ভাসানী পাঠ ও পর্যালোচনা: ৪
মওলানা ভাসানীকে বঙ্গীয় কমিউনিস্টরা ‘লাল’ ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারে না। ‘সবুজ’ বা ইসলামি ছোপ দেখলেই তারা গোস্বা করে। ইসলামপন্থিরা আবার এককাঠি চড়া।
আগ্রহভরে ফেইসবুকে একজন তরুন আলেম ইফতেখার জামিলের (Iftekhar Jamil) লেখা পড়লাম। তিনি লিখেছেন, ‘ভাসানী ইসলাম প্রশ্ন’ বুঝতেন না’। টাস্কি খাবার মতো অবস্থা! প্রথমত ভাসানী ‘ইসলাম’ বুঝতেন না বললে তার একটা অর্থ হোত। বুঝতাম আলেমরা ভাসানীর ইসলাম কবুল করেনা, তাই সেকথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বলা হোল ‘ইসলাম প্রশ্ন’টাই ভাসানী বুঝতেন না। বাংলাদেশে এই ‘ইসলাম প্রশ্ন’ ব্যাপারটা কি জিনিস? তার কোন ব্যাখ্যা নাই। তবে বুঝেছি, জামিল কোন ভাবেই ভাসানীকে ইসলামি আন্দোলনের নেতা হতে দিতে চান না। তার দাবি “ভাসানীকে 'ইসলামি নেতা' আকারে দেখার প্রবণতাটাই অনেক বড় ভুল”।
ভাসানী সম্পর্কে ইফতেখার জামিলের আপত্তি হচ্ছে ভাসানী ‘অসাম্প্রদায়িক’ছিলেন। ‘রাষ্ট্র কোন ধর্মকে প্রাধান্য দিতে পারে না, রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকতে পারে না’, আধুনিক সেকুলার রাষ্ট্রের এই বৈশিষ্ট্যকেই জামিল ‘অসাম্প্রদায়িকতা’ মনে করেন। জামিল ‘ইসলামি রাষ্ট্র’ চান। তার অভিযোগ হচ্ছে খ্রিস্টান ও হিন্দু ধর্মের রাষ্ট্র প্রকল্পে ‘বিধর্মী’দের স্থান নাই। খৃস্টান রাষ্ট্র নাকি মনে করে, “ব্যক্তির 'মুক্তির স্বার্থে' জোর করে খৃস্টান বানাতে হবে, খৃস্টান রাষ্ট্র সংখ্যালঘু হবার কোন সুযোগ ছিল না”। কিন্তু ইসলামী রাষ্ট্রে নাকি সেটা সম্ভব। কিভাবে? “ভারতবর্ষে মুসলমানরা আটশো বছরে হিন্দুদের শিক্ষা ও আইনে হাত দেয়নি, কিন্তু ব্রিটিশরা একশো বছরের মধ্যেই হিন্দু-মুসলিম শিক্ষা ও আইনে হস্তক্ষেপ করে”। অর্থাৎ মুঘলদের সামন্তীয় রাজতন্ত্র হচ্ছে জামিলের ইসলামি রাষ্ট্রের নজির। ইসলামী রাষ্ট্র না চাওয়াটা তার কাছে ‘ফাইজলামি’ মনে হয়। ‘ভুল প্রশ্নের ভুল উত্তর’। জামিল বলছেন, ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম করে “সংখ্যালঘুদের পূর্ণ মর্যাদা দিন, স্বতন্ত্র শিক্ষা ও বিশেষায়িত আইন গ্রহণের সুযোগ দিন”। সেই সুযোগ না দিয়ে যদি বলা হয় ‘রাষ্ট্রের ধর্মই থাকবে না’, সেটা কি ফাইজলামি না?
