কেন ইসলাম নিয়ানিরন্তর কথা কৈতে হবে: ১

ইসলাম নিয়া আপনি কথা কইতে পারবেন না। সেটা তখন সাম্প্রদায়িকতা হৈব। ইসলাম নিয়া কথা কইলেই আপনি সেকুলারদের কাছে সাম্প্রদায়িক, গোষ্ঠিতান্ত্রিক, সংকীর্ণ ইত্যাদি গালাগালি খাইবেন। বেশী খাইবেন পশ্চিম বাংলার বাবুদের কাছ থেকে। না চাড্ডি না। তারা ধর্তব্য নয়। গালি দেবে যারা নিজেদের সেকুলার, প্রগতিশীল, বামপন্থি ইত্যাদি দাবি করে। এটা আমার গত তিরিশ বছরের অভিজ্ঞতা। এই প্রকার সেকুলারগিরি আবার পাশ্চাত্যের না, উপমহাদেশীয়। পাশ্চাত্যে সেকুলার ও নাস্তিক্যবাদের ইতিহাস আলাদা। কিন্তু এখানে সেকুলার বা নাস্তিক হওয়ার অর্থ হৈল খাইয়া না খাইয়া ধর্মের বিরোধিতা করা। অথচ এই কুকর্ম মার্কস, এঙ্গেলস বা লেনিন কখনও করেন নাই। এই উপমহাদেশে, বিশেষত পশ্চিম বাংলার মার্কসবাদে কেন এই ব্যাধি এতো দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে সেটা এক বিশাল সমাজতাত্ত্বিক গবেষণার বিষয়। দুই হাজার উনিশের ইলেকশানে তৃণমূলকে হারাতে মার্কসবাদীরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। দিল্লি কলকাতাকে এখন কোথায় নেয়, কে জানে!

ধরেন আপনি মার্কসবাদী, বা মার্কসরে গুরু মানেন। তাহলে নিদেন পক্ষে আপনি 'ইসলাম'কে ধর্ম না মানেন, কিন্তু আর দশটা মতাদর্শিক ধারা আকারে গণ্য তো করবেন। তাই না? যেমন ধরেন জর্মন ভাবাদর্শ। ইসলামের ডিসকার্সিভ ট্রাডিশনের লগে আপনি তর্ক করবেন, পর্যালোচনা করবেন, ইসলামকে ভেতর-বাহির উভয় দিক থেকে আপনি বোঝার চেষ্টা করবেন। এর উদ্দেশ্য ধর্মকে নস্যাৎ করা না, যদি দুনিয়ার সব মতাদর্শ নস্যাৎ হৈয়া সবাই একমত হৈয়া যাইত, তাহলে সেটা হৈল মানবজাতির রুহানি জার্নির পরিসমাপ্তি। কোন চিন্তা নাই, তর্ক বিতর্কও নাও। খালি খাও, দাও আর বাহ্য ত্যাগ কর। তাই না?

তাহলে ধর্মের লগে তর্ক বিচার পর্যালোচনা কেন? এখন? এই কালে? কারন আধুনিকতা বা পুঁজিতান্ত্রিক ব্যবস্থা, বিশেষ ভাবে জাতিবাদ বা রাষ্ট্রবাদ দ্বারা ধর্ম বা ইসলাম যেন ব্যবহৃত হৈতে না পারে সেটা প্রতিরোধ করা। ইসলাম যেন জাতিবাদ না হৈয়া ওঠে, ইসলামি রাষ্ট্রের নামে যেন আধুনিক কেন্দ্রীভূত ক্ষমতাসম্পন্ন ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে উঠতে না পারে, ইসলাম যেন জালিমের হাতিয়ার হয়ে না উঠতে পারে, ইত্যাদি আগাম প্রতিহত করা এখন জরুরি কাজ। কিন্তু বামপন্থিরা অ আ ই ঈ পর্যায়ের আলোচনাও ইসলাম নিয়া করতে রাজি না। ব্যঞ্জন বর্ণের পর্যায় তো অনেক উচ্চ পর্যায়ের ব্যাপার। কারন কি? কারন হৈল ধর্মের বিরোধিতা করা ছাড়া এদের আর কোন কাম নাই। এছাড়া তারা নিজেগোরে ন্যায্য বা ইউজফুল প্রমাণ করতে পারে না। ইসলাম নিয়া এখন আর এর বেশী কিছু বললাম না।

