কওমি মাদ্রাসার উপর আক্রমণ: দরকার আলেম সমাজের গণসম্পৃক্ততা
‘কওমি মাদ্রাসাগুলি জঙ্গি প্রজনন কেন্দ্র’ আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের এমন আগ্রাসী মন্তব্যের পর সারাদেশের মাদ্রাসাগুলোর ছাত্রশিক্ষক, আলেমউলামা ও ধর্মপ্রাণ মানুষ হতবাক হয়ে যায়। এ ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমগুলোতেও ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়। যার ফলে কওমি মাদ্রাসাগুলো নতুন করে আলোচনায় চলে আসে। পশ্চাৎ থেকে প্রচারমাধ্যমের উসিলায় তুমুল আক্রমণের বিষয়বস্তুতে পরিণত হয়। সাথে সাথে মাদ্রাসার নেতৃস্থানীয় আলেমদের প্রবল প্রতিবাদ জনগণের কাছে মোটামুটি এটা বুঝাতে সক্ষম হযেছে যে, ঢালাও এবং উদ্দেশ্যমূলক মন্তব্যের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল নাই।
দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। সময় খুবই নাজুক। সাম্রাজ্যবাদের প্রধান টার্গেট এখন ইসলাম। সাম্রাজ্যবাদ ক্ষমতাসীন সরকারকে দিয়ে তাদের পছন্দমাফিক রাজনৈতিক আধিপত্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কওমি মাদ্রাসাগুলো উচ্ছেদ করতে চায়। কিন্তু এদেশের দুএকটা সংবাদমাধ্যম ব্যতিত মূলধারার প্রায় সবকটি গণমাধ্যমের তৎপরতা ও একাট্টা হয়ে মাদ্রাসাগুলোর প্রতিবাদ সাম্রাজ্যবাদের দূরভিসন্ধি চিরতরে বানচাল না করতে পারলেও সাময়িকভাবে রুখে দিয়েছে। এটা প্রশংসাযোগ্য।
তবে পুঁজিবাদ কখন, কিভাবে, মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়ে, ঠিকভাবে বলা যায় না। গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপনে দেখছি, মাদ্রাসার বাচ্চারাও কিতাব ফেলে বহুজাতিক কম্পানির ফুসলানিতে ‘আলো’র দিকে ছুটে যাচ্ছে। সদর দরজায় বাধা পেয়ে সাম্রাজ্যবাদ এবং পুঁজিবাদ এখন বাসনা ও আকাঙ্ক্ষার চোরাগুপ্তা পথে ঢুকছে। তাদের জীবনযাপনের মানদন্ডে অভ্যস্ত করাতে পারলে উৎকট চাকচিক্য বর্জনের শক্তি আত্মিক নিঃশেষিত ভীরু তাবেদার বানানো অনেকটা সহজ হয়ে পড়ে।
তবে এ লেখায় আমি সামাজিকতার ক্ষেত্রে কওমি মাদ্রাসাগুলোর অনগ্রসরতার কথা বলতে চাই। ঢাকা ও চট্রগ্রামসহ সারাদেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় কয়েক লাখ ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করে। তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। এদেশের জলবায়ু, খাদ্যশস্য আহার করে এবং প্রাণবৈচিত্র্য উপভোগ করে বেঁচে থাকে। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি, পরিবেশ ও মানুষের অস্তিত্ব যখন সংকটাপন্ন হয়, তখন কওমি মাদ্রাসাগুলোকে আন্দোলন ও প্রতিবাদ করতে বা সমাধানের কোন বিকল্প পথ খুঁজতে দেখি না। ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হলে দরকার পরিবেশ, প্রাণী ও জীবের নিরাপত্তা। অন্যথায় ইসলাম কায়েম করবেন কীভাবে? কোন মাটিতে সেটা আলো দেখাবে?