এই হোল দেওবন্দী মাদ্রাসা পড়ুয়া আলেম তরুণের চিন্তার দৌড়। ভাসানীকে ইসলামি নেতা বানানো যাবে না, কারন ভাসান আধুনিক রাষ্ট্রের গায়ের ওপর ইসলামি জোব্বা চাপানোকে ইসলাম কায়েম মনে করতেন না, আধুনিক রাষ্ট্র খ্রিস্টীয় পাশ্চাত্যে খ্রিস্টিয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে গড়ে উঠেছে। ইসলামে 'শাসন ব্যবস্থা' আছে, কিন্তু আধুনিক খ্রিস্টীয় অর্থে সার্বভৌম ক্ষমতা সম্পন্ন রাষ্ট্র নাই। কারন সার্বভৌম ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহর। তাহলে ইসলামে জাগতিক ‘ক্ষমতা’ সম্পর্কিত জিজ্ঞাসা ও তর্ক আধুনিক পাশ্চাত্য রাষ্ট্রের সার্ব্ভৌম ক্ষমতার তর্ক থেকে চরিত্রগত ভাবেই আলাদা। কিন্তু আমাদের মাদ্রাসায় দর্শন কিম্বা রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়ানো হয় না। তাই 'কেন্দ্রীভুত ক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক সেকুলার রাষ্ট্রের গায়ে ইসলামি লেবাস পরানোকে ইসলামপন্থিরা ইসলামি রাষ্ট্র ভাবে। এই যদি অবস্থা হয় তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম হতাশ হতে হবে বৈকি।
বাংলাদেশের আলেম-ওলেমারা যেভাবে ইসলাম বুঝতেন, ভাসানী সেভাবে ইসলাম বুঝতেন না। আলবৎ। শুধু তাই নয়। তিনি পরিষ্কার দাবি করেছিলেন এদেশের মজলুম নিপীড়িত খেটে খাওয়া মানুষের এক নম্বর দুষমন আলেম-ওলেমা শ্রেণী। কেন? কারন তারা মুখে বলে দুনিয়ার সব কিছুর মালিক আল্লাহ, অথচ নিজেরা সম্পত্তিতে তাদের নিজেদের ব্যক্তিগত মালিকানা ছাড়তে চায় না। তারা আল্লার অংশীদার হতে চায়। আল্লার বিপরীতে সম্পত্তির ওপর তারা ব্যক্তিগত মালিকানা দাবি করে। তারা নিজেদের আল্লাওয়ালা দাবি করে, অথচ নিজের নামে যখন সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে নেয়, তখন তাদের আল্লার মালিকানার কথা মনে থাকে না। এরা শির্ক করে। নিজেকে আল্লার অংশীদার করে। এদের হাত থেকে এই দেশের মজলুম জনগণকে মুক্ত হতে হবে। সেটাই হবে সত্যিকারের ইসলাম।
মনে রাখতে হবে সম্পত্তির অধিকার, আর সম্পত্তির ওপর ব্যাক্তিগত মালিকানা দুটি সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস। অর্থাৎ সমাজের সদস্য হিশাবে মানুষসহ প্রতিটি প্রাণ বা প্রাণীর সম্পত্তির অধিকার আছে, কিন্তু মালিকানার অধিকার নাই। প্রতিটি প্রাণ, প্রাণী বা জীবের জীবন ধারণের অধিকার ইসলামে অলংঘনীয়। এই জন্য বলা হয় রিজিকের মালিক আল্লাহ। এই অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা ইসলাম বরদাশত করে না। কিন্তু মুখে ইসলামের কথা আমরা বলি, কিন্তু নিজেদের আশেপাশের বঞ্চিত, নিপীড়িত সর্বহারা মানুষের অধিকার নিয়ে আমাদের কোন কথা নাই। এই কুফরি ও বুজরুকি আর কতদিন চলবে?
তাহলে কে ইসলামি আর কে ইসলাম বিরোধী তার লিটমাস টেস্ট মওলানা আব্দুল হা্মিদ খান ভাসানীর কাছে সম্পত্তিতে ব্যাক্তিগত মালিকানা। কে সেই মালিকানা দাবি করছে আর কে করছে না, তার দ্বারাই কে শির্ক করে আর কে শির্ক করে না সেই মৌলিক ফারাক ঘটে যায়। কাফের আর মোমিনের মধ্যে এই গোড়ার ফারাক যারা বুঝতে অক্ষম ভাসানীর ইসলাম সম্পর্কে তাদের প্রশ্ন তোলা ঘোরতর বেয়াদপির শামিল।
ইফতেখার জামিলের মতো তরুণদের আমি স্নেহ করি। তাদের লেখা আমি নিয়মিত পড়ি, কারন তাদের মনোজগত বোঝা জরুরী। তাদের ভুল শুধরে দেওয়াও আমার কর্তব্য মনে করি। ইসলাম আলাম-ওলেমাদের একচেটিয়া সম্পত্তি না। আমি মনে করি আগামি দিনে গণমানুষের নেতৃত্ব যারা দেবেন ইসলাম সম্পর্কে তাদের গভীর জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও অন্তর্দৃষ্টি থাকতে হবে। তাই ভাসানী ‘ইসলাম প্রশ্ন’ বুঝতেন না, এই ফতোয়ায় আমার ভিরমি খাবার জোগাড় হয়েছে। তাহলে কি তরুণ আলেমদের ব্যাপারে আমার আশা ও মূল্যায়ন ভুল?