এই উৎপাত থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে আমরা পেরেছি। বিস্তর খানা খন্দ গর্ত গহ্বর এখনো আছে, কিন্তু মাশাল্লাহ আমরা পেরেছি। আমাদের এখানে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ মার্কা 'ইসলাম' তৈয়ার হয় নি। ইসলাম জাতিবাদ বরদাশত করে না। দিল্লীতে যা ঘটলো, ঢাকায় তা ঘটবে আমরা কল্পনা করতে পারি না। তারপরও সতর্ক থাকতে হবে। দ্বিগুণ সতর্ক থাকার সময় এসেছে। বাংলাদেশে তা প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের ইসলাম নিয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে। সবাই আমার ইসলাম চিন্তায় এক মত হৈবেন আমি মনে করি না। কিন্তু ইসলাম নিয়ে আমাদের নিরন্তর কথা বলাই জাতিবাদী ইসলামকে রুখে দেবার পথ। তাই আমি নিরন্তর ইসলাম নিয়ে নানান দিক থেকে কথা বলার পক্ষপাতি। ইসলামকে জাতিবাদীদের হাতে ছেড়ে দিতে নারাজ। ক্ষমতার তর্ক আলাদা।

কিন্তু আমি ইসলাম নিয়ে কথা বলি বলেই আমি 'গোষ্ঠিতান্ত্রিক' নিছক বিশুদ্ধ আহাম্মক না হৈলে কেউ একথা বলবে না। ভারতের একজনের মন্তব্য পড়ে এইসব কথা মনে হোল। ইসলাম বিদ্বেষ খুবই গভীর এক ব্যাধি যা কাটিয়ে ওঠা, বিশেষত জাতিবাদী সেকুলার হিন্দুর পক্ষে, আসলেই কঠিন। তাছাড়া সেকুলার, বিশেষত ইসলাম বিদ্বেষী সেকুলারদের আরও মুশকিল হচ্ছে তারা জাতিবাদ আর ধর্মকে আলাদা করতে পারে না। জাতিবাদ নিজেই যে একটা ধর্ম সেটা তারা বুঝতেই পারে না। বুঝত যদি ধর্মের নামে প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার চেয়ে জাতি বা রাষ্ট্রের নামে শহিদ হওয়া কেন জাতিরাষ্ট্রে 'পবিত্র' গণ্য করা হয়। এর মাজেজা কি? সেকুলার জাতিবাদ ধর্মকে প্রতিস্থাপন করতে চায়। ধর্ম ইন্তেকাল করুক এটাই তার বাসনা। তাই জাতিবাদের কালে সেকুলারিজমকেও ধর্মের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে তার ক্রিটিকাল বৈশিষ্ট্যকে অন্ধ বিশ্বাস বা মতাদর্শিক অন্ধত্বে পর্যবসিত করে ফেলা হয়।

দ্বিতীয়ত জাতিবাদীরা বোঝে না, ভারতের হিন্দুত্ববাদের সঙ্গে হিন্দু ধর্ম কিম্বা সনাতন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য চর্চার কোন সম্বন্ধ নাই। হিন্দু, এমনকি সিন্ধু নদীর তীরবর্তী অধিবাসীদের হিন্দু পরিচয় আর পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়ন ও জাতিবাদের যুগের 'হিন্দু পরিচয়বাদ', 'হিন্দু জাতিবাদ', বা 'হিন্দুত্ববাদ' একদমই পরস্পর বিরোধী ও আলাদা জিনিস। কিন্তু ধর্ম বিদ্বেষীরা সেকুলার জাতিবাদের পাটাতনে দাঁড়িয়ে নিজে ধর্ম হয়ে ওঠার বাসনায় ধর্মকে নস্যাৎ করতে চায়। এই সময় ধর্মের কথা বা মানুষের পরমার্থিক আকুতির কথা নিরন্তর বলা ছাড়া জাতিবাদকে রুখে দেওয়া কঠিন।

তো যেহেতু আমি ইসলাম নিয়া কথা বলি, তাই সুজন চক্রবর্তী সূর্য (Sujan Chakraborty Surjo) মনে করেন আমার মধ্যে 'গোষ্ঠীতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা' রয়ে গেছে। আলহামদুলিল্লাহ! ইনি আমাকে সাম্প্রদায়িক বলেন নাই, তাঁকে তাই তারিফ করি। কিন্তু দাবি করেছেন, আমার 'বৌদ্ধিক' সততায় মারাত্মক ঘাটতি আছে। আমি 'আ-প্রায়োরি সিদ্ধান্ত নিয়ে চিন্তা শুরু করি'। তাই আমার 'উপসংহার সংকীর্ণ'।