ভারত ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণ করে বাংলাদেশকে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বহুবছর যাবত বঞ্চিত করে আসছে। পদ্মা ও তিস্তা আজ মৃতপ্রায়। শুকনো মৌসুমে পদ্মা ও তিস্তার অববাহিকায় আবাদি জমিতে ফসল ফলাতে কৃষককে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভারতের পানি আগ্রসানের কারণে আমাদের কৃষি ও পরিবেশ আজ ধ্বংসের সম্মুখিন। বাংলাদেশের জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষক ও কৃষি ব্যবস্থার বারোটা বেজে যাচ্ছে। অথচ এইসব ব্যাপারে কওমি মাদ্রাসাগুলোর কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশের কৃষিঅর্থনীতি নিম্নগামী হলে এবং চাহিদা অনুপাতে ফসল উৎপাদিত না হলে আলেম সমাজকেও অর্ধাহারে বা অনাহারে থাকতে হবে। এটা যে তাদেরও ভাববার বিষয়, এ ব্যাপারে যে তাদেরকেও মাথা ঘামাতে হবে, এই জরুরি বোধটুকু আলেম সমাজের হচ্ছে না।
বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী। ধর্মের প্রতি তাদের রয়েছে অগাধ শ্রদ্ধা। সুতরাং, তাদের দাবিদাওয়া ও আশাআকাঙ্ক্ষার পাশে দাঁড়াতে বাধা কিসের? ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হলে সাধারণ মানুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াতে হবে। মানুষের ভেতর আলেম সমাজের প্রতি আস্থা তৈরি করতে হবে। সমাজের নেতৃত্বে ও প্রতিনিধিত্বে মাদ্রাসাগুলো পিছিয়ে আছে এই ধরনের চিন্তা-চেতনাগত ঘাটতির কারণে। মানুষ সামাজিক জীব- সামাজিক প্রয়োজনে সাড়া না দিলে, রক্ষা না করলে মানুষ মাদ্রাসাগুলোর প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলবে। তখন কোরআন হাদিসের মর্ম প্রচার দূরের কথা, কওমি মাদ্রাসার অস্তিত্বই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়াবে।
সম্প্রতি ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে গোটা বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন। বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে সভাসমাবেশ করছে। সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও সচেতন নাগরিক লেখালেখির মাধ্যমে এর ফলে বিপর্যয় ও ভয়াবহতার চিত্র প্রকাশ করছেন। অথচ কওমি মাদ্রাসার তরফ থেকে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে সভাসমাবেশ দূরে থাকুক, কোন বক্তব্য-বিবৃতিও পাওয়া যাচ্ছে না।
ভারতীয় পানি আগ্রাসন যে এদেশকে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে, একথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। টিপাইমুখ বাঁধ নির্মিত হলে বৃহত্তর সিলেট মরুভূমিতে পরিণত হবে। এর প্রভাবে সিলেটের বাইরে অন্যান্য অঞ্চলেও পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে। কৃষিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যারা বিপর্যস্ত হবে, তারা এদেশেরই জনগণ। তাদের অধিকাংশ মুসলমান। বৃহত্তর সিলেটসহ সমগ্র বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার আলেমসমাজও আক্রান্ত হবে। অযু-গোসলের পানিতেও প্রচুর ঘাটতি দেখা দিবে।
দেখা যাচ্ছে যে, ভারতীয় পানি আগ্রাসনের ফলে শুধুমাত্র বৃহত্তর সিলেট মরুভূমিতে পরিণত হবে, ব্যবহার্য পানির সংকট দেখা দেবে, কৃষি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হবার কারণে অর্থনীতি ধ্বসে যাবে, এমন নয়। বরং বৃহৎ মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় আচারাদি পালনও বিঘ্নিত হবে। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের বেলায়ও একই কথা প্রযোজ্য।
টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি এজন্যে উল্লেখ করলাম যে, এটা সামপ্রতিক সময়ের রাজনৈতিকতা, ভৌগলিকতা ও আঞ্চলিকতার বিবেচনায় প্রধান ইস্যু। তাছাড়া অন্যান্য সামগ্রিক কর্মকাণ্ডেও কওমি মাদ্রাসার তরফ থেকে প্রবল অনগ্রসরতা লক্ষ্যণীয়।
যেমন, নিকট অতীতে ঘটে যাওয়া বিডিআর বিদ্রোহ। কিছু ঘাকত পিলখানায় প্রায় ৬২ জন উচ্চপদস্থ সেনাকর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। একজন সাধারণ নাগরিকও বিদ্রোহীদের গুলিতে নিহত হয়। বিদ্রোহীরা সেনাকর্মকর্তাদের বাসায় গিয়ে পরিবারের উপর অত্যাচার চালায়। জিনিসপত্র ভাঙচুর করে এবং ব্যাপক লুটপাট করে। এমন একটা নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরও আমরা দেখিনি দেশের কোনো একটি কওমি মাদ্রাসা শোকবার্তা প্রদান করেছে কিম্বা কালো কাপড় টাঙিয়ে শোকবিবৃতি দিয়েছে কিম্বা আর কোনো উপায়ে শোকসনতপ্ত সেনাপরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছে। এটা ভীষণ হতাশাজনক।
অন্যদিকে বিডিআর বিদ্রোহের পর আমরা দেখতে পাই গ্রেফতারকৃত জওয়ানদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিডিআর জওয়ানের রহস্যজনক মৃত্যু ঘটেছে। অনেকের বেলায় বলা হয় যে তারা আত্মহত্যা করেছে। পত্রপত্রিকার পাতায় খবরগুলো এভাবেই বের হয়েছে। আটক জওয়ানরা যে বন্দি অবস্থায় খেয়ে না-খেয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে সেটা আমরা সবাই জানি। এদের মধ্যে সবাই যে বিদ্রোহী তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না । গ্রামের দরিদ্র কৃষক পরিবার থেকে উঠে আসা এইসব বিডিআর জওয়ানদের খোঁজে বাচ্চা ছেলেমেয়েসহ তাদের বউ কিংবা আত্মীয়সজন পিলখানার গেটে ঘন্টার পর ঘন্টা দিনের পর দিন গলদঘর্ম হয়েছে তৃষ্ণার্ত চোখে ভিড় করে। সেইসময় পিলখানার সামনে দিয়ে যারা গিয়েছেন তারা সকলেই এই দৃশ্য দেখেছেন। মৃত জওয়ানরা আত্মহত্যা বা অসুস্থ্যতাজনিত কারণে মারা গেছেন নাকি তদন্ত কাজে বিশেষ কিছু ধামাচাপা দেওয়া বা প্রতিহিংসার বশবর্তী নির্যাতনের মাধ্যমে খতম করে দেওয়া হয়েছে এ ব্যাপারে জনগণ কিছুই জানে না। নিহত সেনাপরিবারসমূহের প্রতি সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে অনেকেই এগিয়ে এসেছে। কিন্তু বিদ্রোহের বিরোধিতা করতে গিয়ে যে কয়জন জওয়ান নিহত হয়েছে, বা বন্দি অবস্থায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর শিকার হয়েছে তাদের পরিবারপরিজনের ভরণপোষণের দিকে কাইকে এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছেনা। এই দিকটা কেউই খেয়াল করছেন না। এই অবহেলায় ইনসাফের খেলাফ হচ্ছে।
আমি যদ্দুর জানি নিহত সেনাকর্মকর্তাগণ ও জওয়ানরা সবাই মুসলমান ছিলেন। মৃত্যুর আগমুহূর্তে যাঁরা সুযোগ পেয়েছিলেন, স্ত্রী বা অন্য কারোর কাছ থেকে বিদায় নেবার সময় আল্লাহর নাম নিয়েছেন। খোঁজ নিলে দেখা যাবে ঐ নিহত কর্মকর্তাদের আত্মীয়দের কেউ কেউ কওমি মাদ্রাসাপড়ুয়া। এখানে দেখা যাচ্ছে, মুসলমান হয়েও আরেক মুসলমানের দুঃখজনক মৃত্যুতে আলেমদের উদ্বেগ নেই। নাকি এগুলোকে তাঁরা তাঁদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না বলে মনে করেন। তাঁরা নিজেদেরকে মসজিদ, মাদ্রাসা ও মোটা মোটা কিতাবের ভেতর সীমাবদ্ধ রাখাই দায়িত্ব বলে মনে করেন?
