'ক্রুসেড, জেহাদ ও শ্রেণি সংগ্রাম'
মোহাম্মদ রোমেল অনেক পুরানা কথা মনে করিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ রোমেল। বিশ্বব্যাপী অত্যাসন্ন সংকট মাথায় রেখে প্রগতিশীল রাজনীতির কর্তব্য নিয়ে আমার নিজের সঙ্গে নিজের নিরাপোষ সংগ্রাম – যা ছিল কঠিন ও আত্মক্ষরণে রক্তাক্ত -- অথচ সৎ ও পর্যালোচনামূলক চিন্তার দ্বারা তাড়িত -- তারই একটি দলিল এই সেমিনার।
এরও আগে ‘মৌলবাদী আতংকের স্বরূপ’ নামে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলাম। ‘মৌলবাদের আতংক’ কিভাবে আমাদের বিপ্লবী রাজনৈতিক কর্তব্য থেকে বিচ্যূত করছে, সেটা ধরিয়ে দিতে চেয়েছি। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল কিভাবে আমরা জুলুমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াইয়ের ভাষা বুঝব? আসলে তাগিদ ছিল গণমানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবার ভাষা শেখা; সেটা শিখব কিভাবে? সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অনন্ত যুদ্ধের শুরুর দিকে ‘ক্রুসেড, জিহাদ ও শ্রেণি সংগ্রাম’ ছিল আমাদের সম্মিলিত উপলব্ধির একটি তাৎপর্যপূর্ণ অগ্র পদক্ষেপ, যে সম্মিলনের ঐক্য আমরা ধরে রাখতে পারি নি। রোমেল ঠিকই বলেছেন। রাখা গেলে হয়তো বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস ভিন্ন পথ নিতো।
বলা বাহুল্য এই লেখাটির জন্য আমি ব্যাপক ভাবে নিন্দিত হয়েছি। ‘জামাতি’ তো বটেই, বাংলাদেশে কারো বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশের জন্য ট্যাগ দিয়ে হীন করার ব্যবসা নতুন কিছু নয়, এখন যেমন ‘হেফাজতি’ বলে শুনি। কিন্তু এ সবের চেয়েও আরও কুৎসিত গালিগালাজ শুনতে হয়েছে। যে সব তরুণদের সঙ্গে স্নেহে, ভালবাসায় আত্মীয়তায় বেঁচে থেকেছি দেখলাম তারা ‘আহমদ ছফা’র নাম ভাঙিয়ে আমাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। তাদের কোন ধারণা নাই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের বন্ধুত্বের গভীরতা কতো দৃঢ়। তারা আমাদের 'আহমদ ছফা' শেখানো শুরু করল। শুধু তাই নয় ডন কিয়োটির মতো খড়ের শত্রু বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে দিলো। কারণ তারা আহমদ ছফার চেয়ে আরও কয়েক কাঠি সরেস 'বাঙালি জাতিবাদী'!!!