হো হো হো ! আমার আ-প্রাওরি চিন্তা কী? সেটা হোল, আমি তার মতো কোন ধর্মকেই নিন্দা করতে রাজি না। আমি ধর্মের পর্যালোচনায় বিশ্বাসী। আমি জাতিবাদ বিরোধী। কিন্তু নিপীড়িত জাতির মুক্তি সংগ্রামে জাতিবাদের ইতিবাচক ভূমিকার পক্ষে দাঁড়াই। একাত্তরে আমি নিপীড়িত বাঙালির পক্ষে যুদ্ধ করে এসেছি। সেই গৌরব আমি ধারণ করি।

কিন্তু জাতিবাদ ফ্যসিবাদে রূপ নেয় এটা হিটলার মুসোলিনির সময় থেকেই আমি জানি। তাই নিপীড়িতের পক্ষে থাকবার পরও যুদ্ধ শেষে বাঙালি জাতিবাদীদের বিরুদ্ধে আমি একাত্তরের পর পরই লড়তে শুরু করেছি। জাতিবাদী ভারত সাতচল্লিশ থেকেই আমার কাছে সফট হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র। দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে যদি ভারত ভাগ হয়, তাহলে ভারত হিন্দুত্ববাদী দেশ হিশাবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেকুলার হিন্দু এটা মানতে চায় না। তারা মনে করে সেকুলার বললেই সেটা আর হিন্দুত্ব থাকে না। কিন্তু হিন্দুত্ববাদ তো সেকুলার আদর্শ। ধর্মীয় না। নরেন্দ্র মোদী সেকুলারিজমের ষোল কলা পূর্ণ করেছেন মাত্র, এই হোল তফাত। আমার জন্য তাই মোদী-অমিত শাহকে বোঝা কঠিন কিছু না। কিন্তু সুজন চক্রবর্তী সূর্য (Sujan Chakraborty Surjo) যেহেতু বোঝেন না, তাই তিনি আমাকেও বোঝেন না। নিজের দেশ ভারতকেও বোঝেন না। কিন্তু তামাশা হচ্ছে সুজন বাবু দিল্লীর হত্যাকাণ্ড ও অগ্নুৎপাত দেখে যেন সদ্য জেগে উঠেছেন। তিনি এখন dumbfounded , যারপরনাই বোবা। যেন সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে হিন্দুত্ববাদীদের মুসলিম নিধন এর আগে ভারতে হয় নি। তিনি দেখেন নি।

আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি জাতিবাদকে ধর্ম থেকে আলাদা করে ভাবা সত্যিকারের সেকুলারদের জন্য নয়, কিন্তু সেকুলার ধর্ম বিদ্বেষী হিন্দুর জন্য খুবই কঠিন, তেমনি ধর্ম আর পুঁজির মধ্যে ফারাক করতে পারা তাদের জন্য আরও অধিক জটিল ব্যাপার। ধর্ম বিদ্বেষী কিম্বা ধর্মবাদী উভয়ের কেউই বোঝে না যে এখন আমরা পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্ব ব্যবস্থার মধ্যে বাস করছি। হিন্দু মুসলমান সম্পর্কের মধ্যস্থতা স্বয়ং মানুষ নিজে করে না, করে পণ্য ও মূদ্রা ব্যবস্থা। পুরানা সমাজ আর নাই। ফলে পুরানা সমাজের প্রেম ভালবাসা গান্ধীবাদী নীতি দিয়ে একালের সমস্যার সমাধান হবে না। তাই লিখেছি: "ভাই ও বোনেরা, সেকুলারিজম, সহনশীলতা আর গান্ধীর বাণী বেইচা গণহত্যা ঠেকাইতে পারবেন না। সেকুলারিজম ছেঁড়া ত্যানার মতো, যার দ্বারা এখন আর লজ্জাস্থানও ঢাকা যায় না"। দিল্লির গণহত্যা ভারতের লজ্জাস্থান খসিয়ে দিয়েছে।

হিন্দুত্ববাদী ধর্ম পরিচয় ভারতে পুঁজির সহচর হিশাবেই গড়ে উঠেছে। হিন্দুর রাষ্ট্র হিশাবে ভারতকে গড়ে তোলা ভারতকে সুপার পাওয়ার হিশাবে কিম্বা শাইনিং ইন্ডিয়া বাস্তবায়নেরই একটা শর্ত। জাতিবাদী হিন্দু এই কল্পনা সাধারণ মানুষের মধ্যে সঞ্চারিত করতে পেরেছে। একাত্তর-পূর্ব অখণ্ড পাকিস্তান একই প্রক্রিয়ায় একটি ইসলামি রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু ভারত পেরেছে। একটা বিশুদ্ধ হিন্দু রাষ্ট্রের কল্পনা, যে রাষ্ট্র থেকে মুসলমান বিতাড়িত, শুধুই হিন্দু বাস করে, এবং সেই রাষ্ট্র চিন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের মতোই 'সভ্য', 'শক্তিশালী' ও 'সমৃদ্ধ' -- এটাই বর্তমান জাতিবাদী হিন্দুর স্বপ্ন। এতা আদতে পাকিস্তানী ড্রিম। জয় পাকিস্তান!

