেন্ট অব খ্রিস্টিয়ানিটি ইন ডিফারেন্ট ম্যানার।
রিপাবলিক কথাটার পুনরাগমন –পুনর্বাতা পৌঁছানোর জন্য আজকে আলোচনাটা করেছি। বাংলাদেশ নামের সাথে যে একটা রিপাবলিক আছে সেটার তাৎপর্য যাতে আপনারা ধরতে পারেন। সারমর্মে রিপাবলিকের ফান্ডামেন্টাল নোশনগুলো হল: পাবলিক এফেয়ার্স, পাবলিক রেলম, কালেকটিভ অথরেটি, কালেকটিভ ডিসিশনস এন্ড রানিং এ গভর্নমেন্ট আন্ডার দ্য পাবলিক অথরেটি। নট এ রুল বাই ডেমোস অর মেজরিটি। সাথে হচ্ছে, পলিটিকাল একশন রিকয়ারস কালটিভেটিং এন্ড নারচারিং সারটেইন পাবলিক ভ্যালুজ। এখন সেটা কি গ্লোরি হবে? রোমান ডিগনিটাস হবে, নাকি হিউম্যান ডিগনিটি হবে? নাকি অন্য কিছু হবে, সেটা ভিন্ন আলোচনার বিষয়।