তাতে অসুবিধা নাই। কিন্তু এই সেমিনারটির মধ্য দিয়ে তরুনদের মধ্যে যে বিপুল সাড়া ও নতুন রাজনৈতিক পুনর্গগঠনের সম্ভাবনা দেখা গিয়েছিল তাকে কিভাবে কিছু ব্যাক্তি নস্যাৎ ও নষ্ট করেছে সেই ইতিহাসটাই এখন লিখা বাকি। এই সেমিনারটি তার একটি ঐতিহাসিক চিহ্নও বটে। এদের রাজনীতি স্পষ্ট হয়ে গেলো শাহবাগের আন্দোলনের সময়। সেই সময় তারা আমি ‘বিড়ালের রক্ত খাই’ বলেও আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে।
আহমদ ছফা এদের খাসিলত সম্পর্কে বলতো, এরা যে পাত্রে আহার করে সেই পাত্রে বর্জ্য ত্যাগ করে। তার ভাষাটা আরও ক্রুড ছিল, পাব্লিকলি বলা ঠিক না। অর্থাৎ যে বুদ্ধিবৃত্তিক সংসর্গে ও পরিবেশে এরা বড় হয়েছে তার গায়ে ময়লা ছিটিয়ে দিতেই এদের সমূহ আনন্দ। বুদ্ধিচর্চা দূরের কথা, এরা চরিত্রে অসামাজিক, শেষ বিচারে এদের কাছ থেকে সমাজ কিছুই পায় না। নিজের গায়ে নিজেরা ময়লা মেখে তার জীবন কাটিয়ে দেয়। তাদের আনন্দে থাকতে দিন।
আমার কারো বিরুদ্ধেই কোন ক্ষোভ নাই, বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে পুরানা ঘটনা উপেক্ষা করতে হবে। সামনে এগিয়ে যাওয়াই কাজ। তার জন্য দরকার পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা, চিন্তার কঠোর পর্যালোচনা এবং সংঘবদ্ধ শক্তি। আগামি দিনের লড়াই আরও দীর্ঘ ও কঠিন। পুরানা কথা ভুলে তার জন্য প্রস্তুতি নেওয়াই এখনকার কাজ। (এখানে ফেইসবুকে মোহাম্মদ রোমেলের লেখা দেখুন)
"ক্রুসেড জেহাদ ও শ্রেণী সংগ্রাম"
শিরোনামে 'আহমদ ছফা রাষ্ট্র সভা' ২০০১ সালে আফগানিস্তানে আমেরিকান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এই সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ'র অডিটরিয়ামে । আহমেদ কামালের সভাপতিত্বে এতে শিরোনামের মূল প্রবন্ধ পড়েন ফরহাদ মজহার । আলাপের মঞ্চে ছিলেন সলিমুল্লাহ খান, রেহনুমা আহমেদ । ইসলামী রাজনীতির সাথে যুক্ত আহমেদ আব্দুল কাদের ।
বেশ জরুরী আলাপ হইছিল সেই সেমিনারে ।
আমার মনে আছে এই সেমিনারে সেদিন বহু মত-ঘরানার মানুষজন হাজির ছিলেন যারা অ্যাক্টিভলী আলাপে-তর্কেম অংশ নিয়ে ছিলেন ।
তখন ঢাকার প্রগতিশীলদের একটা প্রধান ধারার চিন্তা এমন দ্বিধাগ্রস্ত ছিল যে-- সাম্রাজ্যবাদী, পুঁজিবাদী হিসেবে আমেরিকানরা খুব খারাপ । ফলে তাদের এই মুহূর্তের আফগানিস্তানে যে আগ্রাসন, দখল, নারী, শিশু, বেসামরিক মানুষ হত্যা ইত্যাদিও খারাপ ব্যাপার । অন্যদিকে আফগান মোল্লারা যেহেতু রুচি, চিন্তা, চর্চার দিক থেকে ইসলাম ধর্মের দোহাই দিয়া আগ্রাসন-দখলদার ইত্যাদির বিরুদ্ধে ফাইট করছে সেহেতু এইটা একটা সাম্প্রদায়িক জায়গা থেকে রিয়েকশন । ফলে খারাপ । ফলে এদের প্রতিরোধের