কিন্তু ভারতের হিন্দুত্ববাদ শুধু জাতিবাদ না, পুঁজিতান্ত্রিক গোলকায়নেরও ফল। হিন্দুর সুপার পাওয়ার হওয়ার আকাংখা, মুসলমান বিতাড়ন এবং সাতশ বছর হিন্দু সভ্যতাকে দমিয়ে রাখা হয়েছে এখন আমরা সভ্যতার মুকুট পরে বিশ্ব দরবারে হাজির হচ্ছি -- ইত্যাদিকে পুঁজিতান্ত্রিক বিশ্বের প্রতিযোগিতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে ফারাক করা মুশকিল। কিন্তু ধর্ম বিদ্বেষী সেকুলার হিন্দু কথায় কথায় ভূয়া প্রগতিশীলতার ভান করলেও এই জটিল দিকগুলো বুঝতে পারে না। ফলে বাংলাদেশে আমরা যখন ইসলাম নিয়া কথা বলি, তাদের গাত্রদাহ হয়। বাংলাদেশে ইসলামের যে বৈশিষ্ট্য সে ব্যাপারে তদের কোন ধারণাই নাই। তারা একাত্তরকে সেকুলারিজম দিয়া বোঝে, বাঙালির লড়াই হিশাবে বোঝে না, যাদের সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্ম ইসলাম।

সুজন চক্রবর্তী সূর্যের (Sujan Chakraborty Surjo) লেখার কোত্থাও জাতিবাদের পর্যালোচনা দেখবেন না, পুঁজি ও পুঁজিতান্ত্রিক সম্পর্ক কিভাবে মানুষকে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন করে তার কোন ইঙ্গিত পাবেন না। একটি সেকুলার পার্টি বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করেছে তাই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়ক দাঙ্গা হয় নি-- তিনি এই প্রকার বালখিল্য ফালতু চিন্তা নিয়া আছেন। বাংলাদেশে ইসলাম দমিত, তিনি এতে খুশি। প্রকারান্তরে তিনি বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষই নিলেন।

সুজন চক্রবর্তী সূর্য জিন্নাহ সম্পর্কে কিছু জানেন বলে মনে হয় না। জিন্নাহকে দিয়ে উপমহাদেশে জাতিবাদ বোঝা যাবে না। হিন্দু জাতীয়াতাবাদের জনক উনবিংশ শতাব্দির বাঙালি ভদ্রলোক শ্রেণী। দেশ ভাগের জন্য বাংলার ভদ্রলোক শ্রেণী দায়ী, জিন্নাহ নন। অথচ দেশভাগ নিয়া একালে বিস্তর গবেষণার পরও সেকুলার হিন্দু খামাখা এখনও তর্ক করে জিন্নাহই দেশ ভাগের জন্য দায়ী। অর্থাৎ বিজেপির প্রাচীন তত্ত্বই প্রচারিত হচ্ছে, সুজন চক্রবর্তী সূর্য হিন্দুত্ববাদী চিন্তার ব্যাতিক্রম কিছু নন। অথচ বিশাল বুদ্ধিমান আমার সম্পর্ক বললেন, আমার "সবকিছুর মধ্যে বিশাল ষড়যন্ত্র খোঁজার একটা অভ্যেস, সবকিছুতেই ঘুরেফিরে কিছু নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে দায়ী করার একটা প্রচেষ্টা। অনেক বেশি মেইড আপ লজিক, আর বৌদ্ধিক অসততা খুব তীব্র"।

কোথায় মশায়? একটু দেখান। দেখে প্রীত হই। শিখি।

 


নিজের সম্পর্কে লেখক

কবিতা লেখার চেষ্টা করি, লেখালিখি করি। কৃষিকাজ ভাল লাগে। দর্শন, কবিতা, কল্পনা ও সংকল্পের সঙ্গে গায়ের ঘাম ও শ্রম কৃষি কাজে প্রকৃতির সঙ্গে অব্যবহিত ভাবে থাকে বলে মানুষ ও প্রকৃতির ভেদ এই মেহনতে লুপ্ত হয় বলে মনে হয়। অভেদ আস্বাদনের স্বাদটা ভুলতে চাই না।



ছাপবার জন্য এখানে ক্লিক করুন


৫০০০ বর্ণের অধিক মন্তব্যে ব্যবহার করবেন না।