সাধারন জীবন যাপনে দেশীয় সংস্কৃতি

আমাদের জীবন যাপনে দেশীয় সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে চলাটা আজকের এই সময়ে অত্যন্ত কঠিন। তার কারণ গুলোর মধ্যে একটি হলো নির্বিচারে পাশ্চাত্য সংস্কৃতিকে গ্রহন করাটা। আরো বিপত্তি ঘটাই আমরা, যখন এই সংস্কৃতির ভিত্তিতেই স্ট্যান্ডার্ড, সাব- স্ট্যান্ডার্ড এবং below standard এর মানদন্ড দাঁড় করাই। কারণ, তখন আমরা নিজের স্বকীয়তার চাইতে অনুকরণের দিকে বেশী মনযোগী হয়ে পড়ি। ঔপনিবেশীক চিন্তার চর্চার মধ্যে এই ধরণের প্রবণতাটা অনেকবেশী দৃষ্টিগোচর হয়। শ্রেনীর দিক থেকে সমাজের মধ্যে যারা ক্ষমতা চর্চার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত তারাই এই চিন্তার ও চর্চার ধারক ও বাহক। বাংলাদেশে যে শ্রেনী বিগত ৩৮ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে অভিজাত হয়ে উঠেছে তাদের মাঝেই আমরা এই "হাইব্রীড সংস্কৃতি" দেখি। সমাজের লুটেরা বলতে যা বোঝায় এরা তার চেয়ে বেশী কিছু নয়। গত ৩রা অক্টোবর, ঢাকা ক্লাবে লুঙ্গি পরা নিয়ে যে ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে তাতে সংস্কৃতিমনা যে কেউ এতে বিক্ষুদ্ধ হবেন। কিন্তু এই হাল শুধু ঢাকা ক্লাবই নয় এই রাষ্ট্রের সব জায়গায়। সুপ্রীম কোর্ট এর ভাষা ইংরেজী! তাই স্বভাবতই, এই লড়াই শুধু ঢাকা ক্লাব এর সাথে নয় নিজের সাথেও বটে। এটা নিপীড়ক রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও। অভিজাত শ্রেনী যে রাষ্ট্রকে তাদের স্বার্থে ব্যবহার করছে তার বিরুদ্ধে।


নিজের সম্পর্কে লেখক

student



ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন


৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।