প্রতি সমর্থন দেয়া যাবে না । যেহেতু ওরা আমাদের মত ফরাসি বিপ্লবের চেতনার ভাষা দিয়া বাক্য বানায় না । কিংবা মার্কস, লেলিনের দোহাই পাড়ে না । ফলে ওরা মানুষের পক্ষে, মানবিক পৃথিবীর পক্ষে চিন্তা করতে পারে না , এরা নারী অধিকার বিরোধী -- ইত্যাদি ইত্যাদি কারণে তারা দানব, মধ্যযুগীয় বর্বর মানুষ । ফলে এইখানকার প্রগতিশীলরা আফগানিস্তানে আমেরিকান আগ্রাসনের বিষয়ে তখন কোন ন্যায্য পজিশন নিতে পারে নাই । ফলে নানান বিভ্রান্তিমূলক আলাপ চারদিকে ছড়াইতে ছিল তারা । পুরানা গরীবি, কারখানা শ্রমিকের সেট ক্যাটাগরীতে যেহেতু এই সব নতুন ফেনোমেনা আঁটছিল না, ফলে তারা এর কোন ক্রিটিকাল বিশ্লেষণও করতে পারছিল না। এহেন অবস্থায় উনারা মূলত ষড়যন্ত্র তত্ত্ব দিয়ে সব ব্যাখ্যা করতে চাইত ।
এমনও বলা হইত যে, তালেবানদের তো আমেরিকানরাই তৈয়ার করেছেন । ফলে তাদের প্রতিরোধ লড়াইয়ের প্রতি কোন সফট কর্নার দেখানো যাবে না । ইত্যাদি ইত্যাদি ।
আবার যখন দেখছে যে এমন পশ্চাৎপদ মানুষরা জীবন বাজি রেখে লড়াই করছেন পৃথিবীর সবচে বড় সমর শক্তির বিরুদ্ধে -- তখন একটু চিন্তায় পড়ে যাইত । এইটা কেমনে হচ্ছে । আমরা দেশে দেশে এতো প্রগতি ধারন করি, অথচ আগ্রাসীদের বিরুদ্ধে ফাইটের চেয়ে আমাদের প্রগতিশীল চিন্তার অভিমুখ আগ্রসীদের কাছাকাছি! ফলে মোল্লাদের এইসব জীবনবাজীর ফাইট তাদের কাছে ভৌতিক মনে হইত।
মার্কসের ইতিহাস-চিন্তার জায়গা থেকে বিশেষ চিন্তা, জনগোষ্ঠীর এই সব লড়াইকে যে আলাদা করে বুঝতে পারার চেষ্টা, সেই বুদ্ধিবৃত্তিক হিম্মত তৈয়ারির কঠিন যে প্রস্তুতি -- সেই পথে না গিয়ে উনারা মার্কিন মিডিয়ার তথ্য দিয়ে মার্কিনী বয়ানই প্রগতিশীলতার নামে ঢাকায় চালাইতেছিল ।
আমরা যারা নবীন, একটু ক্রিটিকাল হইতে চাইতে ছিলাম, কাণ্ডজ্ঞান থেকেই এইসব দেইখা-বুইঝা পাগলের মত দ্বিধার মন নিয়াই নানান দিকে ছুটতাম বেটার চিন্তা পদ্ধতির খোজে । সলিম ভাই পরে ফরহাদ ভাইয়ের সাথে আড্ডা, আলাপ ঘুরাঘুরি সেই আগ্রহের ফল। আরো কত দল, ব্যক্তি, সঙ্গ, বই, লাইব্রেরি, আড্ডা, পাঠচক্রে বিচরন এইসব কথা আজ বারবার মনে পড়ছে ।
যদিও আমরা তখন সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদ বিরোধী এক ধরণের দায় থেকে সীমিত আকারে হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে, হলে প্রগতিশীল ছাত্র জোটের ব্যানারে মিছিল করেছিলাম । যদিও আমরাও তখন তালেবানদের মোল্লা, মধ্যযুগীয়, খারাপ এমনই ভাবতাম । ফলে ওদেরকেও দুইটা গালি দিতাম ।
কিছু কাল পরে খেয়াল করলাম-- যেখানে নিপীড়ক আর নিপীড়িতকে সমান খারাপ হিশাবে দেখা হচ্ছে, সেখানে আসলে কোন ন্যায্য পজিশন থাকে না । নাই । ফলে এতো বড় আগ্রাসনে প্রগতিশীলদের আসলে কোন ন্যায্য পজিশন ছিল না । কি সাংঘাতিক কারবার ! সেইসব দিনে এমন একটা অচল চিন্তা আমরা বহন করছিলাম উন্মাদের মত ।
