রাজশাহীর বুটিক গুলোর বেহাল অবস্থাঃ
আমরা কমবেশী সবাই হাতে তৈরী জিনিস দেখেছি এবং ব্যবহারও করে থাকি।ঠিক বাংলাদেশে বড় একটি বাজার করে নিয়েছে বিভিন্ন ফ্যাসন হাউজ গুলো। এই সব বুটিক হাউজ গুলোতে ছেলেদের পান্জাবী, ফোতুয়া এবং মেয়েদের থ্রি-পিছ,টু-পিছ,ওয়ান-পিছ,বেড কাভার কুশনকাভার ইত্যাদি অতিব প্রয়োজনীয় জিনিস এখানে পাওয়া যায়।এ সকল বুটিক হাউজ গুলো দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাইরের দেশে তাদের পন্য রপ্তানি করছে। এবার একটু লক্ষ্য করে দেখবেন যে গত রোজার ঈদ এ বিভিন্ন বুটিক হাউজ বেশ ভাল ব্যবসা করেছে। যাদের এই ক্ষুদ্র উদ্দ্যক্তাদের সাথে পরিচয় আছে তাদের সাথে কথা বললে আপনি বুঝবেন তার পরও তার খুব একটা ভাল সময় পার করছে না। কারন একটাই তার কোন ব্যাংক থেকে কোন প্রকার ক্ষুদ্র লোন পাচ্ছেনা। কিন্তু দেশের প্রতিটি ব্যাংকে মহিলাদের জন্য ক্ষুদ্র উদ্দ্যক্তা লোন চালু আছে। আমার এমন একাধিক বুটিক ব্যবসায়ীদের সাথে মত বিনিময় হয়েছে। তারা ছোট ব্যবসাকে একটু বড় করতে চাই কিন্তু কোন ব্যাংক তাকে লোন দিচ্ছে না। সে রকম একটি বুটিক যার নাম স্বপ্ন রং বুটিক। এই বুটিক বিভিন্ন ব্যাংকে লোন পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করে। প্রায় অধিকাংশ ব্যাংক সেই প্রতিষ্ঠানকে একটি তার ব্যাংকে কারেন্ট এ্যাকাউন্ট ওপেন করতে বলে ও লেনদেন অব্যাহত রাখার কথা বলে। কিন্তু তারা কোন লোন পায় না। তাহলে দেশের যে বুটিক হাউজ গুলো আছে যারা ব্যবসা করবে বলে কিছু পুজি বিনিয়োগ করেছে তারা আজ চরম বিপাকে পড়েছে। তাদেকে দেখার মত বা তাদের কথা শোনার মত কেউ নেই। আমি আজকে এই বিষয় সম্পর্কে লিখবার প্রয়োজন মনে করলাম। কেননা একটি দেশ তখন উন্নত দেশে রুপান্তরিত হতে পারবে যখন সে দেশের প্রতিটি নাগরিক তারা তাদের কাজের নিশ্চয়তা থাকবে। আজকে গ্রামের হতদরিদ্র পরিবার এই বুটিক হাউজের কাজ করে তার জিবিকা নির্বহ করে যদি এই বুটিক হাউজ গুলো এই ক্ষুদ্র লোন না পেয়ে তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেয় তাহলে একাধারে কত মানুষ জিবিকা হারাবে তার ইয়ত্তা নেই। তাই বলব উদ্যক্তা তৈরী করে দেশকে স্বলম্বী করি উদ্যক্তা নষ্ট করে কখনও যা সম্ভব নয়। বাংলাদেশে নারী উদ্যেক্তা বিভিন্ন বুটিক হাউজগুলো। যারা সারা বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করছে। তাদের পাশে অবশ্যই আমাদের সরকার দাড়াবেন এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।