সহিংসতার পর্যালোচনাঃ প্রসঙ্গ ব্রাহ্মণবাড়িয়া
গত সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্র হত্যার ঘটনার জের ধরে পরদিন ঐ শহরের বেশ কিছু জায়গায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের ধরণকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন যাবত দেশজুড়ে কথাবার্তা চলছে। পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই কথাবার্তার উপর নজর দিলে দেখা যাবে বেশ কয়েকটা বিশেষ বয়ান থেকে কথাবার্তা চলছে। এক ঘরানার দাবী হচ্ছে তারা মাদ্রাসার ছাত্র বলেই এমন সহিংসতা । অর্থাৎ এটা জঙ্গি কার্যক্রমেরই সমার্থক। আর এরূপ জঙ্গি কার্যক্রম মাদ্রাসা থেকেই উৎপন্ন হয়। আরেকপক্ষ মনে করছেন মাদ্রাসার ছাত্ররা এটা এ জন্যই করতে পেরেছে যে তারা সংস্কৃতমনা নন। ফলে আবার একটি পক্ষ এই ঘটনাকে ছাত্র হত্যার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিশেবেই দেখছেন।
লেখাটার শুরুতেই পত্রপত্রিকায় এখন পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত খবরাখবরের সারসংক্ষেপটা বলে নেওয়া দরকার ।সোমবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টিএ রোডে এক ইজি বাইক চালকের সাথে কান্দিপাড়া জামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার কয়েকজন ছাত্রদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। এর মীমাংসায় পাশের বিজয় টেলিকমের নামে মোবাইল শপের মালিক রনি আহমেদ এগিয়ে আসে। তিনি ছাত্রদের কাউকে চড় মেরেছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ছাত্ররা কিছুক্ষণ পরে আরও কয়েকজনকে নিয়ে রনি আহমেদের দোকানে এসে আবার বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। এরপর স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ মিলে মাদ্রাসা ছাত্রদের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পরে। একপর্যায়ে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাথে ছাত্রদের এই সংঘর্ষ মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ থেমে থেমে চলতে থাকে। এরপর মাদ্রাসার পক্ষ থেকে দাবী হচ্ছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে পুলিশ মাদ্রাসা কমপ্লেক্সে হামলা চালায়। গেটের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে তারা নিহত ছাত্রকে গুলি করে চারতলা থেকে ফেলে দেয় যার ফলে ঐ ছাত্রটি মারা যায়। পরবর্তীতে ঐ ছাত্রের (মাসুদুর রহমান) নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায় রাত তিনটায়। এরপরদিন সকাল এগারোটা থেকে শহরের অনেকাংশ জুড়ে ছাত্র নিহতের এই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এই সহিংস ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশে আক্রান্ত হয় জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়, ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত মার্কেট কমপ্লেক্স যেখানে সুরকার আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গনও ছিল, তার স্মৃতি বিজড়িত নানা বাদ্যযন্ত্র ও উপহারসামগ্রী, জেলা শিল্পকলা একাডেমী। এই হচ্ছে মোটামুটি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত ঘটনার বর্ণনার সারসংক্ষেপ।
পুরো ঘটনাকে বিশ্লেষণ করতে গেলে দুটি বিষয়ের উপর জোর বিবেচনা করতে হবে। এক হচ্ছে ছাত্রহত্যা আর দুই এর পরবর্তী ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। ছাত্রহত্যা বা অন্য অনেক কারণেই ছাত্রদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এদেশে নতুন নয়। সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ সহিংস আকার ধারণ করেছে এমন ঘটনাও পুরনো। তাহলে এবারের ছাত্রহত্যা পরবর্তী ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ কেন আলাদা আলোচনা-সমালোচনার বিষয় হয়ে উঠল। এরা মাদ্রাসা ছাত্র বলে? মাদ্রাসা মানেই জঙ্গি উৎপাদনের কা্রখানা এমন পূর্বানুমান থেকে? মাদ্রাসার ছাত্ররা পশ্চাৎপদ, তারা সংস্কৃতির মূলধারার সাথে পরিচিত নন এমন পূর্বদশা থেকেই? নাকি এই সমালোচনা মাদ্রাসা ছাত্রদের প্রতি এক ধরণের হেট স্পিচ বা গড়গড় করে ঘৃণাবাক্য উদ্গীরণএর বহিঃপ্রকাশ?