ফলে তখনকার এই আলাপ ঢাকার অচল বুদ্ধিবৃত্তিক জগতে একটা সাহসী এবং নতুন চিন্তার বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিরোধের বিরল নজীর হিশাবে আসে আমাদের সামনে । আমরা অনেকেই এইটা দিশা হিসেবে পাঠ-প্রতিপাঠ কিম্বা ক্রিটিক করি । যদিও এই সেমিনারের পরে ফরহাদ মজহার-সলিমুল্লাহ খান ঢাকায় মৌলবাদী বুদ্ধিজীবী হিসাবে আরো খ্যাতি পাইছিল প্রতিক্রিয়াশীলদের প্রচারে । যদিও ব্যাপক খারাপ প্রচারের পরও এই সেমিনার বাংলাদেশের সেন্সেটিভ মানুষের মধ্যে নতুন বুদ্ধিবৃত্তিক আলাপের দিশা তৈয়ার করতে ভূমিকা রাখছিল ব্যাপক ।
অনেকের মনে থাকবার কথা--- ঢাকার চিন্তার প্যারাডাইম শিফট করে দিয়েছিল এই সেমিনার ।
সেই কারণে 'আহমদ ছফা রাষ্ট্র সভা'র উদ্যোগ এবং অবশ্যই ফরহাদ মজহারকে আমাদের ক্রেডিট দেয়া দরকার, বারবার মনে করা দরকার ।
সেই সেমিনারে শুরু হয়া আলাপ-তর্ক-বির্তক আজ পর্যন্ত আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক ভাবে কমপ্লিট করতে পারি নাই । পারি নাই কারণ পরবর্তীতে আমাদের এমন যৌথ উদ্যোগের ধারাবাহিকতার অভাব । কিছুটা পেটি সুবিধাবাদী হইবার কারণ । আর সমাজে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা চলতে দেয়ার বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল লোকের অভাব তো ছিলই না । ছিল এজেন্সির বাধা, যারা এই সব নতুন চিন্তা-তৎপরতা ঠেকাইতে চাইছে ।
সেই সময় ১ নভেম্বর ২০০১ 'দ্য ইকনমিস্ট' পত্রিকায় ছাপা এই দুটি শিশুর ছবি গুরুত্বপূর্ণ। যা পত্রিকাটি তাদের কভারে ছেপেছিল। যুদ্ধ বিরোধী যে সকল তর্ক চলছিলো সেইসব খণ্ডানোর জন্য সারমর্মে পত্রিকাটির অবস্থান ছিল এই যে যুদ্ধে এই ধরনের শিশুরা ঠিকই মারা যাবে, কিন্তু তাতে কি? আমাদের হৃদয়ের ক্ষরণ হলেও পাশ্চাত্যকে এই যুদ্ধ করতে হবে ( অর্থাৎ শিশুদেরও হত্যা করতে হবে)। যুদ্ধের পক্ষে এই ধরণের নগ্ন অবস্থানের পরেও বাংলাদেশের প্রগতিশীলদের হুঁশ হয় নি। মানবিকতার জায়গা কিম্বা এই অন্যায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে আফগান জনগণের আত্মরক্ষার ন্যায্য অধিকারের জায়গাটুকুকেও তারা সমর্থন দেয় নি। দুই একজন ব্যাতিক্রম ছিলেন অবশ্যই। তারা 'মৌলবাদী আফগানিস্তান'-এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানোকে সঙ্গত মনে করেছে। 