বিদ্যুতের অবস্থা এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে এলেও কিছুদিন আগেও নিয়মিত লোডশোডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ। তখনও আলেম সমাজ ছিলেন পুরোপুরি নির্বিকার। তাঁদেরকে দেখা যায়নি রাজপথে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে বিদ্যুৎ ঘাটতি নিরসন ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের দাবি জানাতে। যখন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী তান্ডবে সারা দেশের শিক্ষাঙ্গন অস্থিতিশীল হয়ে উঠছিল, তখনও আলেম সমাজ প্রতিবাদ করেন নি।
ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ খেদিয়ে দেবার আন্দোলনের ভেতরই দারুলউলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটা যেমন ঠিক, সেইসাথে দলমত, ধর্ম, জাতি-বর্ণ, শ্রেণী নির্বিশেষে ইসলাম সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য ‘রহমত’- এই বিপ্লবী, ঐতিহাসিক ও চিন্তাগত সিদ্ধান্তও দারুলউলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতাদের ছিল। যারফলে তাঁরা ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে ব্রিটিশদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করার সাথে সাথে একটি সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামের একটি সুসংহত কাঠামোও দাঁড় করাতে সচেষ্ট ছিলেন। সৈয়দ আহমদ বেরেলভি, ইসমাইল শহীদ ও তিতুমীরসহ বহু বড় বড় আলেমে দ্বীনকে শাহাদাত বরণ করতে হয়েছিল। শায়খুল হিন্দ মাহমুদুল হাসান(রহ:) আন্দামান দ্বীপে বন্দী হয়ে পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাঁরা এই অঞ্চলের মানুষের মনে বিশ্বাস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন যে ইসলাম শুধু মুসলমানদের নয় বরং সকল নির্যাতিতেরও ধর্ম।
সমপ্রতি ১১ জৈষ্ঠ ছিল আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ১১০তম জন্মবার্ষিকী। অথচ বাংলাদেশের কোন কওমি মাদ্রাসায় নজরুল বিষয়ক আলোচনা সভা হয়েছে, এটা অবিশ্বাস্য। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপর বোধগম্য বিরাগ থাকলেও মাদ্রাসা সংশ্লিষ্টদের কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি অনুরাগ রয়েছে তিনি মুসলমান হবার কারণে। কিন্তু নজরুলের আদর্শচেতনা, কাব্যচর্চা ও জীবনী নিয়ে আলেমসমাজের কোনো আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না। নজরুল সাহিত্য পড়া ছাত্র মাদ্রাসায় বড়ই দুর্লভ।
তবে একথা অনস্বীকার্য, কওমি মাদ্রাসাগুলোর কারণে ধর্মীয় বোধ বা চেতনা এদেশে এখনও অবশিষ্ট আছে। আলেম সমাজের আরও তৎপর হওয়াটা সময়ের দাবি। মুসলমানের দুর্যোগ মুহূর্তে বা বিভিন্ন সংকটে এগিয়ে আসা তো মুসলমানের ‘ঈমানী দায়িত্ব’। আলেমসমাজের এখনকার কর্তব্য সীমাবদ্ধতা থেকে বেরিয়ে আসা, দায়িত্বের সঙ্গে ইসলামের আবেদন মানুষের সামনে উপস্থাপন করা। নইলে আল্লাহর দুনিয়ায় ইনসাফ কায়েম হবে কোন পথে?
দেশের আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির মোকাবিলায় সামাজিকতার দৃষ্টিতে তাঁরা যদি এগিয়ে আসাতে না পারেন, তাহলে সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, হিংস্রতাবাদী ইসরাইল ও আধিপত্যাবাদী ভারতের বিরুদ্ধে লড়বেন কীভাবে? আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে ইসলামকে টিকিয়ে রাখা এবং প্রতিষ্ঠা করার অন্যতম হাতিয়ার গণমানুষের সমর্থন।
গণমানুষ আপনাদের পাশে তখনই দাড়াঁবে যখন আপনারা তাদের পাশে দাঁড়াবেন। বাংলাদেশে প্রায় ১৩ কোটি মুসলমান। এখানে শিয়া-সুন্নির কোন বিভক্তি বা বিভাজন নেই। সুতরাং ১৩ কোটি মুসলমান পরমাণু অস্ত্রের চেয়েও ক্ষমতাধর। মনে রাখতে হবে, গণশক্তির চেয়ে মহাশক্তি আর নেই।