মাদ্রাসার ভিতরে যেভাবে হামলা করা হয়েছে, মারধর করা হয়েছে এবং তার পরবর্তী ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের যে মাত্রা তাতে ঘটনা শুধু সোমবার বিকেলে ইজি বাইক চালকের সাথে ও রনি আহমেদের সাথে বাকবিতণ্ডায় সীমাবদ্ধ বলে আপাতত মনে হচ্ছে না। এর পেছনে আরও কারণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। মাদ্রাসা ছাত্রদের এই ক্ষোভের জন্ম এই ঘটনারও আগে থেকেই। এই ঘটনার কয়েকদিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ধানতলা গ্রামের শাহজালাল (রহঃ) মসজিদ কমপ্লেক্স ও হযরত আবুবকর সিদ্দিকী (রাঃ) কওমী মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসন থেকে সেখানকার বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। মসজিদ ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মনে করছেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাইদুল হকের নির্দেশেই মসজিদ ও মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাহলে দেখা যাচ্ছে ঘটনা ইজি বাইক চালকের সাথে বাকবিতণ্ডা থেকেই সূত্রপাত হয়নি।
এসব ঘটনা থেকে নানা দিক থেকে নানা মাত্রার আলোচনা সমালোচনা চলছে। আমি এখানে কয়েকটি পয়েন্ট থেকে কথা বলতে চাই।
প্রথমত, পুলিশের হাতে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রহত্যা হলে তাদের কাছ থেকে কি এমন সহিংস আচরণ এই প্রথম? অবশ্যই নয়। এসব সহিংসতা হরহামেশা হয়েছে, এখনও হচ্ছে। তাহলে শুধু মাদ্রাসার ছাত্র বলেই কেন আমাদের সমালোচনা নতুন রূপ নিবে? যেখানে সেকুলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন ছাত্র দুর্ঘটনায় মারা গেলেও কোন বাছবিচার ছাড়াই গাড়ি ভাংচুর, জ্বালাও পোড়াও হয় সেখানে মাদ্রাসা কমপ্লেক্সে পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ মিলে হামলা করে একজন ছাত্রকে মেরে ফেলা হোল তাতে তো এমন সহিংসতা আমরা আগে দেখিনি এমন নয়, বাংলাদেশের রাজনৈতিক কালচারের মাপকাঠিতে এটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। বরং জঙ্গি বা পশ্চাৎপদ হিশেবে বিবেচনা করে বয়ান তৈরির চেষ্টাটাই সমাজের রাজনৈতিক কালচারের দিক থেকে অস্বাভাবিক । এরপরও দুই ক্ষেত্র আলাদা নয়। সেকুলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রকাশ ও বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা ও ক্ষেত্র যতটা প্রসারিত কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের সম্ভাবনা ও ক্ষেত্র ততটা প্রসারিত নয়। কেননা এখানে খোদ সরকার দলীয় সংগঠন ও সরকারী বাহিনী নিজেই তাদের বিপরীতে দাড়িয়ে গিয়েছে। এছাড়াও বিগত কয়েক বছরের দিকে দৃষ্টি দিলে আমরা দেখতে পাব আমরা তাদের বিচার পাওয়ার জায়গা, ভরসার জায়গা কতটা সংকুচিত করেছি। তাহলে যখন তাদের মাদ্রাসার মধ্যে হামলা করা হয়, সহপাঠী হত্যা করা হয় তখন তারা আসলে কিভাবে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করতে পারে? বা বিচার চাইতে পারে? হ্যাঁ, অবশ্যই আমরা যেকোনো ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ অহিংস হবে এমনটাই চাই। কিন্তু আমরা সেই অহিংস ক্ষোভ বহিঃপ্রকাশের সম্ভাবনা ও ক্ষেত্র তাদের জন্য উন্মুক্ত রেখেছিলাম কিনা। ছাত্র মারা যাওয়ার পরে সহিংসতা ছড়ানোর আগে ছাত্রহত্যার জন্য যে মাত্রার নিন্দা ও বিচারের দাবী ওঠার কথা ছিল আমরাতো তাও করতে ব্যর্থ হয়েছি। যদি এমন ধরণের সহিংসতা না হত তবে আমরা কতটুকু নড়েচড়ে বসতাম সেদিকেও একটু ভাবা দরকার। যদি নাই আমল করি তাহলে কি তাদের চুপ থাকা উচিত ছিল? আসলে মূল কথা ছাত্রাবাসে ঢুকে ছাত্রহত্যা হবে কেন? আর হলেও বিচারের দাবীতে ক্ষোভ দেখানোর আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া বিচারের আশ্বাস তৈরি করা ইত্যাদি হবে না কেন?