বাংলাদেশে ‘ইসলাম প্রশ্ন’ বলতে এই তরুণ কি ভাবেন, তাই ভাবতে বাধ্য হয়েছি। লক্ষ্য করেছি মাদ্রাসার তরুণদের মধ্যে একটা নতুন স্তরের জন্ম হয়েছে যারা সেকুলারদের ভাব, ভাষা জিজ্ঞাসা অনুকরণের চেষ্টা করে। ‘ইসলাম প্রশ্ন’! যেমন। কার্ল মার্কস ব্রুনো বাউয়েরের সঙ্গে ধর্ম ও আধুনিক রাষ্ট্রের সম্পর্ক বিচার করতে গিয়ে ‘ইহুদি প্রশ্ন’ (On the ‘Jewish’ Question) লিখেছিলেন। সেই দিক থেকে বাংলাদেশে রানা দাশ গুপ্তদের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান পরিষদের দাবির আলোকে ‘হিন্দু’, ‘বৌদ্ধ’ বা ‘খ্রিস্টান’ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। হওয়া দরকার। কিন্তু বাংলাদেশে ‘ইসলাম প্রশ্ন’ কি? সেটাও কি একটা প্রশ্ন হতে পারে না? হ্যা, সেটাও হতে পারে। সেই প্রশ্ন মওলানা ভাসানীর চেয়ে এতো চমৎকার ও সহজ ভাবে আর কেউ তুলতে পেরেছেন কিনা জানি না। ইসলামের চোখে সবচেয়ে বড় কাফের বা ইসলামের শত্রু তারাই যারা নিজেদের আল্লার সঙ্গে নিজেদের শরিক করে। 'শির্ক' করে। সবকিছুর মালিক আল্লা এই সত্য জেনেও যেসব আলেম-ওলেমা মওলানা মৌলবি নিজের নামে জমি রেজিস্ট্রি করে, তাদের চেয়ে চরম কুফরি আর কে করতে পারে?
ঠিক আছে। মেনে নিতে অসুবিধা নাই যে ‘ইসলাম প্রশ্ন’ ব্যাপক আলোচনা পর্যালোচনার দাবি রাখে। কিন্তু সেই সব বাদ দিয়ে হঠাৎ করে মওলানা ভাসানী ‘ইসলাম প্রশ্ন’ বুঝতেন না দাবি করা চরম অজ্ঞতা। মাদ্রাসার বুদ্ধিমান তরুণদের চিন্তার দৈন্যতা এ কারনেই খুবই আশাহত করে। ভাসানীর সহজ সরল কথাগুলো বোঝার জন্য বড় বড় কেতাব পড়ার দরকার হয় না। তারপরও বলব ভুল হোক শুদ্ধ হোক তরুন আলেমরা নিজেদের চিন্তা প্রকাশ করছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। একটা সামাজিক ডিস্কোর্স তৈরি হচ্ছে। তাদের চিন্তার জগতটা আমরা বুঝতে পারছি। এই ডিস্কোর্সে তাদের উৎসাহিত করাই আমাদের কাজ।
আসলে আমি উত্তর দিতে বাধ্য হয়েছি। কারন ভাসানী সম্পর্কে মাদ্রাসা পড়ুয়া তরুণদের মধ্যে যে ভুল ও বিভ্রান্তি ইফতেখার জামিল ছড়াবার চেষ্টা করছেন তাকে নাকচ করা জরুরী। ইফতেখার জামিলের এই বক্তব্য বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বিপজ্জনক। আমি বলেছি ১২ ডিসেম্বর অবধি আমি বিশেষ ভাবে ভাসানীকে নিয়েই লিখব এবং ভাবব। ফ্যাসিবাদ এবং ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্য নির্মাণের ক্ষেত্রে ভাসানী এখন সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যার চিন্তা ও তৎপরতার মধ্যে ইসলামের সবচেয়ে অগ্রসর ও বৈপ্লবিক মর্ম মজুদ রয়েছে। যেমন, ব্যক্তিগত মালিকানা এবং শির্কের সম্পর্ক। কিম্বা যেমন শাসনবাদের বিপরীতে পালনবাদ বা রবুবিয়াত; অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক রাষ্ট্রের উৎখাত এবং গণমানুষের খেলাফত কায়েমের জন্য ইসলামের রবুবিয়াত অর্থাৎ মানুষ সহ সকল জীব অণুজীব ও প্রাণের পালনকর্তার ভূমিকা বান্দার রপ্ত করবার রাজনীতি। এই রাজনীতির কথা ভাসানী আমাদের বলেছেন। এই রাজনীতি আমরা এখনও দৃশ্যমান করতে পারি নি। প্রাণ, পরিবেশ ও প্রকৃতির বিনাশ এবং সর্বোপরি জলবায়ু বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে আল্লার সৃষ্ট দুনিয়া যেভাবে ধ্বংসের দিকে ধেয়ে চলেছে সেই সর্বনাশ থেকে রাব্বুল আলামীনের সৃষ্টি সুরক্ষার রাজনীতি হচ্ছে রবুবিয়াত বা পালনবাদ। এটাই একালের প্রধান রাজনীতি।
