জনগনের দায়িত্ব জনগণকে পালন করতে দিন
বিরোধীদল বা সরকারি দল যে কোন কোন দলই রাজনৈতিক কর্মসূচি দিতে পারে। এমন কি হরতালও ডাকতে পারে। স্হানীয়ভাবে সরকারী দলের হরতাল পালনের নজির আমাদের দেশে আছে। প্রধানমন্ত্রীও দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন। পল্টন ময়দানে বক্তৃতা করেন। মন্ত্রীমহোদয়রা জনসংযোগের নামে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেন। এই কর্মসূচি যাতে সুন্দরভাবে, অহিংস ভাবে পালিত হয় সে জন্য সরকারের এবং সরকারি দলের দ্বায়িত্ব রয়েছে। সরকার ও সরকারি দলকে বিরোধী দলের কর্মসূচি পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে। আমরা সংকিত হই যখন সরকারী দল বা সরকার যন্ত্র হুংকার দেয় হরতাল প্রতিহত করা হবে। হরতাল প্রতিহত কেন করতে হবে? হরতাল যদি জনগণ না চায় তাহলে জনগনকেই তা প্রত্যাখ্যান করতে দিন। আবার শুনি, বিরোধীদলকে রাজনৈতিক ভাবেই মোকাবেলা করা হবে। অমুক তোমার ভয় নাই। রাজপথ ছাড়ি নাই। ইদানিং আবার শোনা যায় নতুন ডায়লগ। এই নতুন ডায়লগ মন্ত্রীমহোদয়রা দেন। রাজনৈতিক কর্মসূচি রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করা হবে। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নৈরাজ্য সহ্য করা হবে না, ইত্যাদি। সরকার শুধু জনগনের জানমালের নিরাপত্তায় কাজ করে যাবে। রাজনৈতিক কর্মসূচিকে মোকাবেলা করা সরকারের বা সরকারি দলের কাজ নয়। মোকাবেলা করার এই মানসিকতা পরিহার করুন। পরিহার করুন এই মোকাবেলার নামে বিরোধি দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার এবং দমন পিড়ন নীতি। জনগণকে তার অধিকার চর্চা করতে দিন। জনগনের দায়িত্ব জনগণকে পালন করতে দিন। তাদেরকের নির্ধারন করতে দিন, বিরোধীদলের কর্মসূচি তারা গ্রহণ করবে না প্রত্যাখ্যান করবে।
নিজের সম্পর্কে লেখক
later..