দ্বিতীয়ত, আমরা অনেকেই সুরকার আলাউদ্দিন খাঁর সঙ্গীতাঙ্গনে হামলা ও তার স্মৃতি বিজড়িত বাদ্যযন্ত্র ও উপহার সামগ্রী আক্রান্ত হওয়ায় যে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছি তা পুলিশী হত্যা ও অপতৎপরতাকে আড়াল করার জন্য, এর পক্ষে সহানুভুতি তৈরি করার উদ্দেশ্যে। যদি তারা প্রমাণ করতে চান কওমি মাদ্রাসা আলাউদ্দিন খাঁর সঙ্গীতের বিরুদ্ধে, তাহলে ঘটনার আগে ও পরে তাদের দেখাতে হবে ঐ একই ব্রাক্ষণবাড়িয়া শহরে বসবাস করে মাদ্রাসা থেকে আলাউদ্দিন খাঁ ও তাঁর সঙ্গীতের বিরুদ্ধে কথা বলার, কোন আপত্তি তোলার রেকর্ড আছে কি না। ব্রাক্ষণবাড়িয়া মাদ্রাসা থেকে কখনই সঙ্গীতের বিরুদ্ধে কোন আপত্তি তোলা হয় নাই। অর্থাৎ ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর সঙ্গীতের বিরুদ্ধে তাদের কোন অবস্থানই কখনও ছিল না, এখনও নাই। ফলে আলাউদ্দিন খাঁ ও তাঁর সঙ্গীতকে সামনে এনে পুলিশী অপরাধকে ঢাকার উদ্দেশ্যে জন-সহানুভুতির তৈরির এই চেষ্টা খুবই উদ্দেশ্যমূলক।
আমরা মাদ্রাসা ছাত্রদের এমন সহিংস আচরণের জন্য তাদের অসংস্কৃতমনা, পশ্চাৎপদতাকে দায়ী করে তখন আমাদের এও ভুলে গেলে চলবে না যাদেরকে আমরা সংস্কৃতমনা, অগ্রগামী শিক্ষায় শিক্ষিত বলি সেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশের পক্ষ থেকেই প্রথমে বড় ধরণের সহিংসতা এসেছে, মাদ্রাসার ভিতরে হামলা হয়েছে। সবচেয়ে বর কথা পুলিশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ সাথে নিয়ে কোন একশনে যায় কোন আইনে? এটাই পুলিশের বিরাট অপরাধ।
চতুর্থত ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মাদ্রাসায় কারা পড়ে? এদেশের নিতানন্তই খেটে খাওয়া গরীবের সন্তানেরাই সাধারণত মাদ্রাসায় পড়ে থাকে। এদিক থেকে দেখলে একটি শ্রেণী বিভাজনও আমাদের চোখে পড়বে। অন্যদিকে একটা ঘরনা আকারেও কওমী মাদ্রাসা রাষ্ট্রে বিরাজ করছে। তাহলে রাষ্ট্রের যে রাজনীতি তাতে তাদের অবস্থান কোথায় সেটা আমাদের ভাবতে হবে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশ ও সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তিতে তারা কোন অবস্থানে বিরাজ করছেন। রাজনীতিতে জনপরিসরে তাদের স্বর কতটুকু ও কিভাবে হাজির আছে। মানুষ প্রথম প্রাকৃতিক সত্তা ও একইসাথে রাজনৈতিক সত্তা। প্রত্যেক মানুষকে প্রাকৃতিক সত্তার বাইরে তার রাজনৈতিক সত্তা নির্ধারণ করতে হয় নিজেরই তাগিদে। সেই জনপরিসরের সামষ্টিক রাজনীতি অবস্থানটা নির্ধারণ হলে এর ভিত্তিতেই চলার কথা সকল