ভাসানী পাশ্চাত্য শাসনবাদের বিপক্ষে রবুবিয়াত বা পালনবাদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, যার অর্থ হচ্ছে পাশ্চাত্য সভ্যতার বিপরীতে ইসলামের বিপ্লবী ঝাণ্ডা নিয়ে শির খাড়া করে দাঁড়িয়ে যাওয়া। পুরা দুনিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানানো। এক আল্লাহর দাসত্ব ছাড়া কোন রাজাবাদশাহ বা রাজতন্ত্রের গোলামি ইসলাম বরদাশত করে না। কিন্তু ইসলামের নামে এইসবই করা হয়েছে। এখনও চলছে। পেট্রোডলার দিয়ে ইসলাম কেনা যায় না। মরুভূমিতে সেই সব তৈলাক্ত মতবাদের শুকিয়ে মরা অনিবার্য। তাই বঙ্গোপসাগরের কোলে তিন বিশাল নদীর মোহনায় কাদা জলে মাখামাখি হয়ে আল্লার তরফে যারা আমাদের আহার জোগান সেই কোটি কোটি নিপীড়িত কৃষকদের মধ্যে দাঁড়িয়ে বিরাজ করছেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। সারা দুনিয়ার সর্বহারার মুর্শিদ, দ্বীনের রাহবার। তাঁর কোন মূর্তি বা ভাস্কর্যের দরকার নাই। ইসলাম বুঝলে তাঁকেও বোঝা সহজ হয়।
আলহামদুলিল্লাহ, রবুবিয়াতের রাজনীতিও ধীরে ধীরে আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। এখন ‘আল্লাহু আকবর’ বলে তাঁর পেছনে দাঁড়িয়ে যান। ভাসানী ‘ইসলাম প্রশ্ন’ বোঝে না এই মারাত্মক বেয়াদপি আমরা যেন করবার সাহস না করি।
একটি অভিযোগ হোল, ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ থেকে ভাসানী ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিতে চাপ প্রয়োগ করেছেন। অবিভক্ত ভারতে বাংলার মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষার জন্য আওয়ামী মুসলিম লীগের দরকার ছিল। পাকিস্তান জন্মের দুই বৎসর পর ১৯৪৯ সালে ‘মুসলিম’ নাম রাখা অর্থহীন। তখন দলের উদ্দেশ্য হচ্ছে স্বাধীন পাকিস্তানে ধর্ম নির্বিশেষে সকল নাগরিকের স্বার্থ রক্ষা। দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ বাদ দেবার চাপ দিয়ে ভাসানী সঠিক কাজ করেছেন। তাছাড়া ইসলাম আর মুসলিম সমার্থক নয়। ‘মুসলমান’ একটি ধর্ম সম্প্রদায়ের নাম। কিন্তু ইসলাম শুধু মুসলমানদের জন্য আসে নি। সাম্প্রদায়িক স্বার্থে দলের নামে ইসলাম রাখলাম, কিন্তু যা করি তার সবই ইসলাম বিরোধী কাজ। তাতে কি ফায়দা? ইসলামে ‘দ্বীন’ মানে স্রেফ ধর্মচর্চা না, সকল মানুষের জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা কায়েমের ধর্ম বা আদর্শ, যা একই সঙ্গে আর্থ-সামাজিক নীতি, রাজনীতি ও সামরিক নীতি থেকে ওবিচ্ছিন্ন। একটি থেকে আরেকটি আলাদা নয়। ধর্ম মসজিদে, আর আমরা বাজারে পুঁজির দাস হয়ে জীবন যাপন করব। এটা ইসলাম না। ধর্মের নামে জাহেলি থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে।
আশা করি, তরুণ আলেম-ওলেমারা এই দিকগুলো আন্তরিক ভাবে ভাববেন।
নিজের সম্পর্কে লেখক
কবিতা লেখার চেষ্টা করি, লেখালিখি করি। কৃষিকাজ ভাল লাগে। দর্শন, কবিতা, কল্পনা ও সংকল্পের সঙ্গে গায়ের ঘাম ও শ্রম কৃষি কাজে প্রকৃতির সঙ্গে অব্যবহিত ভাবে থাকে বলে মানুষ ও প্রকৃতির ভেদ এই মেহনতে লুপ্ত হয় বলে মনে হয়। অভেদ আস্বাদনের স্বাদটা ভুলতে চাই না।