'আমরা হবো তালেবান, বাংলা হবে আফগান' -- একে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হত্যাযজ্ঞ ও অন্যায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের জাতীয় আত্ম্রক্ষার রণধ্বণি হিসাবে বোঝে নি, একে মৌলনাদীদের হুংকার হিসাবে দেখেছে। বাংলাদেশে কমিউনিস্ট, বামপন্থা, প্রগতিশীলতা, নাস্তিকতা ইত্যাদি কেন সাধারণ জনগণের ঘৃণার বিষয়ে পরিণত হয়েছে তা বুঝতে হলে এই কথাগুলো মনে রাখতে হবে। এটা যদি বুঝি তাহলে ২০১৩ সালে শাহবাগের বিরুদ্ধে চিড়াগুড় বেঁধে গ্রাম থেকে ঢাকা শহরে মাইলের পর মেইল হেঁটে কেন গরিব, নিরক্ষর সাধারণ মানুষ হেফাজতে ইসলামের ডাকে শাহবাগের বিরুদ্ধে শাপলা চত্বরে জড়ো হয়েছিলো আমরা তাও বুঝবো। উচিত আগামি দিনে নিজেদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।
ফলে এইসব চিন্তার বিকশিত কোন জায়গায় সামগ্রিক ভাবে আমার যেতে পারলাম না । অনেককে যুক্ত করে সামাজিক ডায়ালগের জমিনে যে অনেক কিছু মীমাংসা করার সম্ভাবনা ছিল সেখানে খানিক ছেদ ঘটল । ভিন্ন ভিন্ন চিন্তার লিগ্যাসি থেকে অনেক তৎপর ছিলেন বলে হয়ত এমনটাই স্বাভাবিক ছিল ।
তবু আমরা আর আগের জায়গায় নাই । পুরানা ভাব-ভাষা-বুলি সবই বদলাইছে ব্যাপক ভাবে । এই বদলে 'ক্রুসেড জেহাদ ও শ্রেণী সংগ্রাম' প্রবন্ধে প্রকাশিত ভাব রোডম্যাপ হয়ে আমাদের দিশা হিশাবে কাজ করেছে ।
ফলে একটা নতুন চিন্তার চূড়ান্ত পরিণতি যে রাজনৈতিক-সামাজিক তৎপরতা, প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে বিকশিত হবে সেইটা এখনো পরিষ্কার রূপে সমাজে হাজির হয় নাই । সেইটা ছাড়া এইসব ভাবনার চূড়ান্ত কোন মীমাংসা হয়ত হবে না ।
আমাদের ধৈর্য নিয়া নানান ফোরামে নানান ভাবে ব্যাক্তি, সমষ্টিতে এইসব নতুন নতুন ফেনোমেন নিয়া সামাজিক ডায়ালগ ছাড়া বিকল্প কোন পথ দেখি না ।
কমরেড হইলে সেইটা করবেন নিশ্চয় ।
ফলে 'এখনো আমরা পুরানা প্রগতিশীল বেকুবিপনার মুখস্ত বুলি দিয়াই চিন্তা করব' সেই টাইম নাই কমরেড । এজেন্সির হইয়া যদি কথা বলেন, তৎপর থাকেন, উল্টাপাল্টা রিয়েকশন, প্রচার চালান, তাইলে তো ভিন্ন কথা ।
তবে অল্প জ্ঞানে যতটুকু বুঝি তা হচ্ছে--- নিজের কমিউনিটির বিশ্বাস-ভাব-ভাষা-প্রতীক-সম্পর্ক নির্মাণের আকুতি ইত্যাদির মধ্যে যদি বিপ্লব ঘটাইতে না পারেন, তাইলে আপনারা রিয়েকশনারির বেশি ইতিহাসে উল্লেখ থাকবেন না ।
ইতিহাসের চাকা পিছনে ঘুরে না । সো সেই বিপ্লব একদিন হবে ইনশাল্লাহ কমরেড ...।
... ... ...
এখানে সেমিনারটির কার্যবিবরণী পাবেন
'ক্রুসেড, জেহাদ ও শ্রেণিসংগ্রাম': সভার কার্যবিবরণী
নিজের সম্পর্কে লেখক
কবিতা লেখার চেষ্টা করি, লেখালিখি করি। কৃষিকাজ ভাল লাগে। দর্শন, কবিতা, কল্পনা ও সংকল্পের সঙ্গে গায়ের ঘাম ও শ্রম কৃষি কাজে প্রকৃতির সঙ্গে অব্যবহিত ভাবে থাকে বলে মানুষ ও প্রকৃতির ভেদ এই মেহনতে লুপ্ত হয় বলে মনে হয়। অভেদ আস্বাদনের স্বাদটা ভুলতে চাই না।