রাষ্ট্র। অর্থাৎ একে অপরের সাথে কি ধরণের সম্পর্কে আবদ্ধ থাকবেন ও নিজদের কর্তব্য ও ভোগের বিষয়টি কিভাবে নির্ধারিত হবে তা এই রাজনীতি করার মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়। একে আমরা ইংরেজিতে বলে থাকি পলিটি। এই রাজনীতি বা পলিটি নির্ধারিত হয় একের সাথে অন্যের কথা বলার মাধ্যমে। একেই আমরা বলে থাকি ডায়লগ। এখানে কথা বলা মানে এই নয় যে কথা শুধু বলা। কথা বলে কথা হয়ে ওঠে তখনই যখন অপর সেই কথা শুনেন ও আমলে নেন। আমাদের রাষ্ট্রের বর্তমান চরিত্র থেকে এটা অনেকটাই স্পষ্ট যে রাষ্ট্রের অন্তর্গত মেজরিটি ও গরীব গোষ্ঠীরই স্বর রাষ্ট্রের রাজনীতির মধ্যে হাজির নেই। এই স্বর যখন হাজির থাকে না তখন একটা কোটারি রাজনীতি। কার্যত রাজনৈতিক পরিসর সে সমাজে তৈরি হতেই দেয়া হয় নাই, চেপে দাবিয়ে রাখা হয়েছে, বুঝতে হবে। এমন অবস্থায় রাজনীতি বা পলিটিতে যার বা যাদের স্বর হাজির থাকে না অর্থাৎ যার কথা বলা কথা হয়ে ওঠে না তিনি বা তারা আর সেই রাজনীতি ওউন করেন না বা সেখান থেকে বিতাড়িত অনুভব করেন। কিন্তু তিনি বা তারা সর্বদাই চেষ্টা করেন নিজেদের স্বর রাজনীতিতে হাজির করতে। এই স্বর হাজির করা যখন স্বাভাবিক কথা বলার মাধ্যমে অর্থাৎ ডায়লগের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়না তখন স্বভাবতই তিনি বা তারা অন্যভাবে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে। এই চেষ্টা গুলোর মধ্যে সব থেমে সাধারণ চেষ্টা হচ্ছে পালটা বলপ্রয়োগ। কারণ যখন তার কথা শোনা হবে না তখন তিনি অপরপক্ষকে তার কথা শোনার জন্য বাধ্য করতে চান আর এই বাধ্য করা সম্পন্ন করতে পালটা বলপ্রয়োগের আশ্রয় নেন। সুতরাং আমরা যখন অহিংস রাষ্ট্র গড়বার কথা বলি তখন আমাদের সকলের সাথে অহিংস ডায়লগের দুয়ার খোলা রেখেই বলতে হবে। নয়ত সহিংসতা ছড়াবেই। এটা কোন পশ্চাৎপদতা বা সংস্কৃতমনার প্রশ্ন নয়। আরব বসন্তের শুরুতে তিনিশিয়ায় প্রতিবাদী যেভাবে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে সহিংসতা প্রকাশ করে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছিল তা আমরা সংস্কৃতমনা বা পশ্চাৎপদতা দিয়ে ব্যাখ্যা করতে পারব না। বা যেসব বিষয়বস্তুর উপর হামলা হয়েছে তা তারা নিজেদের অংশ বলে মনে করেন না বলে হামলা করেছেন তাও ব্যাখ্যা করতে পারব না। ইতিহাসে দেখা যায় রাজনীতিতে না হাজির অংশ এভাবেই সহিংসতা করেই জানান দেয়। তার মাত্রা ও ধরণ বিভিন্ন হতে পারে।
তাই আমাদের এখন রাজনীতি গঠনের গোড়ার কথা নিয়ে ভাবতে হবে।